মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চলছে চরম জনবলসংকট। চিকিৎসকের অর্ধেকের বেশি পদই খালি। অন্যদিকে ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকছে তিন শতাধিক। ফলে সেবাদান কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে ওষুধ ও খাবার বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল। এখন সেই জনবলেও ঘাটতি চলছে। একের পর এক চিকিৎসক বদলির কারণে সেবাদান স্থবির হয়ে পড়েছে। এখানে চিকিৎসকের ২২টি পদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৯টি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৮টি পদও ফাঁকা।
হাসপাতালটিতে প্রতিদিন অন্তবিভাগে তিন শতাধিক ও বহির্বিভাগে সহস্রাধিক মানুষ চিকিৎসা নেয়। গতকাল শনিবার এখানে ভর্তি ছিল ৩২৯ জন। তারাসহ বহির্বিভাগের রোগীরা জনবলসংকটে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সদর হাসপাতালে এসে জানতে পারি এখানে কোনো চক্ষু বিশেষজ্ঞ নেই। বেসরকারি ক্লিনিকেও তো খরচ বেশি, কোথায় দেখাব।’
আরেক চিকিৎসাপ্রার্থী জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের বাবুল মণ্ডল বলেন, ‘মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছিলাম। আসার পর জানলাম, ডাক্তার নেই, ঢাকায়। এই একজনই নাকি মেডিসিনের ডাক্তার ছিলেন, তাও তিনি বদলি হয়েছেন। আমাদের কী হবে? এখন দেখছি, খুলনা-রাজশাহী দৌড়াতে হবে।’
দামুড়হুদা উপজেলার আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমার বাবার এখানে অপারেশন করানোর কথা ভেবেছিলাম। এখন শুনছি, অ্যানেসথেটিস্ট নেই, তাই অপারেশন বন্ধ। এভাবে চললে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ সেবা নেবে কোথায়? সরকার কি এই জেলার মানুষকে দেখে না। এই জেলার মানুষ কি নাগরিক নয়?’
এই সংকট দূর করার দাবি জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ সেলিম। তিনি বলেন, ‘এটি জেলা সদরের হাসপাতাল। এই হাসপাতালের ওপর জেলার ৯৯ শতাংশ মানুষ নির্ভরশীল। অথচ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক-সংকট, জনবলসংকট চলছে। এটা এই জেলার মানুষের ভোগান্তি। নাগরিক অধিকার সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন হয়েছে। পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। চিকিৎসক নিয়োগ দিলে জেলার মানুষ পূর্ণ চিকিৎসাসেবা পাবে। অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
চিকিৎসকের শূন্য পদ নিয়ে কথা হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সাংঘাতিক মুশকিলে আছি। জেলা সদর হাসপাতাল খালি রেখে উপজেলায় নিয়ে যাচ্ছে, অথচ কোনো রিপ্লেস দিচ্ছে না। একটি অ্যানেসথেসিয়া ডিপার্টমেন্টের ওপর আরও চারটা ডিপার্টমেন্ট নির্ভর থাকে। এই চারটা ডিপার্টমেন্টের কাজকর্ম হচ্ছে না। আমরা একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। এখন পাঁচটি কনসালট্যান্ট নেই। তার ওপর ইএমও (জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা) নেই। স্টাফ আছে ৫০ বেডের। কিন্তু মৃত্যু, অবসর মিলিয়ে এখন ৫০ বেডের স্টাফও পরিপূর্ণ নেই। অথচ রোগীর চাপ ২৫০ বেডের বেশি। আমরা খুব কষ্টে চালাচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে জেলা সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে পদগুলো পূরণ এবং হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমসহ সব কিছু স্বাভাবিক হবে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চলছে চরম জনবলসংকট। চিকিৎসকের অর্ধেকের বেশি পদই খালি। অন্যদিকে ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকছে তিন শতাধিক। ফলে সেবাদান কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে ওষুধ ও খাবার বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল। এখন সেই জনবলেও ঘাটতি চলছে। একের পর এক চিকিৎসক বদলির কারণে সেবাদান স্থবির হয়ে পড়েছে। এখানে চিকিৎসকের ২২টি পদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৯টি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৮টি পদও ফাঁকা।
হাসপাতালটিতে প্রতিদিন অন্তবিভাগে তিন শতাধিক ও বহির্বিভাগে সহস্রাধিক মানুষ চিকিৎসা নেয়। গতকাল শনিবার এখানে ভর্তি ছিল ৩২৯ জন। তারাসহ বহির্বিভাগের রোগীরা জনবলসংকটে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সদর হাসপাতালে এসে জানতে পারি এখানে কোনো চক্ষু বিশেষজ্ঞ নেই। বেসরকারি ক্লিনিকেও তো খরচ বেশি, কোথায় দেখাব।’
আরেক চিকিৎসাপ্রার্থী জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের বাবুল মণ্ডল বলেন, ‘মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছিলাম। আসার পর জানলাম, ডাক্তার নেই, ঢাকায়। এই একজনই নাকি মেডিসিনের ডাক্তার ছিলেন, তাও তিনি বদলি হয়েছেন। আমাদের কী হবে? এখন দেখছি, খুলনা-রাজশাহী দৌড়াতে হবে।’
দামুড়হুদা উপজেলার আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমার বাবার এখানে অপারেশন করানোর কথা ভেবেছিলাম। এখন শুনছি, অ্যানেসথেটিস্ট নেই, তাই অপারেশন বন্ধ। এভাবে চললে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ সেবা নেবে কোথায়? সরকার কি এই জেলার মানুষকে দেখে না। এই জেলার মানুষ কি নাগরিক নয়?’
এই সংকট দূর করার দাবি জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ সেলিম। তিনি বলেন, ‘এটি জেলা সদরের হাসপাতাল। এই হাসপাতালের ওপর জেলার ৯৯ শতাংশ মানুষ নির্ভরশীল। অথচ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক-সংকট, জনবলসংকট চলছে। এটা এই জেলার মানুষের ভোগান্তি। নাগরিক অধিকার সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন হয়েছে। পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। চিকিৎসক নিয়োগ দিলে জেলার মানুষ পূর্ণ চিকিৎসাসেবা পাবে। অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
চিকিৎসকের শূন্য পদ নিয়ে কথা হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সাংঘাতিক মুশকিলে আছি। জেলা সদর হাসপাতাল খালি রেখে উপজেলায় নিয়ে যাচ্ছে, অথচ কোনো রিপ্লেস দিচ্ছে না। একটি অ্যানেসথেসিয়া ডিপার্টমেন্টের ওপর আরও চারটা ডিপার্টমেন্ট নির্ভর থাকে। এই চারটা ডিপার্টমেন্টের কাজকর্ম হচ্ছে না। আমরা একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। এখন পাঁচটি কনসালট্যান্ট নেই। তার ওপর ইএমও (জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা) নেই। স্টাফ আছে ৫০ বেডের। কিন্তু মৃত্যু, অবসর মিলিয়ে এখন ৫০ বেডের স্টাফও পরিপূর্ণ নেই। অথচ রোগীর চাপ ২৫০ বেডের বেশি। আমরা খুব কষ্টে চালাচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে জেলা সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে পদগুলো পূরণ এবং হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমসহ সব কিছু স্বাভাবিক হবে।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৬ ঘণ্টা আগে