মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
এমন অস্থায়ী জায়গায় পড়াতে গিয়ে শিক্ষকেরা যেমন অস্বস্তিতে পড়ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী হতে পারছে না। এ ছাড়া সেখানে শ্রেণিকক্ষে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ। মাঠের অভাবে শিশুরা খেলাধুলাও করতে পারে না। এ অবস্থায় দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
তিস্তার গর্ভে চলে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খালিশাচাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশাপাশি আরও তিনটি বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চরাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ২০২২ সালের জুনে তিস্তায় বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৩ কিলোমিটার দূরে দোহলপাড়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা ছাদের নিচে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি ও সুরাইয়া আকতার জানায়, খোলা জায়গায় বৃষ্টি ও ধুলাবালুর কারণে ক্লাসে থাকা যায় না। পাশে কোনো বেড়া নেই। সে জন্য ছাত্রছাত্রীও নিয়মিত উপস্থিত হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরিনা আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি ২০১০ সালে প্রথমবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে পাশেই ৪০ শতক জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হতো। ২০২২ সালে সেটিও ভেঙে গেলে দুই দফা স্থান পরিবর্তনের পর এখন শতাধিক শিশুর পাঠদান চলছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে।
পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২০ সালের জুনে নদীগর্ভে চলে যায়। এখন পাশে তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ভবন ভেঙে গেলে পাঁচ দফা স্থান পরিবর্তনের পর বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া হয়। শিক্ষকেরা নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম।
ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে বাঁধের নিচে টিনের ছাপড়া ঘরে। সেখানে কাদাপানি জমে থাকে এবং কক্ষগুলোও সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ।
শিক্ষকেরা জানান, এভাবে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। ছাপড়া ঘরে একসঙ্গে তিন শ্রেণির পাঠদান চলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ কারও কথা ঠিকমতো শুনতে পায় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, তিন বছর ধরে বাঁধের নিচেই ক্লাস চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি কেনার বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণ এবং জায়গা নির্ধারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
এমন অস্থায়ী জায়গায় পড়াতে গিয়ে শিক্ষকেরা যেমন অস্বস্তিতে পড়ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী হতে পারছে না। এ ছাড়া সেখানে শ্রেণিকক্ষে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ। মাঠের অভাবে শিশুরা খেলাধুলাও করতে পারে না। এ অবস্থায় দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
তিস্তার গর্ভে চলে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খালিশাচাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশাপাশি আরও তিনটি বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চরাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ২০২২ সালের জুনে তিস্তায় বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৩ কিলোমিটার দূরে দোহলপাড়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা ছাদের নিচে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি ও সুরাইয়া আকতার জানায়, খোলা জায়গায় বৃষ্টি ও ধুলাবালুর কারণে ক্লাসে থাকা যায় না। পাশে কোনো বেড়া নেই। সে জন্য ছাত্রছাত্রীও নিয়মিত উপস্থিত হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরিনা আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি ২০১০ সালে প্রথমবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে পাশেই ৪০ শতক জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হতো। ২০২২ সালে সেটিও ভেঙে গেলে দুই দফা স্থান পরিবর্তনের পর এখন শতাধিক শিশুর পাঠদান চলছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে।
পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২০ সালের জুনে নদীগর্ভে চলে যায়। এখন পাশে তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ভবন ভেঙে গেলে পাঁচ দফা স্থান পরিবর্তনের পর বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া হয়। শিক্ষকেরা নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম।
ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে বাঁধের নিচে টিনের ছাপড়া ঘরে। সেখানে কাদাপানি জমে থাকে এবং কক্ষগুলোও সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ।
শিক্ষকেরা জানান, এভাবে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। ছাপড়া ঘরে একসঙ্গে তিন শ্রেণির পাঠদান চলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ কারও কথা ঠিকমতো শুনতে পায় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, তিন বছর ধরে বাঁধের নিচেই ক্লাস চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি কেনার বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণ এবং জায়গা নির্ধারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
এমন অস্থায়ী জায়গায় পড়াতে গিয়ে শিক্ষকেরা যেমন অস্বস্তিতে পড়ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী হতে পারছে না। এ ছাড়া সেখানে শ্রেণিকক্ষে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ। মাঠের অভাবে শিশুরা খেলাধুলাও করতে পারে না। এ অবস্থায় দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
তিস্তার গর্ভে চলে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খালিশাচাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশাপাশি আরও তিনটি বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চরাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ২০২২ সালের জুনে তিস্তায় বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৩ কিলোমিটার দূরে দোহলপাড়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা ছাদের নিচে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি ও সুরাইয়া আকতার জানায়, খোলা জায়গায় বৃষ্টি ও ধুলাবালুর কারণে ক্লাসে থাকা যায় না। পাশে কোনো বেড়া নেই। সে জন্য ছাত্রছাত্রীও নিয়মিত উপস্থিত হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরিনা আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি ২০১০ সালে প্রথমবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে পাশেই ৪০ শতক জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হতো। ২০২২ সালে সেটিও ভেঙে গেলে দুই দফা স্থান পরিবর্তনের পর এখন শতাধিক শিশুর পাঠদান চলছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে।
পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২০ সালের জুনে নদীগর্ভে চলে যায়। এখন পাশে তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ভবন ভেঙে গেলে পাঁচ দফা স্থান পরিবর্তনের পর বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া হয়। শিক্ষকেরা নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম।
ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে বাঁধের নিচে টিনের ছাপড়া ঘরে। সেখানে কাদাপানি জমে থাকে এবং কক্ষগুলোও সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ।
শিক্ষকেরা জানান, এভাবে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। ছাপড়া ঘরে একসঙ্গে তিন শ্রেণির পাঠদান চলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ কারও কথা ঠিকমতো শুনতে পায় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, তিন বছর ধরে বাঁধের নিচেই ক্লাস চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি কেনার বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণ এবং জায়গা নির্ধারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
এমন অস্থায়ী জায়গায় পড়াতে গিয়ে শিক্ষকেরা যেমন অস্বস্তিতে পড়ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী হতে পারছে না। এ ছাড়া সেখানে শ্রেণিকক্ষে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ। মাঠের অভাবে শিশুরা খেলাধুলাও করতে পারে না। এ অবস্থায় দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
তিস্তার গর্ভে চলে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খালিশাচাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশাপাশি আরও তিনটি বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চরাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নব্য কিসামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ২০২২ সালের জুনে তিস্তায় বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৩ কিলোমিটার দূরে দোহলপাড়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা ছাদের নিচে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি ও সুরাইয়া আকতার জানায়, খোলা জায়গায় বৃষ্টি ও ধুলাবালুর কারণে ক্লাসে থাকা যায় না। পাশে কোনো বেড়া নেই। সে জন্য ছাত্রছাত্রীও নিয়মিত উপস্থিত হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরিনা আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি ২০১০ সালে প্রথমবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে পাশেই ৪০ শতক জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হতো। ২০২২ সালে সেটিও ভেঙে গেলে দুই দফা স্থান পরিবর্তনের পর এখন শতাধিক শিশুর পাঠদান চলছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে।
পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২০ সালের জুনে নদীগর্ভে চলে যায়। এখন পাশে তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ভবন ভেঙে গেলে পাঁচ দফা স্থান পরিবর্তনের পর বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া হয়। শিক্ষকেরা নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম।
ছোটখাতা তিস্তার চর শিশুকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে বাঁধের নিচে টিনের ছাপড়া ঘরে। সেখানে কাদাপানি জমে থাকে এবং কক্ষগুলোও সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ।
শিক্ষকেরা জানান, এভাবে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। ছাপড়া ঘরে একসঙ্গে তিন শ্রেণির পাঠদান চলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ কারও কথা ঠিকমতো শুনতে পায় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, তিন বছর ধরে বাঁধের নিচেই ক্লাস চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি কেনার বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণ এবং জায়গা নির্ধারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
২২ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
২২ মার্চ ২০২৫
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
২২ মার্চ ২০২৫
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বাবার ছুরিকাঘাতে মো. সফিক হাওলাদার (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার ইদুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বাবা হারুন হাওলাদার (৫০) ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সফিক মাদকাসক্ত ছিলেন। তিন দফা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে চিকিৎসা করলেও তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। মাদক-সংক্রান্ত মামলায় একবার কারাভোগও করেছেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর মাদক মামলায় সফিক কারাগারে যান এবং ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই সফিক মাদকের টাকার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দিতে থাকেন। গতকাল দুপুরে সফিক তাঁর বাবার কাছে মাদকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে সফিক তাঁর বাবাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁচা মরিচ কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে সজোরে আঘাত করেন। এতে প্রাণ হারান সফিক। ঘটনার পরপরই বাবা হারুন হাওলাদার পালিয়ে যান।
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই আবারও মাদকের টাকার জন্য আমাকে এবং ওর বাবাকে মারধর শুরু করে। ওর হাত থেকে রক্ষায় ছুরিকাঘাত করেছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত ছেলের মারধরের জেরে বাবা ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে এমনটি জানা গেছে। বাবা পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বাবার ছুরিকাঘাতে মো. সফিক হাওলাদার (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার ইদুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বাবা হারুন হাওলাদার (৫০) ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সফিক মাদকাসক্ত ছিলেন। তিন দফা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে চিকিৎসা করলেও তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। মাদক-সংক্রান্ত মামলায় একবার কারাভোগও করেছেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর মাদক মামলায় সফিক কারাগারে যান এবং ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই সফিক মাদকের টাকার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দিতে থাকেন। গতকাল দুপুরে সফিক তাঁর বাবার কাছে মাদকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে সফিক তাঁর বাবাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁচা মরিচ কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে সজোরে আঘাত করেন। এতে প্রাণ হারান সফিক। ঘটনার পরপরই বাবা হারুন হাওলাদার পালিয়ে যান।
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই আবারও মাদকের টাকার জন্য আমাকে এবং ওর বাবাকে মারধর শুরু করে। ওর হাত থেকে রক্ষায় ছুরিকাঘাত করেছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত ছেলের মারধরের জেরে বাবা ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে এমনটি জানা গেছে। বাবা পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এখন তাঁদের পাঠদান চলছে বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রের খোলা বারান্দায়।
২২ মার্চ ২০২৫
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে