বিশ্ব পানি দিবস আজ
মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়ায় গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায় জোসনা বেগমকে। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়া।
বিশুদ্ধ পানির সংকটের এই আক্ষেপ শুধু জোসনার একার নয়; উপজেলার দুটি ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজার মানুষের। তারা বিশুদ্ধ পানির জন্য সংগ্রাম করছে বছরের পর বছর।
জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি ১০ থেকে ১২টি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না তাদের। শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝরনা, ছড়া ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে রান্নাবান্না, গোসলসহ সব ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। পান করতেও হচ্ছে সেই পানি। এতে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ছে। ওই সব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। পানির সংকট সবচেয়ে বেশি গিলগড়া, কাশিপুর, বাকপাড়া, শানখলা, পঞ্চনন্দপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও ঘোষগাঁও গোলইভাংগা, চন্দকোনা এলাকায়।
শামছুদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমগো কষ্ট দেখবার আইছুন? আমরা এখন নিরুপায়। পানির কষ্ট আর কত দিন। আমাগো ভালা পানি খাইয়া মরবার পাইবাম বলে মনে অই না। সরকার যদি আমাগো কূপ তৈরি করে নলকূপ দিলেও ভালো অই।’
গিলাগড়া এলাকার আদিবাসী নারী ইতি চিসিম বলেন, ‘আমার বাড়িতে নলকূপ না থাকায় পানির জন্য সারা বছর কষ্ট করতে হয়। আমরার কল (টিউবওয়েল) নাই। আমরা অনেক আগে থাইকা পাহাড়ের ঝরনার যে ছড়ার পানি আছে, ওইডাই খাই। রান্নাবান্নাসহ সব কাজ করি। খালি আমি না। সবারই এই অবস্থা। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি আর শুকনো মৌসুমে ঝরনার পানি ভরসা।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন হচ্ছে উপজেলার মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাগুলোয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না। ৫০-৬০ মিটার গভীরে গেলেই পাইপ আটকে যায় পাথরে। তাই গভীর নলকূপ বসানো কষ্টসাধ্য। যারা নিজ উদ্যোগে অগভীর নলকূপ বসিয়েছে, তাদের সেই নলকূপে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না।
ঘোষগাঁওয়ের গোলইভাঙ্গা সীমান্ত এলাকার আমির উদ্দিন বলেন, ‘বাবা রে, আমরা শুষ্ক মৌসুমে হিসাব করে পানি পান করি। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। পুকুর আর ছড়াই আমাদের ভরসা।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার চেয়ারম্যান হওয়ার তিন বছরে সীমান্ত এলাকায় ১০টি গভীর নলকূপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওই এলাকার কেউ আবেদন করেননি। যদি কেউ করে, বিকল্প পদ্ধতিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।’
এ ব্যাপারে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, সীমান্ত এলাকায় দুটি নলকূপ দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এখন যে প্রকল্প চলছে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পাথরের কারণে গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এ জন্য এসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করতে চাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই গ্রামগুলোয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়ায় গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায় জোসনা বেগমকে। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়া।
বিশুদ্ধ পানির সংকটের এই আক্ষেপ শুধু জোসনার একার নয়; উপজেলার দুটি ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজার মানুষের। তারা বিশুদ্ধ পানির জন্য সংগ্রাম করছে বছরের পর বছর।
জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি ১০ থেকে ১২টি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না তাদের। শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝরনা, ছড়া ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে রান্নাবান্না, গোসলসহ সব ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। পান করতেও হচ্ছে সেই পানি। এতে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ছে। ওই সব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। পানির সংকট সবচেয়ে বেশি গিলগড়া, কাশিপুর, বাকপাড়া, শানখলা, পঞ্চনন্দপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও ঘোষগাঁও গোলইভাংগা, চন্দকোনা এলাকায়।
শামছুদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমগো কষ্ট দেখবার আইছুন? আমরা এখন নিরুপায়। পানির কষ্ট আর কত দিন। আমাগো ভালা পানি খাইয়া মরবার পাইবাম বলে মনে অই না। সরকার যদি আমাগো কূপ তৈরি করে নলকূপ দিলেও ভালো অই।’
গিলাগড়া এলাকার আদিবাসী নারী ইতি চিসিম বলেন, ‘আমার বাড়িতে নলকূপ না থাকায় পানির জন্য সারা বছর কষ্ট করতে হয়। আমরার কল (টিউবওয়েল) নাই। আমরা অনেক আগে থাইকা পাহাড়ের ঝরনার যে ছড়ার পানি আছে, ওইডাই খাই। রান্নাবান্নাসহ সব কাজ করি। খালি আমি না। সবারই এই অবস্থা। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি আর শুকনো মৌসুমে ঝরনার পানি ভরসা।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন হচ্ছে উপজেলার মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাগুলোয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না। ৫০-৬০ মিটার গভীরে গেলেই পাইপ আটকে যায় পাথরে। তাই গভীর নলকূপ বসানো কষ্টসাধ্য। যারা নিজ উদ্যোগে অগভীর নলকূপ বসিয়েছে, তাদের সেই নলকূপে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না।
ঘোষগাঁওয়ের গোলইভাঙ্গা সীমান্ত এলাকার আমির উদ্দিন বলেন, ‘বাবা রে, আমরা শুষ্ক মৌসুমে হিসাব করে পানি পান করি। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। পুকুর আর ছড়াই আমাদের ভরসা।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার চেয়ারম্যান হওয়ার তিন বছরে সীমান্ত এলাকায় ১০টি গভীর নলকূপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওই এলাকার কেউ আবেদন করেননি। যদি কেউ করে, বিকল্প পদ্ধতিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।’
এ ব্যাপারে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, সীমান্ত এলাকায় দুটি নলকূপ দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এখন যে প্রকল্প চলছে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পাথরের কারণে গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এ জন্য এসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করতে চাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই গ্রামগুলোয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিশ্ব পানি দিবস আজ
মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়ায় গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায় জোসনা বেগমকে। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়া।
বিশুদ্ধ পানির সংকটের এই আক্ষেপ শুধু জোসনার একার নয়; উপজেলার দুটি ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজার মানুষের। তারা বিশুদ্ধ পানির জন্য সংগ্রাম করছে বছরের পর বছর।
জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি ১০ থেকে ১২টি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না তাদের। শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝরনা, ছড়া ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে রান্নাবান্না, গোসলসহ সব ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। পান করতেও হচ্ছে সেই পানি। এতে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ছে। ওই সব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। পানির সংকট সবচেয়ে বেশি গিলগড়া, কাশিপুর, বাকপাড়া, শানখলা, পঞ্চনন্দপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও ঘোষগাঁও গোলইভাংগা, চন্দকোনা এলাকায়।
শামছুদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমগো কষ্ট দেখবার আইছুন? আমরা এখন নিরুপায়। পানির কষ্ট আর কত দিন। আমাগো ভালা পানি খাইয়া মরবার পাইবাম বলে মনে অই না। সরকার যদি আমাগো কূপ তৈরি করে নলকূপ দিলেও ভালো অই।’
গিলাগড়া এলাকার আদিবাসী নারী ইতি চিসিম বলেন, ‘আমার বাড়িতে নলকূপ না থাকায় পানির জন্য সারা বছর কষ্ট করতে হয়। আমরার কল (টিউবওয়েল) নাই। আমরা অনেক আগে থাইকা পাহাড়ের ঝরনার যে ছড়ার পানি আছে, ওইডাই খাই। রান্নাবান্নাসহ সব কাজ করি। খালি আমি না। সবারই এই অবস্থা। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি আর শুকনো মৌসুমে ঝরনার পানি ভরসা।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন হচ্ছে উপজেলার মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাগুলোয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না। ৫০-৬০ মিটার গভীরে গেলেই পাইপ আটকে যায় পাথরে। তাই গভীর নলকূপ বসানো কষ্টসাধ্য। যারা নিজ উদ্যোগে অগভীর নলকূপ বসিয়েছে, তাদের সেই নলকূপে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না।
ঘোষগাঁওয়ের গোলইভাঙ্গা সীমান্ত এলাকার আমির উদ্দিন বলেন, ‘বাবা রে, আমরা শুষ্ক মৌসুমে হিসাব করে পানি পান করি। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। পুকুর আর ছড়াই আমাদের ভরসা।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার চেয়ারম্যান হওয়ার তিন বছরে সীমান্ত এলাকায় ১০টি গভীর নলকূপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওই এলাকার কেউ আবেদন করেননি। যদি কেউ করে, বিকল্প পদ্ধতিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।’
এ ব্যাপারে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, সীমান্ত এলাকায় দুটি নলকূপ দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এখন যে প্রকল্প চলছে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পাথরের কারণে গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এ জন্য এসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করতে চাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই গ্রামগুলোয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়ায় গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায় জোসনা বেগমকে। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গিলাগড়া পাহাড়ি ছড়া।
বিশুদ্ধ পানির সংকটের এই আক্ষেপ শুধু জোসনার একার নয়; উপজেলার দুটি ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজার মানুষের। তারা বিশুদ্ধ পানির জন্য সংগ্রাম করছে বছরের পর বছর।
জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি ১০ থেকে ১২টি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না তাদের। শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝরনা, ছড়া ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে রান্নাবান্না, গোসলসহ সব ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। পান করতেও হচ্ছে সেই পানি। এতে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ছে। ওই সব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। পানির সংকট সবচেয়ে বেশি গিলগড়া, কাশিপুর, বাকপাড়া, শানখলা, পঞ্চনন্দপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও ঘোষগাঁও গোলইভাংগা, চন্দকোনা এলাকায়।
শামছুদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমগো কষ্ট দেখবার আইছুন? আমরা এখন নিরুপায়। পানির কষ্ট আর কত দিন। আমাগো ভালা পানি খাইয়া মরবার পাইবাম বলে মনে অই না। সরকার যদি আমাগো কূপ তৈরি করে নলকূপ দিলেও ভালো অই।’
গিলাগড়া এলাকার আদিবাসী নারী ইতি চিসিম বলেন, ‘আমার বাড়িতে নলকূপ না থাকায় পানির জন্য সারা বছর কষ্ট করতে হয়। আমরার কল (টিউবওয়েল) নাই। আমরা অনেক আগে থাইকা পাহাড়ের ঝরনার যে ছড়ার পানি আছে, ওইডাই খাই। রান্নাবান্নাসহ সব কাজ করি। খালি আমি না। সবারই এই অবস্থা। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি আর শুকনো মৌসুমে ঝরনার পানি ভরসা।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন হচ্ছে উপজেলার মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাগুলোয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের বসবাস। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নলকূপের পাইপ মাটির গভীরে নেওয়া সম্ভব হয় না। ৫০-৬০ মিটার গভীরে গেলেই পাইপ আটকে যায় পাথরে। তাই গভীর নলকূপ বসানো কষ্টসাধ্য। যারা নিজ উদ্যোগে অগভীর নলকূপ বসিয়েছে, তাদের সেই নলকূপে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না।
ঘোষগাঁওয়ের গোলইভাঙ্গা সীমান্ত এলাকার আমির উদ্দিন বলেন, ‘বাবা রে, আমরা শুষ্ক মৌসুমে হিসাব করে পানি পান করি। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। পুকুর আর ছড়াই আমাদের ভরসা।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার চেয়ারম্যান হওয়ার তিন বছরে সীমান্ত এলাকায় ১০টি গভীর নলকূপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওই এলাকার কেউ আবেদন করেননি। যদি কেউ করে, বিকল্প পদ্ধতিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।’
এ ব্যাপারে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, সীমান্ত এলাকায় দুটি নলকূপ দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এখন যে প্রকল্প চলছে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পাথরের কারণে গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এ জন্য এসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করতে চাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই গ্রামগুলোয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেবাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
২২ মার্চ ২০২৫
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
২২ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
২২ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

পাহাড়ি ঝিরি ও ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত থেকে পানি তুলছিলেন জোসনা বেগম (৪০)। জিজ্ঞেস করতেই আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আমগো দুঃখ দেহার তো কেউ নাই। কতজন কত কথাই তো কইলো। কত ফডো (ছবি) তুইল্লা নিল, কেউ আর ভালা (বিশুদ্ধ) পানির ব্যবস্থা কইরা দিবার পাইলো না। এই পানি খাইয়া বাঁইচা আছি। আপনারা পারবেন এমন পানি খাইবার?’
২২ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে