Ajker Patrika

লোডশেডিংয়ে বেড়েছে বরফের দাম, মাছের বাজারে আগুন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লোডশেডিংয়ে বেড়েছে বরফের দাম, মাছের বাজারে আগুন 

লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে। বিশেষ করে মাছের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ, গত সপ্তাহে যে মাছ তারা ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এই সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে মাছ সংরক্ষণ করা বরফের দাম বাড়ায় বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নাই।

মাছের বাজারের মতো একই চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে কিছু মুরগি মারা যায়, আবার অনেক মুরগির ওজন কমে যায়। এ জন্য পুরো চালানের লাভ তুলতে গিয়ে দাম বাড়াতে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থাকলেও কার্যত বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নেই। এ কারণে ব্যবসায়ীরা যখন যেভাবে ইচ্ছা দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের হয়রানি করছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হওয়াতেই বাজারের এ অবস্থা।

আজ শুক্রবার আজিমপুরের ছাপড়া মসজিদ সংলগ্ন কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি কর্ক ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আকারভেদে পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা ছিল। রুই ও কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। শিং মাছের দাম ৬০০ থেকে হাজার টাকা। আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে।

এদিকে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য সব পণ্যের মতো শীতকালীন সবজির দামও চড়া। সবজির বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে চিচিঙ্গা, বেগুন, পটল, ঢ্যাঁড়স ও কাঁকরোলসহ সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অন্তত ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিন বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা। এছাড়া পটল, ঢ্যাঁড়স, শসা, করলা ও মুলা ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, টমেটো ও গাজর ১৪০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি জোড়া ১৩০ টাকা, লাউ ৫০-৭০ টাকা, মানভেদে কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক কৃষকের সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দামও চড়া। সবজির দোকানি শাহাদাত বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। আমরাও তিন ট্রাকের বদলে এক ট্রাক সবজি পেতে কষ্ট হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়তি।’

বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়তির দিকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আজিমপুরে সাখাওয়াত নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতিদিন বাজারে পণ্যের নতুন নতুন দাম হয়। দাম শুধু বাড়েই, কখনো কমতে দেখলাম না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকারকে আমরা অভিযান চালাতে দেখি, কিন্তু বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান বাজার ব্যবস্থা ক্রেতাদের জন্য নয়, বিক্রেতাদের জন্য। যারা অসাধু ব্যবসায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সৎসাহস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই। তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হলো এখানে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না হলে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাজারীবাগে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, পুলিশ বলছে পটকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছবি: সংগৃহীত
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বারইখালী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটেছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এটিকে শক্তিশালী পটকা বলে দাবি করেছে।

বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী। তবে এতে তিনি আহত হননি।

‎ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাজারীবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বারইখালী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ওই ভবনটি মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ অন্যরা নির্মাণ করছেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তাঁর পাশেই পটকা জাতীয় কিছু ফাটিয়েছে।’

মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি, এটার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেখানে পরীক্ষা করছে। তবে এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন রাহমানির কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি সুস্থ আছেন।’

জানা যায়, হাজারীবাগ বারইখালী এলাকায় মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীদের একটি ফাউন্ডেশনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজ চলছিল। ওখানে প্রায়ই যাতায়াত করেন তিনি। তাঁর আত্মীয়-স্বজনরাও সেখানে থাকেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই নির্মাণাধীন ভবনে জসীম উদ্দিন ঢোকার সময় পাঁচ থেকে সাত হাত দূরে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।

জসীম উদ্দিন রাহমানি গত বছরের ২৬ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। জসীম উদ্দিন বরগুনা সদর থানার খাজুরতোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০২
সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রুমিন ফারহানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রুমিন ফারহানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আজ সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।

রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের বোঝার বাইরে। আল্লাহর এই পরিকল্পনায় আমার বাবা ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন। রাব্বুল আলামিনের কী অদ্ভুত পরিকল্পনা, ২০২৬ এসে ধানের শীষের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র লড়াই করতে হচ্ছে। আল্লাহর পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া মানুষের বোঝার বাইরে। সুতরাং আমি দেখব, আল্লাহ কী পরিকল্পনা রাখেন।’

দলের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এত বড় দল, তাদের ব্যস্ততা অনেক বেশি। ৩০০ আসনের প্রার্থীরা আছে, জোটের সঙ্গে আলোচনা আছে, তাদের এখন অনেক কর্মব্যস্ততা। আমারও অনেক কর্মব্যস্ততা। আমাকে মানুষের প্রার্থী হিসেবে জিতে আসতে হবে।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে বিপুল কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ছাড়াও অন্তত অর্ধডজন সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে এই আসনটি বিএনপি তাঁদের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। আসনটিতে বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গফরগাঁওয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত: গতি কম থাকায় রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৭
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুর্ঘটনার সময় আন্তনগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিসীমা ২০ কিলোমিটারে ছিল। তাই বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন চালক আব্দুল হালিম।

তিনি বলেন, ‘আউটার সিগন্যালে ঝুঁকি থাকায় ট্রেনটি সেখানেই থামানোর কথা ছিল। থামানোর ১০০ গজ আগেই সেই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে পড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি। পরে নেমে দেখি ২০ মিটার রেললাইনের পাত অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে।’

আজ সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশনে ঢোকার আগে দুর্বৃত্তরা ২০ ফুট রেললাইনের পাত সরিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারাকান্দি থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন হয়ে ঢাকাগামী অগ্নিবীণা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে সহস্রাধিক যাত্রী ছিলেন।

ট্রেনটির সহকারী চালক হাসিম উদ্দিন বলেন, ‘কুয়াশার কারণে ট্রেনের গতি ছিল ৫০ কিলোমিটার। স্টেশনের আগে আউটার সিগনাল ঝুঁকি থাকায় সেখানে ট্রেনটি থামানোর কথা ছিল। যার কারণে গতিসীমা ২০ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হয়। ২০ কিলোমিটার গতি থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনা হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ হয়। তখন বাসা থেকে উঠে দেখি যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নামছে। এমন কাজ করা মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যারা রেলের পাত কেটেছে তারা দেশের শত্রু। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

রফিকুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আওয়ামী দোসরা এমন কাজ করে থাকতে পারে। বিএনপির পক্ষে এ কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসেছে। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। দুর্বৃত্তরা রেলের পাতা খুলে নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুর দুইটার মধ্যে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। বিষয়টি জানাজানি হলে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকে রেললাইন অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫টি সাজাসহ ২৩টি ওয়ারেন্টে সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৭
হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তারকৃত এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তারকৃত এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক যুবদল নেতা এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিমকে পাঁচটি সাজাপ্রাপ্তসহ ২৩টি ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকালে তাঁকে লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার মধ্যরাতে রংপুরের হাজিরহাট থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এ এস এম শামসুজ্জামান সেলিম হাতীবান্ধা উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান যুবদল নেতা শামসুজ্জামান সেলিম বিভিন্নজনের কাছ থেকে চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন। যা সময়মতো পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা একের পর এক মামলা দায়ের করেন। এভাবে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে পাঁচটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করেন আদালত। পলাতক থাকায় সাজাপ্রাপ্তসহ ২৩টি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত।

২৩টি ওয়ারেন্টের আসামি শামসুজ্জামান সেলিম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা থানা-পুলিশ রংপুরের হাজিরহাট থানা-পুলিশের সহায়তায় রোববার রাতে হাজিরহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে তাঁকে লালমনিরহাট আদালতে পাঠায় পুলিশ।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ জানান, শামসুজ্জামান সেলিমকে পাঁচটি সাজাসহ মোট ২৩টি ওয়ারেন্ট মূলে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত