Ajker Patrika

এবার মানব পাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ১৭: ১৩
এবার মানব পাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন। 

আজ দুপুরের পর মিল্টন সমাদ্দারকে মৃতদের জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কামাল হোসেন তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের মিরপুর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

অন্যদিকে মানব পাচার আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম মিল্টনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনানির জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালতে হাজির করা হয়। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের মিরপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন মিল্টনকে জাল মৃত্যু সনদ ইস্যুর মামলায় কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে জাল মৃত্যু সনদ ইস্যু করার মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। 

পরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যুর সনদ তৈরি করে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অপরাধে ডিবির এসআই মো. কামাল পাশা মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের সহযোগী হিসেবে কিশোর বালাকে আসামি করা হয়। মামলায় কিশোর বালাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। 

মামলায় বলা হয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও একটি দৈনিক পত্রিকা এবং গণমাধ্যমে ফলাওভাবে ‘মানবতার ফেরিওয়ালার অত্যাচার/মারামারি’ শীর্ষক সংবাদ প্রচার হতে থাকে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি অনুসন্ধান ও তদন্তকালে ১ মে রাত ৮টার সময় রাজধানীর দক্ষিণ পাইকপাড়ায় মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার সেন্টারে পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হয় ডিবি পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিল্টন সমাদ্দার পালিয়ে যেতে উদ্যত হলে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর সহযোগী কিশোর বালা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আটকের পর মিল্টন সমাদ্দার স্বীকার করেন, তিনি কোনো নিবন্ধিত ডাক্তার নন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো ডাক্তারকে নিয়োগ প্রদান করেননি। তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেবার নামে নিজে ডাক্তার সেজে পলাতক আসামির সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন চিকিৎসা করে, সেবা করে, ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমোর মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ ফ্রেন্ড-ফলোয়ারের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ উপার্জন করেন। 

পরে আসামি মিল্টন সমাদ্দারের টেবিল থেকে ৫০টি মৃত্যুসনদ উদ্ধার করা হয়। এই সনদগুলোতে নিজে স্বাক্ষর দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে দুটি স্ট্যাম্প সিল উদ্ধার করা হয়। 

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, মিল্টন সমাদ্দার দীর্ঘদিন ধরেই মানবতার সেবা ও চিকিৎসা নামে বিভিন্ন বয়স্ক ও শিশুকে নিয়ে শারীরিক-মানসিক আঘাত করে কখনো কখনো তাদের সুচিকিৎসার নাম করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে বিক্রি করেন। তিনি শিশু পাচার করেন বলেও জানা যায়। 

তাঁকে আটকের পর বৃহস্পতিবার জালজালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যুসনদ তৈরি করার অভিযোগে মামলা দায়ের ছাড়াও মানব পাচার এবং বেআইনিভাবে অন্যকে আটক রেখে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও দুটি মামলা মিরপুর থানায় দায়ের হয়। 

মানব পাচার মামলা

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী এম রাকিব। তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তখন শেরেবাংলা নগর থানায় বিষয়টি জানান। কিন্তু থানা-পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার ওই শিশুকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

বাদী এম রাকিব এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, তিনি অভিভাবক হয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে ১০ হাজার টাকা দেন এবং শিশুটিকে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ভর্তি করান। এরপর মিল্টন সমাদ্দার রাকিবকে জানান, আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়া যাবে। 

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ্য করেন, ২০২১ সালের কোনো একদিন মিল্টন ফোন করে তাঁকে বলেন,‘ আমি (রাকিব) যেন ওই প্রতিষ্ঠানে আর না যাই এবং শিশুটির খোঁজখবর না নেই। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে আমাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণভয়ে আমি আর সেখানে যাইনি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে যাই। কিন্তু শিশুটিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও তাদের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি।’ 

বাদীর অভিযোগ, ২০২১ সালের যেকোনো সময় শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে। 

যে কারণে রিমান্ডের আবেদন

মানব পাচার মামলায় রিমান্ডের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বাদীর এজাহারে বর্ণিত শিশুটি কোথায় আছে বা আদৌ আছে কি না বা পাচার করা হয়েছে কি না এবং শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হয়েছে কি না, সেসব তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। জানা গেছে, এ রকম অনেক শিশু পাচারের সঙ্গে মিল্টন সমাদ্দার জড়িত। এসব অভিযোগের তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য তাঁকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবশেষে সেই শখের হাঁসটি নারীকে ফেরত দিলেন এনজিও কর্মকর্তারা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 
হাফিজা খানমকে হাঁস ফেরত দেন এনজিওর কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাফিজা খানমকে হাঁস ফেরত দেন এনজিওর কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান। একই সঙ্গে হাঁসটি যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই এনজিও কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের নারী হাফিজা। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য তিনি। এনজিওটি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস নিয়ে যান এনজিওর কর্মী ফিরোজ খাঁন। হাফিজার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত। এটি নিয়ে ‘শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে এনজিওটির কর্মকর্তারা।

টিএমএসএস এনজিওর বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চারজন কর্মকর্তা তদন্তের জন্য হাফিজার বাড়িতে আসেন। তাঁরা হাফিজা খানম, তাঁর স্বামী মুরাদ হোসেন ও স্থানীয়দের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

হাঁসটি ফেরত পেয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমার মেয়ের শখের হাঁসটি ফেরত পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’

এ ব্যাপারে টিএমএসএসের এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হাঁসটি আজ দুপুরে ফেরত দিয়েছি। মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় লরি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রোকেয়া আক্তার (৪৫) উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।

স্থানীয়দের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, রোকেয়া আক্তার তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রথমে তিনি মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাসে করে কলমাকান্দা সদরে পৌঁছান।

পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে কলমাকান্দা বাজারের রেন্টিতলা মোড় থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চড়ে রামনাথপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে রোকেয়া আক্তার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় চাপা পড়েন। এ সময়  ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক কারাগারে

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা-পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত তাহসিন ইসলাম তপুর চাচা মো. মেহেদী হাসান শুক্রবার বিকেলে ডেমরা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম কুমিল্লার মেঘনা থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আবেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিল আর কে মিশন রোড ৯৭/২ গোপীবাগের বাসিন্দা তিনি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ধার্মিকপাড়া এলাকার মিনি কক্সবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন আইইউবির শিক্ষার্থী তাহসিন ইসলাম তপু (২২) চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ছোট কিনাচর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। অপরজন ইউআইইউর শিক্ষার্থী গাজী ইরাম রিদওয়ান (২৪) নারায়ণগঞ্জের সদর থানার মিজমিজি খদ্দঘোষপাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের জিএম হাবিব উল্লাহর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ডিএসসিসির ময়লাবাহী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-০৫৭৪) বেপরোয়া গতিতে চালালে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের সঙ্গের বন্ধুরা উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহসিন ইসলাম তপুকে প্রথমে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গাজী ইরাম রিদওয়ানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টায় মৃত্যু হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ময়লাবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পরে মামলা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে আদালত তাকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

রাবি প্রতিনিধি  
আসাদুল্লা-হিল-গালিব । ছবি: সংগৃহীত
আসাদুল্লা-হিল-গালিব । ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন। ওই পোস্টে সম্মতি জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।

ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আসাদুল্লা-হিল-গালিব লেখেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’

পোস্টে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘ছোটভাই, প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা। তা নাহলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’

ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। মন্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু লেখেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোস্টটি আমি এখনো দেখি নাই। তবে একজনের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেজ থেকে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের পোস্ট করে বলা হয়—নেক্সট টার্গেট আমি। এগুলো আমার কাছে খুব একটা কনসার্নের বিষয় না।’

আম্মার বলেন, ‘আল্লাহর দেওয়া জান আল্লাহই নিয়ে যাবেন। এ জন্য আমি ঘর থেকে বের হবো না বা প্রোটোকল বাড়াবো, এমন কিছু না। আমি এ ধরনের হুমকিতে ন্যূনতম ভীত-সন্ত্রস্ত নই। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই।’

গালিবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও তার কোনো পাওয়ার ছিল না। এরকম একজনের পোস্টকে গুরুত্ব দেওয়া মানেই তাকে গুরুত্ব দেওয়া। তাই এসব হুমকিতে ভীত হওয়াটা আমার জন্য সময়ের অপচয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত