Ajker Patrika

দ্রব্যমূল্য বদলে দিয়েছে পুরান ঢাকার শিক্ষার্থীদের খাদ্যাভ্যাস

নিয়ামত উল্লাহ
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ০৩
দ্রব্যমূল্য বদলে দিয়েছে পুরান ঢাকার শিক্ষার্থীদের খাদ্যাভ্যাস

পুরান ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জনি; থাকেন কলেজের পাশের একটি মেসে। ঢাকায় তাঁর যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ হয় টিউশন থেকে আসা টাকায়। দুই বছর আগে ঢাকায় আসার পর টিউশনের টাকায় তাঁর বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু ইদানীং আর সেই টাকায় চলছে না। কারণ, খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। আর তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে যেমন খাবারের মেনু পাল্টাতে হচ্ছে, তেমনি আগের চেয়ে কম খেতে হচ্ছে। 

এখন প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মাছ থেকে শুরু করে কোনো এক ধরনের আমিষ খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের সবচেয়ে সহজ ও সস্তা উৎস ডিমের দাম এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। 

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন জানান, পড়াশোনার খরচ জোগাতে বাড়ি থেকে তিনি কোনো টাকা আনেন না। তিনটি টিউশনি থেকে প্রতি মাসে আসে ৬ হাজার টাকা। তা দিয়েই সারা মাসের খরচ বহন করতে হয়। 

রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি খরচ বাঁচানোর জন্য সকালের খাবারটা একটু দেরি করে খাই, যাতে দুপুরে দ্রুত ক্ষুধা না লাগে। আবার বুয়া বিকেলে রাতের খাবার রান্না করে দিয়ে যাওয়ার পর তা একটু আগেভাগেই খেয়ে নিই। খরচের কারণে বাধ্য হয়ে আমি ৩ বেলার পরিবর্তে ২ বেলা খাবার খাই।’ 

সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী জনি জানান, আগে তার মেসে এক মাসে খাবারে খরচ হতো ৩ হাজার টাকা। এখন আগের চেয়ে নিম্ন মানের ও পরিমাণে কম খেয়ে ৭০০-৮০০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। 

জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে মেসের খাবার ভালো না লাগলে বাইরের খাবার এনে খেতাম বা ডিম কিনে সেদ্ধ করে খেতাম। কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন আর সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। এখন অনেকটা বাধ্য হয়েই তুলনামূলক কম খরচে বেশির ভাগ দিন শাক-সবজি খেয়ে পার করতে হচ্ছে। অনেক সময় বাধ্য হয়েই আধপেটা থাকতে হয়। এভাবে চলতে গিয়ে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম।’ 

সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গণি মিয়া বলেন, ‘হল না থাকার কারণে পুরান ঢাকায় তুলনামূলক বেশি বাসা ভাড়া দিয়ে থাকতে হয়। স্বাভাবিকভাবে খরচ এমনিতেই বেড়ে যায়। আবার দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে খাবারের জন্যও খুব বেশি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয় না। বাসা ভাড়া আর খাবারের ব্যয়ের সমন্বয় করা যাচ্ছে না বলে চাইলেও শরীরের যত্ন নেওয়া হয়ে উঠছে না।’ 

ঢাকায় গণি মিয়ার আয়ের অন্যতম উৎস টিউশনি। তিনি বাড়ি থেকে খুব বেশি টাকা আনেন না। ফলে টিউশনির আয় দিয়ে তাঁর পক্ষে বাসা ভাড়া মিটিয়ে ভালো-মন্দ খাবার কেনার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, ‘টিউশনি থেকে যা আয় করি, তা দিয়ে মাসের খরচ হতে চায় না। এ কারণে বাধ্য হয়েই কম খাবার খাই এবং অনেক সময় মাছ-মাংস বাদ দিয়ে শাক-সবজি খেয়ে থাকি।’ 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আবাসিক শিক্ষার্থী কণা জানান, মাস কয়েক আগেও পছন্দ অনুযায়ী মাছ-মাংস খেতে পারতেন। এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। 

এই হলের খাবারের মূল্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হল ক্যান্টিনে প্রতি প্লেট ভাতের দাম ১০ টাকা, ডাল ২ টাকা, শাক ১০ টাকা। বিভিন্ন মাছ যেমন—রুই, কাতলা, সরপুঁটি, পাঙাশ, তেলাপিয়া ও কইমাছ প্রতি পিস ৩৫ টাকা। ছোট মাছ ও চিংড়ির দাম রাখা হয় ৩৫ টাকা। দেশি মুরগির তরকারি প্রতি বাটি ৩৫ টাকা, ব্রয়লার ৩৫ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাবারের মধ্যে মুরগির খিচুড়ি ৫০ টাকা, তেহারি ৭০ টাকা। 

হিসাব করে দেখা গেছে, এই দামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর এক বেলা খাবারের জন্য ব্যয় হয় ৫০ টাকা করে। দৈনিক হিসাবে যা দাঁড়ায় ১৫০ টাকা অর্থাৎ মাসে একজন শিক্ষার্থীকে কমবেশি প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয় কেবল খাবারের পেছনে। 

কণা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দাম আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের একজন শিক্ষার্থীর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে বাধ্য হয়েই বেশির ভাগ সময় শুধু শাক আর ডাল দিয়ে খাবার শেষ করতে হয়।’ 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ গত বছর যে খাবার কিনতে ১০০ টাকা লাগত, সেই খাবার কিনতে এ বছর লাগছে ১১২ টাকা ৫৪ পয়সা। তবে নভেম্বরে এসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং আগের মাস অক্টোবরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলে খুব বেশি হেরফের হয়নি বলা চলে। 
 
খাবারের বেশি দামের বিষয়টি স্বীকার করেন হলের প্রাধ্যক্ষ দীপিকা রানি সরকার। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মূল্য কমিয়ে আনার কথা ভাবছে প্রশাসন।’ 

দ্রব্যমূল্যের কারণে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের শরীর ও মনের ওপর কী প্রভাব ফেলছে তা জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঠিকমতো পড়াশোনার পর্যাপ্ত দৈহিক ও মানসিক শক্তি তাঁদের থাকছে না। এমনটা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা ‘ডিপ্রেশনেও’ চলে যেতে পারে।’ 

কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যেও সকালের নাশতা যাতে কোনোভাবেই বাদ না পড়ে, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন: ইউপি চেয়ারম্যান-সচিবকে শোকজ, উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মওদুদ আহমেদ শাওন। ছবি: সংগৃহীত
মওদুদ আহমেদ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান।

অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়া ও সচিব রাজিব মিয়া।

এর আগে গত বুধবার জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির খবর পেয়ে মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।

গতকাল সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব বাদী হয়ে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ঝরনা আক্তারের স্বামী।

এদিকে শোকজের বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউপি সচিব রাজিব মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন গত বুধবার শোকজ করা হলেও বৃহস্পতিবার নোটিশটি হাতে পেয়েছি। আগামী তিন কার্যদিবসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যথাযথ সময়ে জবাব দেওয়া হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। শাওন নিজেই সিল-স্বাক্ষর নকল করে এসব করেছেন।’

এ বিষয়ে ইউএনও আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের থেকে পাওয়া জবাব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা ছুটিতে কাপ্তাইয়ে পর্যটকদের ভিড়, কর্ণফুলী নদী আর লেক-পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
কাপ্তাইয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাপ্তাইয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মিরপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী কাউছার এবং তাঁর বোন সাদিয়া আফরিন মুন্নি। তাঁরা  বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। আজ শুক্রবার কাপ্তাইয়ের নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউস দেখতে এলাম। সত্যিই এটা খুব সুন্দর। থাইল্যান্ডের আদলে গড়ে তোলা এই পড হাউসগুলো থেকে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্য দেখতে অপরূপ লাগছে।’ এ সময় কথা হয় তাঁদের সফরসঙ্গী সেলিনা খাতুন ও মো. জসিমের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। কাপ্তাইয়ের পাহাড়, কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী নদীর সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ।’

বড়দিনের ছুটির সঙ্গে শুক্র ও শনিবার মিলে তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি, শিলছড়ি ফ্লোটিং প্যারাডাইস,  চন্দ্রলোক ক্যাম্পিং সাইট অ্যান্ড রিসোর্ট ও বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্র, ওয়াগ্গাছড়া প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, নৌবাহিনী পরিচালিত  লেক প্যারাডাইস, সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকশোর পিকনিক স্পটসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ছে। কোথাও কোনো রিসোর্ট খালি নেই। কেউ বোট নিয়ে লেকে ভ্রমণ করছেন। কেউ লেক পাহাড়ের ছবি তুলছেন।

টানা তিন দিনের ছুটি ঘিরে পর্যটনকেন্দ্রগুলো মাসখানেক আগেই অগ্রিম বুকিং হয়েছে বলে জানান শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি অ্যান্ড পড হাউসের ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মিত নিসর্গ রিভার ভ্যালির পড হাউস দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন পর্যটকেরা। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের সবগুলো কটেজ বুকিং আছে।’

কাপ্তাই শিলছড়ি ফ্লোটিং প্যারাডাইসের প্রতিষ্ঠাতা হাজি মোহাম্মদ মইন উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘মাঝখানে কর্ণফুলী নদী আর দুই পাশে রাম-সীতা পাহাড় দেখতে আসছেন পর্যটকেরা। এখানে আমাদের রেস্টুরেন্টে কাপ্তাই লেকের মাছসহ পাহাড়ি খাবার খেতে এই ছুটিতে বহু পর্যটক আসছেন।’

চট্টগ্রামের রাউজান থেকে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসেছেন রাউজান প্রেসক্লাবের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক  লেখক ও কলামিস্ট ডা. সুপন বিশ্বাস। তিনি  বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি  কাপ্তাইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। আমি বাংলাদেশের সকলকে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানাই।’

কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা পল্লী বিদ্যুতের কর্মী বিটু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি আমাদের মুগ্ধ করেছে।’

কাপ্তাই নৌ বাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী পার্বতী বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে বেড়াতে এসেছি, আসলে এই জায়গাটা খুব সুন্দর।’  

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত কাপ্তাই লেক শোতে কথা হয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে আসা পর্যটক আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছি। কাপ্তাইয়ের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। কাপ্তাই লেক এবং পাহাড় দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’  

কাপ্তাই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের ফল বিক্রেতা এ আর খান বলেন, এই পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর পাহাড়ি আনারস পাওয়া যায়। এগুলো পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের।   

কাপ্তাই এসএসডি বোট ঘাট এবং কাপ্তাই লেকশোর বোট ঘাটের চালক খায়রুল ইসলাম এবং মো. জুয়েল বলেন, টানা ছুটিতে কাপ্তাইয়ে বহু পর্যটক এসেছে। পর্যটকেরা বোটে করে কাপ্তাই লেক ভ্রমণ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৯
হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী শাহবাগ অবরোধ করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী শাহবাগ অবরোধ করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। এতে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থী-জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা ও খুনিদের বিচারের দাবিতে বাদ জুমা দেশব্যাপী দোয়া-মোনাজাত ও বিক্ষোভ মিছিলের আহ্বান জানানো হয়।

হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী শাহবাগ অবরোধ করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী শাহবাগ অবরোধ করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুরের দিকে শাহবাগে অবস্থান নেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। অবরোধকারীরা হাদির হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূরুঙ্গামারীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 
এই বাসের সঙ্গেই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এই বাসের সঙ্গেই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফারুক আহমেদ (২৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। ফারুক ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবী গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভূরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ব্রিশনাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ব্রিশনাল মোড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভূরুঙ্গামারীগামী পাভেল এন্টারপ্রাইজ বাসের সঙ্গে ভূরুঙ্গামারী থেকে কুড়িগ্রাম অভিমুখে যাওয়া মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী ফারুক আহমেদ নিহত হন। মোটরসাইকেলের অপর আরোহী জাহাঙ্গীর আলম তপু (৩০) গুরুতর আহত হন। তপু ফারুকের বন্ধু। তপু ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীরচর থানার মাদ্রাসাপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। আহত তপুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত