রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে শিল্পায়নের আগ্রাসনে দিন দিন কমছে কৃষিজমি। রাতারাতি কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। শিল্পমালিকেরা সাধারণ কৃষকদের জমি উচ্চমূল্যে নিয়ে গড়ে তুলছেন বহুতল ভবন। আবার কোনো কোনো শিল্পমালিক সুকৌশলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে হাতিয়ে নিচ্ছেন অসহায় কৃষকের ফসলি জমি। শিল্পায়নের ফলে প্রতিবছর কমছে কৃষি উৎপাদন। যত্রতত্র শিল্পায়নের ফলে বন্ধ হচ্ছে জলধারা তাতে করে পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যে কৃষিজমিতে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে মাওনা, গাজীপুর ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায়। এই তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলায় গত কয়েক বছরে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। মাওনা ইউনিয়নের মাথারপাড়া গ্রামের লবলঙ্গ নদীঘেঁষা পাথারের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এসব জমিতে কৃষকেরা ধান, সরিষা, শাকসবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করতেন।
স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে প্রথমে কিছু জমি উচ্চমূল্যে কিনে সীমানা প্রাচীর দিয়ে পাশের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করা হয়। পরে সাধারণ কৃষক শিল্পমালিকদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে সেই জলাবদ্ধ জমি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ ছাড়া যথাযথ কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণেও অনেক কৃষিজমি কৃষকের হাতছাড়া হয়। মাওনা গাজীপুর ইউনিয়ন পাথারে গড়ে তোলা হয়েছে মেঘনা ও ডিবিএল গ্রুপের বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গিলারচালা এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ইকো কটন মিলস। এ ছাড়া মাওনা শ্রীপুর পৌরসভা এলাকায় নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি কারখানার সাইনবোর্ড না থাকায় তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাওনা ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামে ডেকো নামক একটি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে বালু ভরাট করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে নোমান গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে কৃষি জমির ওপর। তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন শিল্পমালিকের বেশ কয়েকটি কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুর ইউনিয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের মালিকানাধীন একটি কারখানা কৃষিজমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে দখলে নেওয়া হয়েছে লবলঙ্গ নদী।
ধনুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডেকো নামক পোশাক কারখানা রাতারাতি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে আমাদের ধানের জমি দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। পরে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সমাধান পাইনি। কিছু করতে না পেরে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে বসে আছি।’
ধনুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক আলাল মিয়া বলেন, ‘শিল্পমালিকেরা প্রথমে অল্প জমি কেনে। এরপর সেখানে বিশাল সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এরপর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে জমি হাতিয়ে নেয়। এ রকম ভুক্তভোগী কৃষক শত শত, শুধু আমি একা নই।’
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাতারাতি আমাদের চোখের সামনে সবুজ ফসলের মাঠে গড়ে উঠেছে ইট পাথরের উঁচু দালান। বিভিন্ন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে কৌশলে চালা জমি বানিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। দখল করা হচ্ছে জলাধার, ছোট ছোট খাল। তাতে দিন দিন কমছে ফসলি জমি। পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।’
ইকো কটন মিলস লিমিটেডের দায়িত্বে থাকা মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি কেনার বিষয়ে আমি কোনো তথ্য দিতে পারব না। আপনি হেড অফিসে যোগাযোগ করেন।’
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘লবলঙ্গ নদীর উৎপত্তিস্থল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম দখলে নিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা ইতিপূর্বে অনেক প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বর্না বলেন, কৃষি জমিতে শিল্পায়ন হওয়ার ফলে উপজেলায় প্রতিবছর কমছে কৃষি উৎপাদন। এটি বন্ধ না করতে পারলে শিল্পায়নের আগ্রাসনে কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল মামুন বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় শিল্পকারখানার নামজারির জন্য জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তারপর কনফার্ম করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন তহসিল অফিসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য শিল্পমালিকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হয় না। কৃষিজমি রক্ষা করতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বর্তমানে জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৫ সালে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন ফসলি ও দুই ফসলি জমিতে শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়, বাড়িঘরও করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কৃষিজমিতে গড়ে তোলা নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হয়। আমরা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকি। কিছু কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ফাঁকি দিয়ে যত্রতত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গাজীপুরের শ্রীপুরে শিল্পায়নের আগ্রাসনে দিন দিন কমছে কৃষিজমি। রাতারাতি কৃষিজমিতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। শিল্পমালিকেরা সাধারণ কৃষকদের জমি উচ্চমূল্যে নিয়ে গড়ে তুলছেন বহুতল ভবন। আবার কোনো কোনো শিল্পমালিক সুকৌশলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে হাতিয়ে নিচ্ছেন অসহায় কৃষকের ফসলি জমি। শিল্পায়নের ফলে প্রতিবছর কমছে কৃষি উৎপাদন। যত্রতত্র শিল্পায়নের ফলে বন্ধ হচ্ছে জলধারা তাতে করে পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যে কৃষিজমিতে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে মাওনা, গাজীপুর ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায়। এই তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলায় গত কয়েক বছরে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। মাওনা ইউনিয়নের মাথারপাড়া গ্রামের লবলঙ্গ নদীঘেঁষা পাথারের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এসব জমিতে কৃষকেরা ধান, সরিষা, শাকসবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করতেন।
স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে প্রথমে কিছু জমি উচ্চমূল্যে কিনে সীমানা প্রাচীর দিয়ে পাশের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করা হয়। পরে সাধারণ কৃষক শিল্পমালিকদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে সেই জলাবদ্ধ জমি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ ছাড়া যথাযথ কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণেও অনেক কৃষিজমি কৃষকের হাতছাড়া হয়। মাওনা গাজীপুর ইউনিয়ন পাথারে গড়ে তোলা হয়েছে মেঘনা ও ডিবিএল গ্রুপের বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গিলারচালা এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ইকো কটন মিলস। এ ছাড়া মাওনা শ্রীপুর পৌরসভা এলাকায় নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি কারখানার সাইনবোর্ড না থাকায় তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাওনা ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামে ডেকো নামক একটি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে বালু ভরাট করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে নোমান গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে কৃষি জমির ওপর। তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন শিল্পমালিকের বেশ কয়েকটি কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুর ইউনিয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের মালিকানাধীন একটি কারখানা কৃষিজমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে দখলে নেওয়া হয়েছে লবলঙ্গ নদী।
ধনুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডেকো নামক পোশাক কারখানা রাতারাতি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে আমাদের ধানের জমি দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। পরে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সমাধান পাইনি। কিছু করতে না পেরে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে বসে আছি।’
ধনুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক আলাল মিয়া বলেন, ‘শিল্পমালিকেরা প্রথমে অল্প জমি কেনে। এরপর সেখানে বিশাল সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এরপর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে জমি হাতিয়ে নেয়। এ রকম ভুক্তভোগী কৃষক শত শত, শুধু আমি একা নই।’
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাতারাতি আমাদের চোখের সামনে সবুজ ফসলের মাঠে গড়ে উঠেছে ইট পাথরের উঁচু দালান। বিভিন্ন ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে কৌশলে চালা জমি বানিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। দখল করা হচ্ছে জলাধার, ছোট ছোট খাল। তাতে দিন দিন কমছে ফসলি জমি। পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।’
ইকো কটন মিলস লিমিটেডের দায়িত্বে থাকা মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি কেনার বিষয়ে আমি কোনো তথ্য দিতে পারব না। আপনি হেড অফিসে যোগাযোগ করেন।’
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘লবলঙ্গ নদীর উৎপত্তিস্থল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম দখলে নিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা ইতিপূর্বে অনেক প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বর্না বলেন, কৃষি জমিতে শিল্পায়ন হওয়ার ফলে উপজেলায় প্রতিবছর কমছে কৃষি উৎপাদন। এটি বন্ধ না করতে পারলে শিল্পায়নের আগ্রাসনে কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল মামুন বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় শিল্পকারখানার নামজারির জন্য জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তারপর কনফার্ম করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন তহসিল অফিসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য শিল্পমালিকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হয় না। কৃষিজমি রক্ষা করতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বর্তমানে জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৫ সালে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন ফসলি ও দুই ফসলি জমিতে শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়, বাড়িঘরও করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কৃষিজমিতে গড়ে তোলা নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হয়। আমরা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকি। কিছু কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ফাঁকি দিয়ে যত্রতত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যে কৃষিজমিতে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে মাওনা, গাজীপুর ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায়। এই তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলায় গত কয়েক বছরে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। মাওনা ইউনিয়নের মাথারপাড়া গ্রামের লবলঙ্গ নদীঘেঁষা পাথারের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়
১৬ জানুয়ারি ২০২৪
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যে কৃষিজমিতে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে মাওনা, গাজীপুর ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায়। এই তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলায় গত কয়েক বছরে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। মাওনা ইউনিয়নের মাথারপাড়া গ্রামের লবলঙ্গ নদীঘেঁষা পাথারের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়
১৬ জানুয়ারি ২০২৪
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যে কৃষিজমিতে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে মাওনা, গাজীপুর ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায়। এই তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলায় গত কয়েক বছরে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। মাওনা ইউনিয়নের মাথারপাড়া গ্রামের লবলঙ্গ নদীঘেঁষা পাথারের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়
১৬ জানুয়ারি ২০২৪
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মধ্যে কৃষিজমিতে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে মাওনা, গাজীপুর ও তেলিহাটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায়। এই তিনটি ইউনিয়ন ও পৌর এলায় গত কয়েক বছরে অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। মাওনা ইউনিয়নের মাথারপাড়া গ্রামের লবলঙ্গ নদীঘেঁষা পাথারের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়
১৬ জানুয়ারি ২০২৪
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে