Ajker Patrika

কাশিয়ানীতে বাস, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ, নিহত ৮

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মে ২০২২, ১৪: ৪৮
কাশিয়ানীতে বাস, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ, নিহত ৮

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে বাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ও নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার মিল্টন বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রাজিব পরিবহন নামে একটি বাস পাথরঘাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনটি বাহনই দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ৭ জন নিহত হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে একজন মারা যায়। 

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাস্থলে সড়কের পাশেই ধান মাড়াই করছিল স্থানীয়রা। নিহতদের মধ্যে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী, তিনজন প্রাইভেটকারের যাত্রী, দুজন ধান মাড়াইকারী ও একজন বাসের যাত্রী। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার শুরু করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ও নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোর্ট ফির ২০ শতাংশ কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মামলা পরিচালনায় আদালতে যে কোর্ট ফি জমা দেওয়া হয়, তার ২০ শতাংশ কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।

ঢাকার জজ আদালতের পাশে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে আজ বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আদালতে মামলা দাখিল, জামিন আবেদন, জামিননামা, ওকালতনামা, দেওয়ানি মামলায় আরজি দাখিল বা যেকোনো ধরনের আবেদনে কোর্ট ফি নেওয়া হয়। এই ফি থেকে বিরাট অঙ্কের রাজস্ব আদায় করে সরকার। আইনজীবীদের মাধ্যমে এসব রাজস্ব আদায় করা হলেও তাঁদের এর কোনো অংশ দেওয়া হয় না।

আজ মানববন্ধন শেষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একত্র হয়েছি আইনজীবীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে। এরই মধ্যে বার কাউন্সিল থেকে লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাসহ অনেকের কাছে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ফি থেকে যে রাজস্ব আদায় করা হয়, তার একটি টাকাও আজ পর্যন্ত কোনো সরকার আইনজীবীদের ফান্ডে জমা দেয় নাই। এই যৌক্তিক দাবি জানানোর পরও বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করছে সরকার।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর কোর্ট ফির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার কোটি ৬৭ লাখের বেশি টাকা। এর ২০ ভাগ টাকা আইনজীবীদের দিতে হবে। যদি না দেওয়া হয়, তাহলে আইনজীবী সমাজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। যদি আমরা রাস্তায় নামি, তাহলে আপনাদের আসন কেঁপে যাবে।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাবেক সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খোরশেদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, মোসলেহ উদ্দিন জসিম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে পথচারী গুলিবিদ্ধ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিংয়ের অনুশীলনে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিংয়ের অনুশীলনে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিংয়ের অনুশীলনে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্পে পুলিশের মাস্কেট্রি ফায়ারিং চলা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গুলিবিদ্ধ বাবু হোসেন (৩২) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি মণ্ডলপাড়ার হামিদ উদ্দীনের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাবু হোসেন মোটরসাইকেলযোগে হায়দারপুর থেকে সাতগাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি বুলেট তাঁর বুকের বাম পাশে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবুকে উন্নত চিকিৎসা ও বুলেট অপসারণের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট এহসানুল হক তন্ময় জানান, বাবু হোসেনের বুকের বাম পাশে একটি বুলেট এক ইঞ্চির মতো বিদ্ধ হয়েছে। এখানে অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি। রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সব নিয়ম মেনে ও জনসাধারণকে সতর্ক করেই দুই দিনব্যাপী ফায়ারিং কার্যক্রম চলছে। তবে গুলিটা কোথা থেকে বিদ্ধ হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে বেদেদের সংঘর্ষে সাপুড়ে নিহত, আহত অন্তত ১০

বগুড়া প্রতিনিধি
গাবতলীর নাড়ুয়ামালা বাজারসংলগ্ন অস্থায়ী বেদেপল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাবতলীর নাড়ুয়ামালা বাজারসংলগ্ন অস্থায়ী বেদেপল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার গাবতলীতে অস্থায়ী বেদেপল্লিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের সংঘর্ষে শাকিল (২৫) নামের এক সাপুড়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা বাজারসংলগ্ন অস্থায়ী বেদেপল্লিতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বেদেপল্লির একটি ঝুপড়ি ঘরে স্থানীয় এক যুবকের প্রবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক নারীকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, ইটভাটাসংলগ্ন ফাঁকা মাঠে বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০টি পরিবারের দেড় শ মানুষ অস্থায়ীভাবে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছিলেন। গতকাল গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর গ্রামের রাশেদ ইসলাম নামের এক যুবক ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ বেদেদের একটি ঝুপড়ি ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁকে আটক করে বেঁধে রাখেন।

আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খবর পেয়ে রাশেদের মামাতো ভাই বিশুর নেতৃত্বে গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ তাঁকে ছিনিয়ে নিতে বেদেপল্লিতে হামলা করেন। তখন দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেদে সম্প্রদায়ের শাকিল ও জামরুল (২৮) ছুরিকাঘাতে আহত হন। অন্যদিকে বেদেদের মারধরে আহত হন বিশু (২৮), সম্রাট (২০), নাঈম (২২), তৌফিকসহ (২৫) উভয় পক্ষের আরও কয়েকজন।

গুরুতর আহত শাকিল ও জামরুলকে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। জামরুলকে পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাবতলী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিশুর বোন জমেলাকে আটক করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, বেদেপল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিনেই দুই মুসল্লির মৃত্যু

রংপুর প্রতিনিধি
আজ ভোরে মাওলানা আব্দুল কাদেরের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার সূচনা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে মাওলানা আব্দুল কাদেরের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার সূচনা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরে কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হওয়া বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিনেই দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ইজতেমা মাঠে বয়সজনিত জটিলতা ও শ্বাসকষ্টে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। উভয় ঘটনাকেই স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইজতেমা মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম।

মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাঈদুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, বিস্তৃত মাঠে লাখো মুসল্লির সমাগমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গতকাল রাত থেকে ইজতেমা এলাকার প্রতিটি অংশ পূর্ণ হয়ে যায়।

আজ ভোরে মাওলানা আব্দুল কাদেরের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। আয়োজকদের ধারণা, শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি যোগ দিতে পারেন। আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা।

আয়োজক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রংপুর বিভাগের আট জেলার তাবলিগের সাথিরা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার ৪০ দিনের চিল্লায় থাকা ব্যক্তিরা ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন।

ইজতেমা মাঠে আলোকসজ্জা, পানি সরবরাহ, অজু-গোসলের ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ওসি মাইদুল ইসলাম বলেন, ইজতেমা মাঠে দুজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দুজনের মৃত্যুই স্বাভাবিক। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, প্রথমবার বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত