Ajker Patrika

সাদাপোশাকে তল্লাশি, ছিনতাইকারী সন্দেহে এএসআইকে আটকাল জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেন ডাইং এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে জনতার হাতে আটক এএসআই ফিরোজ রানাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেন ডাইং এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে জনতার হাতে আটক এএসআই ফিরোজ রানাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাদাপোশাকে সড়কে অভিযান চালানো পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) ছিনতাইকারী সন্দেহে আটকে রাখেন স্থানীয় লোকজন। দুই ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে ফিরোজ রানা নামের ওই এএসআইকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এএসআই ফিরোজ রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ বলছে, ফিরোজ সাদাপোশাকে মাদক উদ্ধারের অভিযানে গিয়েছিলেন। কাউকে না জানিয়ে একা এমন অভিযানে যাওয়ায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৯টার দিকে দুই ব্যক্তিকে নিয়ে সাদাপোশাকে থাকা এএসআই ফিরোজ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেন ডাইং এলাকায় রাস্তায় একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করেন। ওই মোটরসাইকেলচালক না থেমে চলে যান। পরের মোড়ে গিয়ে তিনি জানান, ছিনতাইকারীরা রাস্তায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছে। এরপরই এলাকার লোকজন এসে তিনজনকে ঘিরে ধরেন। তখন অন্য দুজন কৌশলে পালিয়ে গেলেও ‘পুলিশের লোক’ পরিচয় দিয়ে থেকে যান ফিরোজ। তখন লোকজন ফিরোজকে আটকে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, এই এলাকায় সম্প্রতি কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তাই লোকজন ক্ষুব্ধ ছিল। ছিনতাইচেষ্টার খবর পেয়েই লোকজন গিয়ে ফিরোজকে ধরে ফেলেন। তিনি সাদাপোশাকে ছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরলে তিনি পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন এবং পরিচয়পত্র দেখান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ফিরোজ কয়েক দিন আগেই ফাঁড়িতে যোগ দিয়েছেন। এলাকা চেনেন না। মাদক পাচারের খবর পেয়ে তিনি একাই চলে যান সোর্স নিয়ে। তারপর লোকজন তাঁকে আটকে রাখলে আমরা উদ্ধার করি।’

সাধারণত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কিংবা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর মাদকবিরোধী অভিযান হয়ে থাকে। পুলিশ পরিদর্শক সুকমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, এএসআই ফিরোজ তাঁকে জানিয়ে ওই অভিযানে যাননি। অভিযানের বিষয়টি তিনি পরে জেনেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম বলেন, রাতে এএসআই ফিরোজের ডিউটি ছিল। ওই ডিউটি ফেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে একা একা মাদক উদ্ধারে গিয়ে তিনি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ছিনতাইচেষ্টার ব্যাপারে এসপি বলেন, ‘ছিনতাই তো করেনি কেউ। যে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই চালক গিয়ে বলেছে। সে (ফিরোজ রানা) সোর্স নিয়ে গেছে মাদক উদ্ধার করতে। এখন সব জায়গায় একটা মব জাস্টিস চলছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নিতে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া আজ বিকেল পর্যন্ত জেলার চারটি আসনে আরও আটজন প্রার্থী কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী সরওয়ার আলম কুতুবী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-ও কুতুবদিয়া) আসনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী জিয়াউল হক, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া ও টেকনাফ) আসনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী নুরুল হক।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান জানান, কক্সবাজারের চারটি আসনে ১ থেকে ৩ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের তারিখ ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ২১ জানুয়ারি। ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার শেষ করার দাবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আগামীকাল বেলা ৩টায় শহীদ হাদি চত্বরে, শাহবাগে আমরা সমবেত হব। জুলাইপরবর্তী ও পূর্ববর্তী যারা গুম-খুনের শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন, আমরা শহীদ ওসমান হাদিকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শহীদি শপথ পড়ব।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জাবের সমাবেশে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—ওসমান হাদির খুনিদের ধরতে একটি দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনালের মধ্য দিয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা এবং তদন্তের জন্য এফবিআই থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার যারা পেশাদার ও নির্ভরযোগ্য, তাদের এই মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে জনগণের কাছে তাঁদের অপারগতার কারণ প্রকাশ করে হাদি ‘হত্যার দায় নিয়ে’ পদত্যাগ করা।

এর আগে, বেলা ৩টা থেকে শাহবাগ মোড়ে হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। পরে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট

­যশোর প্রতিনিধি
আসাদুজ্জামান জনি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আসাদুজ্জামান জনি। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের অভয়নগরে ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আসাদুজ্জামান জনি ও তাঁর বাবা কামরুজ্জামান মজুমদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। আসাদুজ্জামান জনি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

অভয়নগর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন খান ১০ জনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রোববার আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন গুয়াখোলা কলেজ রোডের জালাল উদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামান মিঠু, গুয়াখোলা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে বর্তমানে দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনায়েত হোসেন শান্টু, কোটা পূর্বপাড়ার কুদ্দুস তরফদারের ছেলে বায়েজিদ হোসেন তরফদার, কোটা গ্রামের মাহমুদ হোসেনের ছেলে মারুফ হাসান তুহিন, নওয়াপাড়া বউবাজার এলাকার ইব্রাহিম বিশ্বাস ওরফে খলিল কসাইয়ের ছেলে রুহুল আমিন, গুয়াখোলা সুপারিপট্টির নজির হোসেন খোকার ছেলে সম্রাট হোসেন বাবু, ধোপাদি দপ্তরিপাড়ার বাসিন্দা মফিজুর রহমান ও বুইকরা গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে সৈকত হোসেন হিরা।

এসআই সালাহউদ্দিন খান জানান, গত ৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। শুরুতে ছয়জনকে আসামি করা হলেও তদন্তে আরও চারজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এজাহারভুক্ত ও তদন্তে প্রকাশ পাওয়া মোট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর আসামি সৈকত হোসেন হিরা কৌশলে ব্যবসায়ী টিপুকে আসাদুজ্জামান জনির অফিসে নিয়ে যান। সেখানে জনি তাঁকে মারধর করে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ কোটি টাকা দাবি করেন। পরে টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন সাউথ বাংলা ব্যাংক থেকে জনির প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে আরটিজিএসের (রিয়েল টাইম গ্রোস সেটেলমেন্ট) মাধ্যমে ২ কোটি টাকা পাঠান। টাকা পাওয়ার পর সেদিন টিপুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর আবারও টিপুকে আটক করা হয়। ওই দিন সকালে গ্রামের বাড়ি চলিশিয়া থেকে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে তাঁর গতিরোধ করেন সৈকত হোসেন হিরা। পরে তাঁকে জনির কনা ইকো পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জনি, সম্রাট হোসেন বাবু ও মফিজুর রহমান অস্ত্র ঠেকিয়ে টিপুকে মারধর করেন এবং বুক পর্যন্ত গর্ত খুঁড়ে বালুচাপা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আরও ২ কোটি টাকা দাবি করেন। চাপের মুখে টিপু তাঁর ম্যানেজারকে ফোন করে টাকা দিতে বলেন। পরে ম্যানেজার পূবালী ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ ও সাউথ বাংলা ব্যাংক থেকে ৩২ লাখ টাকা আরটিজিএসের মাধ্যমে পাঠান। একই সঙ্গে মফিজুর রহমানের কাছ থেকে আরও এক কোটি টাকার একটি চেক আদায় করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটক শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ৪০২ নম্বর কক্ষ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আটক শিক্ষার্থীর নাম মো. এহসানুল হক জিসান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্বের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১০১৫ নম্বর কক্ষে বসবাস করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪০২ নম্বর কক্ষে তৃতীয় শিফটে তিনি অন্য এক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর হয়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন। পরীক্ষায় আসল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত ছিলেন রাফিদ হোসেন সাজিদ।

এহসানুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রক্টরিয়াল বডি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের সামনে থেকে আসল পরীক্ষার্থী রাফিদ হোসেন সাজিদকেও আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক এহসানুল হক জিসান স্বীকার করেন, তিনি রাফিদ হোসেন সাজিদের হয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি যে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর হয়ে সে পরীক্ষা দিতে এসেছিল, সে আমাদের আরও একটি ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছিল, সেই পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার রেজিস্ট্রেশন ব্লক করে দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতেও সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত