নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
১৯ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩৭ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৪৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন।
এতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। পশ্চিমাঞ্চলের রেল চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাৎক্ষণিক দুই দফা দাবি পূরণ ও বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণের আশ্বাস পেলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কর্মসূচি চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সব আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান দুটি দাবি ছিল স্টেশনমাস্টার নিয়োগ ও স্টপেজ চালু করা। সেই দুটা দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো পূরণে সংশ্লিষ্টরাও আন্তরিক। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পূরণ করা হবে। আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন।
এতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। পশ্চিমাঞ্চলের রেল চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাৎক্ষণিক দুই দফা দাবি পূরণ ও বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণের আশ্বাস পেলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কর্মসূচি চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সব আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান দুটি দাবি ছিল স্টেশনমাস্টার নিয়োগ ও স্টপেজ চালু করা। সেই দুটা দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো পূরণে সংশ্লিষ্টরাও আন্তরিক। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পূরণ করা হবে। আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
২ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
১৯ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩৭ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি এবং প্রয়োজনীয় সব ক্লিনিক্যাল প্যারামিটার স্থিতিশীল রয়েছে।
দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ও হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ।
তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ড সর্বশেষ অবস্থা মূল্যায়ন করে দেখেছে যে রোগীর শারীরিক অবস্থায় নতুন করে কোনো অবনতি হয়নি। কিডনি ফাংশন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে এবং শরীরের কোনো অর্গানে (অঙ্গপ্রত্যঙ্গ) নতুন করে সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
এই চিকিৎসক আরও জানান, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছে, তাঁকে সেখানে ইমার্জেন্সি কেয়ারে নেওয়া হবে।
ডা. আহাদ বলেন, ‘প্রথম দিন যেই অবস্থায় রোগীকে আমরা রিসিভ করেছি, এখনো মূলত সেই একই অবস্থায় আছে। অবস্থার উন্নতি হয়নি, আবার খারাপের দিকেও যায়নি।’
তিনি জানান, হাদির মস্তিষ্কে ইডেমা বা ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছিল এবং সেই ইডেমা এখনো কমেনি। ব্রেনে অক্সিজেনের স্বল্পতা ছিল এবং সেই অবস্থার ধারাবাহিক প্রভাব এখনো বিদ্যমান। ইডেমার কারণে ব্রেনের স্কেমিক পরিবর্তন আরও প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। নতুন করে কোনো সিটি স্ক্যান না হওয়ায় ইডেমার বর্তমান মাত্রা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পিউপিল রেসপন্সসহ ব্রেন ফাংশনের যে ক্লিনিক্যাল সাইনগুলো দেখা হয়, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
নিউরোসার্জিক্যাল আউটকাম প্রসঙ্গে ডা. আহাদ বলেন, ‘একজন নিউরোসার্জন হিসেবে খুব বেশি আশার জায়গা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তাঁর নিউরোসার্জিক্যাল রেসপন্স প্রথম দিনের মতোই রয়েছে।’
চিকিৎসকেরা জানান, অতিতে গুলিবিদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পূর্বানুমান অতিক্রম করে রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাদির সঙ্গে দেশ থেকে কোনো চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রোগীকে হস্তান্তর করেছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি এবং প্রয়োজনীয় সব ক্লিনিক্যাল প্যারামিটার স্থিতিশীল রয়েছে।
দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ও হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ।
তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ড সর্বশেষ অবস্থা মূল্যায়ন করে দেখেছে যে রোগীর শারীরিক অবস্থায় নতুন করে কোনো অবনতি হয়নি। কিডনি ফাংশন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে এবং শরীরের কোনো অর্গানে (অঙ্গপ্রত্যঙ্গ) নতুন করে সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
এই চিকিৎসক আরও জানান, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছে, তাঁকে সেখানে ইমার্জেন্সি কেয়ারে নেওয়া হবে।
ডা. আহাদ বলেন, ‘প্রথম দিন যেই অবস্থায় রোগীকে আমরা রিসিভ করেছি, এখনো মূলত সেই একই অবস্থায় আছে। অবস্থার উন্নতি হয়নি, আবার খারাপের দিকেও যায়নি।’
তিনি জানান, হাদির মস্তিষ্কে ইডেমা বা ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছিল এবং সেই ইডেমা এখনো কমেনি। ব্রেনে অক্সিজেনের স্বল্পতা ছিল এবং সেই অবস্থার ধারাবাহিক প্রভাব এখনো বিদ্যমান। ইডেমার কারণে ব্রেনের স্কেমিক পরিবর্তন আরও প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। নতুন করে কোনো সিটি স্ক্যান না হওয়ায় ইডেমার বর্তমান মাত্রা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পিউপিল রেসপন্সসহ ব্রেন ফাংশনের যে ক্লিনিক্যাল সাইনগুলো দেখা হয়, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
নিউরোসার্জিক্যাল আউটকাম প্রসঙ্গে ডা. আহাদ বলেন, ‘একজন নিউরোসার্জন হিসেবে খুব বেশি আশার জায়গা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তাঁর নিউরোসার্জিক্যাল রেসপন্স প্রথম দিনের মতোই রয়েছে।’
চিকিৎসকেরা জানান, অতিতে গুলিবিদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পূর্বানুমান অতিক্রম করে রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাদির সঙ্গে দেশ থেকে কোনো চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রোগীকে হস্তান্তর করেছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
২ দিন আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
৪ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩৭ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৪৪ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মতিউর রহমান সাগর বলেছেন, ‘এই হাউস থেকে আরও কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিই, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ভাইয়েরা এলাকায় আছেন, যারা বিগত দিনে আকাম-কুকাম করেছেন, বিভিন্ন অরাজকতা করেছেন, আপনাদের আমরা মাফ করে দেব, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা এলাকায় থাকবেন, আপনারা চিন্তা কইরা দেখেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হইলেও, আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার জন্য হইলেও, আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। যদি আপনাদের দল কখনো পুনর্বাসন হয়, আপনাদের দল যদি আবার কখনো এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তখন যদি আপনারা আমাদের ছেড়ে চলে যান, আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামায়াত-রাজাকারদের ভোট দেবেন, আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন, ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেব না। আওয়ামী লীগকে বলি, আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকবেন।’
মতিউর রহমান সাগর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি প্রচার করেন।
প্রায় ১৩ মিনিটের লাইভ ভিডিওটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর আইডি থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, ‘নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর জনসম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর গতকাল রোববার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। একটি ভিডিও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কে বা কারা আমার একটি বক্তব্য এআইর মাধ্যমে কাটছাঁট করে ভাইরাল করেছে। ওই বক্তব্য আমার নয়। একটি দুষ্ট চক্র বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এআইর মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতে এসেছে। এটি স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেকটোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণ এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মতিউর রহমান সাগর বলেছেন, ‘এই হাউস থেকে আরও কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিই, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ভাইয়েরা এলাকায় আছেন, যারা বিগত দিনে আকাম-কুকাম করেছেন, বিভিন্ন অরাজকতা করেছেন, আপনাদের আমরা মাফ করে দেব, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা এলাকায় থাকবেন, আপনারা চিন্তা কইরা দেখেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হইলেও, আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার জন্য হইলেও, আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। যদি আপনাদের দল কখনো পুনর্বাসন হয়, আপনাদের দল যদি আবার কখনো এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তখন যদি আপনারা আমাদের ছেড়ে চলে যান, আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামায়াত-রাজাকারদের ভোট দেবেন, আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন, ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেব না। আওয়ামী লীগকে বলি, আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকবেন।’
মতিউর রহমান সাগর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি প্রচার করেন।
প্রায় ১৩ মিনিটের লাইভ ভিডিওটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর আইডি থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, ‘নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর জনসম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর গতকাল রোববার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। একটি ভিডিও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কে বা কারা আমার একটি বক্তব্য এআইর মাধ্যমে কাটছাঁট করে ভাইরাল করেছে। ওই বক্তব্য আমার নয়। একটি দুষ্ট চক্র বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এআইর মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতে এসেছে। এটি স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেকটোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণ এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
২ দিন আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
১৯ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৪৪ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কেউ ইতিমধ্যে মারা গেছেন, কেউ রয়েছেন হাজতে, আবার কেউ আছেন প্রবাসে, তারপরও সবাইকে আসামি করা হয়েছে যুবদল নেতার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। মামলার বাদী দাবি করছেন, সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়েছেন। তবে পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের দাবি, এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩১ জুলাই থেকে হাজতে থাকা অবস্থায়ও আসামি হয়েছেন। তিনি এই মামলার ২৯ নম্বর আসামি।
নুরুজ্জামান বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান দুই মাস ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন; বিদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নামও তোলা হয়েছে আসামির তালিকায়। তাঁকে করা হয়েছে ৪ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল-বিএনপি কর্মীদের নামও যুক্ত রয়েছে মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গাছ কেটে ফেলে ও টায়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
হাজতি আবু হানিফের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘১ নভেম্বর পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তিনি তখন থেকেই হাজতে। হাজতে থাকা মানুষ কীভাবে রাস্তায় অবরোধ করবে? বাদীও বলেছেন, তিনি আমার স্বামীকে চেনেন না।’
আবু হানিফের মেয়ে মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘আমরা চার বোন। বাবা হাজতে থাকায় মাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এদিকে মৃত শামসউদ্দিনের পরিবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাই পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বংশগতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মারধর, বাড়িছাড়া, সবই সহ্য করেছি। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার মৃত ভাইও আসামি! এই ধরনের মামলায় দলেরও বদনাম হয়।’
বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত শামসউদ্দিনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।’
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘১৪ নভেম্বর রাতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধের ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। বাদীও এই এলাকার না। মামলায় থাকা অনেকেই অন্য এলাকার। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
ছাত্রদল কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে পৌর বিএনপি নেতা লিমনের ঝামেলার জেরে আমাকে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বলেন, ‘ওপরের সিনিয়র নেতারাই তালিকা দিয়েছেন, সব আমি জানি না। হাজতি হানিফ আমার আত্মীয়, তার স্ত্রী এসে কেঁদেছেন, আমি সান্ত্বনা দিয়েছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম যে দিয়েছেন, তিনি ভুল করেছেন। আমি দিইনি। ১ তারিখ সন্ধ্যায় এজাহার দিয়েছি, ২ তারিখে রুজু হয়েছে। উপজেলা মিলেই তালিকা করা হয়েছে। কোনো অসংগতি থাকলে বাদ দেওয়া হবে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। এই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করব। তদন্তে যদি কেউ নির্দোষ থাকে তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।’
কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি, হাজতে থাকা ব্যক্তি বা প্রবাসী—এরা কীভাবে মামলার আসামি হন? এ ধরনের মামলায় সাধারণত উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্য আর হয়রানি।’

কেউ ইতিমধ্যে মারা গেছেন, কেউ রয়েছেন হাজতে, আবার কেউ আছেন প্রবাসে, তারপরও সবাইকে আসামি করা হয়েছে যুবদল নেতার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। মামলার বাদী দাবি করছেন, সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়েছেন। তবে পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের দাবি, এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩১ জুলাই থেকে হাজতে থাকা অবস্থায়ও আসামি হয়েছেন। তিনি এই মামলার ২৯ নম্বর আসামি।
নুরুজ্জামান বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান দুই মাস ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন; বিদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নামও তোলা হয়েছে আসামির তালিকায়। তাঁকে করা হয়েছে ৪ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল-বিএনপি কর্মীদের নামও যুক্ত রয়েছে মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গাছ কেটে ফেলে ও টায়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
হাজতি আবু হানিফের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘১ নভেম্বর পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তিনি তখন থেকেই হাজতে। হাজতে থাকা মানুষ কীভাবে রাস্তায় অবরোধ করবে? বাদীও বলেছেন, তিনি আমার স্বামীকে চেনেন না।’
আবু হানিফের মেয়ে মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘আমরা চার বোন। বাবা হাজতে থাকায় মাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এদিকে মৃত শামসউদ্দিনের পরিবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাই পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বংশগতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মারধর, বাড়িছাড়া, সবই সহ্য করেছি। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার মৃত ভাইও আসামি! এই ধরনের মামলায় দলেরও বদনাম হয়।’
বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত শামসউদ্দিনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।’
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘১৪ নভেম্বর রাতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধের ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। বাদীও এই এলাকার না। মামলায় থাকা অনেকেই অন্য এলাকার। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
ছাত্রদল কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে পৌর বিএনপি নেতা লিমনের ঝামেলার জেরে আমাকে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বলেন, ‘ওপরের সিনিয়র নেতারাই তালিকা দিয়েছেন, সব আমি জানি না। হাজতি হানিফ আমার আত্মীয়, তার স্ত্রী এসে কেঁদেছেন, আমি সান্ত্বনা দিয়েছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম যে দিয়েছেন, তিনি ভুল করেছেন। আমি দিইনি। ১ তারিখ সন্ধ্যায় এজাহার দিয়েছি, ২ তারিখে রুজু হয়েছে। উপজেলা মিলেই তালিকা করা হয়েছে। কোনো অসংগতি থাকলে বাদ দেওয়া হবে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। এই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করব। তদন্তে যদি কেউ নির্দোষ থাকে তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।’
কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি, হাজতে থাকা ব্যক্তি বা প্রবাসী—এরা কীভাবে মামলার আসামি হন? এ ধরনের মামলায় সাধারণত উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্য আর হয়রানি।’

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
২ দিন আগে
আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালুসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
১৯ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩৭ মিনিট আগে