গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে একটি পেপার মিলের কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মেশিনে কাটা পড়ে এক শিশু শ্রমিকের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কোনো দায় নিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর পূবাইল থানায় মামলা করতে গেলে থানার তৎকালীন ওসি অভিযোগ গ্রহণ করেননি। অবশেষে গত ১৬ জুলাই গাজীপুর আদালতে গিয়ে অভিযোগ দেন তারা। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহানগর গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনার পর কারখানার প্রভাবশালী মালিক মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন এবং তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কুদাব এলাকায় অবস্থিত মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড নামের কারখানায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ ঘটনার পর রহস্যজনক কারণে কারখানার পূবাইল ইউনিটের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় ও সেখানকার শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাবোর্ড এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বইপুস্তক ছাপানো ছাড়াও নিয়মিত বিভিন্ন প্রকাশনার কাজ করে থাকে। নরসিংদীতেও তাদের একই কারখানার আরেকটি সচল ইউনিট রয়েছে।
আহত কিশোরের নাম—ইসমাইল হাসান সোহেল (১৪)। সে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার ভাটিয়াপাড়া এলাকার আলম মিয়ার ছেলে। তারা কারখানার পার্শ্ববর্তী পোড়ান টেক এলাকায় একটি ছোট্ট ভাড়া ঘরে বসবাস করেন।
সোহেল স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা আলম মিয়া পেশায় রিকশাচালক ও মা আজিয়া বেগম একটি পোশাক কারখানার অনিয়মিত শ্রমিক। অভাবের সংসারের অর্থের জোগান দিতে সোহেল দুই মাস আগে লেখাপড়া ছেড়ে ওই কারখানায় কাজ শুরু করেছিল।
সোহেলের বাবা আলম মিয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, অভাব অনটনের কারণে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুর শহরে এসেছিলেন। নিজে ভাড়ায় রিকশা চালাতে শুরু করেন এবং স্ত্রী আজিয়া বেগমকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। মাস্টার সিমেক্স পেপার কারখানার ম্যানেজার রফিক তাঁর রিকশার নিয়মিত যাত্রী ছিলেন। রফিকের পরামর্শেই সংসারের অভাব ঘোচাতে দুই মাস আগে ছেলের লেখাপড়া বন্ধ করে কারখানাটিতে অফিস সহায়কের চাকরি দেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ শিশু ইসমাইল হাসান সোহেলকে দিয়ে অফিসের কাজের পরিবর্তে প্রায়ই মেশিনে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করাতেন।
আলম মিয়ার অভিযোগ, ঘটনার দিন গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সোহেল ঝুঁকিপূর্ণ ভারী মেশিন চালাতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে ধাক্কা দিয়ে মেশিনের ওপর ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাৎক্ষণিক তার ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চারটি আঙুল মেশিনে কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কারখানার কর্মচারীরা তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সোহেল ফোনে ঘটনা জানালে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তার পরিবার।
আহত কিশোর সোহেলের মা আজিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের চিকিৎসা করাইতে আমাদের প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এখনো কারখানার কেউ তার খোঁজখবর নেয় নাই। আমরা ফ্যাক্টরিতে গেলে ঢুকতে দেয় না। এমনকি আমার ছেলের মোবাইল ফোনটাও তারা এখনো ফেরত দেয় নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। আজীবন তাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হবে। খাওয়া দাওয়া, গোসল, প্রস্রাব-পায়খানা, কাপড় পরাসহ সব কাজ অন্যের সাহায্য ছাড়া করতে পারবে না।’
এ বিষয়ে কারখানায় মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইয়াদি আমিন সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই কারখানার কেউ নন বলে দাবি করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের কেউ না। গাজীপুরে এ নামে কোনো কারখানা আছে বলে আমার জানা নেই। আর আমার কারখানায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তাহলে আপনার কারখানার নাম কী, এ প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্নে বলেন, ‘আপনি সাংবাদিক আমি বুঝব কীভাবে? কিছু বলার থাকলে সরাসরি কারখানায় এসে বলেন।’ বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তদন্ত করতে কারখানায় গিয়েছি। সেখানে মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ইয়াদি আমিন সুমনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

গাজীপুরে একটি পেপার মিলের কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মেশিনে কাটা পড়ে এক শিশু শ্রমিকের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কোনো দায় নিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর পূবাইল থানায় মামলা করতে গেলে থানার তৎকালীন ওসি অভিযোগ গ্রহণ করেননি। অবশেষে গত ১৬ জুলাই গাজীপুর আদালতে গিয়ে অভিযোগ দেন তারা। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহানগর গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনার পর কারখানার প্রভাবশালী মালিক মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন এবং তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কুদাব এলাকায় অবস্থিত মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড নামের কারখানায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ ঘটনার পর রহস্যজনক কারণে কারখানার পূবাইল ইউনিটের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় ও সেখানকার শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাবোর্ড এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বইপুস্তক ছাপানো ছাড়াও নিয়মিত বিভিন্ন প্রকাশনার কাজ করে থাকে। নরসিংদীতেও তাদের একই কারখানার আরেকটি সচল ইউনিট রয়েছে।
আহত কিশোরের নাম—ইসমাইল হাসান সোহেল (১৪)। সে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার ভাটিয়াপাড়া এলাকার আলম মিয়ার ছেলে। তারা কারখানার পার্শ্ববর্তী পোড়ান টেক এলাকায় একটি ছোট্ট ভাড়া ঘরে বসবাস করেন।
সোহেল স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা আলম মিয়া পেশায় রিকশাচালক ও মা আজিয়া বেগম একটি পোশাক কারখানার অনিয়মিত শ্রমিক। অভাবের সংসারের অর্থের জোগান দিতে সোহেল দুই মাস আগে লেখাপড়া ছেড়ে ওই কারখানায় কাজ শুরু করেছিল।
সোহেলের বাবা আলম মিয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, অভাব অনটনের কারণে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুর শহরে এসেছিলেন। নিজে ভাড়ায় রিকশা চালাতে শুরু করেন এবং স্ত্রী আজিয়া বেগমকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। মাস্টার সিমেক্স পেপার কারখানার ম্যানেজার রফিক তাঁর রিকশার নিয়মিত যাত্রী ছিলেন। রফিকের পরামর্শেই সংসারের অভাব ঘোচাতে দুই মাস আগে ছেলের লেখাপড়া বন্ধ করে কারখানাটিতে অফিস সহায়কের চাকরি দেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ শিশু ইসমাইল হাসান সোহেলকে দিয়ে অফিসের কাজের পরিবর্তে প্রায়ই মেশিনে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করাতেন।
আলম মিয়ার অভিযোগ, ঘটনার দিন গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সোহেল ঝুঁকিপূর্ণ ভারী মেশিন চালাতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে ধাক্কা দিয়ে মেশিনের ওপর ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাৎক্ষণিক তার ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চারটি আঙুল মেশিনে কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কারখানার কর্মচারীরা তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সোহেল ফোনে ঘটনা জানালে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তার পরিবার।
আহত কিশোর সোহেলের মা আজিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের চিকিৎসা করাইতে আমাদের প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এখনো কারখানার কেউ তার খোঁজখবর নেয় নাই। আমরা ফ্যাক্টরিতে গেলে ঢুকতে দেয় না। এমনকি আমার ছেলের মোবাইল ফোনটাও তারা এখনো ফেরত দেয় নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। আজীবন তাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হবে। খাওয়া দাওয়া, গোসল, প্রস্রাব-পায়খানা, কাপড় পরাসহ সব কাজ অন্যের সাহায্য ছাড়া করতে পারবে না।’
এ বিষয়ে কারখানায় মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইয়াদি আমিন সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই কারখানার কেউ নন বলে দাবি করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের কেউ না। গাজীপুরে এ নামে কোনো কারখানা আছে বলে আমার জানা নেই। আর আমার কারখানায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তাহলে আপনার কারখানার নাম কী, এ প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্নে বলেন, ‘আপনি সাংবাদিক আমি বুঝব কীভাবে? কিছু বলার থাকলে সরাসরি কারখানায় এসে বলেন।’ বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তদন্ত করতে কারখানায় গিয়েছি। সেখানে মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেডের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) ইয়াদি আমিন সুমনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে।’
১৭ মিনিট আগে
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেসখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

গাজীপুরে একটি পেপার মিলের কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মেশিনে কাটা পড়ে এক শিশু শ্রমিকের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কোনো দায় নিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে...
২৬ আগস্ট ২০২৩
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গাজীপুরে একটি পেপার মিলের কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মেশিনে কাটা পড়ে এক শিশু শ্রমিকের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কোনো দায় নিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে...
২৬ আগস্ট ২০২৩
নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে।’
১৭ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

গাজীপুরে একটি পেপার মিলের কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মেশিনে কাটা পড়ে এক শিশু শ্রমিকের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কোনো দায় নিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে...
২৬ আগস্ট ২০২৩
নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে।’
১৭ মিনিট আগে
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

গাজীপুরে একটি পেপার মিলের কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মেশিনে কাটা পড়ে এক শিশু শ্রমিকের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কোনো দায় নিচ্ছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে...
২৬ আগস্ট ২০২৩
নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে।’
১৭ মিনিট আগে
পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে