Ajker Patrika

খোকসায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, ১২: ৫৬
খোকসায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে

খোকসা (কুষ্টিয়া): গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার কুষ্টিয়ার খোকসায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এ বছর পাট চাষে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বিগত বছরগুলোতে লাভ না হলেও গত বছর পাট বিক্রি করে ভালো দাম পান তাঁরা। আগে যে পাট ৬০০–৭০০ টাকা মণ বিক্রি করতেন, গত বছর সেটা ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৪৪৮ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে জানিপুর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।

উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট ২৮টি কৃষি ব্লকে এবার পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আমবাড়িয়া ইউনিয়নে ২৫৮, গোপগ্রাম ইউনিয়নে ১৭০, জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নে ৪৭০, শোমসপুর ইউনিয়নে ৩৪০, খোকসা ইউনিয়নে ১৪০, পৌরসভায় ৯৫, শিমুলিয়া ইউনিয়নে ৭৩৫, ওসমানপুর ইউনিয়নে ৪১০ ও বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৮৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

খোকসা পৌরসভার মাঠপাড়ার কৃষক এমদাদুল হক বলেন, প্রথমদিকে তীব্র খরার কারণে এবার পাট চাষে কৃষকের খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, `এ বছর দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত দুই বিঘা জমিতে চারবার সেচ দিতে ৮ হাজার টাকা, জমি লাঙল চাষ করতে ২ হাজার টাকা, রাসায়নিক সার কিনতে ২ হাজার ২০০ টাকা, বীজ কিনতে ১৭৫ টাকা ও জমি নিড়ানি দিতে শ্রমিক মজুরি বাবদ ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের বসুয়া গ্রামের চাষি জুব্বার আলী বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পাটের চাষ করি। তবে দাম ভালো না পাওয়ায় অনেকে চাষ ছেড়েই দিয়েছিল। গত বছর আমি মাত্র এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। ভালো দাম পেয়েছি। ১ হাজার ৭০০ টাকা মণ বিক্রি করেছিলাম। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আমি তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি।

একই এলাকার কৃষক নূর হোসেন বলেন, পাটচাষিদের তুলনায় বেশি লাভ করেন ব্যবসায়ীরা। চাষিরা গরিব হওয়ায় পাট উঠলেই তা বিক্রি করে দেন। তাই তুলনামূলক কম দাম পান তাঁরা। তবে গত বছর পাটের দাম ভালোই ছিল। সে জন্য এবার চাষও বেশি হয়েছে।

ওসমানপুর ব্লকের মাঠকর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, কৃষকেরা যে ফসলে লাভ পান, সেটি চাষে আগ্রহ দেখান। গত বছর দাম ভালো হওয়ায় তাঁরা পাটের চাষ ঝুঁকছেন। পাটের বিভিন্ন রোগ ও পোকা দেখা দিলে আমরা মাঠে গিয়ে তাঁদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাটচাষিদের আধুনিক উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিনা মূল্যে পাটবীজ-সার ও প্রণোদনা দেওয়ায় কৃষকেরা পাটের আবাদ করেছেন। এ ছাড়া পাটজাতপণ্যের বহুমুখী ব্যবহারে পাটের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা পাট চাষে এগিয়ে এসেছেন। ফলে উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা থেকেও সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
যানবাহন কম ওঠায় অনেকটাই খাঁ খাঁ করছে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সম্প্রতি মহানগরীর বন্দর এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যানবাহন কম ওঠায় অনেকটাই খাঁ খাঁ করছে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সম্প্রতি মহানগরীর বন্দর এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোডের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল থেকে র‍্যাম্পটি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং দুপুর আনুমানিক ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। জানাজা উপলক্ষে ওই এলাকায় যানবাহন ও মানুষের চাপ বাড়বে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই এই এলাকায় ভিড় বেড়েছে। র‍্যাম্পের নিচে যানবাহন চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আমরা সকাল থেকেই ফার্মগেট নামার র‍্যাম্পটি বন্ধ করে দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, বিকল্প হিসেবে যাত্রীদের এফডিসি নামার র‍্যাম্প ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেও চালকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগেই গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ থাকার তথ্য জানিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারজিসের নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ১১ হাজার, পেশায় ব্যবসায়ী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৮
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, সারজিস আলমের হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১২৮ টাকা। পাশাপাশি তাঁর একটি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ১ লাখ টাকা। হলফনামায় তিনি তাঁর বর্তমান পেশা হিসেবে ব্যবসা এবং পূর্বতন পেশা হিসেবে ছাত্র উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে দানকৃত কৃষিজমির পরিমাণ ১৬ দশমিক ৫০ শতক। অর্জনকালে ওই জমির আর্থিক মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ টাকা, যা বর্তমানে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসা থেকে বছরে তাঁর আয় ৯ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তিনি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) উল্লেখ করেছেন।

হলফনামার তথ্যে আরও দেখা যায়, সারজিস আলমের নামে একটি মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন। তাঁর নামে কোনো বন্ড, ঋণপত্র বা স্টক এক্সচেঞ্জভুক্ত শেয়ার নেই। আসবাবপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। এ ছাড়া তাঁর নামে কোনো বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনও নেই।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নে সারজিস আলম তাঁর মোট আয় দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ টাকা। এই খাতে তিনি ৫২ হাজার ৫০০ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

এদিকে পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জমে উঠেছে। এই আসনে সারজিস আলম ছাড়াও আরও সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্য প্রার্থীরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র আল রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের মো. মাহাফুজুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আব্দুল ওয়াদুদ বাদশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা ঘিরে যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও ডাইভারশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
খালেদা জিয়ার জানাজা ঘিরে যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও ডাইভারশন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আজ সকাল ৭টা থেকে জানাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে।

যান চলাচল সংক্রান্ত প্রধান বিধিনিষেধ ও বিকল্প পথ—

জানাজাস্থল ও এর চারপাশ খালি রাখার জন্য যেসব ক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে—ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও ইন্দিরা রোড ক্রসিং, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং, আসাদগেট ও রাপা প্লাজা ক্রসিং এবং গণভবন ক্রসিং। অর্থাৎ, রাপা প্লাজা থেকে গণভবন, ফার্মগেট থেকে আড়ং ক্রসিং এবং বিজয় সরণি থেকে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তাগুলো সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে।

যেসব সড়কে যানচলাচল সীমিত ও ডাইভারশন—

১. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোড র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামা বন্ধ থাকবে; এর পরিবর্তে এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।

২. সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট বা বিজয় সরণি অভিমুখে যান চলাচল সীমিত থাকবে।

৩. কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়কটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।

৪. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ বিজয় সরণি ও ফার্মগেট অভিমুখে সীমিতভাবে যানবাহন চলবে।

৫. বনানী-মহাখালী-গুলশান বা এয়ারপোর্ট রোড থেকে রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল-পল্টন-গুলিস্তানগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী-জাহাঙ্গীরগেট-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়ক এড়িয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও মগবাজার ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৬. মিরপুর থেকে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনগুলোকে মানিক মিয়া এভিনিউ এড়িয়ে টেকনিক্যাল-শ্যামলী হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

৭. মিরপুর থেকে রমনা-মতিঝিলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে বামে টার্ন নিয়ে আগারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফকরুদ্দিন রোড বা লিংক রোড হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে চলাচল করবে।

৮. পান্থপথ ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ের দিকে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে।

৯. ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্রসিং ও প্রয়োজনে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে গাড়ি ডাইভারশন হবে।

১০. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ দিকে সীমিত গাড়ি চলবে।

পার্কিং ব্যবস্থা—

১. ঢাকা মহানগরের যানবাহনগুলো শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে।

২. ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, শাহবাগ থানা এলাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৌবাজার বা গরুর হাট এলাকা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সার্ভিস রোডে পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বিশেষ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াতের এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

সূত্র: বাসস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চার দিন পর দেখা মিলল সূর্যের, ঠাকুরগাঁওয়ে কিছুটা স্বস্তি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে আজ সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁওয়ে আজ সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কাজে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার কৃষক আবদুল কাদের জানান, টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছেন তাঁরা।

একই কথা জানান সদর উপজেলার আরেক কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

ঠাকুরগাঁও ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত