Ajker Patrika

এজলাসের ভিডিও ভাইরাল: বিচারককে আইনের আওতায় আনার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ২১: ৪৯
ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার একটি আদালতে বিচারককে হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এজলাসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই বিচারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল, সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খোরশেদ আলম বলেন, ‘যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটা পূর্ণাঙ্গ নয়। এখানে খণ্ডিতাংশ ভাইরাল করা হয়েছে। বিচারক নিজে বলেন, আদালতে মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে। অথচ তিনি সেটা ভঙ্গ করে এজলাসের ভিডিও করে তা ভাইরাল করেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে ওই বিচারককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

খোরশেদ আলম আরও বলেন, ‘আমরা আইনজীবীরা বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট থেকেছি। তবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক সংগঠনের মতো আক্রমণাত্মক বিবৃতি দিয়েছে। তারা কোনো ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ না করেই এবং আমাদের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ না করে একতরফাভাবে বিবৃতি দিয়েছে। এটার কারণে আমাদের সম্পর্কে ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে।’

খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সাধারণ সম্পাদক বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে বিচার বিভাগে গণতন্ত্রকামী আসামিদের জেলহাজতে রাখার সমস্ত নির্দেশনা প্রদানকারী বলে সর্বজনবিদিত। তাঁর আপন ভাই যশোরের যুবলীগ নেতা এবং বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি বিচার বিভাগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে অপচেষ্টা করছেন।’

উল্লেখ্য, ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে গত শনিবার দুপুরে এক হত্যাচেষ্টা ও চাঁদা দাবি মামলায় আসামির জামিন শুনানির সময় বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনা ঘটে। জামিন না দেওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটকে আওয়ামী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তকমা দেওয়া হয়। তাঁকে গালিগালাজের ঘটনাও ঘটে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) ছুড়ে ফেলা হয়।

এ ঘটনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলমসহ আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গত রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় তারা।

অন্য আইনজীবীরা হলেন জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক মিলন, ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ, অ্যাডভোকেট এস এম ইলিয়াস হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল আলম জহির।

এদিকে গতকাল সোমবার এই বিএনপি সমর্থক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিবের কাছে দরখাস্ত দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।

এর আগে গত রোববার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে চার আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—তা জানতে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনজীবীদের আচরণ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের মনিরামপুরের বাড়িতে মাতম

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।

নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।

নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।

নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে আগুনে কিশোরের মৃত্যু, পুড়েছে ৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

চাঁদপুর প্রতিনিধি
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’

আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের চেয়েও কাজ না পাওয়ার কষ্ট বেশি

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।

মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’

আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’

ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত