যশোর প্রতিনিধি

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাধিকবার দুই উপজেলার ওই দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আজ সোমবার ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং দুই প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।
দুই প্রার্থী হলেন—মনিরামপুর উপজেলার সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তী ও বাঘারপাড়ার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা। গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি। আর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে প্রচারণা চালান বাঘারপাড়া-অভয়নগর আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়।
বাঘারপাড়া ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন ও মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে ভোটারদের হোটেলে নিয়ে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন যশোর–৪ আসনের সংসদ সদস্য (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) রণজিৎ কুমার রায়। তিনি সন্ধ্যায় বাঘারপাড়ার অর্ধশত ভোটারকে শহরের অভিজাত ওরিয়ন হোটেলে নিয়ে আপ্যায়ন ও রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন। আজ সকালে তাঁরা হোটেল থেকে বাঘারপাড়ায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন। রাতেই বাঘারপাড়ার ভোট স্থগিতের আবেদন করেন সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন। তিনি নির্বাচনে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেলটিতে গেলে ৮ তলার ৭ নম্বর কক্ষে সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় সমর্থিত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে বৈঠক চলতে দেখা যায়। হোটেলের নিচে এমপি ও পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুর গাড়ি পার্ক করা দেখা গেছে। এমপি রণজিৎ কুমার রায় দাওয়াত দিয়ে এনেছেন—সে কথা স্বীকারও করেছেন একাধিক ভোটার।
ওই সময় বাঘারপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর তাসলিমা খাতুন জানিয়েছিলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঘারপাড়ার মোট ভোটার ১৩৩ জন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি সদস্য হোটেল ওরিয়নে এসেছেন। এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁর সদস্য প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করার জন্য বলেছেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা বিজয়ী ঘোষিত হলে আজ বিকেলে যশোর সার্কিট হাউসে এমপি রণজিৎ রায়কে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আপ্যায়িত হওয়া ভোটারেরা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমালোচনা করছেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।
পরাজিত সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন বলেছেন, ‘হোটেল ওরিয়ন থেকে ভোটার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোরাব মোল্লা তাঁকে ফোনে বলেছেন, এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁদের যশোরের হোটেলে এনে রেখেছেন। তাঁদের সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করতে বলছেন। ভোট বাতিলের দাবিতে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করেছেন।’
গতকাল রাতে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি রণজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘আমি কাউকে ডেকে আনিনি। কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনও করেনি। ভোটারেরা কী জন্য হোটেলে এসেছেন তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।’
অপরদিকে, গত ৮ অক্টোবর মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে যশোর সার্কিট হাউসে ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর আপন মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মিলন ওই দিনই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য গৌতম চক্রবর্তীর হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে ভোটারদের নগদ টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ শহিদুল ইসলামের।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আরেক প্রার্থীর এসব অভিযোগ করেছেন। ভাগনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। জনপ্রিয়তার কারণেই সে বিজয়ী হয়েছে।’
এ ছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলা আসন থেকে সদস্য পদে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইমামুল হাবিব জগলুও উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম বাপ্পীর হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ভোট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোটারদের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইমামুল হাবিব।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যার পক্ষে লড়েছিলেন সেই রফিকুল ইসলাম বাপ্পীও বিজয়ী হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে সমস্ত অভিযোগগুলো রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখেছি। সবগুলো পরীক্ষা করেছি। তথ্যভিত্তিক ভাবে প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, আজ যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানের একটি, ৮টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডসহ মোট ১২টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে দুইজনসহ মোট ৫১ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। জেলার ৮টি কেন্দ্রে ১৬টি ভোট কক্ষে এক হাজার ৩১৮ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাধিকবার দুই উপজেলার ওই দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আজ সোমবার ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং দুই প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।
দুই প্রার্থী হলেন—মনিরামপুর উপজেলার সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তী ও বাঘারপাড়ার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা। গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি। আর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে প্রচারণা চালান বাঘারপাড়া-অভয়নগর আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়।
বাঘারপাড়া ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন ও মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে ভোটারদের হোটেলে নিয়ে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন যশোর–৪ আসনের সংসদ সদস্য (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) রণজিৎ কুমার রায়। তিনি সন্ধ্যায় বাঘারপাড়ার অর্ধশত ভোটারকে শহরের অভিজাত ওরিয়ন হোটেলে নিয়ে আপ্যায়ন ও রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন। আজ সকালে তাঁরা হোটেল থেকে বাঘারপাড়ায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন। রাতেই বাঘারপাড়ার ভোট স্থগিতের আবেদন করেন সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন। তিনি নির্বাচনে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেলটিতে গেলে ৮ তলার ৭ নম্বর কক্ষে সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় সমর্থিত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে বৈঠক চলতে দেখা যায়। হোটেলের নিচে এমপি ও পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুর গাড়ি পার্ক করা দেখা গেছে। এমপি রণজিৎ কুমার রায় দাওয়াত দিয়ে এনেছেন—সে কথা স্বীকারও করেছেন একাধিক ভোটার।
ওই সময় বাঘারপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর তাসলিমা খাতুন জানিয়েছিলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঘারপাড়ার মোট ভোটার ১৩৩ জন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি সদস্য হোটেল ওরিয়নে এসেছেন। এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁর সদস্য প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করার জন্য বলেছেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা বিজয়ী ঘোষিত হলে আজ বিকেলে যশোর সার্কিট হাউসে এমপি রণজিৎ রায়কে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আপ্যায়িত হওয়া ভোটারেরা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমালোচনা করছেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।
পরাজিত সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন বলেছেন, ‘হোটেল ওরিয়ন থেকে ভোটার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোরাব মোল্লা তাঁকে ফোনে বলেছেন, এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁদের যশোরের হোটেলে এনে রেখেছেন। তাঁদের সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করতে বলছেন। ভোট বাতিলের দাবিতে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করেছেন।’
গতকাল রাতে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি রণজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘আমি কাউকে ডেকে আনিনি। কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনও করেনি। ভোটারেরা কী জন্য হোটেলে এসেছেন তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।’
অপরদিকে, গত ৮ অক্টোবর মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে যশোর সার্কিট হাউসে ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর আপন মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মিলন ওই দিনই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য গৌতম চক্রবর্তীর হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে ভোটারদের নগদ টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ শহিদুল ইসলামের।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আরেক প্রার্থীর এসব অভিযোগ করেছেন। ভাগনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। জনপ্রিয়তার কারণেই সে বিজয়ী হয়েছে।’
এ ছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলা আসন থেকে সদস্য পদে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইমামুল হাবিব জগলুও উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম বাপ্পীর হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ভোট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোটারদের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইমামুল হাবিব।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যার পক্ষে লড়েছিলেন সেই রফিকুল ইসলাম বাপ্পীও বিজয়ী হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে সমস্ত অভিযোগগুলো রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখেছি। সবগুলো পরীক্ষা করেছি। তথ্যভিত্তিক ভাবে প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, আজ যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানের একটি, ৮টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডসহ মোট ১২টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে দুইজনসহ মোট ৫১ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। জেলার ৮টি কেন্দ্রে ১৬টি ভোট কক্ষে এক হাজার ৩১৮ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
যশোর প্রতিনিধি

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাধিকবার দুই উপজেলার ওই দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আজ সোমবার ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং দুই প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।
দুই প্রার্থী হলেন—মনিরামপুর উপজেলার সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তী ও বাঘারপাড়ার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা। গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি। আর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে প্রচারণা চালান বাঘারপাড়া-অভয়নগর আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়।
বাঘারপাড়া ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন ও মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে ভোটারদের হোটেলে নিয়ে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন যশোর–৪ আসনের সংসদ সদস্য (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) রণজিৎ কুমার রায়। তিনি সন্ধ্যায় বাঘারপাড়ার অর্ধশত ভোটারকে শহরের অভিজাত ওরিয়ন হোটেলে নিয়ে আপ্যায়ন ও রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন। আজ সকালে তাঁরা হোটেল থেকে বাঘারপাড়ায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন। রাতেই বাঘারপাড়ার ভোট স্থগিতের আবেদন করেন সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন। তিনি নির্বাচনে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেলটিতে গেলে ৮ তলার ৭ নম্বর কক্ষে সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় সমর্থিত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে বৈঠক চলতে দেখা যায়। হোটেলের নিচে এমপি ও পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুর গাড়ি পার্ক করা দেখা গেছে। এমপি রণজিৎ কুমার রায় দাওয়াত দিয়ে এনেছেন—সে কথা স্বীকারও করেছেন একাধিক ভোটার।
ওই সময় বাঘারপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর তাসলিমা খাতুন জানিয়েছিলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঘারপাড়ার মোট ভোটার ১৩৩ জন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি সদস্য হোটেল ওরিয়নে এসেছেন। এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁর সদস্য প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করার জন্য বলেছেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা বিজয়ী ঘোষিত হলে আজ বিকেলে যশোর সার্কিট হাউসে এমপি রণজিৎ রায়কে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আপ্যায়িত হওয়া ভোটারেরা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমালোচনা করছেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।
পরাজিত সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন বলেছেন, ‘হোটেল ওরিয়ন থেকে ভোটার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোরাব মোল্লা তাঁকে ফোনে বলেছেন, এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁদের যশোরের হোটেলে এনে রেখেছেন। তাঁদের সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করতে বলছেন। ভোট বাতিলের দাবিতে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করেছেন।’
গতকাল রাতে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি রণজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘আমি কাউকে ডেকে আনিনি। কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনও করেনি। ভোটারেরা কী জন্য হোটেলে এসেছেন তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।’
অপরদিকে, গত ৮ অক্টোবর মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে যশোর সার্কিট হাউসে ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর আপন মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মিলন ওই দিনই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য গৌতম চক্রবর্তীর হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে ভোটারদের নগদ টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ শহিদুল ইসলামের।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আরেক প্রার্থীর এসব অভিযোগ করেছেন। ভাগনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। জনপ্রিয়তার কারণেই সে বিজয়ী হয়েছে।’
এ ছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলা আসন থেকে সদস্য পদে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইমামুল হাবিব জগলুও উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম বাপ্পীর হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ভোট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোটারদের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইমামুল হাবিব।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যার পক্ষে লড়েছিলেন সেই রফিকুল ইসলাম বাপ্পীও বিজয়ী হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে সমস্ত অভিযোগগুলো রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখেছি। সবগুলো পরীক্ষা করেছি। তথ্যভিত্তিক ভাবে প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, আজ যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানের একটি, ৮টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডসহ মোট ১২টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে দুইজনসহ মোট ৫১ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। জেলার ৮টি কেন্দ্রে ১৬টি ভোট কক্ষে এক হাজার ৩১৮ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাধিকবার দুই উপজেলার ওই দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই আজ সোমবার ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং দুই প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।
দুই প্রার্থী হলেন—মনিরামপুর উপজেলার সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তী ও বাঘারপাড়ার সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা। গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি। আর সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে প্রচারণা চালান বাঘারপাড়া-অভয়নগর আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়।
বাঘারপাড়া ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন ও মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে ভোটারদের হোটেলে নিয়ে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন যশোর–৪ আসনের সংসদ সদস্য (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) রণজিৎ কুমার রায়। তিনি সন্ধ্যায় বাঘারপাড়ার অর্ধশত ভোটারকে শহরের অভিজাত ওরিয়ন হোটেলে নিয়ে আপ্যায়ন ও রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন। আজ সকালে তাঁরা হোটেল থেকে বাঘারপাড়ায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন। রাতেই বাঘারপাড়ার ভোট স্থগিতের আবেদন করেন সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন। তিনি নির্বাচনে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেলটিতে গেলে ৮ তলার ৭ নম্বর কক্ষে সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় সমর্থিত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে বৈঠক চলতে দেখা যায়। হোটেলের নিচে এমপি ও পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুর গাড়ি পার্ক করা দেখা গেছে। এমপি রণজিৎ কুমার রায় দাওয়াত দিয়ে এনেছেন—সে কথা স্বীকারও করেছেন একাধিক ভোটার।
ওই সময় বাঘারপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর তাসলিমা খাতুন জানিয়েছিলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঘারপাড়ার মোট ভোটার ১৩৩ জন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি সদস্য হোটেল ওরিয়নে এসেছেন। এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁর সদস্য প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করার জন্য বলেছেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা বিজয়ী ঘোষিত হলে আজ বিকেলে যশোর সার্কিট হাউসে এমপি রণজিৎ রায়কে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আপ্যায়িত হওয়া ভোটারেরা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমালোচনা করছেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।
পরাজিত সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন বলেছেন, ‘হোটেল ওরিয়ন থেকে ভোটার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোরাব মোল্লা তাঁকে ফোনে বলেছেন, এমপি রণজিৎ কুমার রায় তাঁদের যশোরের হোটেলে এনে রেখেছেন। তাঁদের সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করতে বলছেন। ভোট বাতিলের দাবিতে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করেছেন।’
গতকাল রাতে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি রণজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘আমি কাউকে ডেকে আনিনি। কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনও করেনি। ভোটারেরা কী জন্য হোটেলে এসেছেন তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।’
অপরদিকে, গত ৮ অক্টোবর মনিরামপুর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে যশোর সার্কিট হাউসে ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাঁর আপন মামা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মিলন ওই দিনই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য গৌতম চক্রবর্তীর হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে ভোটারদের নগদ টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ শহিদুল ইসলামের।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আরেক প্রার্থীর এসব অভিযোগ করেছেন। ভাগনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। জনপ্রিয়তার কারণেই সে বিজয়ী হয়েছে।’
এ ছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলা আসন থেকে সদস্য পদে তালা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইমামুল হাবিব জগলুও উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম বাপ্পীর হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ভোট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোটারদের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইমামুল হাবিব।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যার পক্ষে লড়েছিলেন সেই রফিকুল ইসলাম বাপ্পীও বিজয়ী হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে সমস্ত অভিযোগগুলো রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখেছি। সবগুলো পরীক্ষা করেছি। তথ্যভিত্তিক ভাবে প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, আজ যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানের একটি, ৮টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডসহ মোট ১২টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে দুইজনসহ মোট ৫১ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। জেলার ৮টি কেন্দ্রে ১৬টি ভোট কক্ষে এক হাজার ৩১৮ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১২ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৬ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৯ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেফটিকছড়ি সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে...
১৭ অক্টোবর ২০২২
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৬ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৯ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে...
১৭ অক্টোবর ২০২২
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১২ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৯ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেবাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে...
১৭ অক্টোবর ২০২২
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১২ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৬ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা প্রতিমন্ত্রী ও এমপির সেই দুই সদস্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে...
১৭ অক্টোবর ২০২২
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
১২ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১৬ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
১৯ মিনিট আগে