Ajker Patrika

গরম গরম প্যাটিস!

জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
গরম গরম প্যাটিস!

মেঘলা এক সন্ধ্যাবেলায় ফার্মগেট ওভারব্রিজের নিচে বসে ছিল ছেলেটি। ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই শুনে রাজি হয়ে গেল। কিন্তু অবাক কাণ্ড, একবারও চোখের দিকে তাকাল না। এ রকম কারও সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া কঠিন।

ও বিক্রি করছিল প্যাটিস। আমাদের ছোটবেলায় ঢাকা শহরের কনফেকশনারিগুলোয় বনেদি খাবার ছিল তিনটি- পেস্ট্রি, প্যাটিস আর ক্রিম রোল। তখন ত্রিভুজ প্যাটিসই ছিল বেশি। চার কোনা প্যাটিস অনেক পরের ব্যাপার। আর বর্তমান ফাস্টফুড দোকানের প্যাটিস তো একেবারেই নতুন ধরনের জিনিস।

আমাদের সেই ঐতিহ্যবাহী প্যাটিস এখনো কোনো কোনো কনফেকশনারিতে টিকে আছে। তবে টিনের একধরনের উষ্ণ পাত্র হাতে করে ঘুরে বেড়ানো প্যাটিস বহুদিন দেখিনি। ঢাকনা খুলে ভেতর থেকে বের করে দেওয়া হয় সেই প্যাটিস। বেশ গরম থাকে তা।

বছর তিন-চার হলো, আবার দেখতে পাচ্ছি নানা জায়গায় ১০ টাকা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সেই প্যাটিস। দুবার কিনে খেয়েছি। সস্তা ওই প্যাটিসের ভেতরে মাংসের বদলে যা থাকে, তা চিনতে না পারলেও খেয়েছি কেবল অতীতের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করার জন্য। নস্টালজিয়া! সেই প্যাটিস নিয়ে যখন বসে আছে ছেলেটা, তখন ওর সঙ্গে একটু কথা বলার ইচ্ছে তো হবেই।

ওর নাম মো. সবুজ। কখনো তাকাচ্ছিল ধাবমান গাড়িগুলোর দিকে, কখনো পথচারীদের পায়ের দিকে, কখনো আকাশের দিকে।

সাধারণত কথা বলার সময় মানুষ মানুষের চোখের দিকে তাকায়। সবুজের সে ইচ্ছে ছিল না। কথা বলছিল ঠিকই, কিন্তু কথা বলা ওর কাজের মধ্যে পড়ে না, সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল। 
‘তোমার বয়স কত ভাই?’ 
‘১৯’। 
‘কত দিন প্যাটিস বেচার কাজ করো?’ 
‘পাঁচ দিন।’ 
‘এর আগে কী করতা?’ 
‘কিছুই করতাম না।’ 
‘পড়ালেখা করতা?’ 
‘না। কাজও করতাম না।’
‘তাহলে কিছু তো করতা!’
‘বাড়িতে বইয়া সময় কাটাইতাম।’ 

‘১৯ বছর বয়সে বাড়িতে বসে সময় কাটাতে মানে! বাড়িতে কেউ কিছু বলত না?’ 
‘আমি তো বাড়ির ছোট ছেলে। ছোট ছেলের কিছু অ্যাডভানটেজ আছে না?’ 
‘অ্যাডভানটেজ মানে কী?’ 

‘মানে হইল, সবাই কাজকাম করে, আমারে কয় কাজ না করলেও হইব। সময়মতো খাবিদাবি, ঘুরবি!’ 
‘বাহ্‌! এ তো একেবারে রাজার হালে থাকার মতো অবস্থা! তাহলে আবার কাজে ঢুকলা কেন?’ 
‘মনে হইল কিছু একটা করি।’ 
‘এই প্যাটিস কোত্থেকে আনো?’ 
‘দারুসসালাম থেকে।’
‘তারপর এত দূর এসে বিক্রি করো?’
‘হ্যাঁ নিজের এলাকায় বিক্রি করতে চাই না।’ 
‘নিজের এলাকা কি দারুসসালাম?’ 
‘হ্যাঁ ওইখানেই আমরা থাকি।’ 
‘আমরা মানে কারা?’ 
‘আব্বা-আম্মা, ভাই-বোন আর দুলাভাই।’ 
‘দারুসসালামে কেন বিক্রি করতে চাও না?’ 
‘ওখানে সবাই চেনা মানুষ। ভাত খায় বাড়িতে। প্যাটিস খাইব কেন?’ 

এ কথাটা আমার মাথায় আসেনি। ফার্মগেটে নানা কারণে মানুষ এসে ভিড় জমায়। কাজের তাড়ায় সব সময় খেয়ে বের হতে পারে না। তাই টুকটাক কিছু খেয়ে নেয় এখানে এসে। বিক্রিবাট্টা দারুসসালামের চেয়ে ফার্মগেটেই হওয়ার কথা বেশি। 
‘দিনে কত টাকা লাভ হয় সবুজ?’ 
‘৪০০-৫০০ টাকা থাকে।’ 

আজব ব্যাপার! এই কয়েক দিনে নানা পেশার নানা মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, সবাই লাভের অঙ্কটা বলেছে এ রকম। আয় কি সত্যিই এ রকম নাকি অভ্যাসের বশে এ রকম একটা অঙ্ক বসিয়ে নেওয়া হয়! 
এর উত্তর জানা কঠিন। 

দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে থাকে। তাতে মো. সবুজের মন খারাপ হয়। তারপর ও আমার দিকে তাকায় না। আমার সঙ্গে কথা বলে কোনো আনন্দ পেয়েছে বলে মনে হয় না। তাই ওকে আর জ্বালাই না। সরে আসি সামনে থেকে। 
কিছু দূর গিয়ে পেছন ফিরে তাকাই একটা আশা বুকে নিয়ে। 

উদ্দেশ্য সফল হয়। মো. সবুজ পেছন থেকে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। এই প্রথম ওর চোখ দেখার সুযোগ হয়। সে চোখে আনন্দ না বিষণ্ণতা, এত দূর থেকে সেটা টের পাওয়া যায় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

রাবি প্রতিনিধি  
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ লিখে সেখানে জুতা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপ করে যাঁরা হাঁড়িতে লাগাতে পারছেন, তাঁদের চকলেট পুরস্কার দেওয়া হয়।

কর্মসূচির বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরেরা (রাজাকার, আলবদর, আলশামস) লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে, লাল-সবুজের পতাকার জন্য যাঁরা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পাকিস্তানি দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ মহান বিজয় দিবসে এসব ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’

সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করে, এখনো পাকিস্তানপন্থী চেতনা ধারণ করে এবং বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে।

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ‘একাত্তরের ইতিহাসে যারা ঘাতক দালাল ছিল, যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং রাজাকারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই উদ্যোগ।’

মাহমুদুল মিঠু আরও বলেন, ‘একাত্তরের দেশদ্রোহী রাজাকারদের যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি চরম ভুল। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তারাই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে।’

এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে হত্যা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই কিশোর স্বাধীনের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে স্বাধীন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেলায় মিলল ৬০ কেজি ওজনের কচু

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
৬০ কেজি ওজনের কচু। ছবি: আজকের পত্রিকা
৬০ কেজি ওজনের কচু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিজয় মেলায় উপজেলা চত্বরে দেখা মিলেছে ৬০ কেজি ওজনের এ কচুর। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলায় এটি দেখা যায়। কৃষক শহীদুল্লাহ্ তাঁর নিজ জমিতে উৎপাদিত কচুটি বিজয় মেলায় প্রদর্শন করেন। কচুটি দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

চাষি শহীদুল্লাহ্‌ কচুটির দাম হাঁকিয়েছেন আড়াই হাজার টাকা। মেলা শেষে এটি বিক্রি করে দেবেন তিনি। শহীদুল্লাহ্ উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কুরাটি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, তিনি তাঁর ১০ শতাংশ জমিতে বিলাতি কচু চাষ করেছেন। দেড় বছর যাবৎ এমন কচু নান্দাইল ও পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি বাজারে বিক্রি করছেন।

চাষি শহীদুল্লাহ্‌ বলেন, দেড় বছর আগে কচু চাষ করেছিলাম। ১০ শতাংশ জায়গায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এখনো অনেক কচু রয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আবারও চাষ করব।

চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই ভূঁইয়া বলেন, বিলাতি জাতের এ কচু ডাঁটাসহ ১২-১৫ ফুট উঁচু হয় এবং কচুর মূল অংশ ৬-৮ ফুট হয়। মেলায় প্রদর্শন করার পর থেকে অনেকেই এই কচু চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এমন বিশাল আকৃতির কচু কৃষক উৎপাদন করেছেন। বিলাতি কচুটি খুব সুস্বাদু। প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং আঁশ থাকে, যা স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে বিশাল বড় হওয়ায় একা খাওয়া সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরুতে ধান খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৫

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর বাউফলে গরুতে খেতের ধান খাওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ওই এলাকার জাকির হোসেনের একটি গরু বারেক ঢালীর জমির ধান খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বারেক ঢালী গরুটিকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বারেক ঢালী (৬০), তাঁর ছেলে সায়েম ঢালী (১৮), নাতি সোহাগ গাজী (১৪), স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) এবং অপর পক্ষের মো. সোহাগ (৩৫ আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাকির হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি বারেক ঢালীর বাড়িতে হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সায়েম ঢালী ও সোহাগ গাজীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত