মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিমলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৮ টি। যেগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এসব হাটে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর জন্য শুধু ক্রেতারাই খাজনা দেবেন বলা আছে।
উপজেলার খোড়ারডাংগা পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের কোথাও খাজনা আদায়-সংক্রান্ত তালিকা টাঙানো নেই। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা সরকারনির্ধারিত খাজনার পরিমাণ জানতে পারছেন না। এদিকে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। অন্যদিকে ছাগলপ্রতি ১৫০ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন কালিগঞ্জ এলাকার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, বিক্রেতা রশিদুলের সঙ্গে দরদাম করে ৪৮ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। রসিদ নিতে গেলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ক্রেতার কাছে ৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষমেশ ১ হাজার টাকা খাজনা দিয়েই হাট ছাড়তে হয় তাঁদের। নাজমুল বলেন, ‘১ হাজার নিলেও রসিদে (ছাড়পত্র) খাজনার ঘরে ৫০০ টাকা লেখা হয়। তিনি খাজনার পরিমাণ লেখার জন্য জোর করলে ‘বই (রসিদ) লেখক’ ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা লিখে দেন। তাঁর মতো অনেককে ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’
হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাট বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি যাচাই করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার আরও দুটি পশুর হাট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ হাটেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি টাঙানো হয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি হাট সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বুধবার বসে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছে থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবু কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, ৪২ হাজার ও ৬২ হাজার টাকা দিয়ে হাটে দুটি গরু কিনেছেন। এ জন্য ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর বিক্রেতা দিয়েছেন ৬০০ টাকা।
চাপানি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন সফিয়ার ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এত দিন গরু বিক্রির জন্য ক্রেতার থেকে খাজনা আদায় করা হলেও এবার বিক্রেতার থেকেও খাজনা আদায় করছেন ইজারাদারেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার ইউনুস আলী সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও ইমরানুজ্জামান বলেন, কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় বা ভ্যাট নেওয়ার সুযোগ নেই। পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিমলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৮ টি। যেগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এসব হাটে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর জন্য শুধু ক্রেতারাই খাজনা দেবেন বলা আছে।
উপজেলার খোড়ারডাংগা পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের কোথাও খাজনা আদায়-সংক্রান্ত তালিকা টাঙানো নেই। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা সরকারনির্ধারিত খাজনার পরিমাণ জানতে পারছেন না। এদিকে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। অন্যদিকে ছাগলপ্রতি ১৫০ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন কালিগঞ্জ এলাকার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, বিক্রেতা রশিদুলের সঙ্গে দরদাম করে ৪৮ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। রসিদ নিতে গেলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ক্রেতার কাছে ৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষমেশ ১ হাজার টাকা খাজনা দিয়েই হাট ছাড়তে হয় তাঁদের। নাজমুল বলেন, ‘১ হাজার নিলেও রসিদে (ছাড়পত্র) খাজনার ঘরে ৫০০ টাকা লেখা হয়। তিনি খাজনার পরিমাণ লেখার জন্য জোর করলে ‘বই (রসিদ) লেখক’ ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা লিখে দেন। তাঁর মতো অনেককে ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’
হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাট বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি যাচাই করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার আরও দুটি পশুর হাট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ হাটেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি টাঙানো হয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি হাট সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বুধবার বসে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছে থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবু কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, ৪২ হাজার ও ৬২ হাজার টাকা দিয়ে হাটে দুটি গরু কিনেছেন। এ জন্য ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর বিক্রেতা দিয়েছেন ৬০০ টাকা।
চাপানি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন সফিয়ার ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এত দিন গরু বিক্রির জন্য ক্রেতার থেকে খাজনা আদায় করা হলেও এবার বিক্রেতার থেকেও খাজনা আদায় করছেন ইজারাদারেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার ইউনুস আলী সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও ইমরানুজ্জামান বলেন, কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় বা ভ্যাট নেওয়ার সুযোগ নেই। পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিমলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৮ টি। যেগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এসব হাটে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর জন্য শুধু ক্রেতারাই খাজনা দেবেন বলা আছে।
উপজেলার খোড়ারডাংগা পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের কোথাও খাজনা আদায়-সংক্রান্ত তালিকা টাঙানো নেই। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা সরকারনির্ধারিত খাজনার পরিমাণ জানতে পারছেন না। এদিকে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। অন্যদিকে ছাগলপ্রতি ১৫০ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন কালিগঞ্জ এলাকার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, বিক্রেতা রশিদুলের সঙ্গে দরদাম করে ৪৮ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। রসিদ নিতে গেলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ক্রেতার কাছে ৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষমেশ ১ হাজার টাকা খাজনা দিয়েই হাট ছাড়তে হয় তাঁদের। নাজমুল বলেন, ‘১ হাজার নিলেও রসিদে (ছাড়পত্র) খাজনার ঘরে ৫০০ টাকা লেখা হয়। তিনি খাজনার পরিমাণ লেখার জন্য জোর করলে ‘বই (রসিদ) লেখক’ ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা লিখে দেন। তাঁর মতো অনেককে ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’
হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাট বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি যাচাই করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার আরও দুটি পশুর হাট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ হাটেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি টাঙানো হয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি হাট সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বুধবার বসে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছে থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবু কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, ৪২ হাজার ও ৬২ হাজার টাকা দিয়ে হাটে দুটি গরু কিনেছেন। এ জন্য ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর বিক্রেতা দিয়েছেন ৬০০ টাকা।
চাপানি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন সফিয়ার ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এত দিন গরু বিক্রির জন্য ক্রেতার থেকে খাজনা আদায় করা হলেও এবার বিক্রেতার থেকেও খাজনা আদায় করছেন ইজারাদারেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার ইউনুস আলী সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও ইমরানুজ্জামান বলেন, কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় বা ভ্যাট নেওয়ার সুযোগ নেই। পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিমলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৮ টি। যেগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এসব হাটে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর জন্য শুধু ক্রেতারাই খাজনা দেবেন বলা আছে।
উপজেলার খোড়ারডাংগা পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের কোথাও খাজনা আদায়-সংক্রান্ত তালিকা টাঙানো নেই। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা সরকারনির্ধারিত খাজনার পরিমাণ জানতে পারছেন না। এদিকে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। অন্যদিকে ছাগলপ্রতি ১৫০ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন কালিগঞ্জ এলাকার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, বিক্রেতা রশিদুলের সঙ্গে দরদাম করে ৪৮ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। রসিদ নিতে গেলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ক্রেতার কাছে ৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষমেশ ১ হাজার টাকা খাজনা দিয়েই হাট ছাড়তে হয় তাঁদের। নাজমুল বলেন, ‘১ হাজার নিলেও রসিদে (ছাড়পত্র) খাজনার ঘরে ৫০০ টাকা লেখা হয়। তিনি খাজনার পরিমাণ লেখার জন্য জোর করলে ‘বই (রসিদ) লেখক’ ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা লিখে দেন। তাঁর মতো অনেককে ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’
হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাট বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি যাচাই করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার আরও দুটি পশুর হাট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ হাটেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি টাঙানো হয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি হাট সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বুধবার বসে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছে থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবু কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, ৪২ হাজার ও ৬২ হাজার টাকা দিয়ে হাটে দুটি গরু কিনেছেন। এ জন্য ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর বিক্রেতা দিয়েছেন ৬০০ টাকা।
চাপানি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন সফিয়ার ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এত দিন গরু বিক্রির জন্য ক্রেতার থেকে খাজনা আদায় করা হলেও এবার বিক্রেতার থেকেও খাজনা আদায় করছেন ইজারাদারেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার ইউনুস আলী সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও ইমরানুজ্জামান বলেন, কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় বা ভ্যাট নেওয়ার সুযোগ নেই। পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৮ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৪১ মিনিট আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ
০২ জুন ২০২৫
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৪১ মিনিট আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।
এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’
প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’
তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।
এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’
প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’
তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ
০২ জুন ২০২৫
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৪১ মিনিট আগেবিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ
০২ জুন ২০২৫
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৮ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৪১ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ
০২ জুন ২০২৫
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৮ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৮ মিনিট আগে