ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো এবং স্মারকলিপি পাঠ করে শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং মিশু দত্ত চাঁদসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক হওয়া ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের (আগস্ট ৬,২০২৪) মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি মহামান্য আদালতের কাছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, যদি কোনো শিক্ষার্থী আসলেই দোষী হয় তবে তাঁর আমরা শাস্তি চাই, নির্দোষ সকলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কিন্তু এই মানববন্ধনের পরেই বিষয়টি বদলাতে শুরু করে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও নিজ নিজ ব্যাচের সহপাঠীরা আমাদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জেরা করে। বিভিন্নভাবে হলের সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে। অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লা হলের কমন রুমে এবং মাঠে জেরা করা হয়। আমাদের ডেকে নিয়ে সবার সামনে জেরা ও বাজে আচরণ করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয় ও কালচারাল র্যাগিং নিয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর দেওয়া অভিযোগের তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একদিন রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল—এমন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট করা হয়। এরপর সবার সামনে আমাদের অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে—তার বিবরণ আমরা আপনার (বুয়েট উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম। আপনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তাঁর কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি আওতায় আসতে দেখিনি।
এর ফলে দিন দিন আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁরা নতুন নতুন উপায়ে এসব করতে থাকে। যেমন: প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়; যাতে আমরা তথ্যর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটমানতার সঙ্গে খাপ খেতে না পারি। বিভিন্ন ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। খেলাধুলা এমনকি ব্যাচ বা ডিপার্টমেন্টের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়াবলি আদান-প্রদান না করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ অমান্য করলে তাঁকেও হেনস্তা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি পাঠকালে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহ্রির ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয়—তার অভিযোগ করেছিলাম। আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার নিকট অনুরোধ জানাই। তাঁরা কি বুয়েটের নাকি বাইরের—এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তাঁরা বুয়েটের বাইরের হয়—তবে তাঁরা বুয়েটের অভ্যন্তরে কীভাবে প্রবেশ করল? আর যদি বুয়েটের হয়—তবে অতি সত্তর পরিচয় উল্লেখ করে তাঁদের ক্যাম্পাসচ্যুত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদের গোপন গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় দিয়ে আমাদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমদের ধারণা, সেখানে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ জড়িত। কে বা কারা এটা করছে—সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। এসবের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যত দ্রুত তুলে দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য তা ততই মঙ্গল। আর ক্যাম্পাসে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে থাকা যেহেতু ভীতিকর—তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এ ছাড়া তাদের সহযোগী, মদদদাতা ও পেছন থেকে কাজ করা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হোক। তদন্তের জন্য তাঁদের গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এই সকল ঘটনার শুরু হয় সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এই গ্রুপটি স্টুডেন্টদের গভর্নিং বডি হিসেবে দাবি করে—সামাজিক বয়কট ও ক্যান্সেল কালচারের ভাইরাস ছড়ায়। কালচারাল র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনা এই গ্রুপটি থেকেই হয়। এই গ্রুপটির অ্যাডমিন কারা এবং তাদের এই ম্যান্ডেট কে দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যেই বুয়েটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সূচনা হয়—সেই বুয়েটে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ মতের চর্চা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কালিমা লেপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে—তাদের অতি দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা হোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করি নি। তাই আপনার (উপাচার্য) নিকট আমাদের সবিনয় নিবেদন এই যে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো এবং স্মারকলিপি পাঠ করে শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং মিশু দত্ত চাঁদসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক হওয়া ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের (আগস্ট ৬,২০২৪) মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি মহামান্য আদালতের কাছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, যদি কোনো শিক্ষার্থী আসলেই দোষী হয় তবে তাঁর আমরা শাস্তি চাই, নির্দোষ সকলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কিন্তু এই মানববন্ধনের পরেই বিষয়টি বদলাতে শুরু করে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও নিজ নিজ ব্যাচের সহপাঠীরা আমাদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জেরা করে। বিভিন্নভাবে হলের সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে। অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লা হলের কমন রুমে এবং মাঠে জেরা করা হয়। আমাদের ডেকে নিয়ে সবার সামনে জেরা ও বাজে আচরণ করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয় ও কালচারাল র্যাগিং নিয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর দেওয়া অভিযোগের তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একদিন রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল—এমন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট করা হয়। এরপর সবার সামনে আমাদের অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে—তার বিবরণ আমরা আপনার (বুয়েট উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম। আপনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তাঁর কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি আওতায় আসতে দেখিনি।
এর ফলে দিন দিন আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁরা নতুন নতুন উপায়ে এসব করতে থাকে। যেমন: প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়; যাতে আমরা তথ্যর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটমানতার সঙ্গে খাপ খেতে না পারি। বিভিন্ন ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। খেলাধুলা এমনকি ব্যাচ বা ডিপার্টমেন্টের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়াবলি আদান-প্রদান না করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ অমান্য করলে তাঁকেও হেনস্তা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি পাঠকালে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহ্রির ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয়—তার অভিযোগ করেছিলাম। আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার নিকট অনুরোধ জানাই। তাঁরা কি বুয়েটের নাকি বাইরের—এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তাঁরা বুয়েটের বাইরের হয়—তবে তাঁরা বুয়েটের অভ্যন্তরে কীভাবে প্রবেশ করল? আর যদি বুয়েটের হয়—তবে অতি সত্তর পরিচয় উল্লেখ করে তাঁদের ক্যাম্পাসচ্যুত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদের গোপন গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় দিয়ে আমাদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমদের ধারণা, সেখানে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ জড়িত। কে বা কারা এটা করছে—সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। এসবের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যত দ্রুত তুলে দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য তা ততই মঙ্গল। আর ক্যাম্পাসে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে থাকা যেহেতু ভীতিকর—তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এ ছাড়া তাদের সহযোগী, মদদদাতা ও পেছন থেকে কাজ করা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হোক। তদন্তের জন্য তাঁদের গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এই সকল ঘটনার শুরু হয় সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এই গ্রুপটি স্টুডেন্টদের গভর্নিং বডি হিসেবে দাবি করে—সামাজিক বয়কট ও ক্যান্সেল কালচারের ভাইরাস ছড়ায়। কালচারাল র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনা এই গ্রুপটি থেকেই হয়। এই গ্রুপটির অ্যাডমিন কারা এবং তাদের এই ম্যান্ডেট কে দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যেই বুয়েটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সূচনা হয়—সেই বুয়েটে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ মতের চর্চা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কালিমা লেপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে—তাদের অতি দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা হোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করি নি। তাই আপনার (উপাচার্য) নিকট আমাদের সবিনয় নিবেদন এই যে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
ঢাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো এবং স্মারকলিপি পাঠ করে শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং মিশু দত্ত চাঁদসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক হওয়া ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের (আগস্ট ৬,২০২৪) মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি মহামান্য আদালতের কাছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, যদি কোনো শিক্ষার্থী আসলেই দোষী হয় তবে তাঁর আমরা শাস্তি চাই, নির্দোষ সকলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কিন্তু এই মানববন্ধনের পরেই বিষয়টি বদলাতে শুরু করে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও নিজ নিজ ব্যাচের সহপাঠীরা আমাদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জেরা করে। বিভিন্নভাবে হলের সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে। অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লা হলের কমন রুমে এবং মাঠে জেরা করা হয়। আমাদের ডেকে নিয়ে সবার সামনে জেরা ও বাজে আচরণ করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয় ও কালচারাল র্যাগিং নিয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর দেওয়া অভিযোগের তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একদিন রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল—এমন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট করা হয়। এরপর সবার সামনে আমাদের অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে—তার বিবরণ আমরা আপনার (বুয়েট উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম। আপনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তাঁর কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি আওতায় আসতে দেখিনি।
এর ফলে দিন দিন আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁরা নতুন নতুন উপায়ে এসব করতে থাকে। যেমন: প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়; যাতে আমরা তথ্যর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটমানতার সঙ্গে খাপ খেতে না পারি। বিভিন্ন ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। খেলাধুলা এমনকি ব্যাচ বা ডিপার্টমেন্টের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়াবলি আদান-প্রদান না করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ অমান্য করলে তাঁকেও হেনস্তা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি পাঠকালে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহ্রির ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয়—তার অভিযোগ করেছিলাম। আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার নিকট অনুরোধ জানাই। তাঁরা কি বুয়েটের নাকি বাইরের—এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তাঁরা বুয়েটের বাইরের হয়—তবে তাঁরা বুয়েটের অভ্যন্তরে কীভাবে প্রবেশ করল? আর যদি বুয়েটের হয়—তবে অতি সত্তর পরিচয় উল্লেখ করে তাঁদের ক্যাম্পাসচ্যুত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদের গোপন গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় দিয়ে আমাদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমদের ধারণা, সেখানে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ জড়িত। কে বা কারা এটা করছে—সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। এসবের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যত দ্রুত তুলে দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য তা ততই মঙ্গল। আর ক্যাম্পাসে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে থাকা যেহেতু ভীতিকর—তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এ ছাড়া তাদের সহযোগী, মদদদাতা ও পেছন থেকে কাজ করা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হোক। তদন্তের জন্য তাঁদের গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এই সকল ঘটনার শুরু হয় সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এই গ্রুপটি স্টুডেন্টদের গভর্নিং বডি হিসেবে দাবি করে—সামাজিক বয়কট ও ক্যান্সেল কালচারের ভাইরাস ছড়ায়। কালচারাল র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনা এই গ্রুপটি থেকেই হয়। এই গ্রুপটির অ্যাডমিন কারা এবং তাদের এই ম্যান্ডেট কে দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যেই বুয়েটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সূচনা হয়—সেই বুয়েটে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ মতের চর্চা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কালিমা লেপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে—তাদের অতি দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা হোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করি নি। তাই আপনার (উপাচার্য) নিকট আমাদের সবিনয় নিবেদন এই যে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো এবং স্মারকলিপি পাঠ করে শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং মিশু দত্ত চাঁদসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক হওয়া ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের (আগস্ট ৬,২০২৪) মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি মহামান্য আদালতের কাছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, যদি কোনো শিক্ষার্থী আসলেই দোষী হয় তবে তাঁর আমরা শাস্তি চাই, নির্দোষ সকলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কিন্তু এই মানববন্ধনের পরেই বিষয়টি বদলাতে শুরু করে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও নিজ নিজ ব্যাচের সহপাঠীরা আমাদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জেরা করে। বিভিন্নভাবে হলের সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে। অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লা হলের কমন রুমে এবং মাঠে জেরা করা হয়। আমাদের ডেকে নিয়ে সবার সামনে জেরা ও বাজে আচরণ করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয় ও কালচারাল র্যাগিং নিয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর দেওয়া অভিযোগের তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একদিন রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল—এমন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট করা হয়। এরপর সবার সামনে আমাদের অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে—তার বিবরণ আমরা আপনার (বুয়েট উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম। আপনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তাঁর কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি আওতায় আসতে দেখিনি।
এর ফলে দিন দিন আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁরা নতুন নতুন উপায়ে এসব করতে থাকে। যেমন: প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়; যাতে আমরা তথ্যর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটমানতার সঙ্গে খাপ খেতে না পারি। বিভিন্ন ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। খেলাধুলা এমনকি ব্যাচ বা ডিপার্টমেন্টের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়াবলি আদান-প্রদান না করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ অমান্য করলে তাঁকেও হেনস্তা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি পাঠকালে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহ্রির ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয়—তার অভিযোগ করেছিলাম। আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার নিকট অনুরোধ জানাই। তাঁরা কি বুয়েটের নাকি বাইরের—এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তাঁরা বুয়েটের বাইরের হয়—তবে তাঁরা বুয়েটের অভ্যন্তরে কীভাবে প্রবেশ করল? আর যদি বুয়েটের হয়—তবে অতি সত্তর পরিচয় উল্লেখ করে তাঁদের ক্যাম্পাসচ্যুত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদের গোপন গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় দিয়ে আমাদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমদের ধারণা, সেখানে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ জড়িত। কে বা কারা এটা করছে—সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। এসবের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যত দ্রুত তুলে দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য তা ততই মঙ্গল। আর ক্যাম্পাসে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে থাকা যেহেতু ভীতিকর—তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এ ছাড়া তাদের সহযোগী, মদদদাতা ও পেছন থেকে কাজ করা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হোক। তদন্তের জন্য তাঁদের গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এই সকল ঘটনার শুরু হয় সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এই গ্রুপটি স্টুডেন্টদের গভর্নিং বডি হিসেবে দাবি করে—সামাজিক বয়কট ও ক্যান্সেল কালচারের ভাইরাস ছড়ায়। কালচারাল র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনা এই গ্রুপটি থেকেই হয়। এই গ্রুপটির অ্যাডমিন কারা এবং তাদের এই ম্যান্ডেট কে দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যেই বুয়েটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সূচনা হয়—সেই বুয়েটে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ মতের চর্চা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কালিমা লেপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে—তাদের অতি দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা হোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করি নি। তাই আপনার (উপাচার্য) নিকট আমাদের সবিনয় নিবেদন এই যে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৮ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৮ মিনিট আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৮ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৮ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে