গাজীপুর প্রতিনিধি

‘আন্দোলনের সময় আমার ফাইভে পড়া ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাইছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলায় আমি তো কারও নাম দেই নাই। এতগুলো যে আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়, আমি পাপ কইরা লাইছি ভাই।’ এসব কথা বলেন গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁর ছেলে মমিনুল ইসলাম গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় গত ১ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। বর্তমানে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মমিনুল কাশিমপুর এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দীর্ঘশ্বাস ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। নানান জনের কথা শুনে আমি শওকত চেয়ারম্যানের (গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি) কাছে গিয়েছিলাম। সে আমারে কইল ‘থানায় একটি জিডি কর, জিডি করলে ‘২৪ এর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাবে, সরকারি সাহায্য পাবে’। পরে জিডি করার জন্য চেয়ারম্যানের লোক সাইফুল ইসলাম বলার পর একটি কাগজের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম। আমি তো লেখাপড়া জানি না। সেখানে কী লেখা ছিল, তা আমার কিছুই জানা নাই। মামলাটা আমি ইচ্ছা কইরা করি নাই। আমি না বুঝে করছি।
জাহাঙ্গীর আলম আক্ষেপ করে বলেন, আমি যার বাসায় ছয়-সাত বছর ভাড়া থাকলাম, তাঁর ভগ্নিপতি, তাঁর ভাইরে আমার মামলায় আসামি দিছে। অথচ আমি এর কিছুই জানি না। আমি তো কারও নাম দেই নাই বা আমি এতগুলো যে নামের আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে, সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়, আমি পাপ কইরা লাইছি ভাই।
হত্যাচেষ্টা মামলার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিতে চান? জানতে চাইলে রিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি চাই একটাও মানুষ যেন কষ্ট না পায়, আমাকেও যেন অভিশাপ না দেয়। আমি চাই মামলাডা শেষ কইরা দিতে। মামলাডা কীভাবে শেষ করবার পারুম আপনি আমারে একটা পথ দেখাই দেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সময় গত ৪ আগস্ট বাদীর ছেলে বুকের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানসহ ১০২ জনের নামে ও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গাজীপুর মহানগর বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মামলায় ১০ জন বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
আসামি হওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা হলেন তারেক জিয়া মুক্তি পরিষদের গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ মিয়া, মহানগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব আলম মহি, একই এলাকার বাসিন্দা গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য মো. রকিবুল ইসলাম রকি, বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মো. আসাদ মণ্ডল, মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী খান, মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হানিফ মোল্লা, মহানগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের মো. সোহেল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আয়নাল মিয়া ও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা পারভেজ আহমেদ পবন। মামলা দায়েরের পর কয়েকজন জামিন নিলেও অনেকে এখনো পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আবু সাঈদ মিয়া বলেন, আমি মহানগর বিএনপির সম্পাদক রনির ভক্ত হওয়ায় শওকত সরকারের সহযোগী সাইফুল ইসলাম আমাকে হয়রানিমূলকভাবে আসামি করেছে।
এই মামলার অপর আসামি ও বিএনপি নেতা মো. মাহবুব আলম মহি জানান, মঞ্জুরুল করিম রনিকে কাশিমপুর এলাকায় একটি সভা করতে দেওয়ার কারণে সভাপতি শওকত সরকার আমাদের মোট ১০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামি করেছেন।
সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আয়নাল মিয়া জানান, সাবেক বিএনপির প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মান্নান ও তাঁর ছেলে রনির পক্ষে কাজ করার কারণে আমাকে এবং আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে এই মামলায় হয়রানিমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, আজকে পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম নামে কাউকে আমি চিনি না। এই নামে কেউ আমার কাছে আসেনি। আমি কারও কোনো স্বাক্ষর নেইনি। মামলা করা হয় থানায়। মামলার বিষয়ে আপনি থানায় খবর নেন।
অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো মামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমার কাছে কেউ আসেনি এবং আমি কাউকে কোনো মামলা করার জন্য প্ররোচিত করিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সাইফুল ইসলাম সরকারকে চিনি, তিনি মাঝেমধ্যে আমার কাছে আসেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে শওকত হোসেন বলেন, মামলায় বিএনপির কেউ আসামি হয়েছে কিনা আমি জানি না। মামলায় যারা আসামি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রকৃত বিএনপির কেউ যদি থাকে এবং তাঁরা যদি আমার কাছে আসে, তাহলে তাঁদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, খোঁজ নিব। বাদীর অজ্ঞাতে অথবা তাঁকে না জানিয়ে যদি কোনো ব্যক্তিকে আসামি করা হয়ে সে বিষয়টি দেখার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলব। এ ছাড়া এ মামলায় নিরীহ কোনো ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।
নাজমুল করিম আরও বলেন, বাদী চাইলে কোর্টে একটি অ্যাফিডেভিট দিয়ে তিনি বক্তব্য দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারব।

‘আন্দোলনের সময় আমার ফাইভে পড়া ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাইছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলায় আমি তো কারও নাম দেই নাই। এতগুলো যে আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়, আমি পাপ কইরা লাইছি ভাই।’ এসব কথা বলেন গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁর ছেলে মমিনুল ইসলাম গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় গত ১ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। বর্তমানে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মমিনুল কাশিমপুর এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দীর্ঘশ্বাস ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। নানান জনের কথা শুনে আমি শওকত চেয়ারম্যানের (গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি) কাছে গিয়েছিলাম। সে আমারে কইল ‘থানায় একটি জিডি কর, জিডি করলে ‘২৪ এর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাবে, সরকারি সাহায্য পাবে’। পরে জিডি করার জন্য চেয়ারম্যানের লোক সাইফুল ইসলাম বলার পর একটি কাগজের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম। আমি তো লেখাপড়া জানি না। সেখানে কী লেখা ছিল, তা আমার কিছুই জানা নাই। মামলাটা আমি ইচ্ছা কইরা করি নাই। আমি না বুঝে করছি।
জাহাঙ্গীর আলম আক্ষেপ করে বলেন, আমি যার বাসায় ছয়-সাত বছর ভাড়া থাকলাম, তাঁর ভগ্নিপতি, তাঁর ভাইরে আমার মামলায় আসামি দিছে। অথচ আমি এর কিছুই জানি না। আমি তো কারও নাম দেই নাই বা আমি এতগুলো যে নামের আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে, সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়, আমি পাপ কইরা লাইছি ভাই।
হত্যাচেষ্টা মামলার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিতে চান? জানতে চাইলে রিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি চাই একটাও মানুষ যেন কষ্ট না পায়, আমাকেও যেন অভিশাপ না দেয়। আমি চাই মামলাডা শেষ কইরা দিতে। মামলাডা কীভাবে শেষ করবার পারুম আপনি আমারে একটা পথ দেখাই দেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সময় গত ৪ আগস্ট বাদীর ছেলে বুকের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানসহ ১০২ জনের নামে ও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গাজীপুর মহানগর বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মামলায় ১০ জন বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
আসামি হওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা হলেন তারেক জিয়া মুক্তি পরিষদের গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ মিয়া, মহানগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব আলম মহি, একই এলাকার বাসিন্দা গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য মো. রকিবুল ইসলাম রকি, বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মো. আসাদ মণ্ডল, মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী খান, মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হানিফ মোল্লা, মহানগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের মো. সোহেল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আয়নাল মিয়া ও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা পারভেজ আহমেদ পবন। মামলা দায়েরের পর কয়েকজন জামিন নিলেও অনেকে এখনো পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আবু সাঈদ মিয়া বলেন, আমি মহানগর বিএনপির সম্পাদক রনির ভক্ত হওয়ায় শওকত সরকারের সহযোগী সাইফুল ইসলাম আমাকে হয়রানিমূলকভাবে আসামি করেছে।
এই মামলার অপর আসামি ও বিএনপি নেতা মো. মাহবুব আলম মহি জানান, মঞ্জুরুল করিম রনিকে কাশিমপুর এলাকায় একটি সভা করতে দেওয়ার কারণে সভাপতি শওকত সরকার আমাদের মোট ১০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামি করেছেন।
সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আয়নাল মিয়া জানান, সাবেক বিএনপির প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মান্নান ও তাঁর ছেলে রনির পক্ষে কাজ করার কারণে আমাকে এবং আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে এই মামলায় হয়রানিমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, আজকে পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম নামে কাউকে আমি চিনি না। এই নামে কেউ আমার কাছে আসেনি। আমি কারও কোনো স্বাক্ষর নেইনি। মামলা করা হয় থানায়। মামলার বিষয়ে আপনি থানায় খবর নেন।
অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো মামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমার কাছে কেউ আসেনি এবং আমি কাউকে কোনো মামলা করার জন্য প্ররোচিত করিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সাইফুল ইসলাম সরকারকে চিনি, তিনি মাঝেমধ্যে আমার কাছে আসেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে শওকত হোসেন বলেন, মামলায় বিএনপির কেউ আসামি হয়েছে কিনা আমি জানি না। মামলায় যারা আসামি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রকৃত বিএনপির কেউ যদি থাকে এবং তাঁরা যদি আমার কাছে আসে, তাহলে তাঁদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, খোঁজ নিব। বাদীর অজ্ঞাতে অথবা তাঁকে না জানিয়ে যদি কোনো ব্যক্তিকে আসামি করা হয়ে সে বিষয়টি দেখার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলব। এ ছাড়া এ মামলায় নিরীহ কোনো ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।
নাজমুল করিম আরও বলেন, বাদী চাইলে কোর্টে একটি অ্যাফিডেভিট দিয়ে তিনি বক্তব্য দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারব।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

‘আন্দোলনের সময় আমার ফাইভে পড়া ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাইছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলায় আমি তো কারও নাম দেই নাই। এতগুলো যে আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

‘আন্দোলনের সময় আমার ফাইভে পড়া ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাইছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলায় আমি তো কারও নাম দেই নাই। এতগুলো যে আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

‘আন্দোলনের সময় আমার ফাইভে পড়া ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাইছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলায় আমি তো কারও নাম দেই নাই। এতগুলো যে আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

‘আন্দোলনের সময় আমার ফাইভে পড়া ছেলের বুকের নিচে গুলি লাগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাইছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলায় আমি তো কারও নাম দেই নাই। এতগুলো যে আসামি এদের কাউকে চিনিও না। এখন মামলাটা কীভাবে খালাস হবে সেই ধান্দা আমার। মানুষের হয়রানি করলে খারাপ হয়, অভিশাপ দেয়...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে