Ajker Patrika

পাইপে গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না

  • প্রকল্পে ব্যয় হয় ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা
  • কবে নাগাদ সরবরাহ শুরু হবে, জানেন না সংশ্লিষ্টরা
  • গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন ছিল নিছক নাটক: ব্যবসায়ী

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ০৮: ৫১
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কয়া গোলাহাট এলাকার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কয়া গোলাহাট এলাকার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড।

নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর। কিন্তু উদ্বোধনের ১ বছর ৭ মাস পার হলেও গ্যাস পায়নি এ জনপদের মানুষ। ঠিক কবে নাগাদ এ গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীসহ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোগান না থাকায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা নিয়ে এই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, দেশের উত্তর জনপদে গ্যাসভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জিটিসিএল। প্রকল্পটিতে সরকার ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে।

এর মধ্যে জিটিসিএল ১০ কোটি টাকার ওপর খরচ করেছে। বাকি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া হুকুম দখল করা হয়েছে ৫৭৬ দশমিক ৩৭ একর জমি। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। এই গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন পাড়ি দিয়েছে ছয়টি নদী ও দুটি খাল। এসব নদী ও খালের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। এ ছাড়া গ্যাস সরবরাহের জন্য তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০০ এমএমএসসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে) ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই (সিজিএস), রংপুরে ৫০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টাউন বর্ডার স্টেশন (টিবিএস) ও পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টিবিএস।

সূত্র আরও জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে এর উদ্বোধন করেন। পরে রংপুরের পীরগঞ্জের নিয়ামতপুর চৌরাহাট এলাকায় গ্যাস স্টেশন প্রাঙ্গণে ফলক উন্মোচন ও গ্যাস প্রজ্বালন করেন পেট্রোবাংলার তৎকালীন চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার। এ সময় জানানো হয়, পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্প খাত ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ করা হবে, যা প্রথমে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এবং পরে রংপুরে সম্প্রসারিত হবে। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিটিসিএলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি ও স্থানীয় গ্যাস দিয়ে দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ৩০০ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকছে ১০০ কোটি ঘনফুটের মতো। এ ঘাটতি কাটাতে এরই মধ্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি কয়েকটি এলএনজি আমদানি চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা। কিন্তু এখনো গ্যাসের অনুসন্ধান চালিয়ে নিকট ভবিষ্যতে সরবরাহ বাড়ানোর মতো আশা জাগানিয়া কোনো ফলাফল মেলেনি। আবার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা নিয়েও রয়েছে বড় ধরনের সংশয়। গ্যাসের জোগান নিয়ে এ অনিশ্চয়তা দূর করার আগেই সঞ্চালন লাইন নিয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জিটিসিএল।’

সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনের পর আমরা আনন্দিত ছিলাম। ভেবেছিলাম শিল্পকারখানার গ্যাস সরবরাহ শেষে রান্নার জন্য আমরা বাসাবাড়িতেও হয়তো গ্যাস পাব। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছর পরও গ্যাস সরবরাহ অধরাই থেকে গেছে। নির্বাচনে সুফল পেতে আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধন নাটক সাজিয়েছিল।’

নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) ও শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ পেলে উত্তরা ইপিজেডসহ সৈয়দপুরে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন সম্ভব হতো। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। এখন শুধু প্রতিশ্রুতি শুনছি, বাস্তবায়ন কিছুই হচ্ছে না।’

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন ছিল নিছক নাটক। উত্তর জনপদের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরীসহ বহু উদ্যোক্তা পাইপলাইনের গ্যাসের অপেক্ষায় রয়েছেন। গ্যাসের অভাবে শিল্পের সম্ভাবনাগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে।’

পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক ও পিজিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ফজলুল করিম বলেন, ‘ডিস্ট্রিবিউশন লাইনসহ কিছু কাজ বাকি। কাজ শেষ করে শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ জলদস্যু ডন বাহিনীর, মুক্তিপণ দাবি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সুন্দরবন। ছবি: সংগৃহীত
সুন্দরবন। ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। জলদস্যু ‘ডন বাহিনী’ অপহৃত প্রত্যেকের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসতে সক্ষম দুই জেলে জানিয়েছেন।

আজ রোববার সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা ও হেতালবুনি খাল থেকে ওই সাতজনকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত জেলেরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর গ্রামের মুজিবুল হোসেন (৩৫)।

সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা দুই জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তাঁরা তিন দিন আগে অনুমতি নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান। বনে গিয়ে কাঁকড়া শিকারের জন্য আজ তাঁরা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০ জন বন্দুকধারী তাঁদের ঘিরে ফেলেন। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় দস্যুরা বিকাশ নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিন দিনের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃত জেলেদের হাত-পা ভেঙে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওই দুই জেলে আরও জানান, ঋণ করে টাকা নিয়ে কাঁকড়া শিকারের জন্য তাঁরা বনে গিয়েছিলেন। এখন চালান তুলতে না পারার পাশাপাশি মুক্তিপণ দিয়ে সহকর্মীদের ছাড়াতে হবে। প্রতিজনের মুক্তিপণ বাবদ ডন বাহিনী ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে।

জানতে চাইলে সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বন বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডন বাহিনী ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অলিম ও রবিউল বাহিনীর মতো ডন বাহিনীও আগের মতো সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করেছে। বাহিনীপ্রধানের বাড়ি খুলনা হলেও তাঁর দলের অনেকের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়ন বিরোধে কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ-আগুন, আহত ১০

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সময় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সময় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর-সিটি আংশিক) আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি নির্বাচনী প্রচার অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান এবং ‘মনোনয়নবঞ্চিত’ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ইশরাক সিদ্দিকীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ইশরাক সিদ্দিকীর সমর্থকেরা আজ বিকেলে উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ডাকে। পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে যোগ দিলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমানের ২০-২৫ জন সমর্থক তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের কাছ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল আটক করে তাতে অগ্নিসংযোগ করেন ইসরাকের সমর্থকেরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভান।

ইশরাক সিদ্দিকীর দাবি, ‘এই আসনের মনোনয়ন ঘিরে এলাকার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছিল। তারই প্রতিফলন হিসেবে আজকে বিক্ষোভ করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাতেনাতে কয়েকজনকে আটকও করা হয়। এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর এক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, তাঁরা গণসংযোগ করতে গেলে ইশরাক সিদ্দিকীর লোকজনের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আশফাকুজ্জামান বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুজিবুর রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এই আসনে ইশরাক সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বাকসু’ নিয়ে টানাটানি, ক্ষুব্ধ বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম ‘বাকসু’ অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ রোববার বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম ‘বাকসু’ অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ রোববার বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম ‘বাকসু’ অনুমোদনের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ অনেক আগে থেকেই ‘বাকসু’ হিসেবে পরিচিত। ববি সেই নাম নিয়ে টানাটানি করছে।

এর প্রতিবাদে আজ রোববার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান। এ সময় কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ববি শিক্ষার্থীদের ইঙ্গিত করে ‘বাকসু চোর’, ‘বাকসু চোর’ বলে স্লোগন দেন।

সস্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র সংসদের নাম বাকসু হিসেবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘বাকসু বিএম কলেজের ৭২ বছরের ঐতিহ্য। হুট করে কেউ এসে বাকসু নাম দাবি করবেন, তা আমাদের জীবন থাকতে হবে না। তাঁরা যদি এই নাম নিয়ে টানাটানির সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বরিশালে তাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

শিক্ষার্থী সুমি হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাকসু নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন করছি। আজকে বাধ্য হয়ে দুই দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব।’

জানা গেছে, বরিশালের বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নাম ১৯৫২ সাল থেকে বাকসু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি ববি সিন্ডিকেটে তাদের ছাত্র সংসদের নামও বাকসু হিসেবে অনুমোদন দেয়। এর আগে বিএম কলেজ ও ববি সমঝোতা বৈঠকে বসলেও কোনো সমাধান হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোজার আগেই নির্বাচন হতে হবে, যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: আজকের পত্রিকা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘রোজার আগে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা হবে। আগে নির্বাচন কমিশন বলেছিল চলতি মাসের ৭-৮ তারিখের দিকে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তারপর শোনা গেল ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা হবে। এখন নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো কথা বলবে না। আমরা পত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু আমরা বলেছি, রোজার আগেই নির্বাচন হতে হবে।’

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রামে নাগরিক ঐক্যের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনকালে মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সংকটের প্রতি ইঙ্গিত করে মান্না বলেন, ‘এই দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জোটে বেগম জিয়ার অসাধারণ অবদান ছিল। তিনি অনেক কষ্ট করেছেন, অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। সবাই চাই তিনিও এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকুন। তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার মাঝে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে কারণে নির্বাচনের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় কি না—এটা আমাদের মনের মধ্যে আছে। তবে আমরা চাই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে।’

বিএনপি কিংবা সমমনা দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘১৫ বছরের লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা গড়ে ওঠেনি। আমরা এককভাবে কিছু করতে চাই না।’

এদিন বিকেলে জেলা শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এ সময় তিনি বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে যা হয়, এই অঙ্গীকার যদি কোনো দল সবার সামনে করে—তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। বিএনপি যদি করে তাহলে বিএনপির সঙ্গে আছি।’

সমাবেশে বক্তব্যকালে মান্না নাগরিক ঐক্যে নতুন যোগদানকারী জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আব্দুস সালামকে কুড়িগ্রাম-২ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।

সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আব্দুস সালাম, সদস্যসচিব জোহবাদুল ইসলাম বাবলুসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত