নাজমুল হাসান সাগর, শিবচর(মাদারীপুর) থেকে

পদ্মার দুই পাড়েই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁকডাক, কোলাহল আর কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্মচাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা বোঝা গেল লঞ্চে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন হকারের ছাড়া হাকে। ভ্রাম্যমাণ এসব ডিম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, শরবত কিংবা লঞ্চের ক্যানটিন বয়রা গলা ছেড়ে সুর করে ডাকছে, ‘আইজকাই শ্যাষ, খায়া যান। কাইলকা থাইকা আর পাইবেন না।’
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর। সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হলে যুগ যুগ ধরে পদ্মার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো এসব লঞ্চ আর চলাচল করবে না। বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চকেন্দ্রিক নানা ক্ষুদ্র ব্যবসাও। তাই হকারেরা লঞ্চযাত্রীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘আজকেই শেষ দিন’। লঞ্চ ছাড়ার পরেই ক্যানটিন থেকে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একজন বলে গেল ‘ইলিশ ভাজা, ডাইল ভুনা আর গরম-গরম ভাত। আইজকাই শ্যাষ দিন, খাইতে চাইলে আইসা পড়েন নিচের ক্যানটিনে। এই খাওন আর পাইবেন না।’
জীবনে একবার যারা এই পথে লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানবেন, পদ্মার বুকে লঞ্চযাত্রার সঙ্গে সব থেকে পরিচিত যে বিষয়টি জড়িত। তা হলো ভাজা ইলিশ, ইলিশভাজা তেল আর ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম-গরম কয়েক থালা ভাত খাওয়া। ক্ষুধার্ত যাত্রী তো বটেই, ইলিশ ভাজার ঘ্রাণে অনেক ভরপেটা মানুষও লোভ সামলাতে না পেরে খেতে বসে যান অনায়াসেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
লঞ্চের নিচতলার ক্যানটিনে গিয়ে দেখা গেল, হলুদ-লবণ মাখানো ইলিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খেতে আসা যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো মাছের টুকরো নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভেজে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাতে। গরম গরম ভাজা মাছ, তেল আর ভাতের সঙ্গে মসুর ডালের ভুনা। পদ্মার বুকে ভাসতে ভাসতে এমন খাওয়ার যে স্বর্গীয় সুখ, তা শনিবার থেকে আর পাওয়া যাবে না। সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আনন্দের সঙ্গে যুগের পর যুগ চলে আসা লঞ্চের এই খাবার না খেতে পারার কষ্টটা একধরনের অম্লমধুর অনুভূতির সৃষ্টি করেছে নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর মনে। এমন একজন ইখলাস মাতবর। তিনি বলেন, ‘কালকের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিতে পারব। এটা খুব আনন্দের বিষয়। জন্মের পর থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে করে আমরা যেভাবে পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তার অনেক অনুষঙ্গই আমাদের যাপিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের এসব অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি করেছে। কাল বা পরশু থেকে এসব থাকবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। এ এক মিশ্র অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব না।’
সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে বাগেরহাট থেকে ঘুরতে এসে লঞ্চের ক্যানটিনে কাজ শুরু করেন মো. জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুরো ক্যানটিনের দায়িত্ব নেন তিনি। সব মিলিয়ে পেশা হিসেবে লঞ্চের ক্যানটিনে ইলিশ ভাত বিক্রি করছেন ১৭ বছর। শনিবার থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসাও কী বন্ধ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল বলেন, ‘এই ট্রিপের পরেই ব্যবসা বন্ধ। সেতু হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হইছে। যাতায়াতের কষ্ট দূর হইব। আমরাও খুশি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হইলে আমাগো ব্যবসার জায়গাও তো বন্ধ হইব। এইটা নিয়া দুঃখ নাই।’ এমনটা জানিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন তিনি।
দুঃখ নেই বলে মুচকি হাসি দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা কিছু অনিশ্চয়তা ঢাকার চেষ্টা করলেও সেটা আর পারলেন না জহিরুল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হলে কী করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘বাগেরহাটে চইলা যামু। আপাতত কী করমু না করমু ভাবি নাই। বিকল্প কোনো কাজও নাই। হয়তো কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে হইব।’
কানে ভেসে এলো যাত্রীদের উদ্দেশে বলা শরবত বিক্রেতার কথা। তিনি বলছেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর লঞ্চে লঞ্চে শরবত বিক্রি করি। কাল থেকে আর এই লঞ্চও থাকবে না, আপনারা শরবতও পাইবেন না। আইজকাই শ্যাষ সুযোগ, চাইলে খায়া দেখতে পারেন। আইজ পর্যন্ত এই শরবত খায়া কেউ দুর্নাম করতে পারে নাই। ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।’ শরবত বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল থেকে কী করবেন? এক কথায় উত্তর দিলেন, ‘জানি নাহ্।’
লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দেখছিলেন। কেউ কেউ সেতু নিয়ে তাঁদের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। লঞ্চ কিংবা ফেরিতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার—মিষ্টি পাউরুটি। কয়েকজন যাত্রী আবার হকারের থেকে বেশ কয়েক প্যাকেট পাউরুটি কিনে নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশিই টাকা দিচ্ছিলেন। সহাস্যে পাউরুটি বিক্রেতা বললেন, ‘টাকা বেশি দিলেই কী মামা। আমরা তো জীবিকা হারাইলাম। আপনেগো তো সুবিধা হইল।’
এবার কথা হলো লঞ্চের মাস্টার ইমরান মোল্লার সঙ্গে। এই পথে এই লঞ্চে এটাই তার শেষ যাত্রা। এই লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে চলে যাবেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁর কাছে সেতু নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুটা দরকার। কত মানুষের জীবন যে সহজ, সুন্দর হইব এটা কাইল থাইকা বোঝা যাইব। কর্ম হারানির কষ্ট নাই। কোথাও না কোথাও কাজ কইরা খাইতে পারমু। কিন্তু এত দিন এই ঘাটে, লঞ্চে যাগো সঙ্গে চলাচল, উঠাবসা করছি, তারা কে কই যাইব, কেউ জানে না। একটা পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। এই পরিবারের জন্য মায়া লাগতেছে।’
অন্য সবকিছুর মতোই এই লঞ্চেরও আজ শেষ যাত্রা এই ঘাটে। লঞ্চের সঙ্গে শেষ হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ, ক্লান্তি, অসহায়ত্ব আর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের লড়াই। এসব শেষ দিয়েই শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন জীবন-জীবিকা।

পদ্মার দুই পাড়েই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁকডাক, কোলাহল আর কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্মচাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা বোঝা গেল লঞ্চে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন হকারের ছাড়া হাকে। ভ্রাম্যমাণ এসব ডিম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, শরবত কিংবা লঞ্চের ক্যানটিন বয়রা গলা ছেড়ে সুর করে ডাকছে, ‘আইজকাই শ্যাষ, খায়া যান। কাইলকা থাইকা আর পাইবেন না।’
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর। সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হলে যুগ যুগ ধরে পদ্মার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো এসব লঞ্চ আর চলাচল করবে না। বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চকেন্দ্রিক নানা ক্ষুদ্র ব্যবসাও। তাই হকারেরা লঞ্চযাত্রীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘আজকেই শেষ দিন’। লঞ্চ ছাড়ার পরেই ক্যানটিন থেকে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একজন বলে গেল ‘ইলিশ ভাজা, ডাইল ভুনা আর গরম-গরম ভাত। আইজকাই শ্যাষ দিন, খাইতে চাইলে আইসা পড়েন নিচের ক্যানটিনে। এই খাওন আর পাইবেন না।’
জীবনে একবার যারা এই পথে লঞ্চ ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানবেন, পদ্মার বুকে লঞ্চযাত্রার সঙ্গে সব থেকে পরিচিত যে বিষয়টি জড়িত। তা হলো ভাজা ইলিশ, ইলিশভাজা তেল আর ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম-গরম কয়েক থালা ভাত খাওয়া। ক্ষুধার্ত যাত্রী তো বটেই, ইলিশ ভাজার ঘ্রাণে অনেক ভরপেটা মানুষও লোভ সামলাতে না পেরে খেতে বসে যান অনায়াসেই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
লঞ্চের নিচতলার ক্যানটিনে গিয়ে দেখা গেল, হলুদ-লবণ মাখানো ইলিশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খেতে আসা যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো মাছের টুকরো নির্বাচন করে দিচ্ছেন। সেটি তাৎক্ষণিক ভেজে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাতে। গরম গরম ভাজা মাছ, তেল আর ভাতের সঙ্গে মসুর ডালের ভুনা। পদ্মার বুকে ভাসতে ভাসতে এমন খাওয়ার যে স্বর্গীয় সুখ, তা শনিবার থেকে আর পাওয়া যাবে না। সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আনন্দের সঙ্গে যুগের পর যুগ চলে আসা লঞ্চের এই খাবার না খেতে পারার কষ্টটা একধরনের অম্লমধুর অনুভূতির সৃষ্টি করেছে নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর মনে। এমন একজন ইখলাস মাতবর। তিনি বলেন, ‘কালকের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সহজেই পদ্মা পাড়ি দিতে পারব। এটা খুব আনন্দের বিষয়। জন্মের পর থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে করে আমরা যেভাবে পদ্মা পাড়ি দিয়েছি, তার অনেক অনুষঙ্গই আমাদের যাপিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের এসব অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে একধরনের অভ্যস্ততা তৈরি করেছে। কাল বা পরশু থেকে এসব থাকবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। এ এক মিশ্র অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব না।’
সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে বাগেরহাট থেকে ঘুরতে এসে লঞ্চের ক্যানটিনে কাজ শুরু করেন মো. জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুরো ক্যানটিনের দায়িত্ব নেন তিনি। সব মিলিয়ে পেশা হিসেবে লঞ্চের ক্যানটিনে ইলিশ ভাত বিক্রি করছেন ১৭ বছর। শনিবার থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসাও কী বন্ধ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল বলেন, ‘এই ট্রিপের পরেই ব্যবসা বন্ধ। সেতু হওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হইছে। যাতায়াতের কষ্ট দূর হইব। আমরাও খুশি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হইলে আমাগো ব্যবসার জায়গাও তো বন্ধ হইব। এইটা নিয়া দুঃখ নাই।’ এমনটা জানিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন তিনি।
দুঃখ নেই বলে মুচকি হাসি দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা কিছু অনিশ্চয়তা ঢাকার চেষ্টা করলেও সেটা আর পারলেন না জহিরুল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হলে কী করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘বাগেরহাটে চইলা যামু। আপাতত কী করমু না করমু ভাবি নাই। বিকল্প কোনো কাজও নাই। হয়তো কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে হইব।’
কানে ভেসে এলো যাত্রীদের উদ্দেশে বলা শরবত বিক্রেতার কথা। তিনি বলছেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর লঞ্চে লঞ্চে শরবত বিক্রি করি। কাল থেকে আর এই লঞ্চও থাকবে না, আপনারা শরবতও পাইবেন না। আইজকাই শ্যাষ সুযোগ, চাইলে খায়া দেখতে পারেন। আইজ পর্যন্ত এই শরবত খায়া কেউ দুর্নাম করতে পারে নাই। ভালো না লাগলে টাকা ফেরত।’ শরবত বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল থেকে কী করবেন? এক কথায় উত্তর দিলেন, ‘জানি নাহ্।’
লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দেখছিলেন। কেউ কেউ সেতু নিয়ে তাঁদের বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। লঞ্চ কিংবা ফেরিতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার—মিষ্টি পাউরুটি। কয়েকজন যাত্রী আবার হকারের থেকে বেশ কয়েক প্যাকেট পাউরুটি কিনে নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশিই টাকা দিচ্ছিলেন। সহাস্যে পাউরুটি বিক্রেতা বললেন, ‘টাকা বেশি দিলেই কী মামা। আমরা তো জীবিকা হারাইলাম। আপনেগো তো সুবিধা হইল।’
এবার কথা হলো লঞ্চের মাস্টার ইমরান মোল্লার সঙ্গে। এই পথে এই লঞ্চে এটাই তার শেষ যাত্রা। এই লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে চলে যাবেন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁর কাছে সেতু নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সেতুটা দরকার। কত মানুষের জীবন যে সহজ, সুন্দর হইব এটা কাইল থাইকা বোঝা যাইব। কর্ম হারানির কষ্ট নাই। কোথাও না কোথাও কাজ কইরা খাইতে পারমু। কিন্তু এত দিন এই ঘাটে, লঞ্চে যাগো সঙ্গে চলাচল, উঠাবসা করছি, তারা কে কই যাইব, কেউ জানে না। একটা পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। এই পরিবারের জন্য মায়া লাগতেছে।’
অন্য সবকিছুর মতোই এই লঞ্চেরও আজ শেষ যাত্রা এই ঘাটে। লঞ্চের সঙ্গে শেষ হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ, ক্লান্তি, অসহায়ত্ব আর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের লড়াই। এসব শেষ দিয়েই শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন জীবন-জীবিকা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১০ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২১ মিনিট আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩২ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২১ মিনিট আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩২ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১০ মিনিট আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩২ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১০ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

পদ্মার দুই পারেই ঘাটে যাত্রী আর লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অন্য রকম এক উন্মাদনা বিরাজ করছে। অন্য দশ দিনের নিয়মিত হাঁক-ডাক, কোলাহল আর কর্ম চাঞ্চল্যের সঙ্গে আজকের দিনের কর্ম চাঞ্চল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে।
২৪ জুন ২০২২
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১০ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২১ মিনিট আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩২ মিনিট আগে