Ajker Patrika

রূপগঞ্জে জাহাজে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ১২: ০৭
রূপগঞ্জে জাহাজে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের জাহাজের ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণে আট জন দগ্ধের ঘটনায় রুবেল (৫৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। শনিবার মধ্যরাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুবেল। 

রুবেলের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আব্দুর রহমান।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, রুবেলের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় তাজুল ইসলাম লিমন (২০)। আর শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান হুমায়ুন কবির (৫৪)।

এর আগে গত ৩ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে রূপগঞ্জের গাজী ব্রিজ-সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ার্ডে ‘ওটি সাংহাই-এইট’ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে দগ্ধ হন জাহাজটির স্টাফ তাজুল ইসলাম লিমন (২০), আ. মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)।

জাহাজটির স্টাফ আব্দুল মান্নান রাহাদ জানান, তাঁরা জাহাজটিতে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাঁদের ডকইয়ার্ডে গিয়ে ভেড়ান। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁরা যখন জাহাজটির ডেকের ওপরে ছিলেন, তখন ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। তাঁদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। তখন সহকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট আটজন রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিনজনকে ওই দিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ইমতিয়াজ ৩০ শতাংশ ও সোহেল ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানি, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৫
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মওলানা ভাসানী, সিরাজুল আলম খান, সিরাজ সিকদার, মেজর জলিল ও হাদির ছবি টানায় জুলাই যোদ্ধারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মওলানা ভাসানী, সিরাজুল আলম খান, সিরাজ সিকদার, মেজর জলিল ও হাদির ছবি টানায় জুলাই যোদ্ধারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সিরাজুল আলম খান, সিরাজ সিকদার, মেজর জলিল ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ছবি টানিয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা।

আজ মঙ্গলবার ভোরে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালির পর এই ছবি টানানো হয়।

এ সময় আরিফ সোহেল বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে মুক্তিযুদ্ধকে শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগের সম্পত্তিতে পরিণত করা হয়েছিল। যদিও পাক আক্রমণের মুখে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের অপেক্ষা না করেই দেশের আপামর কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে একাত্তরের জনযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে গেছে। যুদ্ধ শেষে ভারতীয় আধিপত্যবাদের মুখে জনগণই আবার সংগ্রাম গড়ে তুলেছে।’

আরিফ সোহেল আরও বলেন, ‘একাত্তরের জনযুদ্ধ ও পরবর্তী সংগ্রামের মুছে দেওয়া বীর সিরাজ সিকদার, সিরাজুল আলম খান, মেজর জলিল, মওলানা ভাসানী এবং আজকের সংগ্রামের পথিকৃৎ ওসমান হাদিকে স্মরণে রেখে আমরা একটি সংক্ষিপ্ত বিজয় র‍্যালি করে ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়েছে। এই র‍্যালির মধ্য দিয়ে আমরা একাত্তরের জনযুদ্ধকে শেখ পরিবারের ও আওয়ামী ন্যারেটিভের কবল থেকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সংগ্রামকে তাৎপর্য দিতে চেয়েছি।’

এ সময় জুলাই যোদ্ধারা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁরা অবিলম্বে মূল হামলাকারী ও হামলার পরিকল্পনাকারীর গ্রেপ্তার দাবি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবির মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে বাধা, ভিসিকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

  জবি প্রতিনিধি
জবির মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে বাধা, ভিসিকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

‎‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে বাধা দেওয়ায় উপাচার্যকে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রদল। ‎

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তাঁরা রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখেন।

‎এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‎

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনুমানিক রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন শুরু করে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকারের কতিপয় নেতা-কর্মী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা উপাচার্যের গাড়িও অবরোধ করে রাখেন। পরবর্তীতে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

‎এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘চব্বিশের জুলাইয়ের পর আমরা মনে করেছিলাম, ভিন্নমতকে প্রকাশ করতে পারব। কিন্তু আজকের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে আমরা এখনো স্বাধীন হতে পারিনি। জবিতে কোনো স্বৈরাচার কিংবা মবতন্ত্রের আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না। ছাত্রদল বাংলাদেশের জন্য ঘুমায় না। সবার আগে বাংলাদেশ।’ ‎

‎শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘বিজয়ের মাসে প্রতীকী প্রতিবাদে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে প্রক্টরিয়াল বডির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়। ১৯৭১-এর গণহত্যায় কিছু পাকিস্তানি সমর্থক সমর্থন জুগিয়েছিল। তাদের প্রেতাত্মারা এখনও বাংলাদেশে রয়েছে। পাকিস্তানকে হেয় করলে তাদের অন্তরে জ্বালা করে। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তানি পতাকা এঁকে প্রতিকী প্রতিবাদে তারা বাধা দিয়েছে।’ ‎

জবি-পাকিস্তান-২

‎এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ভিন্ন দেশের কোনো পতাকা অঙ্কন করতে হলে প্রশাসনের পূর্বানুমতি প্রয়োজন। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই মেইন গেটে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন শুরু করা হলে প্রক্টরিয়াল টিম বাধা প্রদান করে। এরপরও তারা আমাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পতাকা অঙ্কন সম্পন্ন করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নানা কর্মসূচিতে লক্ষ্মীপুরে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজয় দিবসে লক্ষ্মীপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসক এস এম মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার আবু তারেকের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে গণকবরে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সাবেক এমপি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহীদ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যাপি, পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরও অনেকে।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, বিজয় র‍্যালি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়া জেলা স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ধুদের সঙ্গে বান্দরবান যাওয়ার পথে প্রাণ গেল যুবকের

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দুর্ঘটনায় আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিনি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইব্রাহিম (৪১) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সালাউদ্দিন নামের মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কালিকাপুর ইউনিয়ন মিরশ্বানী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ইব্রাহিম ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার ডগার পশ্চিম পাড়ার আবু তালেবের ছেলে। নিহত ব্যক্তির বন্ধু সোহেল জানান, ছয়টি মোটরসাইকেলে ঢাকার ডেমরা থেকে আট বন্ধু বান্দরবানে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। উপজেলার মিরশ্বানী এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব দিক থেকে আসা একটি মিনি ড্রাম ট্রাক মহাসড়কে উঠতে গেলে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ইব্রাহিম ও সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়। আহত সালাউদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হক বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোটরসাইকেলচালকের মৃত্যু হয়। আহত আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। মহাসড়কের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত