Ajker Patrika

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ১৬: ১৭
জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্য গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার গোলাকান্দাইল ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। 

গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মনির হোসেন শেখ (৩০)। সে রূপগঞ্জের দক্ষিণ গোলাকান্দাইলের মোছলেম শেখের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। 

এটিইউ পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, গত ২ মার্চ অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় মামলা হয়। 

ওই মামলায় গ্রেপ্তার আলী আকবর জনি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মনির হোসেন শেখের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন এবং তিনি তাঁকে আনসার আল ইসলামের পক্ষে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন বলে জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার মনির নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। সহযোগীদের নিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে একে অপরকে সাহায্য-সহায়তা করে আসছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। জনমনে ত্রাস ও ভীতি সৃষ্টি এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান মাহফুজুল আলম রাসেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: গ্রাম আদালতে অতিরিক্ত ফি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।

আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।

অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাত খুনের চারটিই ক্লুলেস

  • নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে শিশু, নারী, রিকশাচালক, মাছ ও ডাব ব্যবসায়ী
  • ক্লুলেস পাঁচ হত্যাকাণ্ডের একটির রহস্য উদ্‌ঘাটন
  • দুই ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার, অপর একটি ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক
হাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে গত এক মাসে সাতটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে শিশু, নারী, রিকশাচালক, মাছ ও ডাব ব্যবসায়ী। এ ছাড়া গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন। গত ২০ নভেম্বর থেকে চলতি মাসের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে ক্লুলেস পাঁচটি ঘটনার একটির রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মাত্র দুটি ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপর আরেকটি ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।

শিশু জায়ান হত্যাকাণ্ড

গত ২০ নভেম্বর আলফাডাঙ্গার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিসপ্রবাসী পলাশ মোল্যার সাত বছর বয়সী শিশুপুত্র জায়ান মোল্যার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ঝুলন্ত অবস্থায় তার পরনের প্যান্ট দিয়ে মুখমণ্ডল ঢাকা ছিল। এ ঘটনায় শিশুটির মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ২৫ নভেম্বর প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুজন বিশ্বাস তাঁর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর ৯ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক আনারুল আসিফ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন সম্পর্কে জানাতে পারেনি পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা সুজন বিশ্বাস জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নারীর হাত বাঁধা লাশ

১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সদরপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস-সংলগ্ন সড়কের ঢাল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, মরদেহটি বোয়ালমারী উপজেলার সুতাশী গ্রামের বারিক শেখের মেয়ে রুমা বেগমের (২৫)। এ ঘটনায় মৃতের স্বামী তুহিন মণ্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রিপন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি কীভাবে ঘটেছে, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে; ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি-না, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে একই দিন সন্ধ্যায় ভাঙ্গার গুনপালদী গ্রামে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে সীমা বেগম নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। সীমা বেগম নিহত টুকু মোল্লার চাচাতো ভাই তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী এবং ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহত টুকু মোল্লার স্ত্রী আমেনা আক্তার থানায় একটি অভিযোগ দেন। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান থানার ওসি আলিমুজ্জামান।

অপর দিকে ১৮ ডিসেম্বর সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাধীন চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে টিপু সুলতান নামের এক রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা তাঁকে গলা কেটে হত্যার পর তাঁর রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিরামন বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

৫ ডিসেম্বর ভোর পৌনে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর মাছের আড়তে যাওয়ার পথে সালথার কালীতলা ব্রিজ (মাটিয়াদহ) এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় উৎপল সরকার (৩৮) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নৃশংসভাবে খুন হন। দুর্বৃত্তরা প্রথমে উৎপলের সঙ্গে থাকা ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্লাকে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে আটকে ফেলে এবং পরে উৎপলকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আসামিরা পূর্বশত্রুতা ও পরকীয়ার জেরে উৎপল সরকারকে হত্যা করে বলে জানান সালথা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খান।

ডাব ব্যবসায়ীর লাশ, মেলেনি রহস্য

গত ২২ নভেম্বর বোয়ালমারী উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি ব্রিজের পাশে থেকে ইব্রাহিম (৩৫) নামের এক ডাব ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সময় অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও পরে তাঁর পরিচয় শনাক্ত হয়। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দির উত্তরটিলি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। গত এক মাসেও এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য মেলেনি।

এ ছাড়া গত ২৩ নভেম্বর গভীর রাতে চোর সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হন শাহীন শিকদার (২৮) নামের এক যুবক এবং আহত হন আরও তিন যুবক। নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের দেবীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে এবং নিহত শাহীনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গজগাহ গ্রামে। এ ঘটনায় শতাধিক অজ্ঞতানামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত শাহীনের মা রিক্তা বেগম। তবে ঘটনার এক মাসেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইরানুল ইসলাম।

জানতে চাইলে এসব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও অগ্রগতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শামছুল আজম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সালথার একটি ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করেছি। আলফাডাঙ্গায় শিশু হত্যার ঘটনা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী দ্রুত এসব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের নিয়ে ব্রাইটার টুমরোর আনন্দ ভ্রমণ, শীতবস্ত্র উপহার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কড়াইল বস্তির ৫৪ জন বিশেষ শিশু ও ব্যক্তিকে শীত উপহার দিয়েছে ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন (বিটিএফ) নামের একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার সকালে দুটি বাস এবং একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ৫৪ জন বিশেষ শিশু ও ব্যক্তিকে নিয়ে সাফারি পার্কের উদ্দেশে রওনা হয় সংগঠনটি। সেখানে তাদের নির্মল আনন্দ ও বিনোদন প্রদানের পাশাপাশি শীতবস্ত্র উপহার দেওয়া হয়।

সাফারি পার্কে পৌঁছার পর স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মকর্তারা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর সকালের নাশতা প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘শিশুদের স্বপ্নের পৃথিবী’ শীর্ষক এ কর্মসূচি। সাফারি পার্কে প্রবেশের পর সেখানকার নীরব স্পট হয়ে ওঠে প্রাণচঞ্চল ও আনন্দমুখর।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংগঠনের উপদেষ্টা, কবি ও সাংবাদিক জুনান নাশিত বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত এ ধরনের কিছু অবহেলিত মানুষের নির্মল আনন্দ ও বিনোদন প্রদানের পাশাপাশি তাদের শীতের কষ্ট লাঘব করাই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। মাত্র কয়েক দিন আগে বস্তিটিতে আগুন লেগে বেশ কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তাদের নিয়েই বিটিএফ এ বছরের কর্মসূচি হাতে নেয়।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়শ্রী জামান বলেন, ‘বিশ্বে ৭৫ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোয়। অনুন্নত দেশে দারিদ্র্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা আত্মহত্যার বড় কারণ। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিনোদন খুব প্রয়োজন, যা থেকে অনেকে বঞ্চিত। আমরা তাদের কথা ভেবে প্রতিবছর এই আয়োজন করে থাকি।’

স্পেশাল শিশু ও ব্যক্তি, তাদের অভিভাবক এবং বিটিএফের কর্মকর্তা-স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় ১০০ জনের অংশগ্রহণে এই উপহার প্রদান ও আনন্দভ্রমণ সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমি ভোট ডাকাতের এমপি হতে চাই না, ভোট চুরির এমপি হতে চাই না। এই সমাজকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আমি এমপি হতে চাই।’

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি দুর্নীতি বা আলিশান বাড়ি করার জন্য এমপি হতে চাইনি। আল্লাহ আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিয়েছেন, সন্তান দিয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমি স্বপ্ন দেখেছি।’

আসাদুজ্জামান বলেন, বিগত ১৭ বছর পর আপনারা দেশের মানুষ ভোট দিতে যাবেন। আপনারা এত দিন ভোট দিতে পারেননি। ভোট আপনার সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার কেড়ে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমি শৈলকুপার শিক্ষক প্রতিনিধিদের বলেছি, প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে আপনি শুধু নিশ্চিত করবেন, প্রতিটা ভোটার যাতে তাঁর ভোট প্রয়োগ করতে পারেন।’ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার শৈলকুপার প্রতিটি ঘরে ঘরে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস অফিসার তৈরি হবে। ভালো ব্যবসায়ী, সৎ মানুষ তৈরি হবে। এ রকম একটি শৈলকুপার স্বপ্ন দেখে আমি আগামী দিনে আপনাদের সামনে আসছি। আপনাদের পাশে থাকব। দেখা হবে রাজপথে, কথা হবে ধানের শীষের মিছিলে। উন্নয়নের মিছিলে, গণতন্ত্রের মিছিলে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মিছিলে। একটি স্বপ্নের শৈলকুপার মিছিলে আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা জানি, আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। আমরা জানি না আমাদের বেহেশত হবে না দোজখ হবে, সেটা নির্ধারিত হবে কিয়ামতের দিন। অথচ একটি রাজনৈতিক দলের মহিলা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। আসলে এটা শিরক করা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত