Ajker Patrika

বলাকা কমিউটারের ইঞ্জিন ৩ বার বিকল, যাত্রীদের তোপের মুখে পালালেন চালক

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ৫৪
বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীরা হট্টগোল করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীরা হট্টগোল করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুর থেকে ঢাকাগামী বলাকা কমিউটার ট্রেন যাত্রাপথে তিনবার ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনে তৃতীয় দফায় ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ট্রেনচালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপশি স্টেশনমাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার)।

দুই ঘণ্টা যাবৎ শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে ট্রেনটি। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেলস্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিকল্প লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা বলাকা কমিউটার ট্রেনটি ৬টা ৫৩ মিনিটের সময় শ্রীপুর রেলস্টেশনে পৌঁছে ইঞ্জিন বিকল হয়। এর আগে দুই দফা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা ফাতেমানগর ও ময়মনসিংহে ইঞ্জিন বিকল হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি বলেন, ‘শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা বলাকা কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা দাবি করে, আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে তাদের তিস্তা ট্রেনে ঢাকায় পৌঁছে দিতে। এরপর আমি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিস্তা ট্রেনের বিরতি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর যথাসময়ে অর্থাৎ রাত ৮টা ২০ মিনিটের সময় আন্তনগর তিস্তা ট্রেনে শ্রীপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করার পরপরই ট্রেনের যাত্রীরা একসঙ্গে এসে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় উত্তেজিত যাত্রীরা স্টেশনে মাস্টারের রুমে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। মারধর করা হয় ট্রেনের লোকো মাস্টারকে। মারধরের পর পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে ট্রেনের চালক। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক সদস্য ও স্থানীয়রা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল রয়েছে। ট্রেনের ইঞ্জিন সারানোর জন্য রেলওয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে কখন ট্রেনের ইঞ্জিন সচল হবে, এ বিষয়ে বলা যাচ্ছে না।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বলাকা কমিউটার ট্রেনের যাত্রী সজীব হাসান বলেন, ‘আমি ঢাকার বিমানবন্দর যাব। ট্রেনটি শ্রীপুর পৌঁছানোর আগে দুবার ইঞ্জিন বিকল রয়েছে। আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। শ্রীপুর রেলস্টেশনে এসে আবার বিকল হয়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনমাস্টারকে অনুরোধ করে তিস্তা ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এ সময় উত্তেজিত যাত্রীরা স্টেশনমাস্টারের রুমের সামনে দাঁড়ায়। এরপর স্থানীয়রা বেশ কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করে।’

ট্রেনের যাত্রী পাবনার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘যাত্রীদের দিনব্যাপী অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। যার কারণে তিস্তা ট্রেন থামানোর একটু দাবি করে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে মারধর করে। ট্রেনের কোনো যাত্রীরা উত্তেজিত হলেও কাউকে মারধর করেনি। ভয়ের কারণে চালক পালিয়ে গেছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, একটি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের জেরে যাত্রীরা হট্টগোল করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ট্রেনের ইঞ্জিন সারানোর পর ট্রেনটি শ্রীপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে ৯২৩ ভোটকেন্দ্রের ১৭৮টি ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টি কেন্দ্রকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টিকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের ছবি পুলিশ প্রশাসনের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

জেলায় মোট ভোটারসংখ্যা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে (শাহজাদপুর উপজেলা)। এই আসনে ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪১২ জন ও নারী ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন।

সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ)। এখানে ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৪ জন। এখানে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭৬ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন চারজন।

সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪৮ ও নারী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের চারজন।

রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ও নারী ২ লাখ ২১ হাজার ৬৮৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাতজন।

উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ১২৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৬ জন।

বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৪ ও নারী ২ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের দুজন।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রগুলো আমরা পরিদর্শন করছি। সব কেন্দ্র পরিদর্শন শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কী ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে—এ প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, এ বিষয়েও পরে জানানো হবে।

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘জেলার ছয়টি আসনে মোট ভোটার ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা আমরা করি না। এটা করে পুলিশের ডিএসবি শাখা। তবে আমাদের কাছে সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইটভাটায় ডেকে নিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আবু তাহের। ছবি: সংগৃহীত
আবু তাহের। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত মো. ফরিদ সরকার (৩৫) উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গোসিঙ্গা ইউনিয়ন জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

গ্রেপ্তার আবু তাহের ওরফে তারা ডাকাত (৪০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়ণপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাতে খুনিরা ফরিদ সরকারকে মোবাইল ফোনে লতিফপুর গ্রামের কেবিএম ইটভাটায় ডেকে নেন। ডেকে নিয়ে গভীর রাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে যান।

এ ঘটনায় নিহত ফরিদের বড় ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দীপু দাস হত্যা: নিথর দেহ গাছে ঝোলানোর ‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার নিবির ইসলাম অনিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার নিবির ইসলাম অনিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবক হলেন নিবির ইসলাম অনিক (২০)। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা (মধ্য ভাটিবাড়ি) গ্রামের মো. কালিমুল্লাহর ছেলে।

তিনি ভালুকার একটি ফ্যাক্টরিতে নিটিং অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।

১৮ ডিসেম্বর দীপুকে হত্যার পর রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক যুবক দীপুর নিথর দেহ রশি দিয়ে টেনে গাছের ওপর তুলছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় সেই যুবককে অনিক হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অনিক পলাতক ছিলেন। তাঁকে ধরতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ ঢাকার বনানী ও গাজীপুরের চেরাগআলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী দল।

ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অনিক যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন, ঘটনার পর থেকে তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাগরিকত্ব ছেড়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর মনোনয়নপত্র দাখিল, হলফনামায় নেই স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৫
রাজশাহীতে নাগরিকত্ব ছেড়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে নাগরিকত্ব ছেড়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি, এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।

তবে তিনি একা নন, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন হলফনামায় স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেননি।

রেজাউল করিম লন্ডন জিয়া পরিষদের নেতা। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুরে। তিনি ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

হলফনামার তথ্যমতে, তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন। নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেন ২২ ডিসেম্বর। তারিখটিকে তিনি নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর হাতে আছে নগদ ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৫ টাকা।

হলফনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

অপর দিকে আরও যে চার প্রার্থী হলফনামায় স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেননি, তাঁরা হলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আমজনতার দল মনোনীত প্রার্থী সাঈদ পারভেজ, একই আসনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ফজলুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী তাজুল ইসলাম খান ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোল্লা।

হলফনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ পারভেজ বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিষয়টা এ রকম হয়ে গেছে। এখন কী হবে, বুঝতে পারছি না। মনোনয়নপত্র বাতিল হলে আপিল করব।’

এ বিষয়ে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা আফিয়া আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় যদি স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেওয়ার স্থান থাকে, তাহলে সেটি না দিলে তো অনিয়ম। তবে আমি এখনো সবগুলো হলফনামা দেখিনি। তাই এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত