Ajker Patrika

শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা

মাদকসেবীদের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন, ক্যাম্পাস উত্তাল

  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের।
  • সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাইকের ধাক্কাকে কেন্দ্র করে খুন।
  • গ্রেপ্তার ৩ জন কারাগারে। একজনের বাড়িতে আগুন।
  • আজ অর্ধদিবস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ২৩: ২৩
ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে খুন হন সাম্য।	ছবি: আজকের পত্রিকা
ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে খুন হন সাম্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) খুনের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার দিনভর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল। নিহত সাম্য ছাত্রদল নেতা ছিলেন।

সাম্য খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ বলছে, তিনজনই মাদকসেবী। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন মাদক সেবন করতে। এ সময় মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁরা সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে। তিনি এই হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।

গ্রেপ্তারের পর তিনজন কারাগারে

সাম্য হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজধানীর রাজাবাজার ও গ্রিন রোড এলাকা থেকে। তাঁরা হলেন মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো. পলাশ সরদার (৩০)।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই ‘বহিরাগত’। তাঁরা ১৫-২০ দিন আগে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় আসেন। ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাতে গেঞ্জির ব্যবসা শুরু করেন। থাকেন রাজধানীর রাজাবাজার এলাকায়। ঘটনার দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক সেবনের জন্য গিয়েছিলেন।

শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, সাম্যর ভাই শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার দুজন ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন সাম্যর বন্ধু। ওই বন্ধুই তাঁদের শনাক্ত করেছেন।

গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা প্রায় ২০ দিন আগে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় আসেন। রাজাবাজার এলাকায় থাকেন। ঘটনার দিন তাঁরা মাদক সেবনের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।

ঘটনার বর্ণনা

সাম্যর বন্ধুরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ঊরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায় ওই মোটরসাইকেলের আরোহী। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তমঞ্চ ও রমনা কালীমন্দিরের মাঝখানের খোলা জায়গায় ক্রাইম সিন চিহ্নিত করে রেখেছে সিআইডি। সেখানে কয়েকটি ইট ও ঘাসের মধ্যে রক্ত লেগে রয়েছে।

কালীমন্দিরের ফটকের পাশে থাকা একাধিক দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় কয়েকজন মারামারি করে। কিন্তু কী নিয়ে, কেন মারামারি করেছে, তা তাঁরা জানেন না। পরে শোনেন, একজন মারা গেছেন।

এক দোকানি বলেন, মাঝেমধ্যে মাদক সেবন নিয়ে এমন মারামারি লাগে। গতকাল কী জন্য মারামারি লেগেছে, তা জানেন না।

উপাচার্য, প্রক্টর ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের

সাম্য খুন হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে জড়ো হন তাঁর বন্ধু, সহপাঠী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান তাঁরা। রাত ২টার দিকে মিছিল ভিসি চত্বরে এসে জড়ো হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। তখন অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য ও প্রক্টর মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। নিহত শিক্ষার্থীকে দেখতে ভেতরে ঢুকতে চাইলে শিক্ষার্থীদের বাধায় ঢুকতে পারেননি। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থান ত্যাগ করেন উপাচার্য ও প্রক্টর।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সাম্য হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে গিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তাঁরা।

সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘আমরা দেখছি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে; অথচ সরকার তা নিয়ে নিশ্চুপ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘অতিদ্রুত আমরা এই ভিসি ও প্রক্টরকে সরানোর অনুরোধ করছি সরকারের কাছে। না হলে আমরা এই সরকারকে সরাতে বাধ্য হব।’

আজ অর্ধদিবস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গতকাল মানববন্ধন করেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানান তাঁরা। সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল।

গতকাল বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বৈঠক করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিনিধিরা।

বৈঠক শেষে বিকেলে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাম্যকে হত্যার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার শোক পালন ও অর্ধদিবস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেন।

উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে রমনা পার্কের মতো একটি স্মার্ট পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’ এ ছাড়া নিয়মিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযানের জন্য একটা টিমও গঠন করা হবে বলে জানান উপাচার্য।

সাম্যর মৃত্যু নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সাম্যর মৃত্যু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে কী ধরনের অপরাধ চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার গুরুত্বসহকারে দেখছে।’ বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা

গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে সাম্যর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে তাঁর বিভাগে। সেখানে তাঁর প্রথম জানাজা হয়। পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সাম্যর দ্বিতীয় জানাজা হয়। এতে অংশ নেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মী, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে বেলা আড়াইটার দিকে পরিবারের লোকজন, তাঁর বিভাগের শিক্ষক ও সহপাঠীরা মরদেহ নিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে রওনা দেন।

গ্রামের বাড়িতে মাতম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সাম্যর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চলছে মাতম। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী তাঁর বাড়িতে জড়ো হন। স্যাম্যর লাশ গতকাল রাত ৭টার দিকে বাড়িতে পৌঁছায়। রাত ১১টার দিকে জানাজা শেষে লাশ দাফনের কথা ছিল।

সাম্য বেলকুচির সরাতৈল গ্রামের ফরহাদ সরদারের ছেলে। তাঁর মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

সাম্যর বড় চাচা কাউসার আলম বলেন, ‘কী অপরাধ ছিল আমার ভাতিজার যে তাকে হত্যা করা হলো। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যারা এই হত্যার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’

সাম্য হত্যার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভাসানী মিলনায়তন চত্বরে এসে শেষ হয়।

তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি

সাম্য হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে গতকাল সাত সদস্যের কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির। পাশাপাশি ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) সাচিবিক দায়িত্বে থাকবেন।

মাদারীপুরে আসামির বাড়িতে আগুন

মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার তামিম হাওলাদারের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে এ ঘটনা ঘটে। কে বা কারা দিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটক তামিম হাওলাদার ওই এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তিনজনই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন। সরকারের পতনের আগপর্যন্ত তামিম ও পলাশ গ্রামে অবস্থান করতেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। সম্রাট মল্লিক মাদকাসক্ত বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় সকাল থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু

খুলনা প্রতিনিধি
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ সোমবার। শী‌তের তীব্রতাকে উপেক্ষা ক‌রে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন দ‌লের প্রার্থীরা তাঁদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নি‌য়ে মনোনয়নপত্র জমা দি‌তে ‌রিটা‌র্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হ‌তে থা‌কেন।

এদি‌কে প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক রাখতে সকাল থে‌কে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাম‌নে অতিরিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন করা হয়েছে।

সকাল সা‌ড়ে ৯টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দি‌তে জেলা প্রশাসকের কার্যাল‌য়ের নিচে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নি‌য়ে উপস্থিত হন খুলনা-৫ আস‌নের সংসদ সদস‌্য প্রার্থী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার। সকাল ৯টা ৫১ মি‌নি‌টের দি‌কে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনা‌রেল মিয়া গোলাম প‌রোয়ার তাঁর ম‌নোনয়নপত্র জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আ স ম জাম‌সেদ খোন্দকা‌রের হ‌তে তু‌লে দেন।

এরপর মনোনয়নপত্র তু‌লে দেন খুলনা-৬ আস‌নের প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপ‌রিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী প‌রিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তারপ‌রে দেন খুলনা-২ আস‌নের প্রার্থী বাংলা‌দেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস‌্য ও মহানগরী জামায়া‌তের সেক্রেটারি জেনা‌রেল অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৪: হাসনাত আবদুল্লাহর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াত প্রার্থী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম (শহিদ)। ছবি: সংগৃহীত
হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম (শহিদ)। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (শহিদ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

গতকাল রোববার ঢাকায় এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা ৮টি দলের মধ্যে একটি নির্বাচনী সমঝোতা ঘোষিত হয়। এই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুমিল্লা-৪ আসনে এই পরিবর্তন আসে। উল্লেখ্য, এই দেবীদ্বার আসনটি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নিজস্ব এলাকা।

সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তিনি রোববার রাতে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলাম। আল্লাহ যেন দ্বীন কায়েমের পথে আমৃত্যু টিকে থাকার তৌফিক দান করেন।’

পরে এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও আমি দেবীদ্বারের মানুষের পাশে সব সময় থাকব। হয়তো জনগণের সব প্রত্যাশা পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারব না, তবে সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

গত ২৩ ডিসেম্বর এনসিপির নেতা-কর্মীরা হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। জামায়াত প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর ফলে হাসনাত আবদুল্লাহর অবস্থান এই আসনে আরও শক্তিশালী হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটররা।

এর আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পটিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত, আহত ৪

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও চারজন আহত হয়েছেন। নিহত ট্রাকচালক মো. সালাম (৫৫) বগুড়া জেলার আকতার মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনুচ মিয়ার ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার জুয়েলের ছেলে জাকির ইসলাম (৩০), সবুর মিয়ার ছেলে সাকিব উল হাসান (১৭) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার নাসরিন সুলতানা (২৯)।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাস আমজুরহাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় ট্রাকচালক মো. সালাম বাস ও ট্রাকের মাঝখানে আটকা পড়েন।

খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর তাঁকে উদ্ধার করে। পরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় তাঁদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাতকানিয়ায় খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৭
খাল পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে পাশের ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাল পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে পাশের ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মাদার্শা খালের পাড় থেকে এ মাটি কাটা হচ্ছে। এতে খালের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ভেঙে খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মাদার্শা খালের একপাশের পাড় থেকে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে ঘরের ভিটা ভরাটের জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে খালের পাড়ের এ মাটি কাটা হচ্ছে। খাল পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে পাশের ফসলি জমি ভেঙে খালে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নাদিমুল হাসান চৌধুরী নামের পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ব্যক্তি তাঁর সহযোগীদের মাধ্যমে খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি করে চলেছেন। এতে আলী হোসেন নামের একজন কৃষকের বাদামখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অবিলম্বে খালের পাড় কাটা বন্ধ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ কেটে নেওয়া খালপাড় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় আগামী বর্ষা মৌসুমে খালটির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘ওই খালের পাড়ঘেঁষে বাদামের চাষ করেছিলাম। খাল পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার কারণে আমার বাদামখেতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় আমি তাঁদের বাধা দিয়েছিলাম। পরে তাঁরা আমাকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছেন।’

মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত নাদিমুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘খালের দুই পাড়েই আমাদের জমি রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে খালের একপাশে পলি জমে বিশাল মাটির স্তূপ তৈরি হয়েছিল। এ কারণে খালের অন্যপাশের জমি ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। তাই জমির ভাঙন রোধে স্তূপ হয়ে থাকা পাশের কিছু মাটি কেটে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি।’

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর খালের পাড়ের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত