Ajker Patrika

খুবির হলগুলোতে আবাসনের তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রুবায়েত হোসেন, খুবি 
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ৪২
খুবির হলগুলোতে আবাসনের তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শিক্ষার্থীর তুলনায় হলের সংখ্যা কম হওয়ায় আবাসনের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। কিন্তু সে তুলনায় হল রয়েছে মাত্র পাঁচটি এবং আবাসনের সুবিধা পাচ্ছেন কেবল ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলে থাকছেন মোট ২ হাজার ৪৭০ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যে পরিমাণ নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, তার তুলনায় পর্যাপ্ত আবাসনব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থী ভর্তির সঙ্গে তাঁদের আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না করায় সংকট চরমে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিও বেড়েছে। আবাসনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচের বাইরেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ভাড়াবাড়ি ও মেসে থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প আসনের হলগুলোতে রয়েছে নানান সমস্যা। হলে সহজে সিট পাওয়া যায় না। প্রথম বর্ষে সিট পেলেও অনেককে গণরুমে থাকতে হচ্ছে। আর স্নাতকোত্তরের হলে সিট পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবাসনসংকটের কারণে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের আশপাশে মেস কিংবা বাসা ভাড়া করে থাকছেন। আবাসনের এই সংকটকের সুযোগ নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকাগুলোতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে মেস ও ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার রমরমা ব্যবসা। এসব মেস ও বাসায় প্রতিনিয়ত লোডশেডিং, বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং স্যানিটেশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষার্থীরা।

হল রোড হিসেবে পরিচিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা ইসলামনগর। ওই এলাকার অন্তত ১০টি ছাত্রাবাসে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তিন বছর আগে সেখানে ২ হাজার টাকায় ছোট কক্ষ পাওয়া যেত। কিন্তু বছরের ব্যবধানে সেই সব কক্ষের ভাড়া এখন ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া মোহাম্মদনগর ও আহসানিয়া আবাসিক এলাকায় দুই থেকে তিন রুমের ফ্ল্যাটের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলে ৪০৪ জন আবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই হলের ক্যানটিনের খাবারের মান সন্তোষজনক নয়। শৌচাগারগুলো দীর্ঘদিনের পুরোনো হওয়ায় বেশির ভাগ সময়ই অপরিষ্কার থাকে। 

খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলে মোট আসনসংখ্যা ৩৮৪। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রুবায়েত ইসলাম জানান, ডাইনিংয়ে আগস্ট মাসজুড়ে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতের খাবারে দেওয়া হয় কেবল দুই পদের সবজি, মুরগির গলা ও চামড়া। ডালের মানও খারাপ এবং পানির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও কোনো লাভ হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসনসংখ্যা ৫৭৬। হলের ক্যানটিনের খাবারের মান নিয়ে তেমন অভিযোগ না থাকলেও সিট পেতে দৌড়ঝাঁপ করতে হয় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বজলুল করিম বাপ্পি বলেন, ‘যেভাবে বাসাভাড়া ও খাবারের দাম বেড়েছে, এভাবে কত দিন চালিয়ে যেতে পারব তা জানি না।’ 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন অরিত্র দাস বিষ্ণু। তিনি জানান, মেধার ভিত্তিতে সিট প্রদানের কথা থাকলেও স্নাতকোত্তরে ভর্তি হওয়ার সাত মাসেও তাঁকে সিট বরাদ্দ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হল প্রশাসন। তাঁর মতো বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ভুক্তভোগী। 

অন্যদিকে, মেয়েদের অপরাজিতা হলে মোট আসন ৫৭৬টি। এ ছাড়া আছে সাতটি গণরুম। এসব রুমের ৪৮টি বেডে বর্তমানে ৬০ জন মেয়েকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা যে কজন প্রথম বর্ষেই সিট পান, তাঁদের প্রথম ছয় থেকে আট মাস গণরুমে থাকতে হয়। তাঁদের হলের খাবার ও পানি মানসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তা ছাড়া কোনো রিডিং রুম না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সিট ৪৩২টি। গণরুমে থাকেন ৫০ জন। এই হলেও প্রথম বর্ষেই অনেক শিক্ষার্থীকে গণরুমে থাকতে হয়। 

এ বিষয়ে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বাড়ি ও মেসের ভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। খরচ জোগাতে গিয়ে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়া মেসের খাবারের মানও তেমন ভালো নয়।

হলের প্রাধ্যক্ষ (প্রভোস্ট) অধ্যাপক মোছা সাবিহা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমি কাজ করব।’ 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘ছাত্রদের জন্য নতুন একটি ১০ তলা হল নির্মাণের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে উপাচার্যের প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী সম্মতি প্রকাশ করেছেন। হলটি নির্মাণ করা গেলে অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে ভাতিজি খুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরীর নাম লামিয়া আক্তার (১৪)। সে উত্তর চরাইল হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ফারুক খানের সৎকন্যা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পকেট থেকে ১৭০ টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে লামিয়ার মা লিলি বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি লিলি বেগমকে মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লামিয়াও মারধরের শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে স্বজনেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে লামিয়া আক্তার মারা যায়। আহত লিলি বেগম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছের রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার অভাব পূরণ হতে বেশ সময় লাগবে: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।

আজ বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে কাদের সিদ্দিকী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের মহীয়সী নারী। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত। অসংখ্য মানুষ ব্যথিত–মর্মাহত। মানুষের জন্ম হলে মৃত্যু হবে। এই মৃত্যু সম্মানের মৃত্যু।

‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তাঁকে যেন আল্লাহ বেহেশতবাসী করেন। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিক। তাঁর অভাব এ দেশকে পূরণ করতে বেশ সময় লাগবে।’

অতীতের স্মৃতিচারণ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ আমাদের আবার স্মৃতি। জিয়াউর রহমান যখন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আমিও ছিলাম। বারবার কথা হয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে তাঁর বাড়িতে।

‘জিয়াউর রহমান যখন ডেপুটি সেনাপ্রধান, অনেকবার তাঁদের বাড়িতে গেছি। আমার বাড়িতে গেছে। আমার বাড়িতে এমন কোনো প্রোগ্রাম ছিল না যেখানে জিয়াউর রহমান অংশগ্রহণ করেন নাই। আজ আমি খালেদা জিয়ার জানাজায় আসতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিমলায় বুড়ি তিস্তা খনন নিয়ে সংঘর্ষ, আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালিয়েছে।

ডিমলার কুটির ডাংগা ও জলঢাকার বড়পুল এলাকায় বুধবার বিকেলে পাউবো জলাধার খনন শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও ক্ষুব্ধ জনতা আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো ধরনের জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে খননকাজ শুরু করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে। পাশাপাশি বিস্তীর্ণ আবাদি জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের জমি নেওয়ার কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ মেশিন এনে জমি খনন করছে। আমরা কোথায় যাব?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, দেশে রাষ্ট্রীয় শোক চলমান থাকায় আগামী তিন দিনের জন্য খননকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কেন কাজ শুরু হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’

সংঘর্ষের পর এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার ফোন ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালরের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

নিহত ছাত্রীর নাম লামিসা নওরিন পুষ্পিতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে আশপাশের রুমের ছাত্রীরা তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে রামেক হাসপাতালে পাঠালে কিছু সময় পর তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। একটি আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। মতিহার থানার ওসি আমাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছি। তাঁর অভিভাবক আসার পর আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত