Ajker Patrika

রাজধানীর গণপরিবহন

মতামত পুরোটা না মেনে ২১ বাস রুটের অনুমতি

  • আরটিসির গত ২৩ এপ্রিলের বৈঠকে নতুন রুটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
  • বেশ কিছু রুটে ডিটিসিএর প্রস্তাবিত অ্যালাইনমেন্ট না মানার অভিযোগ।
  • সবার মতামত নিয়ে আইনবিধি মেনে রুট অনুমোদনের দাবি আরটিসির।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ০৪: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগরে নতুন ২১টি বাস রুটের অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি)। তবে সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নতুন রুট অনুমোদনের আগে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) মতামত বা সুপারিশ নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা পুরো আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরটিসির এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিধিমালার লঙ্ঘন। তবে আরটিসির সদস্যসচিব বলেছেন, বিধিমোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ২৩ এপ্রিল আরটিসির বৈঠকে নতুন ২১টি বাস রুটের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বৈঠকের কার্যপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এসব নতুন রুটের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন সদস্য বলেছেন, তাঁরা রুট অনুমোদনের কোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেননি বা সম্মতি দেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সদস্য বলেন, ‘আমাদের সামনে রুট অনুমোদনের কোনো কার্যপত্র বা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়নি। আমরা পরে জানতে পারি সভার রেজল্যুশনে ২১টি রুট অনুমোদন দেখানো হয়েছে।’

ওই সভায় উপস্থিত ডিটিসিএর প্রতিনিধি, বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, ২১ এপ্রিল ডিটিসিএর সভায় ২১টি রুট নিয়ে আলোচনা হয় এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই আরটিসির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়। কিন্তু অনুমোদিত রুটগুলোর মধ্যে বেশ কিছুতে ডিটিসিএর প্রস্তাবিত অ্যালাইনমেন্ট মানা হয়নি, আবার কিছু রুট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

অর্থাৎ ডিটিসিএ যে ২১ রুটের বিষয়ে মতামত দিয়েছে, আরটিসি তা মডিফাই করে অনুমতি দিয়েছে। এতে ওই রুট পারমিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে আরটিসির সদস্যসচিব ও বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় অফিসের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আরটিসির সভা বিধিমোতাবেক হয়েছে। সবার মতামত নিয়ে আইনবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে ২১ রুটের পারমিট ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেউ শর্ত পূরণ না করলে তাদের রুট পারমিট দেওয়া হবে না।’

চলতি বছরের ১০ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের আওতায় কোম্পানিভিত্তিক বাসসেবা চালু-সংক্রান্তবিষয়ক সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বাস রেশনালাইজেশন কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের অনুমোদন দিতে হবে, যার আহ্বায়ক হবেন ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক।

কারা পেল নতুন ২১টি রুট

নতুন ২১টি বাস রুটের অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো ঢাকা চাকা লিমিটেড, মাশা আল্লাহ এক্সপ্রেস, সেফটি পরিবহন, চ্যালেঞ্জার লাইন, আলিফ এন্টারপ্রাইজ, অভিজাত ট্রান্সপোর্ট, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, আজমেরী গ্লোরি, গোল্ডেন সিটি, বৈশাখী পরিবহন, উত্তর চাকা, আশুলিয়া লিংক এক্সপ্রেস, মাওয়া এভারগ্রীন, আরবি এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন বাংলা বিডি পরিবহন, ইউনাইটেড সার্ভিস, প্রত্যাশা পরিবহন, এরফান এন্টারপ্রাইজ, বিকাশ সেবা এন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি। প্রতিটি কোম্পানিকে রুটভেদে এসি বা নন-এসি ৮০ থেকে ১৫০টি বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কোম্পানির কাছে কী এত বাস আছে? না কি মালিকদের কাছ থেকে বাস লিজ নিয়ে কোম্পানির নামে চালানো হবে? অনুমোদনের আগে এসব যাচাই করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস রুট পারমিট এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, এ জন্যই এ নিয়ে টানাটানি চলে। রুট নির্ধারণের বিষয়ে বিআরটিএ কিংবা ডিটিসিএর সঠিক সক্ষমতা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপালগঞ্জে বাসচাপায় পুলিশের কনস্টেবল নিহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি নড়াইল সদর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারি কাজে মোটরসাইকেলে নড়াইল সদর থানা থেকে মুকসুদপুর থানায় যাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম। পথে ভাঙ্গাপোল এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী বনফুল পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

নিহত রবিউল ইসলাম মুকসুদপুর উপজেলার নওহাটা গ্রামের বজলার রহমান ওরফে হিরু মিয়ার ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় সকাল থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু

খুলনা প্রতিনিধি
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ সোমবার। শী‌তের তীব্রতাকে উপেক্ষা ক‌রে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন দ‌লের প্রার্থীরা তাঁদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নি‌য়ে মনোনয়নপত্র জমা দি‌তে ‌রিটা‌র্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হ‌তে থা‌কেন।

এদি‌কে প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক রাখতে সকাল থে‌কে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাম‌নে অতিরিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন করা হয়েছে।

সকাল সা‌ড়ে ৯টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দি‌তে জেলা প্রশাসকের কার্যাল‌য়ের নিচে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নি‌য়ে উপস্থিত হন খুলনা-৫ আস‌নের সংসদ সদস‌্য প্রার্থী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার। সকাল ৯টা ৫১ মি‌নি‌টের দি‌কে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার তাঁর ম‌নোনয়নপত্র জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আ স ম জাম‌সেদ খোন্দকা‌রের হ‌তে তু‌লে দেন।

এরপর মনোনয়নপত্র তু‌লে দেন খুলনা-৬ আস‌নের প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপ‌রিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী প‌রিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তারপ‌রে দেন খুলনা-২ আস‌নের প্রার্থী বাংলা‌দেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস‌্য ও মহানগরী জামায়া‌তের সেক্রেটারি জেনা‌রেল অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৪: হাসনাত আবদুল্লাহর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াত প্রার্থী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম (শহিদ)। ছবি: সংগৃহীত
হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম (শহিদ)। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (শহিদ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

গতকাল রোববার ঢাকায় এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা ৮টি দলের মধ্যে একটি নির্বাচনী সমঝোতা ঘোষিত হয়। এই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুমিল্লা-৪ আসনে এই পরিবর্তন আসে। উল্লেখ্য, এই দেবীদ্বার আসনটি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নিজস্ব এলাকা।

সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তিনি রোববার রাতে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলাম। আল্লাহ যেন দ্বীন কায়েমের পথে আমৃত্যু টিকে থাকার তৌফিক দান করেন।’

পরে এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও আমি দেবীদ্বারের মানুষের পাশে সব সময় থাকব। হয়তো জনগণের সব প্রত্যাশা পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারব না, তবে সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

গত ২৩ ডিসেম্বর এনসিপির নেতা-কর্মীরা হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। জামায়াত প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর ফলে হাসনাত আবদুল্লাহর অবস্থান এই আসনে আরও শক্তিশালী হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটররা।

এর আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পটিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত, আহত ৪

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও চারজন আহত হয়েছেন। নিহত ট্রাকচালক মো. সালাম (৫৫) বগুড়া জেলার আকতার মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনুচ মিয়ার ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার জুয়েলের ছেলে জাকির ইসলাম (৩০), সবুর মিয়ার ছেলে সাকিব উল হাসান (১৭) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার নাসরিন সুলতানা (২৯)।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাস আমজুরহাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় ট্রাকচালক মো. সালাম বাস ও ট্রাকের মাঝখানে আটকা পড়েন।

খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর তাঁকে উদ্ধার করে। পরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় তাঁদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত