Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে মন্দির নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৪

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৫৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মন্দির নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে দুই দিনে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে কৃষ্ণভক্ত ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে গেলে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।

মতুয়া সম্প্রদায়ের আহতরা হলেন কৃষ্ণা রানী (৩৫), নিকট চন্দ্র হাওলাদার (১৭), ভিবাস চন্দ্র হাওলাদার (৩০), ঝুমুর রানী (২৫)। কৃষ্ণভক্ত পক্ষের আহতরা হলেন লক্ষ্মী রানী (৪০), সুবর্ণা রানী (১৫), অন্তরা রানী (১৫), চপলা রানী (২৫)। ঘটনার খবর পেয়ে দশমিনা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।

গতকাল মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে আরও ছয়জন গুরুতর আহত হন। এ সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের অমল শিকারী (৪৫), মিঠুন চন্দ্র শিকারী (৩০) আহত হন। এ ছাড়া কৃষ্ণভক্ত সম্প্রদায়ের মন্টু হাওলাদার (৪০), সন্তোষ হাওলাদার (৪০), সুদাংসু হাওলাদার (৫০), দিবাংসু হাওলাদার (৩০) আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি কৃষ্ণ মন্দির আছে। সেখানে কৃষ্ণভক্তরা পূজা-প্রার্থনা করেন। বছর কয়েক আগে ওই কৃষ্ণ মন্দিরের পাশে আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায় পূজা-প্রার্থনা করে আসছে। মতুয়া সম্প্রদায় মন্দির করার পর থেকে কৃষ্ণভক্তরা তা মেনে নিতে পারেনি। এ মন্দির নিয়ে তাদের দুই গ্রুপে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।

এই মন্দির নিয়ে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মধ্যস্থতায় তা সমঝোতা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতুয়াভক্ত কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে এলে কৃষ্ণভক্ত লক্ষ্মী রানীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

মতুয়া সম্প্রদায়ের আহত কৃষ্ণা রানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভিন্ন একটি জায়গায় মন্দির করে পূজা-প্রার্থনা করি। মন্দির নির্মাণ করার পর থেকে কৃষ্ণভক্তরা সাধারণভাবে মেনে নিতে পারেনি। কয়েক মাস আগে তারা আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। আমরা সন্ধ্যায় পূজা দিতে গেলে কৃষ্ণভক্তরা আজেবাজে কথা বলে প্রতিবাদ করলে শিবাষ, সুমন, সাগর, তমিজসহ ১০-১২ জন আমাদের টানাহেঁচড়া করে পেটায়। আমার ছেলে আমাদের রক্ষা করতে আসলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।’

কৃষ্ণভক্তের আহত লক্ষ্মী রানী বলেন, ‘মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলমান। মন্দিরের জায়গা নিয়ে ঝগড়া হয়, ওই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় কমল শিকারি, মিঠুন, অনুজ, নরেষসহ ২০-২২ জন আমাদের বাড়িঘর থেকে বের দিয়ে আমাদের পিটিয়ে চারজনকে আহত করে।’

প্রত্যক্ষদর্শী হাসান গাজী বলেন, ‘দুই দিনের সংঘর্ষে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদা নাসরিন জিতু জানান, আহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।

দশমিনা থানার ওসি আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: আদালতে ঘটনার যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী সেই রিকশাচালক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোটরসাইকেলে এসে হাদিকে গুলি করা হয়। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ
মোটরসাইকেলে এসে হাদিকে গুলি করা হয়। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন। ঘটনার দিন তাঁর রিকশায় করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে গুলি করা হয় হাদিকে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলমের কাছে আজ বৃহস্পতিবার জবানবন্দি দেন তিনি।

রিকশাচালক কামাল হোসেনকে আজ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন তিনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে কামাল হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের দিন কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করে মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। কামাল হোসেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর বক্তব্য আদালতে দিতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬৪ ধারামতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেন জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দিন দুজন যাত্রী নিয়ে তিনি মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার সময় পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে পৌঁছানোর পর তাঁর রিকশার পাশ দিয়ে একটি মোটরসাইকেল যায়। দুজন যাত্রী ছিল তাতে। একেবারে পাশ থেকে তাঁর এক যাত্রীকে গুলি করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন ধরাধরি করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, গুলি লাগা যাত্রীর নাম ওসমান হাদি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে একটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। হাদি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়ন-সংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলারচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত মোবারক হোসেন সিহাবের চাচা ও নিখোঁজ সামছু গ্রুপের সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার বাদী আবুল বাশার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তাঁর ভাতিজা মোবারক হোসেন সিহাবের লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করতে সময় লাগায় মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

নিহত সিহাবের মা ও সামছু বাহিনীর প্রধান মো. সামছুদ্দিন ওরফে সামছুর স্ত্রী মাহফুজা বেগম অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু লোক তাঁর স্বামীকে চরে জমি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে আর তাঁকে ফেরত দেননি। খবর পেয়ে পরদিন ছেলে সিহাব তাঁর বাবাকে ফিরিয়ে আনতে জাগলারচরে যান। কিন্তু তিনি আর জীবিত ফিরে আসেননি।

সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি সেখানে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এখনো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। প্রশাসন আমার বাবার লাশ উদ্ধারে অথবা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনার মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, নিখোঁজ সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গৌরনদীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

গৌরনদী প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের গৌরনদীতে ডেভিল হান্ট ফেজ ২ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ভীমেরপাড় এবং বার্থী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল বিশ্বাস এবং বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও যুবলীগ নেতা খোকন খান।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ, আটক ২

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ। ছবি: সংগৃহীত
কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নকল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারখানাটিতে কর্মরত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ। 

আটককৃতরা হলেন ফরিদপুর জেলার আলম খানের ছেলে মিন্টু খান (৩৮) এবং একই জেলার কামাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মুন্না ইসলাম (২১)।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের পেছনে ভান্ডারি হোটেলসংলগ্ন সবুজ ওরফে মোতাহার নামে এক ব্যক্তি একটি কারখানা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নকল ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প বানিয়ে আসছিলেন। যা তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করতেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতারণার খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে স্ট্যাম্প তৈরির দুটি মেশিন ও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। কারখানাটির ভবনমালিকের নাম মৃত এমাদ হাজি বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, ‘গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা কারখানার খবর পেয়ে অভিযান চালাই। এখানে সরকারের রাজস্ব খাতের রেভিনিউ ও স্ট্যাম্প নকল করে দুটি মেশিন দ্বারা তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা কারখানাটিতে এসে নকল স্ট্যাম্প তৈরির দুটি মেশিন, ১০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মূল্যের পর্যন্ত রেভিনিউ সিল এবং ১০০ টাকা মূল্যের কোটি টাকার স্ট্যাম্প পেয়েছি।’

কারখানাটিতে নকল স্ট্যাম্প তৈরির কাজে নিয়োজিত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ কাজের সঙ্গে আর কারা জড়িত—তা বের করা হবে। জব্দকৃত স্ট্যাম্পের গণনা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত