ঢাবি প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটাপদ্ধতি পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি মানতে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দিতে যান।
সমাবেশ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিলের আলটিমেটাম ঘোষণা করছি। ৩০ তারিখের মধ্যে যদি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয়, তাহলে লাগাতার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে হবে। সারা দেশের আপামর ছাত্রসমাজ তখন ফুঁসে উঠবে। কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা প্রয়োজনে রক্ত ঝরার মাধ্যমে শেষ হবে। তারপরেও শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব।’
তামান্না আক্তার বলেন, ‘কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের পিষ্ট করা হচ্ছে। আমি নারী হয়ে বলছি আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতার বলে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।’
বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দেখলাম, তাঁর বক্তব্যে বুঝলাম তিনি শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী নন। যারা কোটার পক্ষে কথা বলে তারা নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে। আমরা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের ফায়েজ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের মিরাজুল ইসলাম সোহান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিফাত রশিদ প্রমুখ। বক্তব্য দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট রায় বাতিল করার দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীরা–‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ২০১৮ সালে ঘোষিত কোটা বাতিলের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার ফলে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকছে।
পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশতম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটাপদ্ধতি পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি মানতে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দিতে যান।
সমাবেশ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিলের আলটিমেটাম ঘোষণা করছি। ৩০ তারিখের মধ্যে যদি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয়, তাহলে লাগাতার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে হবে। সারা দেশের আপামর ছাত্রসমাজ তখন ফুঁসে উঠবে। কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা প্রয়োজনে রক্ত ঝরার মাধ্যমে শেষ হবে। তারপরেও শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব।’
তামান্না আক্তার বলেন, ‘কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের পিষ্ট করা হচ্ছে। আমি নারী হয়ে বলছি আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতার বলে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।’
বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দেখলাম, তাঁর বক্তব্যে বুঝলাম তিনি শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী নন। যারা কোটার পক্ষে কথা বলে তারা নিজেদের অক্ষমতা ঢাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে। আমরা হাইকোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের ফায়েজ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের মিরাজুল ইসলাম সোহান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিফাত রশিদ প্রমুখ। বক্তব্য দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট রায় বাতিল করার দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীরা–‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ২০১৮ সালে ঘোষিত কোটা বাতিলের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার ফলে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকছে।
পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশতম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
১ মিনিট আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ ঘণ্টা আগে