Ajker Patrika

পুরোনো আইনে খোলস বদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ৩৫
পুরোনো আইনে খোলস বদল

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারায় পরিবর্তন এনে আইনটি নতুন নামে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ আইনের পরিবর্তিত নাম হবে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’। আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় সংসদ অধিবেশনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন আসছে, তা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। মোটা দাগে এই আইনে পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি জানান, প্রস্তাবিত নতুন আইনে সাজা যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি অনেকগুলো অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। তবে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক যেসব ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আছে, সেগুলো প্রস্তাবিত নতুন আইনে অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। 
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খুবই বিতর্কিত একটি ধারা হলো ২৮। জামিন অযোগ্য এই ধারা অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধে আঘাত এমন কিছু ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রকাশ করা অপরাধ বলে গণ্য হবে। কোনো ব্যক্তি এই অপরাধ সংঘটন করলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সাজা আরও বেশি হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এটি (২৮ ধারা) পরিবর্তন করে জামিনযোগ্য করা হয়েছে এবং সাজাও কমানো হয়েছে। এখন এই অপরাধে সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছর।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরেক বিতর্কিত দিক হলো ধারা ২৯। এই ধারার বিষয়বস্তু ছিল মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও সম্প্রচার। ধারাটি সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।

এতে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে পেনাল কোডের (দণ্ডবিধি) সেকশন ৪৯৯-এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, সে জন্য তিনি অনধিক তিন বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

প্রস্তাবিত আইনে এই অপরাধের জন্য কারাদণ্ড বাদ দিলেও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন এই অপরাধের জন্য অনধিক ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। 

২৫ লাখ টাকা জরিমানা অনেক বেশি, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই এই জরিমানার বিধান বাস্তবসম্মত কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, অনধিক ২৫ লাখ টাকা বলা হয়েছে। তবে আদালত চাইলে ১ টাকাও জরিমানা করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার।
প্রস্তাবিত আইনে বিদ্যমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ২১, ৩১ ও ৩২-এ পরিবর্তন এনে সাজার পরিমাণ কমানোর কথা বলা হয়েছে। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপপ্রচার করলে অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল। নতুন আইনে এই সাজা কমিয়ে সাত বছর করা হয়েছে।
বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় এমন কিছু ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে প্রকাশ করলে অপরাধী অনধিক সাত বছর কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই বিধান আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারায়। প্রস্তাবিত আইনে এই ধরনের অপরাধের সাজা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের বাড়তি সাজা বাতিল করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধের জন্য অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল। এটি কমিয়ে সাত বছর করা হয়েছে।

নতুন আইনের কার্যক্রম কখন শুরু হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিলটি উঠবে। সেই অধিবেশনে আইনটি পাস হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এটি পাস হলে আগের আইনে দায়ের করা মামলাগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনে চলবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যত মামলা
২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর থেকে আইনটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার আসামিদের বড় অংশই সাংবাদিক। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ মামলা করেছেন ক্ষমতাসীন দল বা তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের লোকেরা। চার বছরে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এই আইনে ১৪০টি মামলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের তিনজনের একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৬০ শতাংশ মামলা হয়েছে ফেসবুকে কোনো কিছু লেখা, শেয়ার করা বা সমর্থন জানানোর অভিযোগে।  

সিজিএস আরও দেখেছে, ১ হাজার ১০৯টি মামলায় মোট ২ হাজার ৮৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২৬ মাসে ডিএসএ আইনে মামলা করেছেন ক্ষমতাসীন দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অধিকারকর্মী, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকেরা এসব আইনের বেশির ভাগ ভুক্তভোগী। ৮৯০ মামলার মধ্যে ২০৬টি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া পুলিশ, র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাও এই আইনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মামলা করেছে।

সিজিএসের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ২০৭ জন সাংবাদিক, ৪১ জন শিক্ষাবিদ, ১০ এনজিও ও অধিকারকর্মী, ২৫৪ জন রাজনীতিক, ৭৯ জন ছাত্র, ৩২ জন সরকারি কর্মচারী, ৫৩ জন বেসরকারি কর্মচারী, ৭৯ জন ব্যবসায়ী, ২১ জন আইনজীবী, ৮ জন ধর্মীয় নেতা, ৩৬ জন অন্যান্য পেশার। ১ হাজার ৪২৪ জনের পেশা জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাজ করার পরেও ডিস্টার্ব করতে আসলে ১, ২, ৩, ৪ করে দেব: জিএস আম্মার

রাবি প্রতিনিধি  
ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

‘রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না, তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১,২, ৩,৪ করে দেব’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার।

আজ সোমবার রাবি শাখা ছাত্রদলের এক নেতার বক্তব্যের জবাবে সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢোকে, তবে তাদের জোহা চত্বরে বেঁধে রাখব।

এতে রেগে গেল ক্যাম্পাসের ছাত্রদল আর বিএনপি! ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একই ভাষায় বিবৃতি দিল। এমনকি বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা ভিসির কাছে নালিশ দিলেন যে, তারা নাকি ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। আমি বললাম, আওয়ামী লীগের কথা, আর ভয় পাচ্ছে বিএনপির শিক্ষকেরা!’

রাকসু জিএস ছাত্রদলকে ‘চাচা’ ও ‘চান্দাভাই’ আখ্যা দিয়ে লেখেন, ‘আরেকটি বিষয়ে আসি ছাত্রদলের আহ্বায়ক ভিসির চেয়ারসহ তাকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন; আমার কথার চেয়ে কি সেটি বেশি বড় ছিল?

‘তখন বিএনপির ‘‘চেতনাবাজদের’’ বিবৃতি কোথায় ছিল? ছাত্রদলের এক ‘‘চাচা’’ আজ ঘোষণা দিলেন ৩০ মিনিটে তালা মেরে দেবেন। বলি চাচা শোনেন, মন দিয়ে শুনবেন! ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কুকুর-বিড়ালের মতো এই ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে ক্যাম্পাসের বোঝা হব না। একদিন থাকলেও থাকার মতোই থাকব। একেকজন ১০ থেকে ১২ বছর ক্যাম্পাসে থেকে কী জনকল্যাণ করছেন, তা একটু ভেবে দেখবেন।’

আম্মার আরও লেখেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১,২, ৩,৪ করে দেব। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ অছাত্রকে যেন রাকসুর আশপাশে না দেখি। তাদের জন্য ‘‘রুয়া’’ আছে, রাকসুতে কাজ নেই। আমি আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের উৎখাতে কাজ করব, সাহস থাকলে এসো চান্দাভাই।’

এর আগে শাখা ছাত্রদলের মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আপনার মতো ‘‘ফুটেজখোর’’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢামেকে তরুণীর লাশ ফেলে পালালেন ‘স্বামী’

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর মরদেহ ফেলে কৌশলে পালিয়ে গেছেন স্বামী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। নিহত তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর এবং তাঁর থুতনিতে কালো দাগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বেসরকারি ট্রলিম্যান মো. হাসান ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এক ব্যক্তি ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি নিজেকে তরুণীর স্বামী বলে পরিচয় দেন এবং তাঁকে ট্রলিতে তুলে জরুরি বিভাগের সামনে রাখেন।

ট্রলিম্যান আরও জানান, রোগীকে ভেতরে নেওয়ার কথা বললে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর একজন পরিচিত আসছেন, তিনি এলে ভেতরে নেওয়া হবে। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে ট্রলিতে রেখেই অপেক্ষা করেন তিনি। রাত সোয়া ৮টার দিকে কৌশলে তরুণীকে ট্রলিতে রেখেই সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তরুণীকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তাঁর থুতনিকে কালো দাগ রয়েছে। যে ব্যক্তি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি কৌশলে ওই তরুণীকে রেখে পালিয়ে গেছেন। ওই তরুণীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত