নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর)

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর)

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
টঙ্গীতে এই সন্ত্রাসীর নিজ নামেই গড়ে উঠেছে ‘কামু বাহিনী’। এরশাদনগর বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কামু।
কামরুল ইসলাম কামু টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির ৪ নম্বর ব্লকের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি একসময় টঙ্গী থানা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এরশাদনগর এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামু বাহিনীতে রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ দিলা, মোবারক হাসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা, আলমগীর ওরফ পোটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম, রুবেল, পারুলী মানিক, সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, বাবুল চৌধুরী, নাইমসহ অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাঁদের মধ্যে দিলা ও মোবারক কামুর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
কোটি টাকার মালিক কামু স্থানীয় ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টঙ্গীতে ফিরেছেন কামু। আগে এরশাদনগরের ৪ নম্বর ব্লকে একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন তিনি। অথচ ফিরে আসার তিন মাসের মধ্যেই টঙ্গীর দত্তপাড়া চানকিটেক এলাকার পাঁচ কাঠা জমি, এরশাদনগর এলাকায় সরকারি জমি দখল, প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন কামু।
কামুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কামুর বাবা তমিজ উদ্দিন ছিলেন ডাকাত দলের সদস্য। তমিজ উদ্দিন তাঁর পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন। প্রায় চার দশক আগে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা তমিজ উদ্দিনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তমিজ টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ওই বস্তিতে ঠাঁই নেন। কামু ১৯৮০ সালে টঙ্গীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর দল পাল্টে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁকে দেখা যায়নি।
অস্ত্র বেচাকেনা, হত্যা ও মাদক কারবারে কামু
২০০৪ সালে টঙ্গীতে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে একটি পিস্তলসহ কামু গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনার ১০ বছর পর বিদেশি পিস্তলসহ তৎকালীন টঙ্গী মডেল থানা-পুলিশের কাছে (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা) গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে মাদক কারবারের তথ্য পুলিশকে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স রাসেল, র্যাবের সোর্স ফয়সাল এবং ২০১৬ সালে মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর এলাকায় শরিফ হোসেন ও জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করেন কামু।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ফিরেই কামু তাঁর বাহিনী দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা বড়ি এনে বিক্রি শুরু করেছেন। মোবারক হোসেন ও নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির নামের দুজন কামুর হয়ে এই কাজ করেন। কামুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তারে হামলা
কামু বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক স্পট দখলে নিতে প্রায়ই সন্ধ্যার পর এরশাদনগর ও এর আশপাশের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এরশাদনগর বস্তি এলাকায় যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে, রিকশার গ্যারেজের মালিক মঞ্জুরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় কামু বাহিনীর সদস্যরা ককটেল হামলা ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এমনকি টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা-পুলিশের কয়েকটি দলের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ভাগনে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে জখম করে কামু বাহিনী। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কামরুল ইসলাম কামু যুবদলের নাম ভাঙিয়ে এরশাদনগর ও তার আশপাশের এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করছে। আমার ভাগনের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে।’ আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় তাঁর সমর্থক মঞ্জু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে হিমারদিঘী এলাকার দুটি রিকশার গ্যারেজ দখল করে নেন কামু। পরে গ্যারেজমালিক রহিমকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর কামুর লোকজন রহিমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগী। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছে বলেও জানান।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরশাদনগর ৩ নম্বর ব্লকে ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামুর বাহিনী। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার তথ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় ৩টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি, জোড়া খুনসহ ৩টি হত্যা, চাঁদাবাজির একটি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ১টি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩টি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে কামুর বিরুদ্ধে।
টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি থানায় দায়ের করা মামলার (জিআর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি দেখি। কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের কাগজ তাঁর পরিচিত লোকের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘আমি টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সমর্থক। আমি ভবিষ্যতে গাজীপুর মহানগরীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে একটি পক্ষ। আমি এলাকার বাইরে রয়েছি, এলাকায় এসে সব বলব।’
টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন ফারুক বলেন, বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলে কামরুল ইসলাম কামুর কোনো পদ নেই। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় বা অপকর্ম করলে সেই দায় যুবদল নেবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এম এন নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩৯ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩৯ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩৯ মিনিট আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ব্যবহারের পানিসংকটের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরআতাউরে। এই চরে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি ব্যারাক হাউসে প্রায় চার শ লোকের বসবাস। তাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে দুটি বড় পুকুর খনন করা হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারে পুকুরের পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। তাতে পলি জমে জমে পুকুরগুলো সমতলের মতো হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পানি জমে না এই পুকুরগুলোতে। এ ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তিনটি অনেক আগে থেকেই বিকল। একটি থেকে কোনোমতে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষজনকে নদীর লোনা পানিসহ বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়।
সরেজমিনে তরুবীথি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক গৃহিণী ঘরের সামনের গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে থালাবাসন পরিষ্কার করছেন। অল্প পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় কি না—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কিছুই করার নেই। নদীর লোনা পানির চেয়ে অনেক ভালো গর্তের এই পানি। লোনা পানি ব্যবহারে শরীরে অ্যালার্জিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য ঘরের সামনে পুকুরের মধ্যে গর্ত তৈরি করে নিয়েছি। তা দিয়ে দৈনন্দিন গোসল, রান্নার কাজে ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়।’
গুচ্ছগ্রামের উত্তর পাড়ে বসবাস করেন লিপি রানী দাস নামের একজন। তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন পর গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন গরু-ছাগল ও নিজেদের প্রয়োজন মেটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লিপি, আফিয়া বা হাজেরা নয়। তরুবীথি ও ছায়াবীথি দুটি গুচ্ছ গ্রামের অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের সামনে গর্ত করে নিয়েছেন। সেই গর্তের পানি তাঁদের একমাত্র ভরসা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সেখানে নতুন একটি পুকুর খননের জন্য চিন্তা করতেছি। এ ছাড়া আগের পুকুরগুলো পুনরায় খনন করা যায় কি না তাও দেখতেছি।’

পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ব্যবহারের পানিসংকটের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরআতাউরে। এই চরে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি ব্যারাক হাউসে প্রায় চার শ লোকের বসবাস। তাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে দুটি বড় পুকুর খনন করা হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারে পুকুরের পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। তাতে পলি জমে জমে পুকুরগুলো সমতলের মতো হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পানি জমে না এই পুকুরগুলোতে। এ ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তিনটি অনেক আগে থেকেই বিকল। একটি থেকে কোনোমতে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষজনকে নদীর লোনা পানিসহ বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়।
সরেজমিনে তরুবীথি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক গৃহিণী ঘরের সামনের গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে থালাবাসন পরিষ্কার করছেন। অল্প পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় কি না—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কিছুই করার নেই। নদীর লোনা পানির চেয়ে অনেক ভালো গর্তের এই পানি। লোনা পানি ব্যবহারে শরীরে অ্যালার্জিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য ঘরের সামনে পুকুরের মধ্যে গর্ত তৈরি করে নিয়েছি। তা দিয়ে দৈনন্দিন গোসল, রান্নার কাজে ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়।’
গুচ্ছগ্রামের উত্তর পাড়ে বসবাস করেন লিপি রানী দাস নামের একজন। তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন পর গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন গরু-ছাগল ও নিজেদের প্রয়োজন মেটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লিপি, আফিয়া বা হাজেরা নয়। তরুবীথি ও ছায়াবীথি দুটি গুচ্ছ গ্রামের অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের সামনে গর্ত করে নিয়েছেন। সেই গর্তের পানি তাঁদের একমাত্র ভরসা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সেখানে নতুন একটি পুকুর খননের জন্য চিন্তা করতেছি। এ ছাড়া আগের পুকুরগুলো পুনরায় খনন করা যায় কি না তাও দেখতেছি।’

পালিয়ে ছিলেন প্রায় এক দশক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফিরেছেন দুই ডজন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। এলাকায় ফিরেই টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন টঙ্গীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩৯ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে