Ajker Patrika

যানজট নিরসনে পরামর্শ চেয়ে ফেসবুকে ট্রাফিক পুলিশের পোস্ট, সমাধান দিলেন রাজধানীবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ০৮
যানজট নিরসনে পরামর্শ চেয়ে ফেসবুকে ট্রাফিক পুলিশের পোস্ট, সমাধান দিলেন রাজধানীবাসী

রাজধানী ঢাকার গুলশান বিভাগের ট্রাফিকের উপকমিশনার আব্দুল মোমেন গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তাঁর পোস্ট ঘিরে চলছে আলোচনা। পোস্টে ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে পরামর্শ চাইলে সেখানে অনেকেই বিভিন্ন মতামত দেন। 

গতকাল বিকেল ৩টা ৪৭ মিনিটে উপকমিশনার আব্দুল মোমেন ফেসবুকে পাবলিক গ্রুপ ‘ট্রাফিক অ্যালার্ট’–এ লিখেন, ‘সম্মানিত নাগরিকবাসী, আমি গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার। ঢাকা শহরে আমাদের প্রতি দিনের অফিস গমনে যানজট সব থেকে বড় সমস্যা, আমরা সেটা সবাই জানি। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন নেই। গুলশান, বনানী, প্রগতিসরণী, মহাখালী বাস টার্মিনাল এ গুলোতে একেক জায়গার সমস্যা একেক ধরনের। উপরিউক্ত সমস্যা সমূহের মধ্যে যেগুলো পুলিশের পক্ষে সমাধানযোগ্য বা অন্য কারও ওপর নির্ভরশীল নয়, পুলিশ নিজেরাই বাস্তবায়ন করতে পারে, এই বিষয়ে আপনাদের যদি কোনো বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ থাকে তাহলে আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করতে পারেন। ফোন: ০১৩২০০৪৪৩৬০। সবার জন্য শুভকামনা।’ 

তাঁর এই পোস্টে আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাইক পড়েছে ১ হাজার ৪০০টি। মন্তব্য করেছেন ২৬৭ জন। 

ট্রাফিকের উপকমিশনারের এই পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন ওই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী রাজধানীবাসী। বিভিন্নভাবে তাঁরা গুলশান অঞ্চলের ট্রাফিকের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন মন্তব্যের সেকশনে। 

বেশির ভাগ ভুক্তভোগীরা বাসের যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামাকে যানজটের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করেছেন। একই সঙ্গে মহাখালী এলাকায় বাস টার্মিনাল ও রাস্তায় অতিরিক্ত মোটরচালিত রিকশা ও পার্কিংকেও দায়ী করেছেন অনেকে। কেউ কেউ একসঙ্গে অনেকগুলো পরামর্শ দিয়েছেন। 

অর্ঘ পাল নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল অপসারণ এবং শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। বনানীর আগে একটা বাড্ডার মতো ইউলুপ করা এবং মিরপুর-১৪ থেকে ক্যান্টনমেন্টের ওপর দিয়ে বনানী মহাখালী ও জাহাঙ্গীর গেট পার করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা। বিজয় সরণিতে ক্রসিং ফ্লাইওভার নির্মাণ ইত্যাদি। 

নাজমুল হোসেইন শুভ লিখেন, শুধু বাস স্টপেজে বাস দাঁড়ানো এবং যাত্রী ওঠা-নামা নিশ্চিত করা, অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ করা (অবশ্য এটা পুলিশের পক্ষে সমাধানযোগ্য কিনা জানা নেই, কারণ অটোরিকশার তো কিছুই লাগে না!), রাস্তার প্রতিটি লেন চলাচল যোগ্য রাখা (অবৈধ ফুটপাত দখল, ভ্যানগাড়ি দ্বারা ভাসমান বাজার, অবৈধ পার্কিং এবং দোকান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রাস্তা দখল বন্ধ করা), কিছু রাস্তায় পার্কিংয়ের জন্য লেন নির্ধারণ করে দেওয়া। 

মাহামুদুল হাসান নামে আরেকজন লিখেন, সৈনিক ক্লাব থেকে কাকলি সিগন্যাল পর্যন্ত রাস্তা কম, বাস স্ট্যান্ড বেশি মনে হয়। পুলিশের সামনেই বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা–নামা করায়। এখানে বাস থামতে না দিলে ওই খানের জ্যাম অনেক কমে যাবে।

শিবাজি রয় নামের একজন লিখেন, ‘ধন্যবাদ এ রকম একটা ইনিশিয়েটিভ নেওয়ার জন্য। পাবলিক বাসগুলো যাতে স্টপেজ ছাড়া কোথাও না দাঁড়ায়, আপনারা নির্দিষ্ট স্টপেজ করে দিন। আর বাসগুলোকে বলুন স্টপেজ ছাড়া যাতে কোনো ওঠা–নামা না হয়। এই একটা কাজ করলে আমার মনে হয় এই লাইনে যানজট অনেক কমে যাবে।’ 

তবে অনেকেই ট্রাফিক পুলিশের সঠিকভাবে কাজ না করার কথাও তুলে ধরেছেন পোস্টের মন্তব্য সেকশনে। বদরুল হায়দার নামে একজন লিখেছেন, ‘পোস্ট দিয়েছেন ভালো। কিন্তু এই বিষয় বা কারণগুলো কারওরই অজানা নয় একটু কম আর বেশি। আপনার পদবি “ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার” সে অনুযায়ী এই যানজট বিষয়ে আপনার জ্ঞানটা আমি অন্য যারা বেশি জানে তাঁদের গ্রুপেই ধরে নেব। সমস্যা খোঁজা বা সমাধান খোঁজার থেকে আপনারা আপনাদের কাজ সৎভাবে পালন করেন সমস্যা এমনিই সমাধান হয়ে যাবে।’ 

হাবিব আকতারুল নামে একজন লিখেন, জনগণের মতামতকে কখনই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বাস রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠায় আর নামায়। হাত তুললেই দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দেখেও দেখে না। তারা ব্যস্ত থাকে কখন পিকআপ যায় সেটির দিকে। 

ইমরানুর হক শাওন লিখেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট, কনস্টেবল সবাই মিলে রাস্তায় বাইক আর গাড়ি থামিয়ে কাগজ চেকিং করা বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া আর যানজট নিরসনে মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি। এতে যানজট ৫০ ভাগ কমে যাবে। 

অনেকেই আবার এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার ছবি ও ভিডিও যুক্ত করেছেন। সেখানে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকান বসানোর চিত্র উঠে এসেছে। অনেকেই আবার রাস্তা ডাইভারশনের কথা বলেছেন। 

শাহারিয়ার শোভন নামে একজন লিখেন, মহাখালী বা আমতলী থেকে আসা গাড়িগুলোকে সরাসরি ডিওএইচএস ঢোকার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হবে। এখন এই গাড়িগুলো সব জাহাঙ্গীরগেট ঘুরে আসে যার জন্য দুই পাশের রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি থাকে। যদি এগুলো সোজাসুজি এসকেএস টাওয়ারের পাশ দিয়ে বা রাওয়া গেটের পাশ দিয়ে ঢুকতে পারত তাহলে জাহাঙ্গীরগেট আর বিএএফ শাহিন কলেজের সামনে গাড়ির চাপ কিছুটা কমতো। 

মানিউল বাড়ই নামে একজন লিখেন, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মহাখালী টার্মিনাল, কাকলি বনানী, আবুল হোটেল, উত্তর বাড্ডা প্রতিটি সিগনালে ইউলুপ দিতে হবে। 

এমন অনেকেই এসব এলাকায় রাস্তার সমস্যা নিয়ে লিখেছেন, কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন। 

এসব বিষয়ে জানার জন্য উপকমিশনার আব্দুল মোমেনের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে তিন চোখ ও দুই মুখের বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্য

নরসিংদী প্রতিনিধি
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।

খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।

তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’

আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ নিহত ৩

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরাকান আর্মিদের জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৫০০ মশারি, আটক ৫

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
মশারিসহ জব্দ করা মালপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
মশারিসহ জব্দ করা মালপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।

জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নলছিটি লঞ্চঘাট ওসমান হাদির নামে নামকরণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
নলছিটি লঞ্চঘাট ।  ছবি: আজকের পত্রিকা
নলছিটি লঞ্চঘাট । ছবি: আজকের পত্রিকা

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।

আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।

নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।

ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’

ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’

ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত