Ajker Patrika

বুয়েটের ই-রিকশা চলবে ধানমন্ডি, পল্টন ও উত্তরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ২০: ৩৩
বুয়েটের নকশা করা ই-রিকশা। ছবি: সংগৃহীত
বুয়েটের নকশা করা ই-রিকশা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তিন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ই-রিকশা। রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি ও পল্টন এলাকায় ই-রিকশা চালু হবে। আজ শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় ই-রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে নতুন নিয়মকানুন কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন প্রবিধান অনুসারে সিটি করপোরেশনের অধীনে রিকশা ও চালকদের নিবন্ধন এবং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে চালকদের প্রশিক্ষণ, ফিটনেস সনদ এবং দুর্ঘটনা বিমা গ্রহণও।

ডিএনসিসির বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য নির্ধারিত একটি স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দেশের সব সিটি করপোরেশনকে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা ডিজাইন অনুযায়ী গাড়ি যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে পারে।

ই-রিকশা ও চালকদের তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি ইউনিফাইড ফরম তৈরি করে ডেটাবেইস তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এই তথ্যভান্ডারে রিকশার মালিক, চালক, বিমা, লাইসেন্স ও ফিটনেসসংক্রান্ত সব তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অতিরিক্ত সচিব এবং বিআরটিএ, বুয়েট, বিএসটিআইসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন কারা হবে, যারা প্রস্তুত করা ই-রিকশার টাইপ অনুমোদন করবে।

ই-রিকশা চলাচলসংক্রান্ত প্রবিধান থেকে জানা যায়, প্রতিটি রিকশার জন্য ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নম্বরপ্লেট সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন। একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি রিকশা নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রতিটি ই-রিকশার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ২৫০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ১১০ সেন্টিমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব রিকশা শুধু অনুমোদিত কারখানা বা ওয়ার্কশপে প্রস্তুত করা হবে। সেগুলোর প্রতিটিকে নির্ধারিত গাইডলাইনের আলোকে টাইপ-অনুমোদন নিতে হবে।

তিন চাকার এই ই-রিকশার চালকের লাইসেন্স পেতে হলে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং বাংলা পড়তে ও লিখতে জানতে হবে। চালকদের সিটি করপোরেশন নির্ধারিত সরকারি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি পাঁচ বছর পর লাইসেন্স নবায়নের সময় চালকদের ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে। চালকদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন, রোড মার্কিং, ট্রাফিক সাইন ও ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ব্র্যাককে অংশীদার করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুসারে চালকদের জন্য ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চালক কিংবা মালিক যেকোনো পক্ষ এই বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন। বিমার কভারেজ সচল আছে কি না, তা সিটি করপোরেশন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নবায়নের কপি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

বিমা গ্রহণসংক্রান্ত সব কাগজপত্র চালকের লাইসেন্স ফাইলে সংযুক্ত রাখতে হবে। ইচ্ছুক মালিকগণ অতিরিক্ত বিমাও নিতে পারবেন, যার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সিটি করপোরেশন বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেবে। এ ছাড়া নিবন্ধিত প্রতিটি রিকশার দুই বছর পরপর ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে এবং নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। ফিটনেস সনদ না থাকলে সংশ্লিষ্ট যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না।

সড়কে চলাচলের জন্য প্রবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা শুধু সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের নির্ধারিত রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কিংবা বাস চলাচলের জন্য নির্ধারিত সড়কে এসব রিকশার চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যানবাহন নির্ধারিত এলাকার বাইরে চলতে পারবে না। যানজট সৃষ্টি যেন না হয়, সে জন্য চালকদের সর্বদা বাঁ লেনে চলাতে হবে গাড়ি। এ ছাড়া গাড়ির গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

রিকশা চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে জরিমানাযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত করা হবে। এই সকল রিকশায় দুজনের বেশি যাত্রী বহন বা অতিরিক্ত মালপত্র পরিবহন পারবে না। সরকারি ভবন, কূটনৈতিক এলাকা ও নিরাপত্তা সংবেদনশীল স্থানে এই রিকশা চলাচল করতে পারবে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে ওভারটেক বা লেন পরিবর্তনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার পার্কিং ও চার্জিং-সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাও নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগ ওয়ার্ড বা অঞ্চলভিত্তিক রিকশার সংখ্যা নির্ধারণ করবে। এলাকাভিত্তিক কালার কোড চালু করা হবে, যাতে নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্ধারিত পার্কিং এলাকা থাকবে, যেখানে চার্জিং স্টেশন ও ব্যাটারি বিনিময় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ব্যাটারি চার্জের জন্য।

ব্যবহৃত ব্যাটারির রিসাইকেল প্রক্রিয়াও থাকবে নিয়ন্ত্রিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ব্যাটারি ভাঙা, আগুনে গলানো বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম চালাতে পারবে না। ব্যাটারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশগত ছাড়পত্রপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রিসাইকেল করবে।

ব্যাটারি ব্যবহারকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরোনো বা অকার্যকর ব্যাটারি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদিত এজেন্ট, ডিলার বা রিসাইকেল কারখানার কাছে হস্তান্তর করতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি, বিশেষ করে সোলার চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হবে। চালক ও মালিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে সহজ শর্তে ঋণ দেবে সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’

নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’

বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত