Ajker Patrika

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ৬৫ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩৭
নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ৬৫ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬৫ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিন্ন ভিন্ন রায়ে এই দণ্ড দেওয়া হয়।

রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা এক নাশকতার মামলায় ২৫ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী এই রায় দেন।

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে নগরীর ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু ও মহিলা দলের ঢাকা দক্ষিণ সিটির সভাপতি রাজিয়া আলম ওরফে রাজিয়া সুলতানা রয়েছেন।

অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সোহেল, রাজু, হাজি সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, হাজি মো. মাছুম, গলাকাটা আজিম, ওমর ফারুক প্রমুখ।

আদালতে আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার আগে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের জামিন বাতিল করে পলাতক ঘোষণা করেন এবং সাজা দেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন এবং বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতের আদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেন।

তাঁদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাঁদের শাস্তি কার্যকর হবে বলে ম্যাজিস্ট্রেট রায়ে বলেছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার এনসিসি রোডের আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের সামনে তাইজুর নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের একদল নেতা-কর্মী জড়ো হন। তাঁরা যানবাহন, দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় তাইজু, রাজিয়াসহ ২৩ জনকে আসামি করে বংশাল থানায় মামলা করে পুলিশ।

তদন্তের পর, পুলিশ ২০১৯ সালের ৩০ জুন ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন মামলা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

কলাবাগান থানার মামলায় ৪০ জনের কারাদণ্ড:
২০১৩ সালে দায়ের করা এক মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার ৪০ জনকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সিরাজুল ইসলাম, শাহ আলম সৈকত, জাকির হোসেন, মো. নোমান, পলাশ হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহমুদুল হাসান রুম্মান, ফয়সাল, শহিদুল,  মো. রাসেল আব্দুল লতিফ, রুবেল প্রমুখ।

আদালত এ মামলায় ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মনিরুজ্জামান হাওলাদার এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর কলাবাগানের বীর উত্তম সিআর দত্ত লেনের বিগ বাইট নামক দোকানের সামনে পাকা রাস্তার ওপরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনি সমাবেশ করে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় কলাবাগান থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ২০১৪ সালে তদন্ত শেষে ৬৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমি সই না করলে ইউএনও সই করবে না’—এলজিইডি প্রকৌশলীর ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।

৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।

জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, আজ বুধবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।

ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’

পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’

ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার দুই শিশুর পরিচয় মিলেছে, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।

এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।

পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থী মাসুদের বাড়ি নেই, পেশা ব্যবসা ও পরামর্শক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।

নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।

হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে ভাতিজি খুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরীর নাম লামিয়া আক্তার (১৪)। সে উত্তর চরাইল হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ফারুক খানের সৎকন্যা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পকেট থেকে ১৭০ টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে লামিয়ার মা লিলি বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি লিলি বেগমকে মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লামিয়াও মারধরের শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে স্বজনেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে লামিয়া আক্তার মারা যায়। আহত লিলি বেগম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছের রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত