Ajker Patrika

বাকৃবিতে ছাত্রীদের আবাসন সংকট, নবাগতদের রাখা হচ্ছে হেলথ কেয়ারে

হাবিবুর রনি, বাকৃবি
বাকৃবিতে ছাত্রীদের আবাসন সংকট, নবাগতদের রাখা হচ্ছে হেলথ কেয়ারে

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটে ভুগছেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা মূল আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী হলেও তাঁদের হলের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় কম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের সংখ্যা মোট ১৩টি। এর মধ্যে ছাত্রদের নয়টি আর ছাত্রীদের জন্য চারটি। বর্তমানে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও রোজী জামাল নামের তিনটি নতুন ছাত্রী হলের কাজ চলমান রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা হলের কাজের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। 
 
বর্তমানে ২ শতাধিক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা ‘হেলথ কেয়ার সেন্টারে’ বাস করছেন। গত পাঁচ বছর যাবৎ মূল আবাসিক হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে হেলথ কেয়ারে রাখা হয়েছে তাঁদের। মূল আবাসিক হলগুলোর মতো আবাসন ব্যবস্থা ও সার্বিক পরিবেশ না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় হেলথ কেয়ারে থাকা শিক্ষার্থীদের। 

স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা হেলথ কেয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলাকে নামকরণ করা হয়েছে ‘নতুন ছাত্রী হল’। ২০১৯ সাল থেকে নবাগত ছাত্রীদের সেখানে অস্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে তৃতীয় তলায় আছেন ১৪০ জন আর চতুর্থ তলায় আছেন ৬০ জন শিক্ষার্থী। 

হেলথ কেয়ার সেন্টারের এই ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীরা বাস করেন। ছবি: আজকের পত্রিকাপ্রথম বর্ষ পুরোটাই হেলথ কেয়ারে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। পরবর্তীসময়ে ওই ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হলগুলোর গনরুমে স্থানান্তর করা হয়। কার্যত নতুন ছাত্রী হল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হল নেই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেলথ কেয়ারে থাকা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভর্তির সময় আমাদের হল অ্যাটাচমেন্ট দেওয়া হয় নতুন ছাত্রী হল। পরবর্তীতে জানতে পারলাম, যে নতুন হলের অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে আমাদের হেলথ কেয়ারে ওঠানো হয়েছে। নতুন হলের নির্মাণকাজ মাত্র পাইলিং পর্যায়ে। যে হলের এখনো পর্যন্ত কোনো দেয়াল গাঁথা হয়নি সেই হলের অ্যাটাচমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে দিতে পারে?’ 

হেলথ কেয়ারে বাস করা প্রথম বর্ষের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘একটি সিঙ্গেল বেডে দুজন করে থাকতে হয়, যা আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। জনপ্রতি কেবল একটি শেলফ রাখলেও হাঁটার পর্যন্ত জায়গা থাকে না। ঠিকমতো রাখার জায়গার অভাবে বইখাতা, কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এমনকি হারিয়েও যাচ্ছে।’ 

আরেক ছাত্রী বলেন, ‘হেলথ কেয়ারে পড়াশোনা করার জন্য আমাদের কোনো রিডিং রুম নাই। যার কারণে আমাদের পড়াশোনা করতেও অনেক অসুবিধা হয়। গনরুমে হট্টগোলের মধ্যে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব। ফলস্বরূপ বারান্দায় বসে পড়াশোনা করতে হয়। বৃষ্টির দিন বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় বারান্দায় পড়ার মতো অবস্থা থাকে না। হলগুলোর মতো এখানে কোনো লাইব্রেরিও নেই।’ 

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা নামে নতুন দুটি হলের কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ছবি: আজকের পত্রিকাছাত্রীরা আরও জানান, হেলথ কেয়ারে খাওয়ার জন্য কোনো ক্যানটিন বা কোনো ডাইনিং ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের হোটেলগুলো থেকে খাবার অর্ডার করে খেতে হয়। পাশাপাশি এখানে নামাজঘর নেই। রুমগুলো মূলত হেলথ কেয়ারের কমন কেবিন ও স্পেশাল কেবিনের আদলে তৈরি হওয়ায় বাথরুম ব্যবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। 

ভবনটির চার তলায় ৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বাথরুম মাত্র তিনটি। হেলথ কেয়ারে সার্বক্ষণিক বাইরের মানুষের যাতায়াত করেন। এমতাবস্থায় তাঁরা নিরাপত্তা হীনতায়ও ভুগছেন বলে জানান। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে রোজী জামাল হল নামক নতুন হলের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনই হেলথ কেয়ারের ছাত্রীদের স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। হলের একাংশের কাজ শেষ হলে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী টিনশেডে রয়েছে তাদেরকে প্রথমে স্থানান্তর করা হবে। হলের প্রথমাংশের কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস সময় লাগতে পারে। হলের দ্বিতীয় ভবনের কাজ শেষ হলে হেলথ কেয়ারের ছাত্রীদের পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, নতুন ছাত্রী হল আসলেই কোনো হল নয়। হেলথ কেয়ার বা নতুন ছাত্রী হল রোজী জামাল হলের একটি অংশ হিসেবে কাজ করছে। নতুন ছাত্রী যারা কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছে তারা ক্যাম্পাসে আসার আগ পর্যন্ত প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা হেলথ কেয়ারে থাকবে। পরবর্তীতে রোজী জামাল হলের কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে রোজী জামাল হলে স্থানান্তর করা হবে। এ বছর ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রীদের স্থায়ী ছাত্রী হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জিহাদুল ইসলাম । ছবি: আজকের পত্রিকা
জিহাদুল ইসলাম । ছবি: আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। জিহাদুল বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অটোচালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয় লোকজন বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

কিছুক্ষণ পর অটোচালক নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর লোকজন নিয়ে এসে জিহাদুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজনও তাঁদের প্রতিহত করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলকে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়াকে কেন্দ্র করে অটোচালক নিজাম উদ্দিন ও জিহাদুলের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। জিহাদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি  
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার সরকার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।

প্রদ্যুৎ কুমার সরকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে।

গতকাল রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রদ্যুৎ কুমারের বাবা পল্লিচিকিৎসক গোপাল চন্দ্র সরকার মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ প্যারোলে মুক্তি পান প্রদ্যুৎ কুমার। বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি নিয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। পরে পুলিশি প্রহরায় বাড়ির পাশে বাবার দাহকর্মে অংশ নেন তিনি।

প্রদ্যুৎ কুমারের ছোট ভাই সুকেশ কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করলে বেলা

১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পান তাঁর ভাই।

জানা গেছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর নগরীর ভাড়া বাসা থেকে প্রদ্যুৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা থানা থেকে অংশ নিয়েছিলাম। বিস্তারিত তথ্য জেলা পুলিশের হাতে ছিল। তারাই সব বলতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৩
মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন শারমিন আক্তার। বাবার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানরা গ্রামের শহীদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার ও শহীদ হোসেনের তালাক সম্পন্ন হয়। কাবিনের অর্থ ও এক সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ শারমিনকে ১৪ লাখ টাকা দেন শহীদ হোসেন। এর দুই দিন পর (১৯ নভেম্বর) তালাকের বিষয়টি গোপন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন শারমিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি শহীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

গতকাল রোববার দুপুরে আসামি শহীদ ও বাদী শারমিন আদালতে হাজির হন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করার দায়ে শারমিনকে এক দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক মামুন হাসান খান।

খালাসপ্রাপ্ত শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্যকলহের কারণে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্ত্রীর সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং আর্থিক দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।

আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বাদী শারমিন আক্তার দাবি করেন, তিনি কাবিনের টাকা পেয়েছেন। তবে আগে চাকরি বাবদ শহীদ তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক ওই নারীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামি শারমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষ ২১টি গির্জায় আর্থিক প্রণোদনা দিল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে রাজধানীর ২১টি গির্জায় প্রায় ২০ লাখ টাকা আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, বড়দিনকে কেন্দ্র করে গির্জাগুলোর ধর্মীয় আয়োজন, সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণে এই আর্থিক সহায়তা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, শহরের সব ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকাকে একটি বহু সংস্কৃতির মানবিক নগরীতে পরিণত করতে চাই, যেখানে সব ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।’

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, নাগরিক সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে ডিএনসিসি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বড়দিনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে বাস্তবসম্মত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

ডিএনসিসি জানায়, এর আগে ঈদ ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির ও ঈদগাহে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকে মাথায় গুলি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত