মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তা-ও আবার সাত উপজেলা কমপ্লেক্সের পাঁচটিই চলছে মাত্র একজন করে চিকিৎসক দিয়ে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিভিন্ন সময়ে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ হাসপাতালে ৩১ শয্যারও জনবল নেই। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক-সংকটের কারণে জরুরি বিভাগ চালু রাখাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া বাকি হাসপাতালগুলোয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা এখন বন্ধ।
সরেজমিনে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। চিকিৎসক-সংকটে কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী ও কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীকেই ছুটতে হয় জেলা শহরের হাসপাতালে। বিশেষ করে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া থেকে রোগীদের ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ওটি (অপারেশন থিয়েটার), ডেন্টাল চেয়ার, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন ও অ্যাম্বুলেন্স অচল পড়ে আছে। কোথাও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও টেকনোলজিস্টের অভাবে সেবা বন্ধ।
হালনাগাদ তথ্যমতে, জেলায় চিকিৎসা কর্মকর্তা ১৪ জনের জায়গায় শূন্যপদ রয়েছে ৯টি। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন ৭ জনের জায়গায় শূন্য পদ ৬টি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পাঁচটি পদের চারটিই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ৩৯ জনের জায়গায় শূন্য ১৮টি। স্বাস্থ্য পরিদর্শক থাকার কথা ২০ জন, আছেন ছয়জন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৪১টি পদের ১৮টি শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স থাকার কথা ১৬২ জন। এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫৩টি।
এ ছাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ২৬ জনের জায়গায় শূন্য রয়েছে ১৮টি পদ। সহকারী সার্জন থাকার কথা ৪২ জন, আছেন আটজন। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৬৫ জন, শূন্য রয়েছে ৩৬টি পদ। সব মিলিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৩৯০টি পদ শূন্য।
রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র দুজন। এর মধ্যে একজন আগামী মাসে চলে যাবেন। এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য এখানে। এক্স-রে টেকনিশিয়ানের পদ অনেক দিন ধরেই শূন্য। ফলে এক্স-রে হয় না। ল্যাব টেকনোলজিস্টের দুটি পদই শূন্য। হাসপাতালে কোনো ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অস্ত্রোপচার।
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মাত্র একজন। স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে নিতে দুজন চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং অ্যানেসথেসিয়া পদসহ বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অস্ত্রোপচার। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিনগুলো টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ।
বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র তিন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। অথচ থাকার কথা ১৪ চিকিৎসক। যে তিনজন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আবার দুই চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১১ জন। জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে এক দিন আসেন। অথচ প্রয়োজন ১৫ চিকিৎসা কর্মকর্তার। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র সাতজন। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এখানে ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র একজন। এই একজন আবার প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে অস্ত্রোপচার বন্ধ। প্রায় দুই দশক এক্স-রে টেকনোলজিস্টের পদ শূন্য। হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি চালু থাকলেও অপরটি চালকের অভাবে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্যান্য পদে সংকট আরও প্রকট। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। মোটের ওপর এখানে চিকিৎসক থাকার কথা ২৩ জন। আছেন ১০ জন। অকেজো পড়ে আছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো শয্যা নেই। তবে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিতে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) রয়েছেন।
বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এসব হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এলেও জেলা শহরের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনোভাবেই এত কম জনবল দিয়ে হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবলসংকট ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বরাবর আমাদের অধিদপ্তরকে বলে আসছি জনবলসংকটের কথা। সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক সংকট মনে হয় সিলেট বিভাগে। আমাদের বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। একইভাবে নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংকট রয়েছে। সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আছে। শুনেছি, নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। হয়তো এরপর কিছুটা সংকট কাটবে।’

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তা-ও আবার সাত উপজেলা কমপ্লেক্সের পাঁচটিই চলছে মাত্র একজন করে চিকিৎসক দিয়ে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিভিন্ন সময়ে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ হাসপাতালে ৩১ শয্যারও জনবল নেই। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক-সংকটের কারণে জরুরি বিভাগ চালু রাখাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া বাকি হাসপাতালগুলোয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা এখন বন্ধ।
সরেজমিনে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। চিকিৎসক-সংকটে কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী ও কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীকেই ছুটতে হয় জেলা শহরের হাসপাতালে। বিশেষ করে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া থেকে রোগীদের ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ওটি (অপারেশন থিয়েটার), ডেন্টাল চেয়ার, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন ও অ্যাম্বুলেন্স অচল পড়ে আছে। কোথাও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও টেকনোলজিস্টের অভাবে সেবা বন্ধ।
হালনাগাদ তথ্যমতে, জেলায় চিকিৎসা কর্মকর্তা ১৪ জনের জায়গায় শূন্যপদ রয়েছে ৯টি। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন ৭ জনের জায়গায় শূন্য পদ ৬টি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পাঁচটি পদের চারটিই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ৩৯ জনের জায়গায় শূন্য ১৮টি। স্বাস্থ্য পরিদর্শক থাকার কথা ২০ জন, আছেন ছয়জন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৪১টি পদের ১৮টি শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স থাকার কথা ১৬২ জন। এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫৩টি।
এ ছাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ২৬ জনের জায়গায় শূন্য রয়েছে ১৮টি পদ। সহকারী সার্জন থাকার কথা ৪২ জন, আছেন আটজন। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৬৫ জন, শূন্য রয়েছে ৩৬টি পদ। সব মিলিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৩৯০টি পদ শূন্য।
রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র দুজন। এর মধ্যে একজন আগামী মাসে চলে যাবেন। এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য এখানে। এক্স-রে টেকনিশিয়ানের পদ অনেক দিন ধরেই শূন্য। ফলে এক্স-রে হয় না। ল্যাব টেকনোলজিস্টের দুটি পদই শূন্য। হাসপাতালে কোনো ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অস্ত্রোপচার।
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মাত্র একজন। স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে নিতে দুজন চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং অ্যানেসথেসিয়া পদসহ বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অস্ত্রোপচার। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিনগুলো টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ।
বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র তিন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। অথচ থাকার কথা ১৪ চিকিৎসক। যে তিনজন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আবার দুই চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১১ জন। জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে এক দিন আসেন। অথচ প্রয়োজন ১৫ চিকিৎসা কর্মকর্তার। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র সাতজন। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এখানে ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র একজন। এই একজন আবার প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে অস্ত্রোপচার বন্ধ। প্রায় দুই দশক এক্স-রে টেকনোলজিস্টের পদ শূন্য। হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি চালু থাকলেও অপরটি চালকের অভাবে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্যান্য পদে সংকট আরও প্রকট। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। মোটের ওপর এখানে চিকিৎসক থাকার কথা ২৩ জন। আছেন ১০ জন। অকেজো পড়ে আছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো শয্যা নেই। তবে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিতে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) রয়েছেন।
বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এসব হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এলেও জেলা শহরের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনোভাবেই এত কম জনবল দিয়ে হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবলসংকট ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বরাবর আমাদের অধিদপ্তরকে বলে আসছি জনবলসংকটের কথা। সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক সংকট মনে হয় সিলেট বিভাগে। আমাদের বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। একইভাবে নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংকট রয়েছে। সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আছে। শুনেছি, নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। হয়তো এরপর কিছুটা সংকট কাটবে।’
মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তা-ও আবার সাত উপজেলা কমপ্লেক্সের পাঁচটিই চলছে মাত্র একজন করে চিকিৎসক দিয়ে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিভিন্ন সময়ে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ হাসপাতালে ৩১ শয্যারও জনবল নেই। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক-সংকটের কারণে জরুরি বিভাগ চালু রাখাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া বাকি হাসপাতালগুলোয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা এখন বন্ধ।
সরেজমিনে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। চিকিৎসক-সংকটে কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী ও কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীকেই ছুটতে হয় জেলা শহরের হাসপাতালে। বিশেষ করে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া থেকে রোগীদের ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ওটি (অপারেশন থিয়েটার), ডেন্টাল চেয়ার, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন ও অ্যাম্বুলেন্স অচল পড়ে আছে। কোথাও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও টেকনোলজিস্টের অভাবে সেবা বন্ধ।
হালনাগাদ তথ্যমতে, জেলায় চিকিৎসা কর্মকর্তা ১৪ জনের জায়গায় শূন্যপদ রয়েছে ৯টি। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন ৭ জনের জায়গায় শূন্য পদ ৬টি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পাঁচটি পদের চারটিই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ৩৯ জনের জায়গায় শূন্য ১৮টি। স্বাস্থ্য পরিদর্শক থাকার কথা ২০ জন, আছেন ছয়জন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৪১টি পদের ১৮টি শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স থাকার কথা ১৬২ জন। এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫৩টি।
এ ছাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ২৬ জনের জায়গায় শূন্য রয়েছে ১৮টি পদ। সহকারী সার্জন থাকার কথা ৪২ জন, আছেন আটজন। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৬৫ জন, শূন্য রয়েছে ৩৬টি পদ। সব মিলিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৩৯০টি পদ শূন্য।
রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র দুজন। এর মধ্যে একজন আগামী মাসে চলে যাবেন। এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য এখানে। এক্স-রে টেকনিশিয়ানের পদ অনেক দিন ধরেই শূন্য। ফলে এক্স-রে হয় না। ল্যাব টেকনোলজিস্টের দুটি পদই শূন্য। হাসপাতালে কোনো ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অস্ত্রোপচার।
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মাত্র একজন। স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে নিতে দুজন চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং অ্যানেসথেসিয়া পদসহ বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অস্ত্রোপচার। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিনগুলো টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ।
বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র তিন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। অথচ থাকার কথা ১৪ চিকিৎসক। যে তিনজন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আবার দুই চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১১ জন। জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে এক দিন আসেন। অথচ প্রয়োজন ১৫ চিকিৎসা কর্মকর্তার। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র সাতজন। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এখানে ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র একজন। এই একজন আবার প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে অস্ত্রোপচার বন্ধ। প্রায় দুই দশক এক্স-রে টেকনোলজিস্টের পদ শূন্য। হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি চালু থাকলেও অপরটি চালকের অভাবে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্যান্য পদে সংকট আরও প্রকট। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। মোটের ওপর এখানে চিকিৎসক থাকার কথা ২৩ জন। আছেন ১০ জন। অকেজো পড়ে আছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো শয্যা নেই। তবে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিতে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) রয়েছেন।
বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এসব হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এলেও জেলা শহরের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনোভাবেই এত কম জনবল দিয়ে হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবলসংকট ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বরাবর আমাদের অধিদপ্তরকে বলে আসছি জনবলসংকটের কথা। সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক সংকট মনে হয় সিলেট বিভাগে। আমাদের বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। একইভাবে নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংকট রয়েছে। সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আছে। শুনেছি, নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। হয়তো এরপর কিছুটা সংকট কাটবে।’

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তা-ও আবার সাত উপজেলা কমপ্লেক্সের পাঁচটিই চলছে মাত্র একজন করে চিকিৎসক দিয়ে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিভিন্ন সময়ে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ হাসপাতালে ৩১ শয্যারও জনবল নেই। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক-সংকটের কারণে জরুরি বিভাগ চালু রাখাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া বাকি হাসপাতালগুলোয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা এখন বন্ধ।
সরেজমিনে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। চিকিৎসক-সংকটে কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী ও কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীকেই ছুটতে হয় জেলা শহরের হাসপাতালে। বিশেষ করে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া থেকে রোগীদের ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ওটি (অপারেশন থিয়েটার), ডেন্টাল চেয়ার, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন ও অ্যাম্বুলেন্স অচল পড়ে আছে। কোথাও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও টেকনোলজিস্টের অভাবে সেবা বন্ধ।
হালনাগাদ তথ্যমতে, জেলায় চিকিৎসা কর্মকর্তা ১৪ জনের জায়গায় শূন্যপদ রয়েছে ৯টি। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন ৭ জনের জায়গায় শূন্য পদ ৬টি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পাঁচটি পদের চারটিই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ৩৯ জনের জায়গায় শূন্য ১৮টি। স্বাস্থ্য পরিদর্শক থাকার কথা ২০ জন, আছেন ছয়জন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৪১টি পদের ১৮টি শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স থাকার কথা ১৬২ জন। এর মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫৩টি।
এ ছাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ২৬ জনের জায়গায় শূন্য রয়েছে ১৮টি পদ। সহকারী সার্জন থাকার কথা ৪২ জন, আছেন আটজন। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৬৫ জন, শূন্য রয়েছে ৩৬টি পদ। সব মিলিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ৩৯০টি পদ শূন্য।
রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র দুজন। এর মধ্যে একজন আগামী মাসে চলে যাবেন। এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য এখানে। এক্স-রে টেকনিশিয়ানের পদ অনেক দিন ধরেই শূন্য। ফলে এক্স-রে হয় না। ল্যাব টেকনোলজিস্টের দুটি পদই শূন্য। হাসপাতালে কোনো ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অস্ত্রোপচার।
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মাত্র একজন। স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে নিতে দুজন চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং অ্যানেসথেসিয়া পদসহ বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অস্ত্রোপচার। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিনগুলো টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ।
বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র তিন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। অথচ থাকার কথা ১৪ চিকিৎসক। যে তিনজন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আবার দুই চিকিৎসক প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১১ জন। জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে এক দিন আসেন। অথচ প্রয়োজন ১৫ চিকিৎসা কর্মকর্তার। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র সাতজন। বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এখানে ১০ চিকিৎসা কর্মকর্তার জায়গায় আছেন মাত্র একজন। এই একজন আবার প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে অস্ত্রোপচার বন্ধ। প্রায় দুই দশক এক্স-রে টেকনোলজিস্টের পদ শূন্য। হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি চালু থাকলেও অপরটি চালকের অভাবে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্যান্য পদে সংকট আরও প্রকট। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও চলছে মাত্র একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে। মোটের ওপর এখানে চিকিৎসক থাকার কথা ২৩ জন। আছেন ১০ জন। অকেজো পড়ে আছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো শয্যা নেই। তবে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিতে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) রয়েছেন।
বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এসব হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এলেও জেলা শহরের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনোভাবেই এত কম জনবল দিয়ে হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবলসংকট ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বরাবর আমাদের অধিদপ্তরকে বলে আসছি জনবলসংকটের কথা। সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক সংকট মনে হয় সিলেট বিভাগে। আমাদের বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। একইভাবে নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সংকট রয়েছে। সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো আছে। শুনেছি, নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। হয়তো এরপর কিছুটা সংকট কাটবে।’

সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে পাঁচ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বনাঞ্চলের ঠাকুরের খালে অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে তাঁর ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাজধানীতে যুবলীগের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ডিবির মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের দলগুলো এসব অভিযান পরিচালনা করে।
২৮ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় ১০ জনকে আটক করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার যমুনা নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
৩০ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের মরাপশুর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা গতকাল সন্ধ্যায় বনাঞ্চলের ঠাকুরের খালে অভিযান চালান। এ সময় খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ডিঙি নৌকা, একটি বেহুন্দি জাল, তিন কর্কশিট ভর্তি বরফ, সাত কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং দুই বোতল কীটনাশক জব্দ করেন বনরক্ষীরা।
বন আইনে দায়ের করা মামলায় জেলেদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার জেলেরা হচ্ছেন রাসেল শেখ (২৮), জামাল শেখ (৪৫), রাজু সরদার (২৫), রমজান সরদার (২৭) ও ইমদাদ সরদার (৪০)। তাঁদের সবার বাড়ি মোংলা উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামে বলে বনরক্ষীরা জানিয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাস বলেন, মরাপশুর এলাকার ঠাকুরের খালে আটক জেলেরা অবৈধভাবে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের মরাপশুর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা গতকাল সন্ধ্যায় বনাঞ্চলের ঠাকুরের খালে অভিযান চালান। এ সময় খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ডিঙি নৌকা, একটি বেহুন্দি জাল, তিন কর্কশিট ভর্তি বরফ, সাত কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং দুই বোতল কীটনাশক জব্দ করেন বনরক্ষীরা।
বন আইনে দায়ের করা মামলায় জেলেদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার জেলেরা হচ্ছেন রাসেল শেখ (২৮), জামাল শেখ (৪৫), রাজু সরদার (২৫), রমজান সরদার (২৭) ও ইমদাদ সরদার (৪০)। তাঁদের সবার বাড়ি মোংলা উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামে বলে বনরক্ষীরা জানিয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাস বলেন, মরাপশুর এলাকার ঠাকুরের খালে আটক জেলেরা অবৈধভাবে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায়...
৩০ মে ২০২৫
মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে তাঁর ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাজধানীতে যুবলীগের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ডিবির মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের দলগুলো এসব অভিযান পরিচালনা করে।
২৮ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় ১০ জনকে আটক করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার যমুনা নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
৩০ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে তাঁর ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে এমন ভিডিওটি প্রকাশের পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জমির নামজারি, খাজনা ও অন্যান্য নথিসংক্রান্ত কাজে দীর্ঘদিন ধরেই ভূমি অফিসে ঘুষ নেওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। সম্প্রতি এক ভুক্তভোগী গোপনে লুৎফা আক্তারের ঘুষ দেওয়ার দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, লুৎফা আক্তার টেবিলে বসে টাকার বান্ডিল গুনছেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাজ দ্রুত করে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করছেন।
ভিডিওটি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ লুৎফা বেগমের বিষয়-সম্পত্তির দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেন, একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পক্ষে একাধিক ফ্ল্যাট কেনা কীভাবে সম্ভব? প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত না করায় তাঁরা হতাশা ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লুৎফা আক্তার বর্তমানে পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জারিকারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি অন্য একটি ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের টাকায় তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের আফতাব প্লাজা ও জিএইচ সিটি সেন্টারে দুটি দামি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাপ্রার্থী জানান, শিল্প এলাকা হওয়ায় পঞ্চসারের জমিসংক্রান্ত যেকোনো কাজে ভূমি অফিসের কর্মীদের ইশারার ওপর নির্ভর করতে হয়। তাঁরা বলেন, ‘ঘুষ না দিলে কোনো কাজই এখানে হয় না। ঘুষ দেবে যে, নেবে যে—দুজনেই অপরাধী, কিন্তু বাধ্য হয়েই ঘুষ দিতে হয়।’
এক ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থী বলেন, ‘এক লাখ টাকার বেশি ঘুষ দেওয়ার পরও লুৎফা আমাকে উল্টো দালাল বলে অপমান করেন। এতে খুব লজ্জায় পড়েছি।’
আরেকজন জানান, তিনি ৮০ হাজার টাকা লুৎফাকে এবং আরও এক লাখ টাকা আরেক কর্মকর্তাকে দেওয়ার পরও জমির বিষয়ে নামজারি হয়নি। ঘুষের বিষয়ে লুৎফা তাঁর স্কুলজীবনের বান্ধবীকেও ছাড় দেননি বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লুৎফা আক্তার জানান, তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য দেবেন না। তিনি অফিসে গিয়ে কথা বলতে বলেন।
পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আবুল খায়ের শামীম বলেন, ঘুষের লেনদেন সম্পর্কে তিনি অবগত নন। লুৎফার সম্পদ বিবরণী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী হলফনামায় সম্পদের বিবরণ থাকে কি না, তা আমার জানা নেই।’
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি আমরা দেখেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসন যাচাই-বাছাই করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে তাঁর ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে এমন ভিডিওটি প্রকাশের পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জমির নামজারি, খাজনা ও অন্যান্য নথিসংক্রান্ত কাজে দীর্ঘদিন ধরেই ভূমি অফিসে ঘুষ নেওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। সম্প্রতি এক ভুক্তভোগী গোপনে লুৎফা আক্তারের ঘুষ দেওয়ার দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, লুৎফা আক্তার টেবিলে বসে টাকার বান্ডিল গুনছেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাজ দ্রুত করে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করছেন।
ভিডিওটি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ লুৎফা বেগমের বিষয়-সম্পত্তির দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেন, একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পক্ষে একাধিক ফ্ল্যাট কেনা কীভাবে সম্ভব? প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত না করায় তাঁরা হতাশা ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লুৎফা আক্তার বর্তমানে পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জারিকারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি অন্য একটি ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘুষের টাকায় তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের আফতাব প্লাজা ও জিএইচ সিটি সেন্টারে দুটি দামি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাপ্রার্থী জানান, শিল্প এলাকা হওয়ায় পঞ্চসারের জমিসংক্রান্ত যেকোনো কাজে ভূমি অফিসের কর্মীদের ইশারার ওপর নির্ভর করতে হয়। তাঁরা বলেন, ‘ঘুষ না দিলে কোনো কাজই এখানে হয় না। ঘুষ দেবে যে, নেবে যে—দুজনেই অপরাধী, কিন্তু বাধ্য হয়েই ঘুষ দিতে হয়।’
এক ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থী বলেন, ‘এক লাখ টাকার বেশি ঘুষ দেওয়ার পরও লুৎফা আমাকে উল্টো দালাল বলে অপমান করেন। এতে খুব লজ্জায় পড়েছি।’
আরেকজন জানান, তিনি ৮০ হাজার টাকা লুৎফাকে এবং আরও এক লাখ টাকা আরেক কর্মকর্তাকে দেওয়ার পরও জমির বিষয়ে নামজারি হয়নি। ঘুষের বিষয়ে লুৎফা তাঁর স্কুলজীবনের বান্ধবীকেও ছাড় দেননি বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লুৎফা আক্তার জানান, তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য দেবেন না। তিনি অফিসে গিয়ে কথা বলতে বলেন।
পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আবুল খায়ের শামীম বলেন, ঘুষের লেনদেন সম্পর্কে তিনি অবগত নন। লুৎফার সম্পদ বিবরণী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী হলফনামায় সম্পদের বিবরণ থাকে কি না, তা আমার জানা নেই।’
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি আমরা দেখেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসন যাচাই-বাছাই করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায়...
৩০ মে ২০২৫
সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে পাঁচ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বনাঞ্চলের ঠাকুরের খালে অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
রাজধানীতে যুবলীগের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ডিবির মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের দলগুলো এসব অভিযান পরিচালনা করে।
২৮ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় ১০ জনকে আটক করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার যমুনা নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
৩০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে যুবলীগের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এসব রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ডিবির মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের দলগুলো এসব অভিযান পরিচালনা করে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজবাগ থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. রনি (৩৭), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপসম্পাদক বাবলুর রহমান বাবলু (৪০), চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু (৪৩) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫০)।
ডিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রনিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।
আজ সকাল ৮টার দিকে মিরপুর-১১ এলাকা থেকে বাবলুর রহমান বাবলুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। একই দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে শরীফ হোসেন দুদুকে এবং সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একই বিভাগ।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

রাজধানীতে যুবলীগের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এসব রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ডিবির মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের দলগুলো এসব অভিযান পরিচালনা করে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজবাগ থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. রনি (৩৭), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপসম্পাদক বাবলুর রহমান বাবলু (৪০), চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু (৪৩) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫০)।
ডিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রনিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।
আজ সকাল ৮টার দিকে মিরপুর-১১ এলাকা থেকে বাবলুর রহমান বাবলুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। একই দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে শরীফ হোসেন দুদুকে এবং সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একই বিভাগ।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায়...
৩০ মে ২০২৫
সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে পাঁচ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বনাঞ্চলের ঠাকুরের খালে অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে তাঁর ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় ১০ জনকে আটক করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার যমুনা নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
৩০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় ১০ জনকে আটক করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার যমুনা নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চৌহালীর পূর্ব মুরাদপুর গ্রামের আল-আমিন (২৪), নজরুল ইসলাম (৪৫), মানিক সিকদার (৫৪), শহিদুল ইসলাম (৪৫), আব্দুল আলীম (৪০), শরীফুল ইসলাম (৩৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), ইউনুস আলী (২৬), শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও রেহাই কাউলিয়া গ্রামের ফরিদ হোসেন (৪৬)।
চৌহালী নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহম্মেদ আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
নৌ পুলিশ জানায়, এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ২ হাজার টাকাসহ ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ইজারা করা বালুমহাল থেকে প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেড বিভিন্ন স্থানে বালু পরিবহন করে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বাল্কহেড থেকে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করছিল একটি চক্র। গোপন খবর পেয়ে নৌ পুলিশ স্পিডবোটে দ্রুত সেখানে পৌঁছে তাঁদের হাতেনাতে আটক করে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় ১০ জনকে আটক করেছে চৌহালী নৌ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার যমুনা নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চৌহালীর পূর্ব মুরাদপুর গ্রামের আল-আমিন (২৪), নজরুল ইসলাম (৪৫), মানিক সিকদার (৫৪), শহিদুল ইসলাম (৪৫), আব্দুল আলীম (৪০), শরীফুল ইসলাম (৩৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), ইউনুস আলী (২৬), শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও রেহাই কাউলিয়া গ্রামের ফরিদ হোসেন (৪৬)।
চৌহালী নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহম্মেদ আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
নৌ পুলিশ জানায়, এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ২ হাজার টাকাসহ ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ইজারা করা বালুমহাল থেকে প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেড বিভিন্ন স্থানে বালু পরিবহন করে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বাল্কহেড থেকে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করছিল একটি চক্র। গোপন খবর পেয়ে নৌ পুলিশ স্পিডবোটে দ্রুত সেখানে পৌঁছে তাঁদের হাতেনাতে আটক করে।

সাতটি উপজেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। এ জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতো। জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ১০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ প্রায়...
৩০ মে ২০২৫
সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে পাঁচ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বনাঞ্চলের ঠাকুরের খালে অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে তাঁর ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাজধানীতে যুবলীগের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ডিবির মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের দলগুলো এসব অভিযান পরিচালনা করে।
২৮ মিনিট আগে