মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

আজ মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণি ও শ্রমজীবী মানুষের দীপ্ত সংগ্রামের দিন। মে দিবসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কর্মঘণ্টার সঙ্গে সঙ্গে ন্যায্য মজুরির প্রশ্ন। আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকশ্রেণি ১৮৮৬ সালে ইতিহাস বদলে দেওয়া আন্দোলন শুরু করেছিল। বীরত্বপূর্ণ সে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছিল নতুন ইতিহাস। সময়ের সঙ্গে দিবসটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও শ্রমিকেরা এখনো বিভিন্ন কারখানায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাস শেষে শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নিশ্চিত করতে পারেন না।
প্রতিটি উৎসবের আগে তাই এখনো বাংলাদেশের শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয়। এটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি বছর এমন ঘটনা বলে দেয়—এ দেশের শ্রমিক শ্রেণি নিয়ে কারও তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। অথচ এই শ্রমিক শ্রেণির কারণে রাষ্ট্র বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে। এ দেশের শ্রমিকেরা রপ্তানিতে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ করেও পাচ্ছে সর্বনিম্ন মজুরি। যদিও সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতির মূল হাতিয়ার। শ্রমিকের শ্রমে ও ঘামে বাড়ছে জাতীয় উৎপাদন। কিন্তু সে অনুপাতে তাদের মজুরি বাড়ছে না। এ যেন ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’।
ঈদ আসন্ন। ঈদের আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন প্যারাডাইস ক্যাবলস কারখানার শ্রমিকেরা। এ কারখানার শ্রমিক মো. রাসেল হোসেন বলছেন, ‘আমাদের ১১ মাস ১৫ দিনের বকেয়া বেতন বাকি। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে আমাদের মালিকপক্ষের কথা হয়েছে। মালিকের বক্তব্য হলো আমাদের এ কারখানা থেকে শতভাগ উৎপাদন হয় না। তাই বেসিকের ৬০ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। আর ধীরে ধীরে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।’
এই হিসাব মানতে রাজি নন রাসেল। তাঁর দৃষ্টিতে এটা শ্রমিক ঠকানোর অজুহাত মাত্র। বললেন, ‘আসলে আমরা শ্রমিকেরা সব সময় অবহেলিত। প্যারাডাইস কেবলসের শ্রমিকেরা যে এ দেশে একমাত্র শোষিত শ্রমিক, তা কিন্তু নয়। আমরা তো দেখি দেশের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। এসব কলকারখানার শ্রমিকেরা মালিক দ্বারা নির্যাতিত, শোষিত। আমরা যখন আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে নামি, তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়।’
কারখানায় কাজ করতে গেলে শ্রমিকদের যেমন বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়, তেমনি কারখানার মালিকদের জন্যও রয়েছে নিয়মকানুন। মালিকপক্ষ যেন নিজেদের স্বার্থে শ্রমিকদের নির্যাতন করতে না পারেন, সে বিষয়টিও আইনে আছে উল্লেখ করে রাসেল বলেন, ‘আমাদের মালিকেরা চার ভাই। তাদের নিজেদের সম্পত্তি ভাগাভাগির জন্য কোন্দল চলছে। আর এর প্রভাব পড়ছে আমাদের মতো শ্রমিকদের ওপর। তাদের কোন্দলের কারণে আমরা শ্রমিকেরা মাস শেষে বেতন পাচ্ছি না। বেতন না পেলে শ্রমিকদের অসহনীয়ভাবে জীবন চালাতে হয়। আমার ১৪ মাসের এক মেয়ে আছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসার খরচ দিতে পারছি না। আবার নিজেও ঠিকমতো পেট ভরে খেতে পারছি না। এ কষ্ট শুধু আমার নয়। এ দেশের হাজার হাজার শ্রমিক এ রকম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।’
এবার একটু পরিসংখ্যানে নজর দেওয়া যাক। শিল্প পুলিশের এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ-সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিজিএমইএ ১৬১৫টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩৫টি কারখানায়। বকেয়া রয়েছে ১৫৮০টি কারখানায়। বিকেএমইএ ৬৮৫টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩১ টিতে; বকেয়া রয়েছে ৬৫৪টি কারখানা। বিটিএমএ ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৯ টিতে, বকেয়া রয়েছে ৩২৯ টির। বেপজা ৩৪৮টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ১০ টির, বকেয়া রয়েছে ৩৩৮ টির। পাটকলের ৮৩টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ টির, বকেয়া রয়েছে ২৫ টির। অন্যান্য কারখানা মিলে মোট ৯১৭৬টি কারখানার মধ্যে মোট ১০২৫টি কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। বকেয়া রয়েছে ৮১৫১ টির বেতন-ভাতা।
শ্রমিকদের পাওনা মজুরি পরিশোধের প্রসঙ্গে বিকেএমই-এর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘আমরা সব কল-কারখানায় বকেয়া বেতন, বোনাস পরিশোধ করতে পারিনি। ব্যাংক খোলা আছে। আশা করছি ঈদের আগে শতভাগ কারখানার বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে পারব। তবে কয়েকটা কারখানায় কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেখানে কারখানার বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে মালিক পলাতক রয়েছে। আমরা মনে করি, কল-কারখানার যত সমস্যায়ই থাকুক না কেন, শ্রমিকদের বেতন, বোনাস দিয়ে দিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে বিকল্প কোনো কথা শুনব না। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে।’
মো. হাতেম বলেন, ‘যেসব কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে না, সেসব কারখানা আমরা নজরদারিতে রেখেছি। এ ধরনের কারখানার মালিকদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এসব কারখানার ক্ষেত্রে অনেক সময় কারখানার মেশিন বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলে থাকি।’
কিন্তু পরিসংখ্যান তো সে কথা বলছে না। অনেক সময়ই দেখা যায়, বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে দিনের পর দিন সরকার ও মালিক পক্ষ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায়। মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ তেমন একটা দেখা যায় না। এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্প এ দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প খাত। এই খাতে প্রায় ৪০ লাখের বেশি নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। আবার এ খাতের রপ্তানির পরিমাণও অনেক বেশি। করোনাকালে এ শ্রমিকেরাই দেশের অর্থনীতি টিকেয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শ্রমিকদের মজুরি কম। মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন করলে মালিক পক্ষ চাকরিচ্যুতির ভয় দেখায়।’
ন্যায্য মজুরি না পাওয়ার তালিকায় শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকেরাই নন। এ তালিকায় আছেন চা বাগানের শ্রমিকেরা। চা শিল্প এ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প। চা শ্রমিকের জীবন ছেঁটে দেওয়া চা গাছের মতো। এখানকার শ্রমিকেরাও কাজ শেষে প্রাপ্য মজুরি পান না। এ বিষয়ে কথা হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের লস্করপুর চা বাগানের চা শ্রমিক বীরেন কালিন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে আমি একজন শ্রমিক। আমার কর্ম দ্বারা আমার বাবা-মা, সন্তানকে খাওয়াতে হয়। সেই হিসাবে আমাদেরর চা শ্রমিকের মজুরি ৫০০ টাকা হওয়া উচিত। অথচ আমরা মজুরি পাই ১২০ টাকা। প্রতিদিন ২৩ কেজি চা পাতা তুলি। আবার প্রতিদিন যদি ২৩ কেজি চা পাতা তুলতে না পারি, তাহলে আবার টাকা কেটে রাখা হয়। নারী চা শ্রমিকদের জন্য আবার বাগানে শৌচাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানকার নারী শ্রমিকেরা অনেক বেশি শোষিত। শোষণের কারণে আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
বছর বছর একইভাবে শ্রমিক শোষণের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শ্রমিক অধিকার আদায়ের দীর্ঘ লড়াই নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন। মে দিবসের আলোকে দেশে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মে দিবসের মূল তাৎপর্য ছিল ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবির অন্তরালে এমন একটা মজুরি, যা তার জীবন-জীবিকা নির্বাহে সহায় হবে এবং তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দেবে। এখন মে দিবসের ১৩৬ বছর পর যদি আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৮ ঘণ্টা কাজের মজুরি কাঠামোর দিকে দেখি, তাহলে দেখব ৮ ঘণ্টা শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়—এমন কোনো মজুরি কাঠামো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ আসে যে গার্মেন্টস খাত থেকে, সে খাতের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। এই খাতে আইন করে মালিকদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ আইন বলে মালিকেরা এই খাতের শ্রমিকদের এমনকি ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করিয়ে নিতে পারছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে মজুরি পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত হওয়া উচিত এবং কতগুলো কারখানায় এটি নিশ্চিত হয়েছে জানতে চাইলে রাজেকুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকদের কতটুকু মজুরি হলে সেটা ন্যায্য হয়, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। এই বিষয়ে আমরা অন্তত বলতে চাই, সরকারের মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল যে, পে স্কেলে সর্বনিম্ন মজুরি কত হবে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি কত হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের শ্রমিকদের জন্য পে স্কেলে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল বেসিক ৮ হাজার ২৫০ টাকা। আর মজুরি কমিশনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ৮ হাজার ৩০০ টাকা। ২০১৫ সালের ৮ হাজার ২৫০ টাকা বেসিক হলে সেটা বর্তমান সময়ের বাজার দর অনুযায়ী ২০২২ সালে ২০ হাজার টাকার ওপরে হয়। এখন কথা হলো সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন এ মজুরি বাংলাদেশের কোনো খাতে কি দেওয়া হয়? সরকার যে মজুরি নির্ধারণ করেছিল, তাও বৈষম্যমূলক ছিল। কিন্তু সে বৈষম্যমূলক মজুরিও যে বেসরকারি মালিকেরা দিচ্ছেন না, সে ব্যাপারে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এই পলিসিই চলছে সবদিকে।’
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘আমরা দেখছি সরকার নির্ধারিত মজুরি কমিশনের মজুরিও ৪৩টি খাতের জন্য গঠিত মজুরি বোর্ড কার্যকর করেনি। ৪৩টা সেক্টর মজুরি নির্ধারণ করার কথা শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পরপর। এর মধ্যে প্রায় ২৯টা মতো সেক্টরে ২০১৩ সালের পর থেকে মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি। সরকারের নীতি অনুযায়ী যদি প্রতি বছর ৬ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি হয়, তাহলে ২০১৩ সাল থেকে সরল হিসাব করলেও গত ৮ বছরে অন্তত ৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। যার মানে হলো ২০১৩ সালে শ্রমিক ১০০ টাকায় যে জিনিস কিনতেন, তা এখন কিনছেন ১৪৮ টাকায়। করোনাকালে একদিকে শ্রমিক তার কাজ হারিয়েছে, অন্যদিকে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সবকিছুর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে শ্রমিকের জীবনের সব ক্ষেত্রে। আমাদের শ্রমিকদের আয়ের প্রায় ৬২ শতাংশ ব্যয় হয় খাদ্যপণ্য ক্রয়ের পেছনে। ফলে মজুরি কমলে তার পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দেবে, যা শুধু তার নয়, তার পরবর্তী প্রজন্মের পুষ্টি নিরাপত্তায়ও প্রভাব ফেলছে।’

আজ মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণি ও শ্রমজীবী মানুষের দীপ্ত সংগ্রামের দিন। মে দিবসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কর্মঘণ্টার সঙ্গে সঙ্গে ন্যায্য মজুরির প্রশ্ন। আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকশ্রেণি ১৮৮৬ সালে ইতিহাস বদলে দেওয়া আন্দোলন শুরু করেছিল। বীরত্বপূর্ণ সে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছিল নতুন ইতিহাস। সময়ের সঙ্গে দিবসটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও শ্রমিকেরা এখনো বিভিন্ন কারখানায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাস শেষে শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নিশ্চিত করতে পারেন না।
প্রতিটি উৎসবের আগে তাই এখনো বাংলাদেশের শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয়। এটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি বছর এমন ঘটনা বলে দেয়—এ দেশের শ্রমিক শ্রেণি নিয়ে কারও তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। অথচ এই শ্রমিক শ্রেণির কারণে রাষ্ট্র বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে। এ দেশের শ্রমিকেরা রপ্তানিতে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ করেও পাচ্ছে সর্বনিম্ন মজুরি। যদিও সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতির মূল হাতিয়ার। শ্রমিকের শ্রমে ও ঘামে বাড়ছে জাতীয় উৎপাদন। কিন্তু সে অনুপাতে তাদের মজুরি বাড়ছে না। এ যেন ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’।
ঈদ আসন্ন। ঈদের আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন প্যারাডাইস ক্যাবলস কারখানার শ্রমিকেরা। এ কারখানার শ্রমিক মো. রাসেল হোসেন বলছেন, ‘আমাদের ১১ মাস ১৫ দিনের বকেয়া বেতন বাকি। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে আমাদের মালিকপক্ষের কথা হয়েছে। মালিকের বক্তব্য হলো আমাদের এ কারখানা থেকে শতভাগ উৎপাদন হয় না। তাই বেসিকের ৬০ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। আর ধীরে ধীরে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।’
এই হিসাব মানতে রাজি নন রাসেল। তাঁর দৃষ্টিতে এটা শ্রমিক ঠকানোর অজুহাত মাত্র। বললেন, ‘আসলে আমরা শ্রমিকেরা সব সময় অবহেলিত। প্যারাডাইস কেবলসের শ্রমিকেরা যে এ দেশে একমাত্র শোষিত শ্রমিক, তা কিন্তু নয়। আমরা তো দেখি দেশের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। এসব কলকারখানার শ্রমিকেরা মালিক দ্বারা নির্যাতিত, শোষিত। আমরা যখন আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে নামি, তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়।’
কারখানায় কাজ করতে গেলে শ্রমিকদের যেমন বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়, তেমনি কারখানার মালিকদের জন্যও রয়েছে নিয়মকানুন। মালিকপক্ষ যেন নিজেদের স্বার্থে শ্রমিকদের নির্যাতন করতে না পারেন, সে বিষয়টিও আইনে আছে উল্লেখ করে রাসেল বলেন, ‘আমাদের মালিকেরা চার ভাই। তাদের নিজেদের সম্পত্তি ভাগাভাগির জন্য কোন্দল চলছে। আর এর প্রভাব পড়ছে আমাদের মতো শ্রমিকদের ওপর। তাদের কোন্দলের কারণে আমরা শ্রমিকেরা মাস শেষে বেতন পাচ্ছি না। বেতন না পেলে শ্রমিকদের অসহনীয়ভাবে জীবন চালাতে হয়। আমার ১৪ মাসের এক মেয়ে আছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসার খরচ দিতে পারছি না। আবার নিজেও ঠিকমতো পেট ভরে খেতে পারছি না। এ কষ্ট শুধু আমার নয়। এ দেশের হাজার হাজার শ্রমিক এ রকম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।’
এবার একটু পরিসংখ্যানে নজর দেওয়া যাক। শিল্প পুলিশের এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ-সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিজিএমইএ ১৬১৫টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩৫টি কারখানায়। বকেয়া রয়েছে ১৫৮০টি কারখানায়। বিকেএমইএ ৬৮৫টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩১ টিতে; বকেয়া রয়েছে ৬৫৪টি কারখানা। বিটিএমএ ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৯ টিতে, বকেয়া রয়েছে ৩২৯ টির। বেপজা ৩৪৮টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ১০ টির, বকেয়া রয়েছে ৩৩৮ টির। পাটকলের ৮৩টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ টির, বকেয়া রয়েছে ২৫ টির। অন্যান্য কারখানা মিলে মোট ৯১৭৬টি কারখানার মধ্যে মোট ১০২৫টি কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। বকেয়া রয়েছে ৮১৫১ টির বেতন-ভাতা।
শ্রমিকদের পাওনা মজুরি পরিশোধের প্রসঙ্গে বিকেএমই-এর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘আমরা সব কল-কারখানায় বকেয়া বেতন, বোনাস পরিশোধ করতে পারিনি। ব্যাংক খোলা আছে। আশা করছি ঈদের আগে শতভাগ কারখানার বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে পারব। তবে কয়েকটা কারখানায় কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেখানে কারখানার বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে মালিক পলাতক রয়েছে। আমরা মনে করি, কল-কারখানার যত সমস্যায়ই থাকুক না কেন, শ্রমিকদের বেতন, বোনাস দিয়ে দিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে বিকল্প কোনো কথা শুনব না। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে।’
মো. হাতেম বলেন, ‘যেসব কারখানা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে না, সেসব কারখানা আমরা নজরদারিতে রেখেছি। এ ধরনের কারখানার মালিকদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এসব কারখানার ক্ষেত্রে অনেক সময় কারখানার মেশিন বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলে থাকি।’
কিন্তু পরিসংখ্যান তো সে কথা বলছে না। অনেক সময়ই দেখা যায়, বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে দিনের পর দিন সরকার ও মালিক পক্ষ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায়। মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ তেমন একটা দেখা যায় না। এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্প এ দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প খাত। এই খাতে প্রায় ৪০ লাখের বেশি নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। আবার এ খাতের রপ্তানির পরিমাণও অনেক বেশি। করোনাকালে এ শ্রমিকেরাই দেশের অর্থনীতি টিকেয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শ্রমিকদের মজুরি কম। মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন করলে মালিক পক্ষ চাকরিচ্যুতির ভয় দেখায়।’
ন্যায্য মজুরি না পাওয়ার তালিকায় শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকেরাই নন। এ তালিকায় আছেন চা বাগানের শ্রমিকেরা। চা শিল্প এ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প। চা শ্রমিকের জীবন ছেঁটে দেওয়া চা গাছের মতো। এখানকার শ্রমিকেরাও কাজ শেষে প্রাপ্য মজুরি পান না। এ বিষয়ে কথা হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের লস্করপুর চা বাগানের চা শ্রমিক বীরেন কালিন্দীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে আমি একজন শ্রমিক। আমার কর্ম দ্বারা আমার বাবা-মা, সন্তানকে খাওয়াতে হয়। সেই হিসাবে আমাদেরর চা শ্রমিকের মজুরি ৫০০ টাকা হওয়া উচিত। অথচ আমরা মজুরি পাই ১২০ টাকা। প্রতিদিন ২৩ কেজি চা পাতা তুলি। আবার প্রতিদিন যদি ২৩ কেজি চা পাতা তুলতে না পারি, তাহলে আবার টাকা কেটে রাখা হয়। নারী চা শ্রমিকদের জন্য আবার বাগানে শৌচাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানকার নারী শ্রমিকেরা অনেক বেশি শোষিত। শোষণের কারণে আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
বছর বছর একইভাবে শ্রমিক শোষণের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শ্রমিক অধিকার আদায়ের দীর্ঘ লড়াই নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন। মে দিবসের আলোকে দেশে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মে দিবসের মূল তাৎপর্য ছিল ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবির অন্তরালে এমন একটা মজুরি, যা তার জীবন-জীবিকা নির্বাহে সহায় হবে এবং তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দেবে। এখন মে দিবসের ১৩৬ বছর পর যদি আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৮ ঘণ্টা কাজের মজুরি কাঠামোর দিকে দেখি, তাহলে দেখব ৮ ঘণ্টা শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়—এমন কোনো মজুরি কাঠামো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ আসে যে গার্মেন্টস খাত থেকে, সে খাতের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। এই খাতে আইন করে মালিকদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ আইন বলে মালিকেরা এই খাতের শ্রমিকদের এমনকি ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করিয়ে নিতে পারছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে মজুরি পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত হওয়া উচিত এবং কতগুলো কারখানায় এটি নিশ্চিত হয়েছে জানতে চাইলে রাজেকুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকদের কতটুকু মজুরি হলে সেটা ন্যায্য হয়, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। এই বিষয়ে আমরা অন্তত বলতে চাই, সরকারের মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল যে, পে স্কেলে সর্বনিম্ন মজুরি কত হবে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি কত হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের শ্রমিকদের জন্য পে স্কেলে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল বেসিক ৮ হাজার ২৫০ টাকা। আর মজুরি কমিশনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ৮ হাজার ৩০০ টাকা। ২০১৫ সালের ৮ হাজার ২৫০ টাকা বেসিক হলে সেটা বর্তমান সময়ের বাজার দর অনুযায়ী ২০২২ সালে ২০ হাজার টাকার ওপরে হয়। এখন কথা হলো সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন এ মজুরি বাংলাদেশের কোনো খাতে কি দেওয়া হয়? সরকার যে মজুরি নির্ধারণ করেছিল, তাও বৈষম্যমূলক ছিল। কিন্তু সে বৈষম্যমূলক মজুরিও যে বেসরকারি মালিকেরা দিচ্ছেন না, সে ব্যাপারে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এই পলিসিই চলছে সবদিকে।’
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘আমরা দেখছি সরকার নির্ধারিত মজুরি কমিশনের মজুরিও ৪৩টি খাতের জন্য গঠিত মজুরি বোর্ড কার্যকর করেনি। ৪৩টা সেক্টর মজুরি নির্ধারণ করার কথা শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পরপর। এর মধ্যে প্রায় ২৯টা মতো সেক্টরে ২০১৩ সালের পর থেকে মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি। সরকারের নীতি অনুযায়ী যদি প্রতি বছর ৬ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি হয়, তাহলে ২০১৩ সাল থেকে সরল হিসাব করলেও গত ৮ বছরে অন্তত ৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। যার মানে হলো ২০১৩ সালে শ্রমিক ১০০ টাকায় যে জিনিস কিনতেন, তা এখন কিনছেন ১৪৮ টাকায়। করোনাকালে একদিকে শ্রমিক তার কাজ হারিয়েছে, অন্যদিকে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সবকিছুর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে শ্রমিকের জীবনের সব ক্ষেত্রে। আমাদের শ্রমিকদের আয়ের প্রায় ৬২ শতাংশ ব্যয় হয় খাদ্যপণ্য ক্রয়ের পেছনে। ফলে মজুরি কমলে তার পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দেবে, যা শুধু তার নয়, তার পরবর্তী প্রজন্মের পুষ্টি নিরাপত্তায়ও প্রভাব ফেলছে।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
১৮ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে...
১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
সকাল থেকে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো— ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলিস্তান এলাকায় বাস, মিনিবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং যানবাহন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় সাময়িক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে রামপুরা বাড্ডা, মহাখালী, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আগমনের কারণে যাত্রীচাপ তুলনামূলক বেশি ছিল।

যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগর পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করছে। যদিও কিছু রুটে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল, তবু কোথাও গণপরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির কর্মসূচি ও সরকারি ছুটি থাকায় প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বের হননি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন ডাইভারশনও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে যান চলাচলে।
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল ফ্রি থাকায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে নিচের সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলক কম দেখা গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সার্বিকভাবে, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বাড়তি মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি থাকলেও এখন পর্যন্ত গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন রিক্সা চালক জানান, সকাল থেকে এই এলাকা ফাঁকা ও যানবাহন জ্যাম ছাড়ায় স্বাভাবিক চলাচল রয়েছে।
কয়েকজন দোকানদার জানান, অন্যদিনের তুলনায় আজ শাহবাগ এলাকা জনশূন্য ও ফাঁকা। তারেক রহমানের দেশে এসেছেন এজন্য অনেকে হয়তো অন্য এলাকাতে (৩০০ ফিট) অবস্থান নিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, এদিকে আজ জ্যাম নেই বললেই চলে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছি আমরা। তবে তারেক রহমান দেশে আসায় রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল রয়েছে। ওইসব এলাকায় জ্যাম থাকবে।
দূরপাল্লার বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল ছুটির আগের দিন ছিল এবং বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে যাওয়ার ও ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রী আসার চাপ ছিল। ফলে আজকে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে ও কিছু জায়গায় যানজট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বিকেলের দিকে যাত্রী চাপ এবং যানজট দুটোই বাড়তে পারে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
সকাল থেকে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো— ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলিস্তান এলাকায় বাস, মিনিবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং যানবাহন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় সাময়িক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে রামপুরা বাড্ডা, মহাখালী, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আগমনের কারণে যাত্রীচাপ তুলনামূলক বেশি ছিল।

যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগর পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করছে। যদিও কিছু রুটে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল, তবু কোথাও গণপরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির কর্মসূচি ও সরকারি ছুটি থাকায় প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বের হননি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন ডাইভারশনও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে যান চলাচলে।
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল ফ্রি থাকায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে নিচের সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলক কম দেখা গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সার্বিকভাবে, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বাড়তি মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি থাকলেও এখন পর্যন্ত গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন রিক্সা চালক জানান, সকাল থেকে এই এলাকা ফাঁকা ও যানবাহন জ্যাম ছাড়ায় স্বাভাবিক চলাচল রয়েছে।
কয়েকজন দোকানদার জানান, অন্যদিনের তুলনায় আজ শাহবাগ এলাকা জনশূন্য ও ফাঁকা। তারেক রহমানের দেশে এসেছেন এজন্য অনেকে হয়তো অন্য এলাকাতে (৩০০ ফিট) অবস্থান নিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, এদিকে আজ জ্যাম নেই বললেই চলে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছি আমরা। তবে তারেক রহমান দেশে আসায় রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল রয়েছে। ওইসব এলাকায় জ্যাম থাকবে।
দূরপাল্লার বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল ছুটির আগের দিন ছিল এবং বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে যাওয়ার ও ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রী আসার চাপ ছিল। ফলে আজকে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে ও কিছু জায়গায় যানজট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বিকেলের দিকে যাত্রী চাপ এবং যানজট দুটোই বাড়তে পারে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে।’

সময়ের সঙ্গে মে দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও শ্রমিকেরা এখনো বিভিন্ন কারখানায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাস শেষে শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নিশ্চিত করতে পারেন না।
০১ মে ২০২২
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে...
১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। নতুন গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন সুনামগঞ্জের তাকবির (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের রুহুল আমিন (৪২), ময়মনসিংহ সদরের নূর আলম (৩৩), একই জেলার তারাকান্দা উপজেলার মো. শামীম মিয়া (২৮) নোয়াখালীর সেলিম মিয়া (২২) এবং মাদারীপুরের মো. মাসুম খালাসী (২৩)।
এর আগে গ্রেপ্তার ১২ আসামি হলেন আশিকুর রহমান (২৫) কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামি ফ্যাক্টরির ভেতরে উপস্থিত কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে ফ্যাক্টরির বাইরে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া এবং দিপুকে রিজাইন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। নতুন গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন সুনামগঞ্জের তাকবির (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের রুহুল আমিন (৪২), ময়মনসিংহ সদরের নূর আলম (৩৩), একই জেলার তারাকান্দা উপজেলার মো. শামীম মিয়া (২৮) নোয়াখালীর সেলিম মিয়া (২২) এবং মাদারীপুরের মো. মাসুম খালাসী (২৩)।
এর আগে গ্রেপ্তার ১২ আসামি হলেন আশিকুর রহমান (২৫) কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামি ফ্যাক্টরির ভেতরে উপস্থিত কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে ফ্যাক্টরির বাইরে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া এবং দিপুকে রিজাইন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সময়ের সঙ্গে মে দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও শ্রমিকেরা এখনো বিভিন্ন কারখানায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাস শেষে শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নিশ্চিত করতে পারেন না।
০১ মে ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
১৮ মিনিট আগে
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে...
১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে সহনশীল ও ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দান করেন।’
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নগরীর ভাটিকাশর এলাকার সাধু পেট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় ধর্মীয় আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়। ধর্মীয় আলোচনা ও প্রার্থনা পরিচালনা করেন বিশপ পনেন পল কুবি।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা দলে দলে গির্জায় আসেন এবং প্রার্থনায় অংশ নেন।
গির্জায় আসা জলি রিচিল বলেন, ‘দেশবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। এই দিনে আমাদের প্রত্যাশা—মানুষের মাঝে শান্তি বিরাজ করুক। ধর্ম ও নৈতিকতা যেন প্রতিটি মানুষের চলার পাথেয় হয়।’
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন গির্জায় একই ধরনের ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। গির্জাগুলো রঙিন আলো ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলার গির্জা, উপাসনালয় ও বড়দিন উদ্যাপনস্থলগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে সহনশীল ও ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দান করেন।’
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নগরীর ভাটিকাশর এলাকার সাধু পেট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় ধর্মীয় আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়। ধর্মীয় আলোচনা ও প্রার্থনা পরিচালনা করেন বিশপ পনেন পল কুবি।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা দলে দলে গির্জায় আসেন এবং প্রার্থনায় অংশ নেন।
গির্জায় আসা জলি রিচিল বলেন, ‘দেশবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। এই দিনে আমাদের প্রত্যাশা—মানুষের মাঝে শান্তি বিরাজ করুক। ধর্ম ও নৈতিকতা যেন প্রতিটি মানুষের চলার পাথেয় হয়।’
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন গির্জায় একই ধরনের ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। গির্জাগুলো রঙিন আলো ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলার গির্জা, উপাসনালয় ও বড়দিন উদ্যাপনস্থলগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সময়ের সঙ্গে মে দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও শ্রমিকেরা এখনো বিভিন্ন কারখানায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাস শেষে শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নিশ্চিত করতে পারেন না।
০১ মে ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
১৮ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন...
২ ঘণ্টা আগেসিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় এই যানজটের চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে মদনপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের তারাব পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলাচল করলেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অনেক যানবাহন একই স্থানে দীর্ঘ সময় আটকে রয়েছে। এতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে, নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা।

যানজটে আটকে পড়া রহমান রিপন বলেন, ‘মৌচাক থেকে মদনপুর যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। মাত্র ১০ মিনিটের পথ ৩০ মিনিটেও পাড়ি দিতে পারিনি।’
বিএনপির সমর্থক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার নেতাকে একঝলক দেখার এবং তাঁর বক্তব্য শোনার আশায় কাজ রেখে পূর্বাচলের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু যানজটে আটকে আছি।’
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, মূলত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন ধীরে চলাচল করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় এই যানজটের চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে মদনপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের তারাব পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলাচল করলেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অনেক যানবাহন একই স্থানে দীর্ঘ সময় আটকে রয়েছে। এতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে, নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা।

যানজটে আটকে পড়া রহমান রিপন বলেন, ‘মৌচাক থেকে মদনপুর যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। মাত্র ১০ মিনিটের পথ ৩০ মিনিটেও পাড়ি দিতে পারিনি।’
বিএনপির সমর্থক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার নেতাকে একঝলক দেখার এবং তাঁর বক্তব্য শোনার আশায় কাজ রেখে পূর্বাচলের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু যানজটে আটকে আছি।’
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, মূলত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন ধীরে চলাচল করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

সময়ের সঙ্গে মে দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও শ্রমিকেরা এখনো বিভিন্ন কারখানায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মাস শেষে শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নিশ্চিত করতে পারেন না।
০১ মে ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
১৮ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি ঘরে শান্তি ফিরে আসুক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে...
১ ঘণ্টা আগে