Ajker Patrika

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ‘নিরাপদে স্কুলে প্রবেশ’ বিষয়ক কর্মশালা

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটসের (ডব্লিউআরআই) উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবন মিলনায়তনে গতকাল শনিবার ‘নিরাপদে স্কুলে প্রবেশ’ বিষয়ক দিনব্যাপী কাঠামোগত নকশা প্রণয়ন শেখার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের আওতায় এই কর্মশালা করা হয়। ডিএনসিসির প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ডব্লিউআরআই থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিআইজিআরএসের ইনিশিয়েটিভ কো–অর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক-ঢাকা উত্তর) সুফিয়ান আহমেদ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, আমরা সবার জন্য শহরকে নিরাপদ করতে চাই। এ জন্য সড়ক ও ফুটপাথ নিরাপদ করা জরুরি। ডিএনসিসি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে সড়ক ও ফুটপাথকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি প্রশিক্ষণের সাফল্য কামনা করেন ও প্রশিক্ষণার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২১ সালে ‘ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ফর গ্লোবাল রোড সেফটি’ (বিআইজিআরএস) শীর্ষক বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করে। এ কর্মসূচির ‍উদ্যোগে ইতিমধ্যে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট-এর গবেষণা ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকার বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল সংলগ্ন সড়ককে পথচারী ও শিশুবান্ধব অবকাঠামো সহযোগে পরিবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এ পথচারীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপার এবং ব্যবহার করার লক্ষ্যে কার্যক্রম বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন।

বিআইজিআরএসের ইনিশিয়েটিভ কো–অর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ কর্মসূচির অন্যতম অংশীদার ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট ফুটপাথ ডিজাইন ও নগর-পরিকল্পনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। এ কর্মশালার যার মূল উদ্দেশ্য সব বয়সী ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত নিশ্চিতকরণের জন্য অবকাঠামোগত নকশা প্রণয়নে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দক্ষ করে গড়ে তোলা।

কর্মশালার প্রথম সেশনে ডব্লিউআরআইয়ের সহকারী পরামর্শক এরিনা তাহনীম ঢাকার প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ যাতায়াতের অন্তরায় বিষয় তুলে ধরে বিস্তারিত আলোচনা করেন স্থপতি ও নগর নকশাবিদ মুসতাসিম মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর যাতায়াতের পরিবর্তে গণপরিবহনে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট স্থানে ওঠা-নামানোর ব্যবস্থা ও গাড়ি থামানোর জায়গা রাখা, যেখান থেকে প্রতিষ্ঠানের গেট পর্যন্ত নিরাপদে হেঁটে পৌঁছানোর অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।’

লেকচার পর্বের নকশা প্রণয়ন সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধে নকশা প্রণয়ন এর নিয়মাবলি, সমাধান প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডব্লিউআরআইয়ের টেকসই শহর কর্মসূচির পরামর্শক স্থপতি ফারজানা ইসলাম তমা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়। কিন্তু নিরাপদ নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে যে এসব দুর্ঘটনার পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের জানা জরুরি। এ কর্মশালায় নিরাপদ নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বা বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে নগরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিরাপদ এলাকার আওতাভুক্ত করতে পারে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩৭ জন প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করেন, যারা ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক পরিকল্পনা প্রণয়ন, নির্মাণ ও বাস্তবায়ন কাজের সঙ্গে জড়িত। কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশর (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের ৬ জন কর্মকর্তা ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) থেকে ৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় দলগত নকশা প্রণয়ন চর্চা পরিচালনায় সহায়তা করেন ডাব্লিউআরআইয়ের সহকারী পরামর্শক এরিনা তাহনীম, বিআইজিআরএসের ট্রান্সপোর্ট কো–অর্ডিনেটর রেজাউর রহমান প্রমুখ।

এ কর্মশালায় বিআইজিআরএসের এনফোর্সমেন্ট কো–অর্ডিনেটর মো. গোলাম হোসেন, সার্ভিলেন্স কো–অর্ডিনেটর তানভীর ইবনে আলীম, ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ডে ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন—শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা, মো. আমিনুর ওরফে দরজি আমিন, মো. শাফিয়ার রহমান ফকির, আছিয়া বেগম (পলাতক আসামি ও ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আল আমিনের স্ত্রী), ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা। তাঁদের মধ্যে পুরুষদের ৭ দিন করে এবং নারী আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

হাসনাবাদের চার কক্ষের একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় গত শুক্রবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। আহত হন চারজন। পুলিশ সেখান থেকে ককটেল, রাসায়নিক, বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

ওই মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িটির একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ শনিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসমানী খাতুন এর আগেও জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। শাহিনের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। স্বামী অপরাধ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁরা নির্দোষ। তাঁর (আছিয়ার) ভাইয়ের স্ত্রী আসমানী শুধু তাঁদের দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এ মামলায় আসমানী খাতুন ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসমানীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আগের মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই আসমানী খাতুন খালাস পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার মতো উপাদান নেই। এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইল-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আসনে অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলীকে পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালার শর্তের ব্যত্যয় ঘটায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মধুপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলীকে দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি উভয় উপজেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে জনসংযোগও করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণের সময় নির্বাচনী বিধিমালার শর্ত অনুসরণ করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে।

মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস। এই জটিলতার কারণে মনোনয়নঝুঁকি এড়াতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বসুন্ধরা থেকে চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৭৫৭ নম্বর বাসা থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘মৃত ওয়াং পিং লিউ একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার চীনে থাকে। গতকাল তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বিষয়টি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও মৃত ওয়াংয়ের ব্যবসায়িক পার্টনারকে জানান। এরপর বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’

এসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরাও জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এখনো জানা যায়নি। জানতে পেরেছি, তাঁর ডায়াবেটিসহ আরও কিছু রোগ ছিল। তাঁর শরীরে কোনো জখম পাওয়া যায়নি। আমরা বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’

মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আজ মৃত চীনা নাগরিকের স্বজনদের ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কেউ যোগাযোগ করেননি। দূতাবাসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্বজনেরা এলে তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, মৃত চীনা নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। পরিবার ময়নাতদন্ত করতে চাইলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুনাফিকি না করলে ৮ দলের ঐক্য অটুট থাকবে: ফয়জুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল-৫ আসনে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের মনোনয়নপত্র জমা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল-৫ আসনে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের মনোনয়নপত্র জমা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুনাফিকি না করলে ৮ দলের ঐক্য অটুট থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। আজ রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৮ দলের (বর্ধিত হয়ে ১০ দল) এক ব্যালট এক বাক্স নীতি অটল রয়েছে। কেউ যদি মুনাফিকি না করে কিংবা ক্ষমতার লোভে না পড়ে, তাহলে এই ঐক্য অটুট থাকবে।’

জোট ও আসন বণ্টন প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম বলেন, ‘অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে, জামায়াত কি আমাদের আসন ছেড়ে দেবে? এটি ভুল প্রশ্ন। এখানে কেউ কাউকে সিট দেবে না। আমরা অ্যালায়েন্স করব। যার যেখানে অবস্থান ভালো, সে সেখানেই নির্বাচন করবে।’

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন প্রার্থী মোট ৪৯টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন প্রার্থী তিনটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সুমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত