মাহমুদ সোহেল

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণা তথ্য বলছে, তীব্র দূষণের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সদস্যদের ১১ দশমিক ৮ শতাংশই কানে কম শোনেন।
গবেষকেরা বলছেন, ঢাকার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি গাড়ির হর্ন এবং দ্বিতীয়টি নির্মাণকাজ। রাজউকের কিছু বিধিনিষেধের কারণে ভবন নির্মাণে শব্দ এখন আগের চেয়ে কম হলেও গাড়ির হর্নের কারণে শব্দ দূষণ বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ এখন আর নেই। সেই ধাপ পেরিয়ে আসার পর নীরবতা ভেঙে পুরো ঢাকা শহর জেগে উঠেছে। আর এই জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরো শহর আবারও শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে। দেশি-বিদেশি নানা গবেষণায় বলা হচ্ছে, শহরের প্রায় সব এলাকাতেই শব্দ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন এই দূষণের কবলে। কিন্তু কারও কোনো রা নেই। গাড়ির হর্ন বা নির্মাণকাজ তো আছেই, সঙ্গে মাইক লাগিয়ে চারপাশ কাঁপিয়ে নানা অনুষ্ঠানের বহর আছে। দিন বা রাত যেকোনো সময়ই যেকোনো অজুহাতে উচ্চ শব্দে মাইক বেজে চলাটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ, বাংলাদেশে রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দের অনুষ্ঠান আইনবিরোধী। এটি করলে শাস্তির বিধান আছে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায়। যদিও এটি জানেন না অনেকেই। বিধিমালা অনুযায়ী, এই আইন অমান্যকারীকে প্রথমবারের অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বারের অপরাধের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে এই বিধিমালা প্রণীত হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই আইনে কারও শাস্তি হয়নি।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী ঢাকার এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা। এলাকাভেদে শব্দের আলাদা মানমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। শব্দ মাপার একককে ডেসিবেল বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আবাসিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা দিনের বেলা (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা) ৫৫ ডেসিবেল, রাতে ৪৫ ডেসিবেল হওয়ার কথা। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডেসিবেল ও রাতে ৫৫ ডেসিবেল, শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডেসিবেল ও রাতে ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দমাত্রা থাকার কথা। আর হাসপাতাল এলাকায় দিনে ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা থাকার কথা।
কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ঢাকায় শব্দের মাত্রা সব সময় বেশি থাকছে।
সম্প্রতি ঢাকার ১০টি স্থানে গবেষণা চালিয়ে এর চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পেয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই—এই চার মাস গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ১০টি স্থানের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঘোষিত তিনটি নীরব এলাকাও রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—সংসদ ভবন এলাকা, শাহবাগ ও আহসান মঞ্জিল। এই তিন এলাকায় ৯৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময়জুড়ে শব্দ দূষণ মানমাত্রার চেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। আবাসিক এলাকায় ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মিশ্র এলাকায় ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শিল্প এলাকায় ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময় মানমাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পাওয়া গেছে।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও ক্যাপসের পরিচালক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বের সেরা শব্দ দূষণ শহরের একটি। এখানে আইন আছে, মানুষ তা জানে না। কারও কারও ধারণা নিজের বাসায় রাত-বিরাতে উচ্চ স্বরে গান বাজানো অপরাধ নয়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হেনস্তার শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ঢাকায়।
শব্দ দূষণ কত ক্ষতি করতে পারে, ঢাকার অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আচরণগত পরিবর্তনও হয়। বিশ্বের যে দেশ যত উন্নত, সেই দেশের মানুষের মধ্যে তত সচেতনতা বাড়ছে। শব্দ দূষণের ক্ষতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এখনই জোরালো প্রচার শুরুর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে ভয়ের তথ্য দিচ্ছেন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন শব্দ দূষণের মধ্যে থাকলে সেই ব্যক্তি অনেকাংশে বধির হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ও উগ্রতা বেড়ে যাওয়া এবং ঘুম কম হওয়ার সংকট বাড়ে। কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি। সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়টি তো আছেই।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে ঢাকার ৩৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শোনে বলে জানান নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মণিলাল আইচ লিটু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ঢাকার ১৪ শতাংশ মানুষের কানে অসুখ আছে। তাদের শ্রবণ শক্তি কমেছে। বাড়ছে হৃদ্রোগ। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। বধিরতা বাড়ছে। গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে।’
শব্দ দূষণের এই নেতিবাচক প্রভাবে কিন্তু শুধু ঢাকাবাসী নেই। দূষণের মাত্রা দেশের সব ছোট-বড় শহরেই বেশি। এতে মোটাদাগে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি কমে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত ২০১৩ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
অথচ শব্দ দূষণ বিধিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের বাইরে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ সম্পর্কিত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু প্রচারের অভাবে বিষয়টি নাগরিকেরা জানেন না। থানায়ও অভিযোগ করেন না কেউ। আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
দীর্ঘ দিন ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে কাজ করছেন বাপার নির্বাহী সহসভাপতি ডা. আব্দুল মতিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ মানুষ শব্দ দূষণ কী, তা জানে না। টেলিভিশন ও বেতারে শব্দ দূষণের কুফল নিয়ে প্রচার বাড়াতে হবে।’
শব্দ দূষণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের অনুমতি আছে। বাকি সব হর্ন ব্যবহারই অবৈধ। সরকারি, ক্ষমতাশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিরা ঢাকায় বেশি শব্দ দূষণ করছে। এই দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের কিছু নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এই অপরাধের দায়ে আজ পর্যন্ত কারও সাজা হয়নি।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণা তথ্য বলছে, তীব্র দূষণের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সদস্যদের ১১ দশমিক ৮ শতাংশই কানে কম শোনেন।
গবেষকেরা বলছেন, ঢাকার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি গাড়ির হর্ন এবং দ্বিতীয়টি নির্মাণকাজ। রাজউকের কিছু বিধিনিষেধের কারণে ভবন নির্মাণে শব্দ এখন আগের চেয়ে কম হলেও গাড়ির হর্নের কারণে শব্দ দূষণ বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ এখন আর নেই। সেই ধাপ পেরিয়ে আসার পর নীরবতা ভেঙে পুরো ঢাকা শহর জেগে উঠেছে। আর এই জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরো শহর আবারও শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে। দেশি-বিদেশি নানা গবেষণায় বলা হচ্ছে, শহরের প্রায় সব এলাকাতেই শব্দ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন এই দূষণের কবলে। কিন্তু কারও কোনো রা নেই। গাড়ির হর্ন বা নির্মাণকাজ তো আছেই, সঙ্গে মাইক লাগিয়ে চারপাশ কাঁপিয়ে নানা অনুষ্ঠানের বহর আছে। দিন বা রাত যেকোনো সময়ই যেকোনো অজুহাতে উচ্চ শব্দে মাইক বেজে চলাটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ, বাংলাদেশে রাত ১০টার পর উচ্চ শব্দের অনুষ্ঠান আইনবিরোধী। এটি করলে শাস্তির বিধান আছে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায়। যদিও এটি জানেন না অনেকেই। বিধিমালা অনুযায়ী, এই আইন অমান্যকারীকে প্রথমবারের অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বারের অপরাধের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে এই বিধিমালা প্রণীত হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই আইনে কারও শাস্তি হয়নি।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী ঢাকার এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা। এলাকাভেদে শব্দের আলাদা মানমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। শব্দ মাপার একককে ডেসিবেল বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আবাসিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা দিনের বেলা (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা) ৫৫ ডেসিবেল, রাতে ৪৫ ডেসিবেল হওয়ার কথা। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডেসিবেল ও রাতে ৫৫ ডেসিবেল, শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডেসিবেল ও রাতে ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দমাত্রা থাকার কথা। আর হাসপাতাল এলাকায় দিনে ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা থাকার কথা।
কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ঢাকায় শব্দের মাত্রা সব সময় বেশি থাকছে।
সম্প্রতি ঢাকার ১০টি স্থানে গবেষণা চালিয়ে এর চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পেয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই—এই চার মাস গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ১০টি স্থানের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঘোষিত তিনটি নীরব এলাকাও রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—সংসদ ভবন এলাকা, শাহবাগ ও আহসান মঞ্জিল। এই তিন এলাকায় ৯৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময়জুড়ে শব্দ দূষণ মানমাত্রার চেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। আবাসিক এলাকায় ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মিশ্র এলাকায় ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শিল্প এলাকায় ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ সময় মানমাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ দূষণ পাওয়া গেছে।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও ক্যাপসের পরিচালক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বের সেরা শব্দ দূষণ শহরের একটি। এখানে আইন আছে, মানুষ তা জানে না। কারও কারও ধারণা নিজের বাসায় রাত-বিরাতে উচ্চ স্বরে গান বাজানো অপরাধ নয়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হেনস্তার শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ঢাকায়।
শব্দ দূষণ কত ক্ষতি করতে পারে, ঢাকার অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আচরণগত পরিবর্তনও হয়। বিশ্বের যে দেশ যত উন্নত, সেই দেশের মানুষের মধ্যে তত সচেতনতা বাড়ছে। শব্দ দূষণের ক্ষতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এখনই জোরালো প্রচার শুরুর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে ভয়ের তথ্য দিচ্ছেন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন শব্দ দূষণের মধ্যে থাকলে সেই ব্যক্তি অনেকাংশে বধির হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ও উগ্রতা বেড়ে যাওয়া এবং ঘুম কম হওয়ার সংকট বাড়ে। কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি। সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়টি তো আছেই।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে ঢাকার ৩৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শোনে বলে জানান নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মণিলাল আইচ লিটু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ঢাকার ১৪ শতাংশ মানুষের কানে অসুখ আছে। তাদের শ্রবণ শক্তি কমেছে। বাড়ছে হৃদ্রোগ। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। বধিরতা বাড়ছে। গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে।’
শব্দ দূষণের এই নেতিবাচক প্রভাবে কিন্তু শুধু ঢাকাবাসী নেই। দূষণের মাত্রা দেশের সব ছোট-বড় শহরেই বেশি। এতে মোটাদাগে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি কমে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত ২০১৩ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
অথচ শব্দ দূষণ বিধিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের বাইরে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ সম্পর্কিত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু প্রচারের অভাবে বিষয়টি নাগরিকেরা জানেন না। থানায়ও অভিযোগ করেন না কেউ। আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
দীর্ঘ দিন ঢাকার শব্দ দূষণ নিয়ে কাজ করছেন বাপার নির্বাহী সহসভাপতি ডা. আব্দুল মতিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ মানুষ শব্দ দূষণ কী, তা জানে না। টেলিভিশন ও বেতারে শব্দ দূষণের কুফল নিয়ে প্রচার বাড়াতে হবে।’
শব্দ দূষণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের অনুমতি আছে। বাকি সব হর্ন ব্যবহারই অবৈধ। সরকারি, ক্ষমতাশালী ও শিক্ষিত ব্যক্তিরা ঢাকায় বেশি শব্দ দূষণ করছে। এই দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের কিছু নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এই অপরাধের দায়ে আজ পর্যন্ত কারও সাজা হয়নি।

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
১৪ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় বখাটেরা মাদ্রাসা সুপার আবু তাহেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী লায়ন মার্কেটের সামনে উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মেরে জখম করেছেন নাজমা (৪০) নামের এক নারী অটোরিকশাচালক।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। হামলাকারীদের কত টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল, আমরা এখনো জানতে পারিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যিনি ভাড়া করেছিলেন, তাঁর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি।
৩ ঘণ্টা আগেইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব। এই দৃশ্য নোয়াখালীর হাতিয়ার চর আতাউর ও জাগলারচরের।
চর আতাউর ও জাগলারচরের অবস্থান হাতিয়ার তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই চর দুটি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দখল বন্ধ করতে পারছে না এই দপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কাছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্তূপ করে রাখা মাটিতে একটি করে গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি একর জায়গার সীমানায় একটি করে স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় আবু তাহের নামের একজনের সঙ্গে। মহিষের পাল নিয়ে সেখানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুম থেকে এই চরে দখলের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বর্ষায় হঠাৎ তাঁদের থাকার স্থানের চারপাশে দখল করে জমি চাষ শুরু হয়। বাধা দিলে নেমে আসে নির্যাতন। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
চর দখলের কারণে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। চারদিকের জমি চাষ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে এসব গরু-মহিষ। পরে উপায় না পেয়ে দখলদারদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হয় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মহিষ-গরু পালনের অনুমতি মিলেছে।
এই দুই চরের রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদারেরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের লোক হিসেবে কাজ করেন। তবে এই বিএনপি নেতা চরে যান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি হাতিয়ার বাহিরে অনেক দিন। চর দখলের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’
এই বিষয়ে চরকিং ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চর দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তিনি শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চরের উত্তর পাশে ও মাঝামাঝি দুটি জায়গায় রাখালেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চরের একেবারে দক্ষিণে একটি আশ্রয়ণ ও দুটি গুচ্ছগ্রামে ৪০০ পরিবার বসবাস করে। নদী পার হয়ে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ সেখানে যায় না। বন বিভাগ বিশাল এই চরে কেওড়াবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি নতুন জেগে ওঠা চরে কেওড়ার বীজ বপন করে। তবে দখলদারেরা নতুন ও পুরোনো সব চরের অনেক জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
চর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখলের বিষয়ে নলচিরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আল আমিন গাজী জানান, একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন আগ থেকে চরের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়ে অভিযান সফল হয় না।
এই চরে গরু-মহিষ দেখাশোনা করেন এমন একজন সৈকত। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই চরে মহিষ পালন করে আসছেন। কেউ কখনো চর দখলের চেষ্টা করেনি। সরকার বদলের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপ এসে চর দখল করছে। চরকিং ও হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে এই চর দখল করছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চরে থাকা কেওড়াবন উজাড় হয়ে যাবে।
মহিষের মালিক কামরু মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই চরে মহিষ ও গরু পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে মাটির কিল্লা, পুকুর তৈরি করে নিয়েছেন। যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গরু-মহিষ আশ্রয় নেয়। তবে হঠাৎ করে একটি পক্ষ তাদের এই চর থেকে চলে যেতে বলছে। রাখালদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, চর দখলের বিষয়টি মহিষের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে এসব চর।

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব। এই দৃশ্য নোয়াখালীর হাতিয়ার চর আতাউর ও জাগলারচরের।
চর আতাউর ও জাগলারচরের অবস্থান হাতিয়ার তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই চর দুটি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দখল বন্ধ করতে পারছে না এই দপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কাছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্তূপ করে রাখা মাটিতে একটি করে গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি একর জায়গার সীমানায় একটি করে স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় আবু তাহের নামের একজনের সঙ্গে। মহিষের পাল নিয়ে সেখানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুম থেকে এই চরে দখলের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বর্ষায় হঠাৎ তাঁদের থাকার স্থানের চারপাশে দখল করে জমি চাষ শুরু হয়। বাধা দিলে নেমে আসে নির্যাতন। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
চর দখলের কারণে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। চারদিকের জমি চাষ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে এসব গরু-মহিষ। পরে উপায় না পেয়ে দখলদারদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হয় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মহিষ-গরু পালনের অনুমতি মিলেছে।
এই দুই চরের রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদারেরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের লোক হিসেবে কাজ করেন। তবে এই বিএনপি নেতা চরে যান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি হাতিয়ার বাহিরে অনেক দিন। চর দখলের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’
এই বিষয়ে চরকিং ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চর দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তিনি শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চরের উত্তর পাশে ও মাঝামাঝি দুটি জায়গায় রাখালেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চরের একেবারে দক্ষিণে একটি আশ্রয়ণ ও দুটি গুচ্ছগ্রামে ৪০০ পরিবার বসবাস করে। নদী পার হয়ে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ সেখানে যায় না। বন বিভাগ বিশাল এই চরে কেওড়াবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি নতুন জেগে ওঠা চরে কেওড়ার বীজ বপন করে। তবে দখলদারেরা নতুন ও পুরোনো সব চরের অনেক জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
চর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখলের বিষয়ে নলচিরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আল আমিন গাজী জানান, একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন আগ থেকে চরের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়ে অভিযান সফল হয় না।
এই চরে গরু-মহিষ দেখাশোনা করেন এমন একজন সৈকত। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই চরে মহিষ পালন করে আসছেন। কেউ কখনো চর দখলের চেষ্টা করেনি। সরকার বদলের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপ এসে চর দখল করছে। চরকিং ও হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে এই চর দখল করছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চরে থাকা কেওড়াবন উজাড় হয়ে যাবে।
মহিষের মালিক কামরু মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই চরে মহিষ ও গরু পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে মাটির কিল্লা, পুকুর তৈরি করে নিয়েছেন। যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গরু-মহিষ আশ্রয় নেয়। তবে হঠাৎ করে একটি পক্ষ তাদের এই চর থেকে চলে যেতে বলছে। রাখালদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, চর দখলের বিষয়টি মহিষের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে এসব চর।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় বখাটেরা মাদ্রাসা সুপার আবু তাহেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী লায়ন মার্কেটের সামনে উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মেরে জখম করেছেন নাজমা (৪০) নামের এক নারী অটোরিকশাচালক।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। হামলাকারীদের কত টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল, আমরা এখনো জানতে পারিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যিনি ভাড়া করেছিলেন, তাঁর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি।
৩ ঘণ্টা আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় বখাটেরা মাদ্রাসা সুপার আবু তাহেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার কাছে।
জানা গেছে, উপজেলার মানিকঝুড়ি এলাকার মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্থানীয় মোশাররফ হোসেন হাওলাদারের বখাটে ছেলে জোবায়ের হোসেন বাবু দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর ওই ছাত্রী মধ্য আমতলী গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে মাদ্রাসা থেকে একটু দূরে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু ও তার সহযোগী ইমরান ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে মাদ্রাসার সামনে এলে সুপার আবু তাহের ও শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু, ইমরান, নাজমুল, রিয়াজ, সাইমুন, কবিরসহ ১০-১২ জন বখাটে মাদ্রাসা সুপারকে মারধর করে। আরেক শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্ছনা করেছে।
সুপার আবু তাহের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাদ্রাসা সুপার আবু তাহের বাদী হয়ে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবুকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বখাটেদের এমন আচরণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলে, ‘মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে জোবায়ের হোসেন বাবু আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি আমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। এমন সময় জোবায়ের হোসেন বাবু ও ইমরান আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি দৌড়ে সুপারের কাছে আসি। ওই সময় তারা সুপারকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় বখাটেদের শাস্তি দাবি করছি।’
মাদ্রাসা সুপার আবু তাহের বলেন, ‘ছাত্রীকে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি এতে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
আমতলী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় বখাটেরা মাদ্রাসা সুপার আবু তাহেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার কাছে।
জানা গেছে, উপজেলার মানিকঝুড়ি এলাকার মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্থানীয় মোশাররফ হোসেন হাওলাদারের বখাটে ছেলে জোবায়ের হোসেন বাবু দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর ওই ছাত্রী মধ্য আমতলী গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে মাদ্রাসা থেকে একটু দূরে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু ও তার সহযোগী ইমরান ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে মাদ্রাসার সামনে এলে সুপার আবু তাহের ও শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু, ইমরান, নাজমুল, রিয়াজ, সাইমুন, কবিরসহ ১০-১২ জন বখাটে মাদ্রাসা সুপারকে মারধর করে। আরেক শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্ছনা করেছে।
সুপার আবু তাহের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাদ্রাসা সুপার আবু তাহের বাদী হয়ে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবুকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বখাটেদের এমন আচরণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলে, ‘মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে জোবায়ের হোসেন বাবু আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি আমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। এমন সময় জোবায়ের হোসেন বাবু ও ইমরান আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি দৌড়ে সুপারের কাছে আসি। ওই সময় তারা সুপারকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় বখাটেদের শাস্তি দাবি করছি।’
মাদ্রাসা সুপার আবু তাহের বলেন, ‘ছাত্রীকে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি এতে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
আমতলী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
১৪ মিনিট আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী লায়ন মার্কেটের সামনে উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মেরে জখম করেছেন নাজমা (৪০) নামের এক নারী অটোরিকশাচালক।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। হামলাকারীদের কত টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল, আমরা এখনো জানতে পারিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যিনি ভাড়া করেছিলেন, তাঁর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি।
৩ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী লায়ন মার্কেটের সামনে উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মেরে যখম করেছেন নাজমা (৪০) নামের এক নারী অটোরিকশাচালক।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নাজমা অটোরিকশা নিয়ে প্রতিদিনের মতো উল্টো রাস্তায় প্রবেশ করেন। এ সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল তাঁকে বাধা দেন। তখন ট্রাফিক পুলিশের কোমর থেকে স্ক্রু ড্রাইভার ছিনিয়ে নিয়ে তা দিয়ে পুলিশের ডান হাতে পাড় দিয়ে জখম করেন।
এ সময় ঘটনাস্থল উপস্থিত লোকজন নাজমাকে তাঁর রিকশাসহ আটক এবং আহত সাইফুলকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাজমার স্বামীর নাম আনোয়ার হোসেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নিউ হাফেজ রোড এলাকার রাজ্জাক মিয়ার গ্যারেজে রিকশা চালান।
আশপাশের গ্যারেজমালিকেরা বলেন, নাজমা ছিনতাইকারী দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী লায়ন মার্কেটের সামনে উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মেরে যখম করেছেন নাজমা (৪০) নামের এক নারী অটোরিকশাচালক।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নাজমা অটোরিকশা নিয়ে প্রতিদিনের মতো উল্টো রাস্তায় প্রবেশ করেন। এ সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল তাঁকে বাধা দেন। তখন ট্রাফিক পুলিশের কোমর থেকে স্ক্রু ড্রাইভার ছিনিয়ে নিয়ে তা দিয়ে পুলিশের ডান হাতে পাড় দিয়ে জখম করেন।
এ সময় ঘটনাস্থল উপস্থিত লোকজন নাজমাকে তাঁর রিকশাসহ আটক এবং আহত সাইফুলকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাজমার স্বামীর নাম আনোয়ার হোসেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নিউ হাফেজ রোড এলাকার রাজ্জাক মিয়ার গ্যারেজে রিকশা চালান।
আশপাশের গ্যারেজমালিকেরা বলেন, নাজমা ছিনতাইকারী দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
১৪ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় বখাটেরা মাদ্রাসা সুপার আবু তাহেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। হামলাকারীদের কত টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল, আমরা এখনো জানতে পারিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যিনি ভাড়া করেছিলেন, তাঁর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ।
বান্দরবান সদর উপজেলার সিকদারপাড়া এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)। তাঁরা নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার দুজন এবং পলাতক একজনসহ মোট তিনজন হামলার ঘটনায় জড়িত। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জন্য তাঁদের ভাড়া করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ‘এক ব্যক্তি’ টাকার বিনিময়ে ওই তিনজনকে ভাড়া করে এই ঘটনায় ঘটান। কী কারণে এবং কত টাকায় ওই ব্যক্তিদের ভাড়া করা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে প্রাইভেট কারে চড়ে অফিসে যাচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফিন ভূঁইয়া। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় পৌঁছালে তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে হঠাৎ সামনে থেকে তাঁদের গতি রোধ করে। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে হামলা ও কাচ ভাঙচুর শুরু করে তারা। তাদের একজনের হাতে চাপাতি ছিল। গাড়ির কাছে এসে প্রথমে চাপাতি দিয়ে গাড়িতে কোপ দেয় একজন। এ সময় তারা ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলে চিৎকার করতে থাকে। হামলা ও গুলি করার হুমকির মুখে ওই দুই কর্মকর্তা কোনোমতে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পাশের একটি গলিতে আশ্রয় নেন।
হামলার পর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ডবলমুরিং থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পরই মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ঘটনার সূত্র উদ্ঘাটন এবং হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বান্দরবানের সিকদারপাড়া এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হামলার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ডিসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। হামলাকারীদের কত টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল, আমরা এখনো জানতে পারিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যিনি ভাড়া করেছিলেন, তাঁর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। হামলার সময় যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ওই (ভাড়া করা) ব্যক্তির। তদন্তের স্বার্থে তাঁর পরিচয় এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
এদিকে হামলার পর কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছিলেন, অবৈধভাবে পণ্য খালাসে বাধা দেওয়ার কারণেই চট্টগ্রামে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের দুটি চালান জব্দ করার কারণে একটি সংঘবদ্ধ মহল তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ।
বান্দরবান সদর উপজেলার সিকদারপাড়া এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)। তাঁরা নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার দুজন এবং পলাতক একজনসহ মোট তিনজন হামলার ঘটনায় জড়িত। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জন্য তাঁদের ভাড়া করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ‘এক ব্যক্তি’ টাকার বিনিময়ে ওই তিনজনকে ভাড়া করে এই ঘটনায় ঘটান। কী কারণে এবং কত টাকায় ওই ব্যক্তিদের ভাড়া করা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে প্রাইভেট কারে চড়ে অফিসে যাচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফিন ভূঁইয়া। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় পৌঁছালে তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে হঠাৎ সামনে থেকে তাঁদের গতি রোধ করে। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে হামলা ও কাচ ভাঙচুর শুরু করে তারা। তাদের একজনের হাতে চাপাতি ছিল। গাড়ির কাছে এসে প্রথমে চাপাতি দিয়ে গাড়িতে কোপ দেয় একজন। এ সময় তারা ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলে চিৎকার করতে থাকে। হামলা ও গুলি করার হুমকির মুখে ওই দুই কর্মকর্তা কোনোমতে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পাশের একটি গলিতে আশ্রয় নেন।
হামলার পর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ডবলমুরিং থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পরই মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ঘটনার সূত্র উদ্ঘাটন এবং হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বান্দরবানের সিকদারপাড়া এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হামলার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ডিসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। হামলাকারীদের কত টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল, আমরা এখনো জানতে পারিনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যিনি ভাড়া করেছিলেন, তাঁর বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। হামলার সময় যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ওই (ভাড়া করা) ব্যক্তির। তদন্তের স্বার্থে তাঁর পরিচয় এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
এদিকে হামলার পর কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছিলেন, অবৈধভাবে পণ্য খালাসে বাধা দেওয়ার কারণেই চট্টগ্রামে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের দুটি চালান জব্দ করার কারণে একটি সংঘবদ্ধ মহল তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

যত দিন যাচ্ছে, দেশে শব্দ দূষণ তত বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীতে শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে। এটা এতটাই যে, ঢাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের প্রায় ১২ শতাংশ কানে কম শোনেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২৯ অক্টোবর ২০২১
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
১৪ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় বখাটেরা মাদ্রাসা সুপার আবু তাহেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু তাহের আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী লায়ন মার্কেটের সামনে উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মেরে জখম করেছেন নাজমা (৪০) নামের এক নারী অটোরিকশাচালক।
২ ঘণ্টা আগে