নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালী: সময়টা ২০২০ সালের জুন, দেশে তখন মহামারি আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস । সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও করোনায় রোগী বাড়তে শুরু করে। অনেক করোনা রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের। ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হওয়া এ মানবসেবা কার্যক্রমে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরও ৪৫টি সিলিন্ডার। যা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার রোগীরা অক্সিজেন সেবা নিচ্ছেন। সেবার মান বাড়াতে ব্যাংকে সিলিন্ডারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, গত ২৮জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যাংকের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তখন ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হয় বিনামূল্যে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৫৫টি হাইফ্লো সিলিন্ডার রয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত মানবিক এ ব্যাংক থেকে সেবা নিয়েছেন ২৩৫জন রোগী। এ কাজে অংশগ্রহণ করেছেন ১৫জন সেচ্ছাসেবী। যারা মোবাইলে কল পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যান করোনা রোগীর বাড়িতে।
অক্সিজেন সুবিধা পেয়েছে এমন একজন রাকিব হোসেন। তিনি জানান, আমার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। কিছুদিন আগে আমার মামা প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর তারা জানান উনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া লাগবে। কিন্তু সে মুহূর্তে কোথায় অক্সিজেন পাবো তা আমাদের জানা ছিলো না। পরবর্তীতে পরিচিত একজনের মাধ্যমে নোয়াখালী পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের নাম্বার পেলাম। উনাদের সাথে যোগাযোগ করার সাথে সাথে একটি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে চলে আসতে বলেন তাঁরা। পরদিন সকালে এসে আমি একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। কয়েকদিন ব্যবহারের পর আমার মামা কিছুটা সুস্থ হলেও চিকিৎসক অক্সিজেন চালিয়ে যেতে বলেন। প্রথম সিলিন্ডারটি শেষ হওয়ার পর ওটা জমা দিয়ে আমি আরও একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। বর্তমানে আমার মামা আগের চেয়ে ভালো আছেন।
রাসেল চৌধুরী নামের নোয়াখালী সদরের এক বাসিন্দা জানান, আমার একজন আত্মীয়ের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে উনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। যেদিন তাঁর অবস্থার অবনতি হয় সেদিন রাত ২টার সময় পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের হেল্প লাইনে কল দেই। ওই রাতেই উনারা আমাদের আসতে বলেন। পরে বিনামূল্যে ছাড়া আমরা অক্সিজেন নিয়ে যাই। আমি বর্তমানে এ অক্সিজেন ব্যাংকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। পুলিশের এ মানবসেবায় নিজেকে যুক্ত করতে পারায় আমি গর্ববোধ করছি।
অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুল হাসান জানান, হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু পথযাত্রী করোনা রোগীরা যখন দিশেহারা হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ও শ্বাসকষ্টের কথা বিবেচনা করে আমাদের এ অক্সিজেন সেবা। রোগী বা তার স্বজনদের একটি মোবাইল কলে আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। প্রথম দিকে আমাদের এ সেবা নোয়াখালী জেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমান পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লার লোকজনও আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৬জুন আমি কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সুধারাম মডেল থানার সামনে একটি সিএনজিতে একজন করোনায় আক্রান্ত রোগীকে দেখতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি। চোখের সামনে এমন মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে সহ্য করতে না পেরে আমি পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেই।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগে মৃত্যুবরণের বিষয়টি আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ও মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ব্যাংক চালু করি। অক্সিজেনের অভাবে যেন কোনো রোগী আর মৃত্যুবরণ না করে সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ ব্যাংকটি আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নোয়াখালী: সময়টা ২০২০ সালের জুন, দেশে তখন মহামারি আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস । সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও করোনায় রোগী বাড়তে শুরু করে। অনেক করোনা রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের। ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হওয়া এ মানবসেবা কার্যক্রমে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরও ৪৫টি সিলিন্ডার। যা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার রোগীরা অক্সিজেন সেবা নিচ্ছেন। সেবার মান বাড়াতে ব্যাংকে সিলিন্ডারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, গত ২৮জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যাংকের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তখন ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হয় বিনামূল্যে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৫৫টি হাইফ্লো সিলিন্ডার রয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত মানবিক এ ব্যাংক থেকে সেবা নিয়েছেন ২৩৫জন রোগী। এ কাজে অংশগ্রহণ করেছেন ১৫জন সেচ্ছাসেবী। যারা মোবাইলে কল পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যান করোনা রোগীর বাড়িতে।
অক্সিজেন সুবিধা পেয়েছে এমন একজন রাকিব হোসেন। তিনি জানান, আমার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। কিছুদিন আগে আমার মামা প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর তারা জানান উনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া লাগবে। কিন্তু সে মুহূর্তে কোথায় অক্সিজেন পাবো তা আমাদের জানা ছিলো না। পরবর্তীতে পরিচিত একজনের মাধ্যমে নোয়াখালী পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের নাম্বার পেলাম। উনাদের সাথে যোগাযোগ করার সাথে সাথে একটি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে চলে আসতে বলেন তাঁরা। পরদিন সকালে এসে আমি একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। কয়েকদিন ব্যবহারের পর আমার মামা কিছুটা সুস্থ হলেও চিকিৎসক অক্সিজেন চালিয়ে যেতে বলেন। প্রথম সিলিন্ডারটি শেষ হওয়ার পর ওটা জমা দিয়ে আমি আরও একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। বর্তমানে আমার মামা আগের চেয়ে ভালো আছেন।
রাসেল চৌধুরী নামের নোয়াখালী সদরের এক বাসিন্দা জানান, আমার একজন আত্মীয়ের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে উনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। যেদিন তাঁর অবস্থার অবনতি হয় সেদিন রাত ২টার সময় পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের হেল্প লাইনে কল দেই। ওই রাতেই উনারা আমাদের আসতে বলেন। পরে বিনামূল্যে ছাড়া আমরা অক্সিজেন নিয়ে যাই। আমি বর্তমানে এ অক্সিজেন ব্যাংকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। পুলিশের এ মানবসেবায় নিজেকে যুক্ত করতে পারায় আমি গর্ববোধ করছি।
অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুল হাসান জানান, হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু পথযাত্রী করোনা রোগীরা যখন দিশেহারা হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ও শ্বাসকষ্টের কথা বিবেচনা করে আমাদের এ অক্সিজেন সেবা। রোগী বা তার স্বজনদের একটি মোবাইল কলে আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। প্রথম দিকে আমাদের এ সেবা নোয়াখালী জেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমান পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লার লোকজনও আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৬জুন আমি কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সুধারাম মডেল থানার সামনে একটি সিএনজিতে একজন করোনায় আক্রান্ত রোগীকে দেখতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি। চোখের সামনে এমন মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে সহ্য করতে না পেরে আমি পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেই।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগে মৃত্যুবরণের বিষয়টি আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ও মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ব্যাংক চালু করি। অক্সিজেনের অভাবে যেন কোনো রোগী আর মৃত্যুবরণ না করে সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ ব্যাংকটি আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালী: সময়টা ২০২০ সালের জুন, দেশে তখন মহামারি আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস । সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও করোনায় রোগী বাড়তে শুরু করে। অনেক করোনা রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের। ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হওয়া এ মানবসেবা কার্যক্রমে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরও ৪৫টি সিলিন্ডার। যা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার রোগীরা অক্সিজেন সেবা নিচ্ছেন। সেবার মান বাড়াতে ব্যাংকে সিলিন্ডারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, গত ২৮জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যাংকের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তখন ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হয় বিনামূল্যে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৫৫টি হাইফ্লো সিলিন্ডার রয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত মানবিক এ ব্যাংক থেকে সেবা নিয়েছেন ২৩৫জন রোগী। এ কাজে অংশগ্রহণ করেছেন ১৫জন সেচ্ছাসেবী। যারা মোবাইলে কল পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যান করোনা রোগীর বাড়িতে।
অক্সিজেন সুবিধা পেয়েছে এমন একজন রাকিব হোসেন। তিনি জানান, আমার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। কিছুদিন আগে আমার মামা প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর তারা জানান উনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া লাগবে। কিন্তু সে মুহূর্তে কোথায় অক্সিজেন পাবো তা আমাদের জানা ছিলো না। পরবর্তীতে পরিচিত একজনের মাধ্যমে নোয়াখালী পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের নাম্বার পেলাম। উনাদের সাথে যোগাযোগ করার সাথে সাথে একটি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে চলে আসতে বলেন তাঁরা। পরদিন সকালে এসে আমি একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। কয়েকদিন ব্যবহারের পর আমার মামা কিছুটা সুস্থ হলেও চিকিৎসক অক্সিজেন চালিয়ে যেতে বলেন। প্রথম সিলিন্ডারটি শেষ হওয়ার পর ওটা জমা দিয়ে আমি আরও একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। বর্তমানে আমার মামা আগের চেয়ে ভালো আছেন।
রাসেল চৌধুরী নামের নোয়াখালী সদরের এক বাসিন্দা জানান, আমার একজন আত্মীয়ের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে উনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। যেদিন তাঁর অবস্থার অবনতি হয় সেদিন রাত ২টার সময় পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের হেল্প লাইনে কল দেই। ওই রাতেই উনারা আমাদের আসতে বলেন। পরে বিনামূল্যে ছাড়া আমরা অক্সিজেন নিয়ে যাই। আমি বর্তমানে এ অক্সিজেন ব্যাংকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। পুলিশের এ মানবসেবায় নিজেকে যুক্ত করতে পারায় আমি গর্ববোধ করছি।
অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুল হাসান জানান, হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু পথযাত্রী করোনা রোগীরা যখন দিশেহারা হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ও শ্বাসকষ্টের কথা বিবেচনা করে আমাদের এ অক্সিজেন সেবা। রোগী বা তার স্বজনদের একটি মোবাইল কলে আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। প্রথম দিকে আমাদের এ সেবা নোয়াখালী জেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমান পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লার লোকজনও আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৬জুন আমি কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সুধারাম মডেল থানার সামনে একটি সিএনজিতে একজন করোনায় আক্রান্ত রোগীকে দেখতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি। চোখের সামনে এমন মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে সহ্য করতে না পেরে আমি পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেই।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগে মৃত্যুবরণের বিষয়টি আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ও মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ব্যাংক চালু করি। অক্সিজেনের অভাবে যেন কোনো রোগী আর মৃত্যুবরণ না করে সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ ব্যাংকটি আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নোয়াখালী: সময়টা ২০২০ সালের জুন, দেশে তখন মহামারি আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস । সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও করোনায় রোগী বাড়তে শুরু করে। অনেক করোনা রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের। ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হওয়া এ মানবসেবা কার্যক্রমে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরও ৪৫টি সিলিন্ডার। যা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার রোগীরা অক্সিজেন সেবা নিচ্ছেন। সেবার মান বাড়াতে ব্যাংকে সিলিন্ডারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, গত ২৮জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যাংকের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তখন ১০টি হাইফ্লো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হয় বিনামূল্যে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৫৫টি হাইফ্লো সিলিন্ডার রয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত মানবিক এ ব্যাংক থেকে সেবা নিয়েছেন ২৩৫জন রোগী। এ কাজে অংশগ্রহণ করেছেন ১৫জন সেচ্ছাসেবী। যারা মোবাইলে কল পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যান করোনা রোগীর বাড়িতে।
অক্সিজেন সুবিধা পেয়েছে এমন একজন রাকিব হোসেন। তিনি জানান, আমার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। কিছুদিন আগে আমার মামা প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর তারা জানান উনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া লাগবে। কিন্তু সে মুহূর্তে কোথায় অক্সিজেন পাবো তা আমাদের জানা ছিলো না। পরবর্তীতে পরিচিত একজনের মাধ্যমে নোয়াখালী পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের নাম্বার পেলাম। উনাদের সাথে যোগাযোগ করার সাথে সাথে একটি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে চলে আসতে বলেন তাঁরা। পরদিন সকালে এসে আমি একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। কয়েকদিন ব্যবহারের পর আমার মামা কিছুটা সুস্থ হলেও চিকিৎসক অক্সিজেন চালিয়ে যেতে বলেন। প্রথম সিলিন্ডারটি শেষ হওয়ার পর ওটা জমা দিয়ে আমি আরও একটি সিলিন্ডার নিয়ে যায়। বর্তমানে আমার মামা আগের চেয়ে ভালো আছেন।
রাসেল চৌধুরী নামের নোয়াখালী সদরের এক বাসিন্দা জানান, আমার একজন আত্মীয়ের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে উনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। যেদিন তাঁর অবস্থার অবনতি হয় সেদিন রাত ২টার সময় পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের হেল্প লাইনে কল দেই। ওই রাতেই উনারা আমাদের আসতে বলেন। পরে বিনামূল্যে ছাড়া আমরা অক্সিজেন নিয়ে যাই। আমি বর্তমানে এ অক্সিজেন ব্যাংকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। পুলিশের এ মানবসেবায় নিজেকে যুক্ত করতে পারায় আমি গর্ববোধ করছি।
অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুল হাসান জানান, হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু পথযাত্রী করোনা রোগীরা যখন দিশেহারা হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ও শ্বাসকষ্টের কথা বিবেচনা করে আমাদের এ অক্সিজেন সেবা। রোগী বা তার স্বজনদের একটি মোবাইল কলে আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। প্রথম দিকে আমাদের এ সেবা নোয়াখালী জেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমান পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লার লোকজনও আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৬জুন আমি কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সুধারাম মডেল থানার সামনে একটি সিএনজিতে একজন করোনায় আক্রান্ত রোগীকে দেখতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি। চোখের সামনে এমন মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে সহ্য করতে না পেরে আমি পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেই।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগে মৃত্যুবরণের বিষয়টি আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ও মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ব্যাংক চালু করি। অক্সিজেনের অভাবে যেন কোনো রোগী আর মৃত্যুবরণ না করে সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ ব্যাংকটি আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৮ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের।
০৬ মে ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৮ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের।
০৬ মে ২০২১
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৮ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের।
০৬ মে ২০২১
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৬ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তখন নোয়াখালীবাসীর কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২৮ জুন নোয়াখালী পুলিশ হাসপাতালে উদ্বোধন করেন অক্সিজেন ব্যাংকের।
০৬ মে ২০২১
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৮ মিনিট আগে