আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর, সাহেবগঞ্জ মেরী, ফকিরগঞ্জ নরেঙ্গবাদ, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, ফুলহার, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর বড়দহ ব্রিজ এলাকা এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ট্রলার ও ট্রাক্টরে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। নদীর পাড়জুড়ে প্রতিদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদী চরে ফসলি জমিও হারিয়ে যাচ্ছে। মাটি বহনের ভারী যানবাহনের কারণে নদীপাড়ের সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালালেও মাটিখেকোদের সঙ্গে আঁতাত করে থাকে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। মাটি পরিবহনের পথে বাধা দিলে সাধারণ মানুষকে হামলা ও হেনস্তার শিকার হতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ডাম্পট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে পাকা সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমেছে ধুলোর স্তর। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।
এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে নদীর গতিপ্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। নদীর বাঁধের ওপর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কেটে বানানো হয়েছে গাড়ি ওঠানামার রাস্তা। ফলে নদীর চরাঞ্চল ও ফসলি জমি ডোবায় পরিণত হচ্ছে।
চক রহিমাপুরের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম প্রিন্স বলেন, ‘প্রতিদিন ট্রাক্টরভর্তি মাটি যায়। স্কুলে যেতে ভয় লাগে—কখন ধাক্কা দিয়ে যায় কে জানে।’ অভিভাবক সুজা মিয়া বলেন, ‘সন্তানদের একা স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে।’ চক রহিমাপুরের মাটি ব্যবসায়ী মো. এনামুল বলেন, ‘প্রশাসন কখনো আসে না। সাংবাদিকেরা ফোন করলে তবেই তারা আসে।’ ফকিরগঞ্জের মাটি ব্যবসায়ী মাহবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জমি নদীর মধ্যে। সেখান থেকে মাটি কেটে বিক্রি করি।’
অভিযোগ উঠেছে, মাটিখেকোদের পরামর্শ দিয়ে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) তাঁদের কাছে পুকুর বা জলাশয় খননের আবেদন করতে বলেন। এ সুযোগে নদীর চর ও আশপাশের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটা ও নির্মাণকাজে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মতিন মোল্লা বলেন, ‘প্রশাসনের নীরবতায় মাটি ব্যবসা দিনের পর দিন চলছে। গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হচ্ছে। অবৈধভাবে মাটি পরিবহন বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘প্রথমবার আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারপরও বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করব।’ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘সাংবাদিকের কাজ রিপোর্ট করা। আপনারা নিউজ করেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর, সাহেবগঞ্জ মেরী, ফকিরগঞ্জ নরেঙ্গবাদ, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, ফুলহার, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর বড়দহ ব্রিজ এলাকা এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ট্রলার ও ট্রাক্টরে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। নদীর পাড়জুড়ে প্রতিদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদী চরে ফসলি জমিও হারিয়ে যাচ্ছে। মাটি বহনের ভারী যানবাহনের কারণে নদীপাড়ের সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালালেও মাটিখেকোদের সঙ্গে আঁতাত করে থাকে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। মাটি পরিবহনের পথে বাধা দিলে সাধারণ মানুষকে হামলা ও হেনস্তার শিকার হতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ডাম্পট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে পাকা সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমেছে ধুলোর স্তর। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।
এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে নদীর গতিপ্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। নদীর বাঁধের ওপর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কেটে বানানো হয়েছে গাড়ি ওঠানামার রাস্তা। ফলে নদীর চরাঞ্চল ও ফসলি জমি ডোবায় পরিণত হচ্ছে।
চক রহিমাপুরের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম প্রিন্স বলেন, ‘প্রতিদিন ট্রাক্টরভর্তি মাটি যায়। স্কুলে যেতে ভয় লাগে—কখন ধাক্কা দিয়ে যায় কে জানে।’ অভিভাবক সুজা মিয়া বলেন, ‘সন্তানদের একা স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে।’ চক রহিমাপুরের মাটি ব্যবসায়ী মো. এনামুল বলেন, ‘প্রশাসন কখনো আসে না। সাংবাদিকেরা ফোন করলে তবেই তারা আসে।’ ফকিরগঞ্জের মাটি ব্যবসায়ী মাহবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জমি নদীর মধ্যে। সেখান থেকে মাটি কেটে বিক্রি করি।’
অভিযোগ উঠেছে, মাটিখেকোদের পরামর্শ দিয়ে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) তাঁদের কাছে পুকুর বা জলাশয় খননের আবেদন করতে বলেন। এ সুযোগে নদীর চর ও আশপাশের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটা ও নির্মাণকাজে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মতিন মোল্লা বলেন, ‘প্রশাসনের নীরবতায় মাটি ব্যবসা দিনের পর দিন চলছে। গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হচ্ছে। অবৈধভাবে মাটি পরিবহন বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘প্রথমবার আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারপরও বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করব।’ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘সাংবাদিকের কাজ রিপোর্ট করা। আপনারা নিউজ করেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিবার বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে বলিকে হত্যা করেছে।
নিহত বলি চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি প্রশাসনের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব জানান, আজ সকালে তাঁর ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চৌমুহনী বাজারের উদ্দেশে বের হয়। পথে উপজেলার মনতাজ স্যারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে বলি ও তাঁর লোকজন মিজানকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে বলিকে আটক করে গণপিটুনি দিলে তিনি মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং নিহত বলির আড্ডাখানায় হামলা চালায়।
এদিকে নিহতের বড় বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে বলি তাঁর (শাহনাজ) মেয়েকে দেখতে তাঁদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আবার নিজের বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ১৫-২০ জন কিশোর গ্যাং সদস্য তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি দাবি করেন, পূর্বশত্রুতার জেরে বলিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ নিহত বলির বিরুদ্ধে পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। এলাকায় তাঁর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে লোকজন তাঁকে গণপিটুনি দেয়। লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিবার বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে বলিকে হত্যা করেছে।
নিহত বলি চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি প্রশাসনের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব জানান, আজ সকালে তাঁর ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চৌমুহনী বাজারের উদ্দেশে বের হয়। পথে উপজেলার মনতাজ স্যারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে বলি ও তাঁর লোকজন মিজানকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে বলিকে আটক করে গণপিটুনি দিলে তিনি মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং নিহত বলির আড্ডাখানায় হামলা চালায়।
এদিকে নিহতের বড় বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে বলি তাঁর (শাহনাজ) মেয়েকে দেখতে তাঁদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আবার নিজের বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ১৫-২০ জন কিশোর গ্যাং সদস্য তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি দাবি করেন, পূর্বশত্রুতার জেরে বলিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ নিহত বলির বিরুদ্ধে পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। এলাকায় তাঁর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে লোকজন তাঁকে গণপিটুনি দেয়। লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
২৫ মে ২০২৫
যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেটুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শংকর সাহা নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।
অভিযুক্ত শংকর সাহা গোপালগঞ্জে জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ভুক্তভোগী যুবক হলেন উপজেলার দক্ষিণ কুশলী গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে আরিফুল শেখ (২৫)। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরসহ কয়েকটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন চাকরির জন্য আরিফুল স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এক দিন পর নগদ দুই লাখ টাকা দুজন সাক্ষীর মাধ্যমে গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর নিয়োগটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর আরিফুল টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে নিয়োগের আশ্বাস দিতে থাকেন প্রধান শিক্ষক। কয়েক মাস পর প্রধান শিক্ষক শংকর সাহাকে টাকার জন্য চাপ দিলে তৎকালীন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপুকে দিয়ে হেনস্তা করানোর ভয় দেখান। আর এখন টাকা ফেরত চাইলে বর্তমান সভাপতি টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে হেনস্তা করানোর ভয় দেখান।
ভুক্তভোগী আরিফুল শেখ বলেন, ‘২০২৩ সালে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চান। পরে স্থানীয় দুজন সাক্ষীর মাধ্যমে দুই লাখ টাকা নেন শংকর সাহা। কিন্তু নিয়োগ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তৎকালীন সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপুর ভয় দেখাত। আর এখন বর্তমান সভাপতি এসি ল্যান্ড স্যারের ভয় দেখায়। টাকা ফেরতসহ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক শংকর কর সাহার অপসারণ দাবি করি।’
দুই লাখ টাকা দেওয়ার সাক্ষী স্থানীয় মুরব্বি ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আরিফুলের চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার কথা হয়। তখন আরিফুলের পরিবার আমি ও আরেক মুরব্বি হাফিজ শিকদারের উপস্থিতিতে শংকর সাহাকে নগদ দুই লাখ টাকা দেয়। নিয়োগ স্থগিতের পর টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন আরিফুলকে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও প্রধান শিক্ষক তাতে সাড়া দেননি। আর তিনি টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করছেন। এখন টাকা ফেরত চাইলে প্রশাসন দিয়ে হেনস্তা করাসহ নানা রকম হুমকি দেয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর সাহা চাকরির জন্য ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আরিফুল আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল, সেইভাবে ওকে চিনি। কিন্তু চাকরির কথা বলে ওর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি সময় না দেওয়ায় তিনবার চেষ্টা করেও নিয়োগটি সম্পন্ন করতে পারিনি। আর কাউকে কোনো ভয় দেখাইনি।’
টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল-আমিন হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। যদি প্রধান শিক্ষক কাউকে প্রশাসনিক ভয় দেখিয়ে থাকে, তাহলে সেটাও অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শংকর সাহা নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।
অভিযুক্ত শংকর সাহা গোপালগঞ্জে জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ভুক্তভোগী যুবক হলেন উপজেলার দক্ষিণ কুশলী গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে আরিফুল শেখ (২৫)। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরসহ কয়েকটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন চাকরির জন্য আরিফুল স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এক দিন পর নগদ দুই লাখ টাকা দুজন সাক্ষীর মাধ্যমে গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর নিয়োগটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর আরিফুল টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে নিয়োগের আশ্বাস দিতে থাকেন প্রধান শিক্ষক। কয়েক মাস পর প্রধান শিক্ষক শংকর সাহাকে টাকার জন্য চাপ দিলে তৎকালীন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপুকে দিয়ে হেনস্তা করানোর ভয় দেখান। আর এখন টাকা ফেরত চাইলে বর্তমান সভাপতি টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে হেনস্তা করানোর ভয় দেখান।
ভুক্তভোগী আরিফুল শেখ বলেন, ‘২০২৩ সালে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চান। পরে স্থানীয় দুজন সাক্ষীর মাধ্যমে দুই লাখ টাকা নেন শংকর সাহা। কিন্তু নিয়োগ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তৎকালীন সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপুর ভয় দেখাত। আর এখন বর্তমান সভাপতি এসি ল্যান্ড স্যারের ভয় দেখায়। টাকা ফেরতসহ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক শংকর কর সাহার অপসারণ দাবি করি।’
দুই লাখ টাকা দেওয়ার সাক্ষী স্থানীয় মুরব্বি ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আরিফুলের চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষক শংকর সাহার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার কথা হয়। তখন আরিফুলের পরিবার আমি ও আরেক মুরব্বি হাফিজ শিকদারের উপস্থিতিতে শংকর সাহাকে নগদ দুই লাখ টাকা দেয়। নিয়োগ স্থগিতের পর টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন আরিফুলকে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও প্রধান শিক্ষক তাতে সাড়া দেননি। আর তিনি টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করছেন। এখন টাকা ফেরত চাইলে প্রশাসন দিয়ে হেনস্তা করাসহ নানা রকম হুমকি দেয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুশলী খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর সাহা চাকরির জন্য ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আরিফুল আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল, সেইভাবে ওকে চিনি। কিন্তু চাকরির কথা বলে ওর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি সময় না দেওয়ায় তিনবার চেষ্টা করেও নিয়োগটি সম্পন্ন করতে পারিনি। আর কাউকে কোনো ভয় দেখাইনি।’
টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল-আমিন হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। যদি প্রধান শিক্ষক কাউকে প্রশাসনিক ভয় দেখিয়ে থাকে, তাহলে সেটাও অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
২৫ মে ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কেপিএমের কাছ থেকে ৯১৫ কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও)। এই কাগজের বর্তমান বাজারমূল্য ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮১ টাকা। আবার বিএসও থেকে নির্বাচন কমিশন এই কাগজ কিনে নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপাবে।
গতকাল বেলা ১১টায় কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিলে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাগজ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহভাগ কাগজ সরবরাহ করেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করব। তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন; যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধু একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কেপিএমের কাছ থেকে ৯১৫ কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও)। এই কাগজের বর্তমান বাজারমূল্য ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮১ টাকা। আবার বিএসও থেকে নির্বাচন কমিশন এই কাগজ কিনে নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপাবে।
গতকাল বেলা ১১টায় কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিলে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাগজ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহভাগ কাগজ সরবরাহ করেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করব। তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন; যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধু একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
২৫ মে ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
মুরাদ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন যুবক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনটি প্লটের ৫৫ কাঠা জমিতে চার জাতের বেগুন চাষ করেছেন তিনি। এতে মোট উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১৮ কাঠার খেত থেকে তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে তিনটি প্লট থেকে সাত-আট লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুরাদ হালদার বলেন, ‘বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। আগামীতে দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করব। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন অরগানিক ও বিষমুক্ত। কারণ, বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।’
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে মুরাদের একটি ১৮ কাঠার বেগুন খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন খেত থেকে তোলা হয়েছে। ৯ জন শ্রমিক বেগুনগুলো আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে বস্তায় ভরছেন। ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে ট্রাকে পাইকারেরা এসেছেন বেগুন কিনতে। আশপাশের খেতে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি দাম ৫০ টাকা হলেও মুরাদের খেতের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল হওয়ায় এই বেগুন সুস্বাদু এবং এর চাহিদা ও দাম বেশি বলে জানান পাইকার ইব্রাহীম শেখ। প্রতি পাঁচ থেকে সাত দিন পর এই খেত থেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন তোলেন মুরাদ। বাকি দুটি খেতের উৎপাদন শুরু হলে সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ মণ বেগুণ পাবেন বলে জানান তিনি।
মুরাদের চাষকৃত বেগুন খেতগুলো পাশে ও ওপর থেকে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, যাতে সহজে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক বালাইনাশক হিসেবে কিউট্রাক ফাঁদ, ট্রাইকোডার্মা, স্টিকি ইয়োলো কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। রাসায়নিক সারের বদলে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও আগাছার প্রকোপ কমাতে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ফলে সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান মুরাদ।
মুরাদ তার তিনটি খেতে ভারতের উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘চক্র বিএন ৪২২’ জাত, হায়দরাবাদের ‘নবকিরণ’ জাত, উচ্চ মূল্যের ‘ভিএনআর ২১২’ জাত এবং গ্রিনবল জাতের বেগুন চাষ করেছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই জাতের বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন। এসব জাতের বেগুন আগাম ফসল ফলে এবং প্রতিটি গাছে দীর্ঘদিন বেগুন হয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব জাত নির্বাচন করেছেন।
মুরাদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক তাঁর বেগুনখেত দেখতে আসছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামী মৌসুমে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় চাষি রবিন হালদার, শাহজাহান শেখসহ অনেকে।
উপজেলার নলধা-মৌভোগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রথমবার মুরাদ হালদার বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আর্গানিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করায় এ সাফল্য পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করে, যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মুরাদ রাসায়নিক বিষ ছাড়া বেগুন উৎপাদন করেছেন। চাষি মুরাদ হালদারের সাফল্য দেখে অনেকেই বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
মুরাদ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন যুবক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনটি প্লটের ৫৫ কাঠা জমিতে চার জাতের বেগুন চাষ করেছেন তিনি। এতে মোট উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১৮ কাঠার খেত থেকে তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে তিনটি প্লট থেকে সাত-আট লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুরাদ হালদার বলেন, ‘বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। আগামীতে দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করব। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন অরগানিক ও বিষমুক্ত। কারণ, বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।’
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে মুরাদের একটি ১৮ কাঠার বেগুন খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন খেত থেকে তোলা হয়েছে। ৯ জন শ্রমিক বেগুনগুলো আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে বস্তায় ভরছেন। ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে ট্রাকে পাইকারেরা এসেছেন বেগুন কিনতে। আশপাশের খেতে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি দাম ৫০ টাকা হলেও মুরাদের খেতের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল হওয়ায় এই বেগুন সুস্বাদু এবং এর চাহিদা ও দাম বেশি বলে জানান পাইকার ইব্রাহীম শেখ। প্রতি পাঁচ থেকে সাত দিন পর এই খেত থেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন তোলেন মুরাদ। বাকি দুটি খেতের উৎপাদন শুরু হলে সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ মণ বেগুণ পাবেন বলে জানান তিনি।
মুরাদের চাষকৃত বেগুন খেতগুলো পাশে ও ওপর থেকে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, যাতে সহজে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক বালাইনাশক হিসেবে কিউট্রাক ফাঁদ, ট্রাইকোডার্মা, স্টিকি ইয়োলো কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। রাসায়নিক সারের বদলে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও আগাছার প্রকোপ কমাতে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ফলে সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান মুরাদ।
মুরাদ তার তিনটি খেতে ভারতের উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘চক্র বিএন ৪২২’ জাত, হায়দরাবাদের ‘নবকিরণ’ জাত, উচ্চ মূল্যের ‘ভিএনআর ২১২’ জাত এবং গ্রিনবল জাতের বেগুন চাষ করেছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই জাতের বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন। এসব জাতের বেগুন আগাম ফসল ফলে এবং প্রতিটি গাছে দীর্ঘদিন বেগুন হয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব জাত নির্বাচন করেছেন।
মুরাদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক তাঁর বেগুনখেত দেখতে আসছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামী মৌসুমে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় চাষি রবিন হালদার, শাহজাহান শেখসহ অনেকে।
উপজেলার নলধা-মৌভোগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রথমবার মুরাদ হালদার বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আর্গানিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করায় এ সাফল্য পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করে, যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মুরাদ রাসায়নিক বিষ ছাড়া বেগুন উৎপাদন করেছেন। চাষি মুরাদ হালদারের সাফল্য দেখে অনেকেই বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর মাটি কেটে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। নদীর চরসহ তীরবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি তোলা ও বিক্রি চললেও প্রশাসনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কিছু সময়ের জন্য মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
২৫ মে ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে বলি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
যুবকের দাবি, চাকরিটি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করার ভয় দেখিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে এ পর্যন্ত ৫৩১ টন কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম)। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩৮৪ টন কাগজ সরবরাহ করা হবে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ গতকাল রোববার এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে