জাহিদ হাসান, যশোর

চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল বা বাংলা ১৩৯২ সনের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখের ভোরে সর্বপ্রথম যশোরে বের হয়েছিল নববর্ষের এক বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তখনো তাঁরা জানতেন না, পরের বছরগুলোয় এটা জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্য হয়ে উঠবে।
ওই বৈশাখী শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাহবুব জামিল শামীম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু শিল্পী হিরণ্ময় চন্দ্রসহ আরও কয়েকজন।
আজ শুক্রবার দুপুরে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ঘোষণা এল। তখন শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা শামীম তাঁর প্রিয় প্রাঙ্গণ যশোর পৌর পার্কে অবস্থিত চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ করছিলেন। বয়সে রুগ্ণ হয়ে যাওয়া মাহবুব জামিল শামীম গভীর মনোযোগে রং করছিলেন একটি কুমিরের প্রপসে।
মাহবুব জামিল শামীম জানান, বিধ্বংসী নানা কর্মকাণ্ড থেকে পরিবেশ, প্রতিবেশ আর প্রাণিকুলকে রক্ষায় সচেতনতার বার্তা তুলে ধরা হবে যশোরের এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। যেখানে থাকবে বন, বনের প্রাণী, যেমন—বাঘ, হরিণ, হাতি, ঘোড়া, পাখপাখালি, পাহাড়, নদী ইত্যাদি। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মতো সেজে হইহুল্লোড় করে, নেচে, গেয়ে পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলবেন। শুরুর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে দলমত-নির্বিশেষে যশোরের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবেন।
তাঁর কাজের মধ্যে জানতে চাওয়া হলো বৈশাখের শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার গল্প। একটু মৃদু হেসে বললেন, ‘একুশের প্রভাতফেরি থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার চিন্তা মাথায় আসে। বাংলা ভাষার রাষ্ট্রের আন্দোলনে তারুণ্যের রক্তে গড়া একুশের পথ ধরে এসেছে আমাদের ভাষা ও স্বাধীনতা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলন। এ একুশের প্রভাতফেরিকেই যেন ফেলে আসা সব শিল্প ঐতিহ্যের সম্ভারে সাজিয়ে এ উৎসব রচনা করা হয়েছিল।’
মাহবুব জামিল বলেন, ‘নিগৃহীত ৯৫ ভাগ গ্রাম্য মানুষের মাঝে লালিত দেশজ কৃষ্টি। তাকেই আজ আমরা আদরে নয়ন মেলে দেখছি। শিল্প মর্যাদায় অনুভব করছি। তারই প্রাণবন্ত অথই জলের ধারা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নগরের মাঝ দিয়ে মৃত্তিকা ভেঙে যেন নদী হয়ে আশ্চর্য সুন্দর দেশজ কৃষ্টির রাজসিক উৎসব মঙ্গল শোভাযাত্রা। দলমত-নির্বিশেষে সব পর্যায়ের মানুষ এ আয়োজনে যুক্ত হয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” সত্যিকার অর্থেই মাঙ্গলিক এক বিনোদনের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। বাংলা ১৪০০ বর্ষবরণ উৎসবের ইতিহাস তো সবার জানা। যা যশোরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সৃষ্টি করেছিল এক নতুন মহাকাব্য।’
১৯৮৮ সালে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য মাহবুব জামিল শামীম ও হিরণ্ময় চন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। তাঁদের প্রচেষ্টায় ১৯৮৯ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বের করেন ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’।
এই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইতিহাস বলতে গিয়ে মাহবুব জামিল জানান, ১৯৯০ সালের দিকে ঢাকাতে বিভিন্ন সংস্কৃতিমনা মানুষেরা দাবি ওঠাল, বছরের প্রথম দিন মানেই নতুন একটি বছর বা শিশুর জন্ম হলো। জন্মের প্রথম দিনে তাঁর শুভ বা মঙ্গল কামনা করা উচিত। সেই থেকেই আনন্দ শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য়। এ মঙ্গল শোভাযাত্রা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের নানা প্রান্তে। এখন যা বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। শোভাযাত্রা বের হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন স্থান করে নিয়ে বিশ্ব সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও। বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এখন জাতিসংঘের ইউনেসকো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এর সূচনা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে চারুপীঠ যশোর থেকে।
হঠাৎ নাম পরিবর্তন হওয়াতে কিছু করার নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম শুরু করি, তখনই বলেছিলাম বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন নাম রাখতে পারবে এই শোভাযাত্রার। শোভাযাত্রা উদ্দেশ্য ছিল, ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের শোভাযাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি উঠে আসবে। আর সেসব সংস্কৃতি জাতীয় কৃষ্টি-কালচার চর্চার অংশ হবে। আর্ট কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটার চর্চা হবে। এখন নাম পরিবর্তন হয়েছে; সেটা তো আমার কিছু করার নাই। আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী। সংস্কৃতিকর্মীরা বিবাদে জড়ায় না। তাঁরা চায় বন্ধুত্ব। অনেক বাধা-বিপত্তি পার করেই আমরা শোভাযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। যে শোভাযাত্রার শুরু হয়েছিল সেটা তো সবার উৎসব। রাষ্ট্রের উৎসব, আন্তর্জাতিক উৎসব।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামীণ মানুষের মাঝে লালিত দেশজ কৃষ্টি তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রাতে। এটা আমাদের শিল্প মর্যাদা। এখন যে নামেই হোক না কেন; এটার যে লক্ষ্য ছিল, সেটা থেকে লক্ষ্যচ্যুত না হই আমরা, আমাদের শিল্প, মর্যাদা ও ঐতিহ্য যাতে বন্ধ না হয় সেটাই আমার কাম্য।’

চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল বা বাংলা ১৩৯২ সনের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখের ভোরে সর্বপ্রথম যশোরে বের হয়েছিল নববর্ষের এক বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তখনো তাঁরা জানতেন না, পরের বছরগুলোয় এটা জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্য হয়ে উঠবে।
ওই বৈশাখী শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাহবুব জামিল শামীম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু শিল্পী হিরণ্ময় চন্দ্রসহ আরও কয়েকজন।
আজ শুক্রবার দুপুরে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ঘোষণা এল। তখন শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা শামীম তাঁর প্রিয় প্রাঙ্গণ যশোর পৌর পার্কে অবস্থিত চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ করছিলেন। বয়সে রুগ্ণ হয়ে যাওয়া মাহবুব জামিল শামীম গভীর মনোযোগে রং করছিলেন একটি কুমিরের প্রপসে।
মাহবুব জামিল শামীম জানান, বিধ্বংসী নানা কর্মকাণ্ড থেকে পরিবেশ, প্রতিবেশ আর প্রাণিকুলকে রক্ষায় সচেতনতার বার্তা তুলে ধরা হবে যশোরের এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। যেখানে থাকবে বন, বনের প্রাণী, যেমন—বাঘ, হরিণ, হাতি, ঘোড়া, পাখপাখালি, পাহাড়, নদী ইত্যাদি। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মতো সেজে হইহুল্লোড় করে, নেচে, গেয়ে পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলবেন। শুরুর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে দলমত-নির্বিশেষে যশোরের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবেন।
তাঁর কাজের মধ্যে জানতে চাওয়া হলো বৈশাখের শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার গল্প। একটু মৃদু হেসে বললেন, ‘একুশের প্রভাতফেরি থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার চিন্তা মাথায় আসে। বাংলা ভাষার রাষ্ট্রের আন্দোলনে তারুণ্যের রক্তে গড়া একুশের পথ ধরে এসেছে আমাদের ভাষা ও স্বাধীনতা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলন। এ একুশের প্রভাতফেরিকেই যেন ফেলে আসা সব শিল্প ঐতিহ্যের সম্ভারে সাজিয়ে এ উৎসব রচনা করা হয়েছিল।’
মাহবুব জামিল বলেন, ‘নিগৃহীত ৯৫ ভাগ গ্রাম্য মানুষের মাঝে লালিত দেশজ কৃষ্টি। তাকেই আজ আমরা আদরে নয়ন মেলে দেখছি। শিল্প মর্যাদায় অনুভব করছি। তারই প্রাণবন্ত অথই জলের ধারা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নগরের মাঝ দিয়ে মৃত্তিকা ভেঙে যেন নদী হয়ে আশ্চর্য সুন্দর দেশজ কৃষ্টির রাজসিক উৎসব মঙ্গল শোভাযাত্রা। দলমত-নির্বিশেষে সব পর্যায়ের মানুষ এ আয়োজনে যুক্ত হয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” সত্যিকার অর্থেই মাঙ্গলিক এক বিনোদনের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। বাংলা ১৪০০ বর্ষবরণ উৎসবের ইতিহাস তো সবার জানা। যা যশোরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সৃষ্টি করেছিল এক নতুন মহাকাব্য।’
১৯৮৮ সালে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য মাহবুব জামিল শামীম ও হিরণ্ময় চন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। তাঁদের প্রচেষ্টায় ১৯৮৯ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বের করেন ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’।
এই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইতিহাস বলতে গিয়ে মাহবুব জামিল জানান, ১৯৯০ সালের দিকে ঢাকাতে বিভিন্ন সংস্কৃতিমনা মানুষেরা দাবি ওঠাল, বছরের প্রথম দিন মানেই নতুন একটি বছর বা শিশুর জন্ম হলো। জন্মের প্রথম দিনে তাঁর শুভ বা মঙ্গল কামনা করা উচিত। সেই থেকেই আনন্দ শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য়। এ মঙ্গল শোভাযাত্রা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের নানা প্রান্তে। এখন যা বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। শোভাযাত্রা বের হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন স্থান করে নিয়ে বিশ্ব সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও। বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এখন জাতিসংঘের ইউনেসকো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এর সূচনা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে চারুপীঠ যশোর থেকে।
হঠাৎ নাম পরিবর্তন হওয়াতে কিছু করার নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম শুরু করি, তখনই বলেছিলাম বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন নাম রাখতে পারবে এই শোভাযাত্রার। শোভাযাত্রা উদ্দেশ্য ছিল, ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের শোভাযাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি উঠে আসবে। আর সেসব সংস্কৃতি জাতীয় কৃষ্টি-কালচার চর্চার অংশ হবে। আর্ট কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটার চর্চা হবে। এখন নাম পরিবর্তন হয়েছে; সেটা তো আমার কিছু করার নাই। আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী। সংস্কৃতিকর্মীরা বিবাদে জড়ায় না। তাঁরা চায় বন্ধুত্ব। অনেক বাধা-বিপত্তি পার করেই আমরা শোভাযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। যে শোভাযাত্রার শুরু হয়েছিল সেটা তো সবার উৎসব। রাষ্ট্রের উৎসব, আন্তর্জাতিক উৎসব।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামীণ মানুষের মাঝে লালিত দেশজ কৃষ্টি তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রাতে। এটা আমাদের শিল্প মর্যাদা। এখন যে নামেই হোক না কেন; এটার যে লক্ষ্য ছিল, সেটা থেকে লক্ষ্যচ্যুত না হই আমরা, আমাদের শিল্প, মর্যাদা ও ঐতিহ্য যাতে বন্ধ না হয় সেটাই আমার কাম্য।’

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
৭ মিনিট আগে
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২২ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলাজুড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি করেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া জেলায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে একটানা সূর্যের দেখা মেলেনি। ২৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও বুধবার একলাফে তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রায় হঠাৎ করে চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু এবং ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় এখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এবং এই পরিস্থিতি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। রাস্তাঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
চা-দোকানি আলফাজ আলী বলেন, ‘ঠান্ডার চোটে সকালে দোকান খোলাই দায় হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, বেচাকেনাও খুব কম।’
দিনমজুর হারেজ আলী বলেন, ‘হাতে-পায়ে বরফের মতো ঠান্ডা লাগে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না, তাই এই শীতেও বের হতে হচ্ছে।’
সদর উপজেলার একটি ইটভাটার শ্রমিক আফতাব হক বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। বাতাসের ঝাপটায় হাত অবশ হয়ে আসে, কাজ এগোয় না।’
টানা কুয়াশা ও সূর্যের অনুপস্থিতিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। হাটকালুগঞ্জ গ্রামের ধানচাষি ফরজ আলী জানান, তীব্র ঠান্ডায় ধানের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বীজতলা রক্ষায় সকালে দড়ি টেনে কুয়াশার পানি ঝরিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ফসল সুরক্ষায় ছত্রাকনাশক ও পরিমিত সেচ জরুরি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন আউটডোরে শত শত শিশু ও বৃদ্ধ রোগী নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে আসছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলাজুড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি করেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া জেলায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে একটানা সূর্যের দেখা মেলেনি। ২৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও বুধবার একলাফে তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রায় হঠাৎ করে চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু এবং ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় এখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এবং এই পরিস্থিতি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। রাস্তাঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
চা-দোকানি আলফাজ আলী বলেন, ‘ঠান্ডার চোটে সকালে দোকান খোলাই দায় হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, বেচাকেনাও খুব কম।’
দিনমজুর হারেজ আলী বলেন, ‘হাতে-পায়ে বরফের মতো ঠান্ডা লাগে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না, তাই এই শীতেও বের হতে হচ্ছে।’
সদর উপজেলার একটি ইটভাটার শ্রমিক আফতাব হক বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। বাতাসের ঝাপটায় হাত অবশ হয়ে আসে, কাজ এগোয় না।’
টানা কুয়াশা ও সূর্যের অনুপস্থিতিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। হাটকালুগঞ্জ গ্রামের ধানচাষি ফরজ আলী জানান, তীব্র ঠান্ডায় ধানের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বীজতলা রক্ষায় সকালে দড়ি টেনে কুয়াশার পানি ঝরিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ফসল সুরক্ষায় ছত্রাকনাশক ও পরিমিত সেচ জরুরি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন আউটডোরে শত শত শিশু ও বৃদ্ধ রোগী নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে আসছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল বা বাংলা ১৩৯২ সনের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখের ভোরে যশোরে সর্বপ্রথম বের হয়েছিল নববর্ষের বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তখনো তাঁরা জানতেন না, পরের বছরগুলোয় এটা জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্য হয়ে উঠবে...
১১ এপ্রিল ২০২৫
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২২ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আজকেও (+৯৬৬৫৪৮৬৮০৪৩৬) এই নম্বর থেকে হত্যার হুমকি আসছে। আবার নতুন করে প্রতিদিন হত্যার হুমকি শুরু হয়েছে। পুড়িয়ে মারবে, কুপিয়ে মারবে—এ ধরনের কথা বলছে। আপনাদের বিচলিত করতে চাই না বলে এত দিন জানাচ্ছিলাম না। কিন্তু জোটে ইলেকশন করব—এ খবর জানার পর একদম বানোয়াট ও উদ্ভট গল্প বানিয়ে চরিত্র হনন শুরু করেছে। জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি না, বিচলিতও নই। আপনারাও বিচলিত হবেন না। ওদের লেখাগুলো পড়ার দরকার নেই। আল্লাহ ভরসা। আমার স্বামী বলছে—এটা তো শুরু, সামনে এআই ভিডিও, ন্যুড ও এডিটেড ছবি ছড়ানোর চেষ্টাও হতে পারে। দোয়ার আরজি রইল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাহমুদা মিতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হুমকি এসেছিল। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এই প্রথম এমন হুমকি এসেছে।’ তিনি জানান, শুধু হুমকি নয়, তাঁকে নিয়ে মিথ্যা বদনাম রটানোর চেষ্টাও চলছে।

আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আইনি সহায়তা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এ ধরনের হুমকি-ধমকি আসছেই।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আজকেও (+৯৬৬৫৪৮৬৮০৪৩৬) এই নম্বর থেকে হত্যার হুমকি আসছে। আবার নতুন করে প্রতিদিন হত্যার হুমকি শুরু হয়েছে। পুড়িয়ে মারবে, কুপিয়ে মারবে—এ ধরনের কথা বলছে। আপনাদের বিচলিত করতে চাই না বলে এত দিন জানাচ্ছিলাম না। কিন্তু জোটে ইলেকশন করব—এ খবর জানার পর একদম বানোয়াট ও উদ্ভট গল্প বানিয়ে চরিত্র হনন শুরু করেছে। জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
মাহমুদা মিতু লেখেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি না, বিচলিতও নই। আপনারাও বিচলিত হবেন না। ওদের লেখাগুলো পড়ার দরকার নেই। আল্লাহ ভরসা। আমার স্বামী বলছে—এটা তো শুরু, সামনে এআই ভিডিও, ন্যুড ও এডিটেড ছবি ছড়ানোর চেষ্টাও হতে পারে। দোয়ার আরজি রইল।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাহমুদা মিতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হুমকি এসেছিল। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এই প্রথম এমন হুমকি এসেছে।’ তিনি জানান, শুধু হুমকি নয়, তাঁকে নিয়ে মিথ্যা বদনাম রটানোর চেষ্টাও চলছে।

আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আইনি সহায়তা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এ ধরনের হুমকি-ধমকি আসছেই।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল বা বাংলা ১৩৯২ সনের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখের ভোরে যশোরে সর্বপ্রথম বের হয়েছিল নববর্ষের বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তখনো তাঁরা জানতেন না, পরের বছরগুলোয় এটা জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্য হয়ে উঠবে...
১১ এপ্রিল ২০২৫
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
৭ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কুয়াশার চাদরে মোড়া রাজশাহী কাঁপছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই নেমে যাওয়ায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ। ফলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এদিকে তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় আয় নেই। আবার শীত নিবারণের পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে রাত কাটাতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে ভোরে কাজের আশায় রাজশাহী নগরের তালাইমারী এলাকায় আসেন দিনমজুর নাজমুল। কিন্তু শীতের কারণে কাজের দেখা মেলেনি। তিনি বলেন, ‘আজ খুব বেশি ঠান্ডা। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তাই কাজও পাওয়া যায়নি। আগে যেখানে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কাজ মিলত, এখন এই শীতে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই কাজ পাওয়া যায় না।’
রিকশাচালক জাকির আলী বলেন, ‘হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। রিকশা চালাতে গেলে শরীর জমে আসে। যাত্রী কম, আয়ও কম। খুব কষ্টে দিন কাটছে। কয়দিন এই অবস্থা থাকবে কে জানে!’
এদিকে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে নগরজীবনেও। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশা আর ঠান্ডার ভয়ে মানুষ দ্রুত ঘরে ফিরছে। আর সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ দোকানপাট। যেন পুরো শহর আগেভাগেই নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।
গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট আরও বেশি। রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা তুষার আলম জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। খোলা মাঠ, নদী আর কুয়াশার কারণে ঠান্ডা যেন হাড়ে হাড়ে ঢুকে পড়ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিক থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। বুধবার ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।’

কুয়াশার চাদরে মোড়া রাজশাহী কাঁপছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই নেমে যাওয়ায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ। ফলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এদিকে তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় আয় নেই। আবার শীত নিবারণের পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে রাত কাটাতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে ভোরে কাজের আশায় রাজশাহী নগরের তালাইমারী এলাকায় আসেন দিনমজুর নাজমুল। কিন্তু শীতের কারণে কাজের দেখা মেলেনি। তিনি বলেন, ‘আজ খুব বেশি ঠান্ডা। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তাই কাজও পাওয়া যায়নি। আগে যেখানে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কাজ মিলত, এখন এই শীতে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই কাজ পাওয়া যায় না।’
রিকশাচালক জাকির আলী বলেন, ‘হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। রিকশা চালাতে গেলে শরীর জমে আসে। যাত্রী কম, আয়ও কম। খুব কষ্টে দিন কাটছে। কয়দিন এই অবস্থা থাকবে কে জানে!’
এদিকে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে নগরজীবনেও। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশা আর ঠান্ডার ভয়ে মানুষ দ্রুত ঘরে ফিরছে। আর সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ দোকানপাট। যেন পুরো শহর আগেভাগেই নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।
গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট আরও বেশি। রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা তুষার আলম জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। খোলা মাঠ, নদী আর কুয়াশার কারণে ঠান্ডা যেন হাড়ে হাড়ে ঢুকে পড়ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিক থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। বুধবার ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।’

চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল বা বাংলা ১৩৯২ সনের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখের ভোরে যশোরে সর্বপ্রথম বের হয়েছিল নববর্ষের বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তখনো তাঁরা জানতেন না, পরের বছরগুলোয় এটা জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্য হয়ে উঠবে...
১১ এপ্রিল ২০২৫
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
৭ মিনিট আগে
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২২ মিনিট আগে
মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষ নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারদিক এত কুয়াশায় ঢাকা যে অনেক সময় রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঝিনঝিন করছে।
মাঠে কাজ করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, চরম শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
আরেক শ্রমিক শিপন আলী বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। আজ শীত খুব বেশি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’
অটোচালক বকুল হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মাঠ ও রাস্তা ঢেকে গেছে। পেটের তাগিদে বের হতে হলেও ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

নছিমনচালক হিরোক ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মাছ আনতে বের হতে হয়। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ভয় বেশি। ধীরে চালালেও ভয় কাটে না। শীত আর বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এমন আবহাওয়া আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাঠের ফসলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্যই মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।
কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষ নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারদিক এত কুয়াশায় ঢাকা যে অনেক সময় রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঝিনঝিন করছে।
মাঠে কাজ করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, চরম শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
আরেক শ্রমিক শিপন আলী বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। আজ শীত খুব বেশি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’
অটোচালক বকুল হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মাঠ ও রাস্তা ঢেকে গেছে। পেটের তাগিদে বের হতে হলেও ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

নছিমনচালক হিরোক ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মাছ আনতে বের হতে হয়। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ভয় বেশি। ধীরে চালালেও ভয় কাটে না। শীত আর বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এমন আবহাওয়া আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাঠের ফসলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্যই মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল বা বাংলা ১৩৯২ সনের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখের ভোরে যশোরে সর্বপ্রথম বের হয়েছিল নববর্ষের বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তখনো তাঁরা জানতেন না, পরের বছরগুলোয় এটা জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্য হয়ে উঠবে...
১১ এপ্রিল ২০২৫
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমাঙ্কের কাছাকাছি নামা তাপমাত্রার সঙ্গে টানা পাঁচ দিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি...
৭ মিনিট আগে
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতুকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২২ মিনিট আগে
তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে