রাশেদ নিজাম, ঢাকা

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নিয়োগ, দুর্নীতি, বেতন-ভাতা। এবার নিজের নিয়োগপত্রে ঘষা মাজারও অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে তিন হাজার দু শ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অনুসন্ধান। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম মুখোমুখি হন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিয়োগপত্রে নাকি ঘষামাজা করা হয়েছিল?
তাকসিম এ খান: রিট করার অধিকার সবারই আছে। আদালতের বিষয় যেহেতু এটা খারিজ হয়ে গেছে তাই বলতে পারি। আমার নিয়োগ অবশ্যই সঠিক ছিল। ২০২০ সালেও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তাও খারিজ হয়েছে। যে প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগের সময় ঘষামাজা ছিল। ঘষামাজা তো নিয়োগপত্রে থাকে না। ওখানে একটা অনুশাসন দেওয়া ছিল। সেই অনুশাসন তো আমাকে না, যারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ওখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয় নাই। কোথাও কোনো জায়গায় ঘষামাজা নাই। তারা (রিটকারী) বলতে চেয়েছেন, ওয়াসায় কোনো উন্নতি হয় নাই, দুর্নীতি আছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বলেছেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত। এটার তো কোনো প্রমাণ নাই। আমার আইনজীবী সেটা বলেছেন। এক সময় পানির জন্য ঢাকায় কলসি মিছিল হতো, এখন তো হয় না। ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেতেন। এখন ১০০ ভাগ পান। এসব তথ্য আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন। ৩০০ কোটির আয় বেড়ে এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আয় বাড়া কি সুস্থতার লক্ষণ না অসুস্থতার লক্ষণ?
আজকের পত্রিকা: দুদকে তো আপনার এবং ওয়াসার দুর্নীতির নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তাকসিম এ খান: দুদকে তো বহু সময়, বহু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান হয়। কিছু নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা সঠিক ছিল কি না। আমার জানামতে, সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযোগ থাকলেই তো হবে না। তা প্রমাণিত হতে হবে। তাই যদি হয়, ১২ বছরে তো অনেক অভিযোগ ছিল। তো কই? একটা অভিযোগ কি ১২ বছরে প্রমাণিত হইতে পারল না? বলাতে কারও কোনো ট্যাক্স নাই। বলতে পারছে তাই বলে দিচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অনেকেই মনে করেন, আপনার মাথায় ওপর মহলের আশীর্বাদের কারণে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও প্রমাণ হয় না।
তাকসিম এ খান: ভালো। অভিযোগগুলো তাহলে বলেন। আমার কাছে তো উত্তর আছে। আপনি উত্তরে কনভিন্স হন কি না আপনি দেখেন। ওপর মহলের আশীর্বাদে প্রমাণ হয় নাই, কোনটা? বলা হচ্ছে, কোনো প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে এক হাজার কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে। একটা প্রজেক্ট কীভাবে হয়, পুরো প্রক্রিয়াটা জানতে হবে। হাস্যকর হচ্ছে, এখানে এমডির ন্যূনতম অংশগ্রহণ নেই। পুরোটাই সরকারের চিন্তা থেকে আসে। আমাদের কোনো প্রজেক্টই নিজেদের পয়সায় না। কোনো না কোনো দাতা সংস্থার অর্থায়নে। বিশ্বব্যাংক যখন পয়সা দেয়, তখন কত-শত শর্ত তার মধ্যে থাকে। কে না জানে এটা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনি বিশ্বব্যাংকের মতামত ছাড়া একটা পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। পরামর্শক-ঠিকাদার নিয়োগ করে তারা। মূল্যায়ন করে কমিটি। তারপর নানা মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর আছে। এখানে ঢালাওভাবে বলে দিলে তো হবে না। ধারণার কোনো দরকার নাই। প্রমাণ দেন।
আজকের পত্রিকা: ২০১৮ সালে পরিচালক পদে সালে আবুল কাশেম এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিনের নিয়োগে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওই সিদ্ধান্তের সময় ৫ জন বোর্ড সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকসিম এ খান: আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? উত্তরটা হচ্ছে, কোনো জায়গায় আইন ভাঙা হয় নাই। আইনেই বলা আছে, বোর্ড নিয়োগ দেবে। তারা দুজন এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। তাই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোরামের বাইরে যদি সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রণালয় তো বাতিল করে দেবে। দেয় নাই তো। নিশ্চয়ই অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোরাম তো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়াসার নানা প্রকল্পে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক তদন্ত করছে বলে আদালতে জানিয়েছে।
তাকসিম এ খান: টোটালি অসত্য। তিন হাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু প্রজেক্ট বহাল তবিয়তে আছে। এটাতো পিসিআর (প্রজেক্ট কমপ্লিশন রিপোর্ট) হয়েছে। সরকারের নানা দপ্তর আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কি করল? তারা কীভাবে পিসিআর দিল, যেখানে এক হাজার কোটি টাকার খবর নাই? এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে যা বলা হচ্ছে, এটা সবৈর্ব অসত্য। আমার যুক্তি হচ্ছে, যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে অনুসন্ধান করে কি করলেন আপনারা (দুদক) ? এটা তো আজকের না। পদ্মা-যশোলদিয়া নিয়ে অভিযোগ ২০১৫ সালের। সাত বছরে তদন্ত এবং মামলা তো দূরের কথা। অনুসন্ধানই তো কোনো জায়গায় প্রমাণ হলো না। বলতে পারেন, ঢাকায় তো এমন ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইও আছে। কিন্তু আমাকে নিয়ে বারবার হয় কেন। এর চেয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে, ওখানে এমন শুনি না কেন? উত্তর সহজ। ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম ভাবে পারে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
আজকের পত্রিকা: এই গ্রুপটা কারা?
তাকসিম এ খান: আমরা পাঁচটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। যার পাঁচ নম্বর হল ভেস্টেট ইন্টারেস্টেড (স্বার্থান্বেষী মহল) গ্রুপ। আমি তো বললাম, চৌষট্টি পার্সেন্ট আমার রাজস্ব আয় হতো বাকি ছত্রিশ ভাগ গায়েব। জানি না কোথায়। এখন আমার ১০০ ভাগ আয় হয়। তাইলে ওই যে এখন আর ছত্রিশ ভাগ গায়েব হচ্ছে না। তার মানেটা কী? যে বা যারা গায়েবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তার তো সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। সে বা তারা কী চাইবে আমি বহাল তবিয়তে এখানে থাকি? যাতে করে বাকিদেরও এটা বন্ধ হয়ে যাক। আর যে বললেন দুর্নীতি। আমি তো এখানে ১২ বছর। আমার ডিক্লারেশন হচ্ছে, আমি জীবনে কোনো দিন এক টাকা হারাম খাইনি। আমি গর্বের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে এটা বলতে পারি। তো কাজেই এখন যতই অভিযোগ আসুক, এগুলো তো আমি জানি। কাজেই আমার ভয়েরই বা কী আছে, লজ্জারই বা কী আছে। সো ট্রুথ ইজ ট্রুথ।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নিয়োগ, দুর্নীতি, বেতন-ভাতা। এবার নিজের নিয়োগপত্রে ঘষা মাজারও অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে তিন হাজার দু শ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অনুসন্ধান। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম মুখোমুখি হন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিয়োগপত্রে নাকি ঘষামাজা করা হয়েছিল?
তাকসিম এ খান: রিট করার অধিকার সবারই আছে। আদালতের বিষয় যেহেতু এটা খারিজ হয়ে গেছে তাই বলতে পারি। আমার নিয়োগ অবশ্যই সঠিক ছিল। ২০২০ সালেও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তাও খারিজ হয়েছে। যে প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগের সময় ঘষামাজা ছিল। ঘষামাজা তো নিয়োগপত্রে থাকে না। ওখানে একটা অনুশাসন দেওয়া ছিল। সেই অনুশাসন তো আমাকে না, যারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ওখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয় নাই। কোথাও কোনো জায়গায় ঘষামাজা নাই। তারা (রিটকারী) বলতে চেয়েছেন, ওয়াসায় কোনো উন্নতি হয় নাই, দুর্নীতি আছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বলেছেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত। এটার তো কোনো প্রমাণ নাই। আমার আইনজীবী সেটা বলেছেন। এক সময় পানির জন্য ঢাকায় কলসি মিছিল হতো, এখন তো হয় না। ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেতেন। এখন ১০০ ভাগ পান। এসব তথ্য আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন। ৩০০ কোটির আয় বেড়ে এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আয় বাড়া কি সুস্থতার লক্ষণ না অসুস্থতার লক্ষণ?
আজকের পত্রিকা: দুদকে তো আপনার এবং ওয়াসার দুর্নীতির নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তাকসিম এ খান: দুদকে তো বহু সময়, বহু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান হয়। কিছু নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা সঠিক ছিল কি না। আমার জানামতে, সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযোগ থাকলেই তো হবে না। তা প্রমাণিত হতে হবে। তাই যদি হয়, ১২ বছরে তো অনেক অভিযোগ ছিল। তো কই? একটা অভিযোগ কি ১২ বছরে প্রমাণিত হইতে পারল না? বলাতে কারও কোনো ট্যাক্স নাই। বলতে পারছে তাই বলে দিচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অনেকেই মনে করেন, আপনার মাথায় ওপর মহলের আশীর্বাদের কারণে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও প্রমাণ হয় না।
তাকসিম এ খান: ভালো। অভিযোগগুলো তাহলে বলেন। আমার কাছে তো উত্তর আছে। আপনি উত্তরে কনভিন্স হন কি না আপনি দেখেন। ওপর মহলের আশীর্বাদে প্রমাণ হয় নাই, কোনটা? বলা হচ্ছে, কোনো প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে এক হাজার কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে। একটা প্রজেক্ট কীভাবে হয়, পুরো প্রক্রিয়াটা জানতে হবে। হাস্যকর হচ্ছে, এখানে এমডির ন্যূনতম অংশগ্রহণ নেই। পুরোটাই সরকারের চিন্তা থেকে আসে। আমাদের কোনো প্রজেক্টই নিজেদের পয়সায় না। কোনো না কোনো দাতা সংস্থার অর্থায়নে। বিশ্বব্যাংক যখন পয়সা দেয়, তখন কত-শত শর্ত তার মধ্যে থাকে। কে না জানে এটা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনি বিশ্বব্যাংকের মতামত ছাড়া একটা পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। পরামর্শক-ঠিকাদার নিয়োগ করে তারা। মূল্যায়ন করে কমিটি। তারপর নানা মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর আছে। এখানে ঢালাওভাবে বলে দিলে তো হবে না। ধারণার কোনো দরকার নাই। প্রমাণ দেন।
আজকের পত্রিকা: ২০১৮ সালে পরিচালক পদে সালে আবুল কাশেম এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিনের নিয়োগে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওই সিদ্ধান্তের সময় ৫ জন বোর্ড সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকসিম এ খান: আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? উত্তরটা হচ্ছে, কোনো জায়গায় আইন ভাঙা হয় নাই। আইনেই বলা আছে, বোর্ড নিয়োগ দেবে। তারা দুজন এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। তাই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোরামের বাইরে যদি সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রণালয় তো বাতিল করে দেবে। দেয় নাই তো। নিশ্চয়ই অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোরাম তো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়াসার নানা প্রকল্পে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক তদন্ত করছে বলে আদালতে জানিয়েছে।
তাকসিম এ খান: টোটালি অসত্য। তিন হাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু প্রজেক্ট বহাল তবিয়তে আছে। এটাতো পিসিআর (প্রজেক্ট কমপ্লিশন রিপোর্ট) হয়েছে। সরকারের নানা দপ্তর আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কি করল? তারা কীভাবে পিসিআর দিল, যেখানে এক হাজার কোটি টাকার খবর নাই? এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে যা বলা হচ্ছে, এটা সবৈর্ব অসত্য। আমার যুক্তি হচ্ছে, যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে অনুসন্ধান করে কি করলেন আপনারা (দুদক) ? এটা তো আজকের না। পদ্মা-যশোলদিয়া নিয়ে অভিযোগ ২০১৫ সালের। সাত বছরে তদন্ত এবং মামলা তো দূরের কথা। অনুসন্ধানই তো কোনো জায়গায় প্রমাণ হলো না। বলতে পারেন, ঢাকায় তো এমন ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইও আছে। কিন্তু আমাকে নিয়ে বারবার হয় কেন। এর চেয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে, ওখানে এমন শুনি না কেন? উত্তর সহজ। ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম ভাবে পারে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
আজকের পত্রিকা: এই গ্রুপটা কারা?
তাকসিম এ খান: আমরা পাঁচটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। যার পাঁচ নম্বর হল ভেস্টেট ইন্টারেস্টেড (স্বার্থান্বেষী মহল) গ্রুপ। আমি তো বললাম, চৌষট্টি পার্সেন্ট আমার রাজস্ব আয় হতো বাকি ছত্রিশ ভাগ গায়েব। জানি না কোথায়। এখন আমার ১০০ ভাগ আয় হয়। তাইলে ওই যে এখন আর ছত্রিশ ভাগ গায়েব হচ্ছে না। তার মানেটা কী? যে বা যারা গায়েবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তার তো সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। সে বা তারা কী চাইবে আমি বহাল তবিয়তে এখানে থাকি? যাতে করে বাকিদেরও এটা বন্ধ হয়ে যাক। আর যে বললেন দুর্নীতি। আমি তো এখানে ১২ বছর। আমার ডিক্লারেশন হচ্ছে, আমি জীবনে কোনো দিন এক টাকা হারাম খাইনি। আমি গর্বের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে এটা বলতে পারি। তো কাজেই এখন যতই অভিযোগ আসুক, এগুলো তো আমি জানি। কাজেই আমার ভয়েরই বা কী আছে, লজ্জারই বা কী আছে। সো ট্রুথ ইজ ট্রুথ।
রাশেদ নিজাম, ঢাকা

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নিয়োগ, দুর্নীতি, বেতন-ভাতা। এবার নিজের নিয়োগপত্রে ঘষা মাজারও অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে তিন হাজার দু শ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অনুসন্ধান। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম মুখোমুখি হন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিয়োগপত্রে নাকি ঘষামাজা করা হয়েছিল?
তাকসিম এ খান: রিট করার অধিকার সবারই আছে। আদালতের বিষয় যেহেতু এটা খারিজ হয়ে গেছে তাই বলতে পারি। আমার নিয়োগ অবশ্যই সঠিক ছিল। ২০২০ সালেও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তাও খারিজ হয়েছে। যে প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগের সময় ঘষামাজা ছিল। ঘষামাজা তো নিয়োগপত্রে থাকে না। ওখানে একটা অনুশাসন দেওয়া ছিল। সেই অনুশাসন তো আমাকে না, যারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ওখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয় নাই। কোথাও কোনো জায়গায় ঘষামাজা নাই। তারা (রিটকারী) বলতে চেয়েছেন, ওয়াসায় কোনো উন্নতি হয় নাই, দুর্নীতি আছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বলেছেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত। এটার তো কোনো প্রমাণ নাই। আমার আইনজীবী সেটা বলেছেন। এক সময় পানির জন্য ঢাকায় কলসি মিছিল হতো, এখন তো হয় না। ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেতেন। এখন ১০০ ভাগ পান। এসব তথ্য আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন। ৩০০ কোটির আয় বেড়ে এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আয় বাড়া কি সুস্থতার লক্ষণ না অসুস্থতার লক্ষণ?
আজকের পত্রিকা: দুদকে তো আপনার এবং ওয়াসার দুর্নীতির নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তাকসিম এ খান: দুদকে তো বহু সময়, বহু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান হয়। কিছু নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা সঠিক ছিল কি না। আমার জানামতে, সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযোগ থাকলেই তো হবে না। তা প্রমাণিত হতে হবে। তাই যদি হয়, ১২ বছরে তো অনেক অভিযোগ ছিল। তো কই? একটা অভিযোগ কি ১২ বছরে প্রমাণিত হইতে পারল না? বলাতে কারও কোনো ট্যাক্স নাই। বলতে পারছে তাই বলে দিচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অনেকেই মনে করেন, আপনার মাথায় ওপর মহলের আশীর্বাদের কারণে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও প্রমাণ হয় না।
তাকসিম এ খান: ভালো। অভিযোগগুলো তাহলে বলেন। আমার কাছে তো উত্তর আছে। আপনি উত্তরে কনভিন্স হন কি না আপনি দেখেন। ওপর মহলের আশীর্বাদে প্রমাণ হয় নাই, কোনটা? বলা হচ্ছে, কোনো প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে এক হাজার কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে। একটা প্রজেক্ট কীভাবে হয়, পুরো প্রক্রিয়াটা জানতে হবে। হাস্যকর হচ্ছে, এখানে এমডির ন্যূনতম অংশগ্রহণ নেই। পুরোটাই সরকারের চিন্তা থেকে আসে। আমাদের কোনো প্রজেক্টই নিজেদের পয়সায় না। কোনো না কোনো দাতা সংস্থার অর্থায়নে। বিশ্বব্যাংক যখন পয়সা দেয়, তখন কত-শত শর্ত তার মধ্যে থাকে। কে না জানে এটা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনি বিশ্বব্যাংকের মতামত ছাড়া একটা পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। পরামর্শক-ঠিকাদার নিয়োগ করে তারা। মূল্যায়ন করে কমিটি। তারপর নানা মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর আছে। এখানে ঢালাওভাবে বলে দিলে তো হবে না। ধারণার কোনো দরকার নাই। প্রমাণ দেন।
আজকের পত্রিকা: ২০১৮ সালে পরিচালক পদে সালে আবুল কাশেম এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিনের নিয়োগে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওই সিদ্ধান্তের সময় ৫ জন বোর্ড সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকসিম এ খান: আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? উত্তরটা হচ্ছে, কোনো জায়গায় আইন ভাঙা হয় নাই। আইনেই বলা আছে, বোর্ড নিয়োগ দেবে। তারা দুজন এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। তাই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোরামের বাইরে যদি সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রণালয় তো বাতিল করে দেবে। দেয় নাই তো। নিশ্চয়ই অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোরাম তো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়াসার নানা প্রকল্পে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক তদন্ত করছে বলে আদালতে জানিয়েছে।
তাকসিম এ খান: টোটালি অসত্য। তিন হাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু প্রজেক্ট বহাল তবিয়তে আছে। এটাতো পিসিআর (প্রজেক্ট কমপ্লিশন রিপোর্ট) হয়েছে। সরকারের নানা দপ্তর আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কি করল? তারা কীভাবে পিসিআর দিল, যেখানে এক হাজার কোটি টাকার খবর নাই? এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে যা বলা হচ্ছে, এটা সবৈর্ব অসত্য। আমার যুক্তি হচ্ছে, যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে অনুসন্ধান করে কি করলেন আপনারা (দুদক) ? এটা তো আজকের না। পদ্মা-যশোলদিয়া নিয়ে অভিযোগ ২০১৫ সালের। সাত বছরে তদন্ত এবং মামলা তো দূরের কথা। অনুসন্ধানই তো কোনো জায়গায় প্রমাণ হলো না। বলতে পারেন, ঢাকায় তো এমন ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইও আছে। কিন্তু আমাকে নিয়ে বারবার হয় কেন। এর চেয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে, ওখানে এমন শুনি না কেন? উত্তর সহজ। ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম ভাবে পারে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
আজকের পত্রিকা: এই গ্রুপটা কারা?
তাকসিম এ খান: আমরা পাঁচটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। যার পাঁচ নম্বর হল ভেস্টেট ইন্টারেস্টেড (স্বার্থান্বেষী মহল) গ্রুপ। আমি তো বললাম, চৌষট্টি পার্সেন্ট আমার রাজস্ব আয় হতো বাকি ছত্রিশ ভাগ গায়েব। জানি না কোথায়। এখন আমার ১০০ ভাগ আয় হয়। তাইলে ওই যে এখন আর ছত্রিশ ভাগ গায়েব হচ্ছে না। তার মানেটা কী? যে বা যারা গায়েবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তার তো সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। সে বা তারা কী চাইবে আমি বহাল তবিয়তে এখানে থাকি? যাতে করে বাকিদেরও এটা বন্ধ হয়ে যাক। আর যে বললেন দুর্নীতি। আমি তো এখানে ১২ বছর। আমার ডিক্লারেশন হচ্ছে, আমি জীবনে কোনো দিন এক টাকা হারাম খাইনি। আমি গর্বের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে এটা বলতে পারি। তো কাজেই এখন যতই অভিযোগ আসুক, এগুলো তো আমি জানি। কাজেই আমার ভয়েরই বা কী আছে, লজ্জারই বা কী আছে। সো ট্রুথ ইজ ট্রুথ।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নিয়োগ, দুর্নীতি, বেতন-ভাতা। এবার নিজের নিয়োগপত্রে ঘষা মাজারও অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে তিন হাজার দু শ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অনুসন্ধান। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম মুখোমুখি হন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিয়োগপত্রে নাকি ঘষামাজা করা হয়েছিল?
তাকসিম এ খান: রিট করার অধিকার সবারই আছে। আদালতের বিষয় যেহেতু এটা খারিজ হয়ে গেছে তাই বলতে পারি। আমার নিয়োগ অবশ্যই সঠিক ছিল। ২০২০ সালেও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তাও খারিজ হয়েছে। যে প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগের সময় ঘষামাজা ছিল। ঘষামাজা তো নিয়োগপত্রে থাকে না। ওখানে একটা অনুশাসন দেওয়া ছিল। সেই অনুশাসন তো আমাকে না, যারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ওখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয় নাই। কোথাও কোনো জায়গায় ঘষামাজা নাই। তারা (রিটকারী) বলতে চেয়েছেন, ওয়াসায় কোনো উন্নতি হয় নাই, দুর্নীতি আছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বলেছেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত। এটার তো কোনো প্রমাণ নাই। আমার আইনজীবী সেটা বলেছেন। এক সময় পানির জন্য ঢাকায় কলসি মিছিল হতো, এখন তো হয় না। ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেতেন। এখন ১০০ ভাগ পান। এসব তথ্য আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন। ৩০০ কোটির আয় বেড়ে এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আয় বাড়া কি সুস্থতার লক্ষণ না অসুস্থতার লক্ষণ?
আজকের পত্রিকা: দুদকে তো আপনার এবং ওয়াসার দুর্নীতির নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তাকসিম এ খান: দুদকে তো বহু সময়, বহু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান হয়। কিছু নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা সঠিক ছিল কি না। আমার জানামতে, সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযোগ থাকলেই তো হবে না। তা প্রমাণিত হতে হবে। তাই যদি হয়, ১২ বছরে তো অনেক অভিযোগ ছিল। তো কই? একটা অভিযোগ কি ১২ বছরে প্রমাণিত হইতে পারল না? বলাতে কারও কোনো ট্যাক্স নাই। বলতে পারছে তাই বলে দিচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অনেকেই মনে করেন, আপনার মাথায় ওপর মহলের আশীর্বাদের কারণে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও প্রমাণ হয় না।
তাকসিম এ খান: ভালো। অভিযোগগুলো তাহলে বলেন। আমার কাছে তো উত্তর আছে। আপনি উত্তরে কনভিন্স হন কি না আপনি দেখেন। ওপর মহলের আশীর্বাদে প্রমাণ হয় নাই, কোনটা? বলা হচ্ছে, কোনো প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে এক হাজার কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে। একটা প্রজেক্ট কীভাবে হয়, পুরো প্রক্রিয়াটা জানতে হবে। হাস্যকর হচ্ছে, এখানে এমডির ন্যূনতম অংশগ্রহণ নেই। পুরোটাই সরকারের চিন্তা থেকে আসে। আমাদের কোনো প্রজেক্টই নিজেদের পয়সায় না। কোনো না কোনো দাতা সংস্থার অর্থায়নে। বিশ্বব্যাংক যখন পয়সা দেয়, তখন কত-শত শর্ত তার মধ্যে থাকে। কে না জানে এটা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনি বিশ্বব্যাংকের মতামত ছাড়া একটা পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। পরামর্শক-ঠিকাদার নিয়োগ করে তারা। মূল্যায়ন করে কমিটি। তারপর নানা মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর আছে। এখানে ঢালাওভাবে বলে দিলে তো হবে না। ধারণার কোনো দরকার নাই। প্রমাণ দেন।
আজকের পত্রিকা: ২০১৮ সালে পরিচালক পদে সালে আবুল কাশেম এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিনের নিয়োগে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওই সিদ্ধান্তের সময় ৫ জন বোর্ড সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকসিম এ খান: আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? উত্তরটা হচ্ছে, কোনো জায়গায় আইন ভাঙা হয় নাই। আইনেই বলা আছে, বোর্ড নিয়োগ দেবে। তারা দুজন এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। তাই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোরামের বাইরে যদি সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রণালয় তো বাতিল করে দেবে। দেয় নাই তো। নিশ্চয়ই অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোরাম তো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়াসার নানা প্রকল্পে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক তদন্ত করছে বলে আদালতে জানিয়েছে।
তাকসিম এ খান: টোটালি অসত্য। তিন হাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু প্রজেক্ট বহাল তবিয়তে আছে। এটাতো পিসিআর (প্রজেক্ট কমপ্লিশন রিপোর্ট) হয়েছে। সরকারের নানা দপ্তর আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কি করল? তারা কীভাবে পিসিআর দিল, যেখানে এক হাজার কোটি টাকার খবর নাই? এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে যা বলা হচ্ছে, এটা সবৈর্ব অসত্য। আমার যুক্তি হচ্ছে, যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে অনুসন্ধান করে কি করলেন আপনারা (দুদক) ? এটা তো আজকের না। পদ্মা-যশোলদিয়া নিয়ে অভিযোগ ২০১৫ সালের। সাত বছরে তদন্ত এবং মামলা তো দূরের কথা। অনুসন্ধানই তো কোনো জায়গায় প্রমাণ হলো না। বলতে পারেন, ঢাকায় তো এমন ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইও আছে। কিন্তু আমাকে নিয়ে বারবার হয় কেন। এর চেয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে, ওখানে এমন শুনি না কেন? উত্তর সহজ। ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম ভাবে পারে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
আজকের পত্রিকা: এই গ্রুপটা কারা?
তাকসিম এ খান: আমরা পাঁচটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। যার পাঁচ নম্বর হল ভেস্টেট ইন্টারেস্টেড (স্বার্থান্বেষী মহল) গ্রুপ। আমি তো বললাম, চৌষট্টি পার্সেন্ট আমার রাজস্ব আয় হতো বাকি ছত্রিশ ভাগ গায়েব। জানি না কোথায়। এখন আমার ১০০ ভাগ আয় হয়। তাইলে ওই যে এখন আর ছত্রিশ ভাগ গায়েব হচ্ছে না। তার মানেটা কী? যে বা যারা গায়েবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তার তো সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। সে বা তারা কী চাইবে আমি বহাল তবিয়তে এখানে থাকি? যাতে করে বাকিদেরও এটা বন্ধ হয়ে যাক। আর যে বললেন দুর্নীতি। আমি তো এখানে ১২ বছর। আমার ডিক্লারেশন হচ্ছে, আমি জীবনে কোনো দিন এক টাকা হারাম খাইনি। আমি গর্বের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে এটা বলতে পারি। তো কাজেই এখন যতই অভিযোগ আসুক, এগুলো তো আমি জানি। কাজেই আমার ভয়েরই বা কী আছে, লজ্জারই বা কী আছে। সো ট্রুথ ইজ ট্রুথ।

বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৪২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম
০৭ ডিসেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৪২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম
০৭ ডিসেম্বর ২০২২
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৪২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার, প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণের মাঝে হাদিকে গুলির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজনদের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুষ্কৃতকারীকে আটক এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) পরিচালক (অধিনায়ক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।

ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম
০৭ ডিসেম্বর ২০২২
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
৩৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলায় ছুরিকাহত হয়েছেন দুই পথচারী। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পথচারী হলেন রুবেল ও নাজিম উদ্দীন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম
০৭ ডিসেম্বর ২০২২
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য মৌলভীবাজারে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি।
৪২ মিনিট আগে