ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুল করিম (মিন্টু)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সাইদুল করিমকে আটকের পর ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বহু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আটক হলেন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁরা বলছেন, তাঁকে ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কিছু বলবেন না।
এদিকে আজ বুধবার ডিবি প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মিন্টু
সাইদুল করিম মিন্টু হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত রুহুল কুদ্দুস ও আঙ্গুরা বেগমের সন্তান। ওই গ্রামেই ১৯৬৪ সালের ২ জুন তাঁর জন্ম। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাসেল ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দিরা সড়কের বিলাসবহুল বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার ও দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করেন।
স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
সাইদুল করিম বর্তমানে চেম্বার অব কমার্স এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে উত্থান যেভাবে
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাইদুল করিম মিন্টুর বাবার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিল না। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হলে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল–জাহাঙ্গীর। সেই গ্রুপের এক নেতা ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। ১৯৮৫ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কমিটিতে সভাপতি হন জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান সাইদুল করিম মিন্টু। এই কমিটির মাধ্যমেই মিন্টু রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
তবে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান গড়তে না পেরে ৮০–এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকায় গিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন।
পরে আবার ঝিনাইদহ ফিরে যান মিন্টু। ১৯৯৩–৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক হন। আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ–যুবলীগ–ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে, তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেন। ফলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৯৯–২০০০ সালে জেলার সব সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে শ্রমিক লীগ গঠনে উদ্যোগী হন মিন্টু। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগকে সক্রিয় করে তোলেন।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন মিন্টু। ২০০৯ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখান থেকে ভোটার স্থানান্তর করে ২০১০ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।
পৌর মেয়র হওয়ার পর মিন্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতি যেমন প্রভাব–প্রতিপত্তি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে সম্পত্তি। দ্রুতই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এর মধ্যে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন ও সুরাট ইউনিয়নের সঙ্গে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ১১ বছর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকে। সেই সুবাদে টানা এক যুগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী পৌর মেয়র থেকে যান সাইদুল করিম মিন্টু।
বিনা ভোটের দীর্ঘদিন মেয়র থাকাকালে মিন্টু বিভিন্ন সালিস বৈঠকের বিচার, পৌরসভার নানা প্রকল্প, শহরের হাটের দোকান বেচা–কেনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ট–বাজার সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের জায়গা কিনে সেখানে গড়ে তোলেন ৬ তলা বিশিষ্ট মার্কেট। সেটি পরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যায়। পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডুতে রয়েছে তাঁর বাগানবাড়ি। অবশ্য সেখানে কিছু বসার জায়গা এবং একটি টিনশেড ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। সেখান প্রায় এক বছর হলো যান না সাইদুল করিম মিন্টু। বর্তমানে ঠিকাদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় সাইদুল করিম মিন্টু তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে অবশ্য সেই বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের মার্চের দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা সংক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকার দ্বন্দ্বে খুন হন তৎকালীন জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বিশ্বাস। ওই রাতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সকালে চাকলাপাড়া এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৫ সালে ২৫ মার্চ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিন্টু। এরপর থেকে সে পদেই রয়ে গেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মিন্টুর বিরুদ্ধে দুটি মামলার বিচার চলমান। এর মধ্যে একটি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মশক নিধন, গাড়ি মেরামত, রাস্তা পরিষ্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিলের চেকে মূল টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা। জালিয়াতি করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি মামলাটি করে ঝিনাইদহ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। মামলায় সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া সদর থানায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৩০২ ধারায় করা একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। আনারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্যও দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহ–২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফলে নির্বাচনে অনেকটা নীরব ছিলেন।
গত পৌর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ছিল মিন্টুর। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন। সেসময় সরাসরি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না মিন্টু। তবে বিরোধী পক্ষে অবস্থানের কারণে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু বিভক্তিও দেখা দেয়।
বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হন মিন্টু। সেসময় ঝিনাইদহ–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং ঝিনাইদহ–৪ আসনের প্রার্থী আনারের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেন। ঝিনাইদহ–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তবে নির্বাচনের পর আনারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন মিন্টু।
এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাইদুল করিম মিন্টুর কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে সমর্থন করে তিনি তাঁর বিপক্ষে যায়। সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এবং ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এটা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই করে থাকেন। সে সব সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন, সভা–সমাবেশে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। এতে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।’

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুল করিম (মিন্টু)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সাইদুল করিমকে আটকের পর ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বহু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আটক হলেন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁরা বলছেন, তাঁকে ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কিছু বলবেন না।
এদিকে আজ বুধবার ডিবি প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মিন্টু
সাইদুল করিম মিন্টু হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত রুহুল কুদ্দুস ও আঙ্গুরা বেগমের সন্তান। ওই গ্রামেই ১৯৬৪ সালের ২ জুন তাঁর জন্ম। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাসেল ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দিরা সড়কের বিলাসবহুল বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার ও দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করেন।
স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
সাইদুল করিম বর্তমানে চেম্বার অব কমার্স এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে উত্থান যেভাবে
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাইদুল করিম মিন্টুর বাবার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিল না। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হলে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল–জাহাঙ্গীর। সেই গ্রুপের এক নেতা ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। ১৯৮৫ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কমিটিতে সভাপতি হন জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান সাইদুল করিম মিন্টু। এই কমিটির মাধ্যমেই মিন্টু রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
তবে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান গড়তে না পেরে ৮০–এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকায় গিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন।
পরে আবার ঝিনাইদহ ফিরে যান মিন্টু। ১৯৯৩–৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক হন। আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ–যুবলীগ–ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে, তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেন। ফলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৯৯–২০০০ সালে জেলার সব সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে শ্রমিক লীগ গঠনে উদ্যোগী হন মিন্টু। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগকে সক্রিয় করে তোলেন।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন মিন্টু। ২০০৯ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখান থেকে ভোটার স্থানান্তর করে ২০১০ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।
পৌর মেয়র হওয়ার পর মিন্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতি যেমন প্রভাব–প্রতিপত্তি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে সম্পত্তি। দ্রুতই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এর মধ্যে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন ও সুরাট ইউনিয়নের সঙ্গে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ১১ বছর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকে। সেই সুবাদে টানা এক যুগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী পৌর মেয়র থেকে যান সাইদুল করিম মিন্টু।
বিনা ভোটের দীর্ঘদিন মেয়র থাকাকালে মিন্টু বিভিন্ন সালিস বৈঠকের বিচার, পৌরসভার নানা প্রকল্প, শহরের হাটের দোকান বেচা–কেনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ট–বাজার সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের জায়গা কিনে সেখানে গড়ে তোলেন ৬ তলা বিশিষ্ট মার্কেট। সেটি পরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যায়। পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডুতে রয়েছে তাঁর বাগানবাড়ি। অবশ্য সেখানে কিছু বসার জায়গা এবং একটি টিনশেড ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। সেখান প্রায় এক বছর হলো যান না সাইদুল করিম মিন্টু। বর্তমানে ঠিকাদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় সাইদুল করিম মিন্টু তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে অবশ্য সেই বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের মার্চের দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা সংক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকার দ্বন্দ্বে খুন হন তৎকালীন জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বিশ্বাস। ওই রাতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সকালে চাকলাপাড়া এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৫ সালে ২৫ মার্চ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিন্টু। এরপর থেকে সে পদেই রয়ে গেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মিন্টুর বিরুদ্ধে দুটি মামলার বিচার চলমান। এর মধ্যে একটি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মশক নিধন, গাড়ি মেরামত, রাস্তা পরিষ্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিলের চেকে মূল টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা। জালিয়াতি করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি মামলাটি করে ঝিনাইদহ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। মামলায় সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া সদর থানায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৩০২ ধারায় করা একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। আনারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্যও দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহ–২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফলে নির্বাচনে অনেকটা নীরব ছিলেন।
গত পৌর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ছিল মিন্টুর। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন। সেসময় সরাসরি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না মিন্টু। তবে বিরোধী পক্ষে অবস্থানের কারণে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু বিভক্তিও দেখা দেয়।
বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হন মিন্টু। সেসময় ঝিনাইদহ–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং ঝিনাইদহ–৪ আসনের প্রার্থী আনারের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেন। ঝিনাইদহ–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তবে নির্বাচনের পর আনারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন মিন্টু।
এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাইদুল করিম মিন্টুর কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে সমর্থন করে তিনি তাঁর বিপক্ষে যায়। সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এবং ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এটা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই করে থাকেন। সে সব সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন, সভা–সমাবেশে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। এতে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।’

কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান।
৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন।
৩২ মিনিট আগেআগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান। একই সঙ্গে হাঁসটি যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই এনজিও কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের নারী হাফিজা। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য তিনি। এনজিওটি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস নিয়ে যান এনজিওর কর্মী ফিরোজ খাঁন। হাফিজার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত। এটি নিয়ে ‘শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে এনজিওটির কর্মকর্তারা।
টিএমএসএস এনজিওর বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চারজন কর্মকর্তা তদন্তের জন্য হাফিজার বাড়িতে আসেন। তাঁরা হাফিজা খানম, তাঁর স্বামী মুরাদ হোসেন ও স্থানীয়দের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
হাঁসটি ফেরত পেয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমার মেয়ের শখের হাঁসটি ফেরত পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’
এ ব্যাপারে টিএমএসএসের এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হাঁসটি আজ দুপুরে ফেরত দিয়েছি। মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান। একই সঙ্গে হাঁসটি যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই এনজিও কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের নারী হাফিজা। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য তিনি। এনজিওটি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস নিয়ে যান এনজিওর কর্মী ফিরোজ খাঁন। হাফিজার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত। এটি নিয়ে ‘শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে এনজিওটির কর্মকর্তারা।
টিএমএসএস এনজিওর বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চারজন কর্মকর্তা তদন্তের জন্য হাফিজার বাড়িতে আসেন। তাঁরা হাফিজা খানম, তাঁর স্বামী মুরাদ হোসেন ও স্থানীয়দের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
হাঁসটি ফেরত পেয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমার মেয়ের শখের হাঁসটি ফেরত পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’
এ ব্যাপারে টিএমএসএসের এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হাঁসটি আজ দুপুরে ফেরত দিয়েছি। মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন।
৩২ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকেয়া আক্তার (৪৫) উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, রোকেয়া আক্তার তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রথমে তিনি মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাসে করে কলমাকান্দা সদরে পৌঁছান।
পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে কলমাকান্দা বাজারের রেন্টিতলা মোড় থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চড়ে রামনাথপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে রোকেয়া আক্তার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় চাপা পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকেয়া আক্তার (৪৫) উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, রোকেয়া আক্তার তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রথমে তিনি মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাসে করে কলমাকান্দা সদরে পৌঁছান।
পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে কলমাকান্দা বাজারের রেন্টিতলা মোড় থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চড়ে রামনাথপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে রোকেয়া আক্তার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় চাপা পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন।
৩২ মিনিট আগেশ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা-পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত তাহসিন ইসলাম তপুর চাচা মো. মেহেদী হাসান শুক্রবার বিকেলে ডেমরা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম কুমিল্লার মেঘনা থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আবেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিল আর কে মিশন রোড ৯৭/২ গোপীবাগের বাসিন্দা তিনি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ধার্মিকপাড়া এলাকার মিনি কক্সবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন আইইউবির শিক্ষার্থী তাহসিন ইসলাম তপু (২২) চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ছোট কিনাচর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। অপরজন ইউআইইউর শিক্ষার্থী গাজী ইরাম রিদওয়ান (২৪) নারায়ণগঞ্জের সদর থানার মিজমিজি খদ্দঘোষপাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের জিএম হাবিব উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ডিএসসিসির ময়লাবাহী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-০৫৭৪) বেপরোয়া গতিতে চালালে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের সঙ্গের বন্ধুরা উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহসিন ইসলাম তপুকে প্রথমে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গাজী ইরাম রিদওয়ানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টায় মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ময়লাবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পরে মামলা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে আদালত তাকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা-পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত তাহসিন ইসলাম তপুর চাচা মো. মেহেদী হাসান শুক্রবার বিকেলে ডেমরা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম কুমিল্লার মেঘনা থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আবেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিল আর কে মিশন রোড ৯৭/২ গোপীবাগের বাসিন্দা তিনি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ধার্মিকপাড়া এলাকার মিনি কক্সবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন আইইউবির শিক্ষার্থী তাহসিন ইসলাম তপু (২২) চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ছোট কিনাচর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। অপরজন ইউআইইউর শিক্ষার্থী গাজী ইরাম রিদওয়ান (২৪) নারায়ণগঞ্জের সদর থানার মিজমিজি খদ্দঘোষপাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের জিএম হাবিব উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ডিএসসিসির ময়লাবাহী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-০৫৭৪) বেপরোয়া গতিতে চালালে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের সঙ্গের বন্ধুরা উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহসিন ইসলাম তপুকে প্রথমে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গাজী ইরাম রিদওয়ানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টায় মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ময়লাবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পরে মামলা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে আদালত তাকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান।
৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়।
১০ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন।
৩২ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন। ওই পোস্টে সম্মতি জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।
ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আসাদুল্লা-হিল-গালিব লেখেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’
পোস্টে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘ছোটভাই, প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা। তা নাহলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’
ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। মন্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু লেখেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোস্টটি আমি এখনো দেখি নাই। তবে একজনের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেজ থেকে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের পোস্ট করে বলা হয়—নেক্সট টার্গেট আমি। এগুলো আমার কাছে খুব একটা কনসার্নের বিষয় না।’
আম্মার বলেন, ‘আল্লাহর দেওয়া জান আল্লাহই নিয়ে যাবেন। এ জন্য আমি ঘর থেকে বের হবো না বা প্রোটোকল বাড়াবো, এমন কিছু না। আমি এ ধরনের হুমকিতে ন্যূনতম ভীত-সন্ত্রস্ত নই। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই।’
গালিবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও তার কোনো পাওয়ার ছিল না। এরকম একজনের পোস্টকে গুরুত্ব দেওয়া মানেই তাকে গুরুত্ব দেওয়া। তাই এসব হুমকিতে ভীত হওয়াটা আমার জন্য সময়ের অপচয়।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন। ওই পোস্টে সম্মতি জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।
ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আসাদুল্লা-হিল-গালিব লেখেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’
পোস্টে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘ছোটভাই, প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা। তা নাহলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’
ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। মন্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু লেখেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোস্টটি আমি এখনো দেখি নাই। তবে একজনের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেজ থেকে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের পোস্ট করে বলা হয়—নেক্সট টার্গেট আমি। এগুলো আমার কাছে খুব একটা কনসার্নের বিষয় না।’
আম্মার বলেন, ‘আল্লাহর দেওয়া জান আল্লাহই নিয়ে যাবেন। এ জন্য আমি ঘর থেকে বের হবো না বা প্রোটোকল বাড়াবো, এমন কিছু না। আমি এ ধরনের হুমকিতে ন্যূনতম ভীত-সন্ত্রস্ত নই। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই।’
গালিবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও তার কোনো পাওয়ার ছিল না। এরকম একজনের পোস্টকে গুরুত্ব দেওয়া মানেই তাকে গুরুত্ব দেওয়া। তাই এসব হুমকিতে ভীত হওয়াটা আমার জন্য সময়ের অপচয়।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান।
৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে