Ajker Patrika

এক টেবিলে বসে ইফতার, আইভীকে ‘ছোট বোন’ সম্বোধন শামীম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
এক টেবিলে বসে ইফতার, আইভীকে ‘ছোট বোন’ সম্বোধন শামীম ওসমানের

আবারও এক টেবিলে বসে ইফতার করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। শেষবার একসঙ্গে বসলেও আইভীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো কথা বলেননি শামীম ওসমান। এবার বলেছেন। অনুষ্ঠানে আইভীকে ‘ছোট বোন’ সম্বোধন করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম ওসমান। 

আজ বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রভাবশালী দুই জনপ্রতিনিধি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়। 

গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতারে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা দুজন। সেবার একই টেবিলে শামীম-আইভীকে দেখতে পেয়ে বিস্মিত হন অনেকেই। 

আজ ইফতার অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করেন সাংসদ শামীম ওসমানকে। সাংসদ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের সম্বোধন করে বলেন, ‘এখানে জেলা প্রশাসক সাহেব আছেন, পুলিশ সুপার সাহেব আছেন। সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আছেন। আমার ‘ছোট বোন’ মেয়র (ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী) আছেন এবং বিভিন্ন রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ আছেন।’ 

ইফতারে উপস্থিত থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, আইভী ও শামীম এক টেবিলে বসে ইফতার করলেও এদিন তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে টেবিলের উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। 

বক্তব্যে সরকারের জাকাত উদ্যোগ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছে জাকাতের ব্যাপারে। আমাদের দেশে জাকাত বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়। আমরা কেউ কেউ শাড়ি-কাপড় দিই। তবে আমি অনুরোধ করছি, যারা জাকাত দিতে চান, তাঁরা একটা অংশ নিজেরা দেন, আরেকটা অংশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন; অর্থাৎ, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেন।’ 

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমরা যদি জাকাত ঠিকভাবে আদায় করি, তাহলে আমার মনে হয় পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে জাকাত নেওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই জাকাতের টাকায় তারা স্বাবলম্বী হয়ে আগামী বছর আরেকজনকে জাকাত দিতে পারবে। এটাই কিন্তু জাকাতের প্রকৃত নিয়ম। এই বিষয়টি আমাদের পার্লামেন্টে উত্থাপন হয়েছে। তাই আমি অনুরোধ করব যারা মুসলিম আছেন, তাঁরা এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন।’ 

ইফতার টেবিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে ছাত্র-জনতার অবস্থান বাড়ছে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।

হাদির মারা যাওয়ার খবর ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতার বিভিন্ন অংশ সেখানে যোগ দেয়। আজ সকাল থেকেও ছাত্র-জনতা শাহবাগে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন।

এ দিকে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের সেনানী শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে’ আজ বিকেল ৩টায় শাহবাগে আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসুর নেতারা।

গতকাল রাতে শাহবাগের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন কার্যত একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-তরুণ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জীবন আজ হুমকির মুখে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।

নাহিদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্পটে আপনারা নেমে এসেছিলেন—যেমন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ঢাকায় যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ সব জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করুন। শাহবাগে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে থানায় নিখোঁজের জিডি

বগুড়া প্রতিনিধি
অভিযুক্ত মুকুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযুক্ত মুকুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় স্ত্রী মারুফা আক্তারকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্বামী মুকুল মিয়া থানায় স্ত্রী নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে মুকুল মিয়াকে সন্দেহের মধ্যে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া সদরের নুরইল মধ্যপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুকুল মিয়া স্বীকার করেছেন যে তাঁর স্ত্রী টিকটক ভিডিও করার কারণে দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত মারুফা আক্তার পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা। মুকুল মিয়া নুরইল গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় ঢালাই মিস্ত্রি। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ৯ বছর আগে।

জানা যায়, টিকটক ভিডিওর কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তিন মাস আগে পুনর্বিবাহের মাধ্যমে সংসার শুরু করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ছয় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১১ ডিসেম্বর মারুফা তাঁর চাচাতো বোনের বিয়েতে নাচের একটি ভিডিও টিকটকে প্রকাশ করেন। এই কারণে ১৩ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মুকুল মিয়া স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনে নিঃসন্দেহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায় আছে: জামায়াত নেতা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল রাতে বিক্ষোভ করে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল রাতে বিক্ষোভ করে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনে নিঃসন্দেহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার আমির ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের পর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, ‘তারা একজন যুক্তিবাদী ও প্রতিবাদী মানুষকে হত্যা করেছে। যাঁর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। ভারতীয় আগ্রাসী শক্তির মদদে যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।’ তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ সময় তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি টাঙ্গাইল পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের নিরালা মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিলটি পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে জামায়াতের অন্য নেতা-কর্মীরাও বক্তব্য দেন।

সমাবেশ শেষে শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার থানায় সেলফি: অব্যাহতির খবর পেয়ে কনস্টেবল অসুস্থ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি  
এসআই মো. মাহমুদুল হক এবং কনস্টেবল মো. সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
এসআই মো. মাহমুদুল হক এবং কনস্টেবল মো. সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতার থানার ভেতরে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি (ক্লোজড) দেওয়া হয়েছে। এই খবর শোনার পর কনস্টেবল অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র। অব্যাহতি পাওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন পটিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হক এবং কনস্টেবল মো. সেলিম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইব উল ইসলাম মহিমকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থানায় থাকা অবস্থায় তিনি ঘুমন্ত কনস্টেবল মো. সেলিমের একটি ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। ছবিটি অল্প সময়ের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

গ্রেপ্তার হওয়া শোয়াইব উল ইসলাম মহিম পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের স্থানীয় এক ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায়ও তাঁকে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা যায়।

একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারও, ফিরব বীরের বেশে কোনো একদিন।’ পরে থানার অফিস কক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এই দিন দিন নয়, দিন আরও আছে।’

এসব ছবি ও স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এসআই মো. মাহমুদুল হক ও কনস্টেবল মো. সেলিমকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে অব্যাহতির খবর শোনার পর কনস্টেবল মো. সেলিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট দুই পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত