Ajker Patrika

সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ বুধবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। সকাল সোয়া ১১টার পর তাঁরা সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরো সচিবালয় প্রদক্ষিণ করেন।

এর আগে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা। তবে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মচারীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম।

কর্মচারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ স্লোগান দিচ্ছেন।

বিক্ষোভ শেষে ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।’

নূরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কর্মচারীদের দাবি সংবলিত পোস্টার যারা ছিঁড়েছে সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাঁটিয়ে দিতে হবে।’

সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে চোরাবালিতে আটকে ফেলার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু আমলারা এই আইন তৈরি করেছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি। যদি আজকে দিনের মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে এমনও হতে পারে বিভাগীয় সম্মেলনের থেকেও কঠোর কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই কিন্তু আমাদের বন্দী করে আপনারা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন এটা কি হতে পারে? আমরা হলাম বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশন। যদি ফাউন্ডেশনটাই উপড়ে ফেলেন তাহলে আপনারা কীভাবে কাজ করবেন?’

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ওই ভবনে গণসংযোগের কর্মসূচি ঘোষণা করে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রোববার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকেই এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।

চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমি সচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় গত ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশু সাজিদকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর শিশুটিকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

গতকাল বুধবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরসরাইয়ে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষ, জুলাই মঞ্চ নেতার মৃত্যু

মিরসরাই (প্রতিনিধি) চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে তাহমিদ উল্যাহ (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও সাত-আটজন আহত হয়েছেন।

এর আগে ওই দিন সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট পৌর বাজারে একটি দোকানে পা তুলে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

নিহত তাহমিদ উল্যাহ বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হিঙ্গুলী এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের একমাত্র ছেলে। তিনি স্থানীয় কদমতলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন মিরসরাই উপজেলা শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব। এ ছাড়া দি রেড জুলাই মঞ্চের আহ্বায়ক, আপ বাংলাদেশ (ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সদস্য ও ধর্ষণ প্রতিরোধ মঞ্চের উদ্যোক্তা ছিলেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জুবায়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার একটি দোকানে পা তুলে বসেছিলেন। এ সময় দোকানে আসেন পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন। তাঁকে দেখে জুবায়ের পা নামিয়ে না বসায় লিটন জুবায়েরকে লাথি মারেন। এতে উভয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা জড়ান।

পরে লিটন ও জুবায়ের নিজ নিজ এলাকা জামালপুর ও হিঙ্গুলীর লোকজন নিয়ে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জুলাই যোদ্ধা তাহমিদসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

গুরুতর আহত তাহমিদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার সময় তাঁর মৃত্যু হয়।

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম উত্তরের সংগঠক মোহাম্মদ সাইফুল হাওলাদার বলেন, ‘তাহমিদ জুলাই যোদ্ধা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারির নেতা ছিলেন। ফেনীতে আন্দোলনের সময় তাঁর পেটে পুলিশের গুলি লেগেছিল। তাঁকে এভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন মিরসরাই উপজেলার আহ্বায়ক মো. জামশেদ আলম বলেন, ‘তাহমিদ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন মিরসরাই শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব। সে জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাহমিদের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

নিহত তাহমিদের মা বিবি জোহরা বলেন, ‘মাদ্রাসায় তার পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে বিকেলে বাড়ি এসে ভাত খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিল। পরে তার এক বন্ধু বাড়িতে এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় খবর পাই, আমার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়।’

বড় বোন আকলিমা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই ছিল জুলাই যোদ্ধা। ’২৪ সালের ৪ আগস্ট আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। সমাজের অনেক মানুষের উপকার করত। ২০২৪ সালে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার সময়ও সে কাজ করেছে মানুষের জন্য। আমার ভাইটাকে নোংরা রাজনীতির লোকজন মেরে ফেলেছে। আমার ভাই একজন কোরআনের হাফেজ ছিল। আমাদের একমাত্র ভাইকে আমরা হারিয়ে ফেললাম। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

তাহমিদের বাবা আলমগীর বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে কেন তারা মেরে ফেলল। ও তো কোনো দোষ করেনি। যদি কখনো ভুল করেও থাকে, তবে আমি নিজেই বিচার করতাম। এভাবে আমার ছেলেকে শেষ করে দিল কেন? এখন আমি কীভাবে বাঁচব? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

বারইয়ারহাট পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোহন দে বলেন, ‘তাহমিদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংগঠনে সে কাজ করেছে। কিছুদিন আগে সে আমার সঙ্গে চলাফেরা করছে। ছাত্রদলের রাজনীতির করার মনস্থির করেছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিষয়ে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘ঘটনার আগে এলাকায় সামান্য ছেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় জুবায়েরের সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়। এরপর তারা বারইয়ারহাট চলে যায়। সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এরপর কী হয়েছে আমার জানা নেই। অভ্যন্তরীণ পূর্বশত্রুতার জেরে এমনটা ঘটতে পারে।’

চট্টগ্রাম-৮ (মিরসরাই) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাহমিদের নিহত হওয়ার খবর শুনে আমরা সবাই শোকাহত। এই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কঠিন বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। আমি নিশ্চিত করে বলেছি, এটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’

চট্টগ্রাম পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) নাদিম হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘তাহমিদ হত্যার পেছনে কারা জড়িত, কারা তাকে গুরুতর আঘাত করেছে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়—এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত ও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি। পরবর্তীতে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত যা থেকে বড় সংঘর্ষে রূপ নেয়।’

তিনি আরও বলেন, তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসা হবে।

এদিকে তাহমিদের খুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আপ বাংলাদেশ। সংগঠনের মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা ইরা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে খুনিদের শনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে, নির্বাচনে যাব না: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয়, আমরা ভোটে যাব না।’

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি-পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অন্যায় শেখ মুজিবের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় না। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন শামসুল হক। হাসিনার বিচার করবেন বলে আপনি আওয়ামী লীগেরও বিচার করবেন, করতে পারবেন না। পারবেন না। পারবেন না। আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খান পারে নাই, আপনারাও পারবেন না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি যত দিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব, আমি যত দিন বেঁচে থাকব জয়বাংলা বলে বেঁচে থাকব।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল এবং কাদেরিয়া বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ও বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করায় সাজাপ্রাপ্ত জামিনদার গ্রেপ্তার, আড়াই ঘণ্টা পরেই মৃত্যু

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুর আড়াই ঘণ্টা আগে রাত ১টার দিকে মজিবর রহমানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি ফকিরহাট উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের মৃত শেখ ইনতাজের ছেলে। মজিবর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন। এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামিনদার ছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধ না করার মামলায় জামিনদার মজিবরকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাওন কুমার দাশ জানান, মজিবর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের স্বজনেরা জানান, মজিবর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি এনজিও থেকে এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের জামিনদার ছিলেন। সেই ঋণগ্রহীতা টাকা পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁর দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ফকিরহাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি মজিবর গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পেড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত