Ajker Patrika

উত্তরায় থানা-পুলিশের গাড়িতে আগুন, তাণ্ডবে নিহত ১৫

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯: ২৭
উত্তরায় থানা-পুলিশের গাড়িতে আগুন, তাণ্ডবে নিহত ১৫

রাজধানীর উত্তরার ‘উত্তরা পূর্ব’ থানা ও পুলিশের গাড়িতে হামলা ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। চার ঘণ্টা ব্যাপী তাণ্ডবে উত্তরায় ১৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। 

আজমপুরের অবস্থিত ওই থানায় আজ সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি, কাদকে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

উত্তরা পূর্ব থানার গেটে তিনজন পুলিশের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া আজমপুরের বাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) সিঁড়িতে একজন পুলিশের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, উত্তরা পূর্ব থানার পাশ থেকে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংঘটনের নেতা কর্মীরা পিস্তল, শটগান দিলে গুলি ছুড়ে। পরে আন্দোলনকারী তাদেরকে ধাওয়া করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চায়। পরে জনগণ উত্তেজিত হয়ে থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সেই সঙ্গে থানায় থাকা গাড়িগুলোতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। 

উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার মো. নাজমুল ইসলাম রাত পৌনে ৮টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে ৯ জনের মরদেহ রয়েছে। এ ছাড়াও অন্তত ২০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। তবে তারা কারা সেটি এখনো জানা যায়নি।’ 

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫–৬ জনের মরদেহ এসেছে। সেই সঙ্গে আন্দোলনে আহত শতাধিক মানুষকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তবে সঠিক সংখ্যাটা এখন বলতে পারছি না।’ 

এ ছাড়াও বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের একটি গাছে মধ্যবয়স্ক এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ গাছে ঝোলানো অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। সেটি ভিড় করে ছিল হাজারো মানুষ। 

তাদের অভিযোগ, ‘যুবকটি ছাত্রলীগ করে। সে হাউসবিল্ডিং এলাকায় পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেছে। তার ছোড়া গুলিতে এক শিশু আহত হয়েছে।’ 

তারা বলেন, ‘গুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রসহ অন্যান্য লোকজন তাকে ধরে ফেলে গণধোলাই দেয়। তারপর সে মারা গেলে পায়ে রশি বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’ 

সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা পূর্ব থানায় হামলার ভাঙচুরের পর বিকেল ৪টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে সাইন গ্রেনেড, টিয়ার শেল (কাঁদুনে গ্যাস) ছুড়তে দেখা যায়। 

বিকেল ৪টা ২০ মিনিট থেকে উত্তরার আজমপুরের দিক থেকে পুলিশকে রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়তে দেখা যায়। 

এ সময় অধিকাংশ জনতাকে বাসার রাস্তা ছেড়ে দিতে দেখা যায়। আবার কিছু কিছু উৎসুক জনতাকে পুলিশের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায়। 

বিকেল ৪টা ৩২ মিনিটে বিএনএস সেন্টারে সামনে দিয়ে একটি রিকশা যোগে লালটি শার্ট পরিহিতি এক অজ্ঞাত যুবককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ভেতর দিয়ে আহত অবস্থায় আরও ছয়জনকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ ছাড়াও উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর দিয়ে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেখা যায়। 

গুলিবর্ষণ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উল্লসিত সাধারণ জনগণ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উল্লাসিত জনতার মধ্যে কিছু অতি উৎসাহী মানুষ থানা ও পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং থানা ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে।’ 

তারা আরও বলেন, ‘শুধু থানাতেই নয়, র‍্যাব-১ এর সামনে দিয়ে উল্লাস মিছিল নিয়ে যাওয়ার অতি উৎসাহিতরা র‍্যাব কার্যালয়েও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।’ 

গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল পোলাপান থানায় ইট পাটকেল মারতে মারতে ভেতরে চলে আসছিল। সেই সঙ্গে থানায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করেন।’ 

পুলিশের ওই সদস্য আরও বলেন, ‘ওই সময় যারা থানায় ছিল, তাদের মধ্যে নিরস্ত্র সবাই থানা থেকে বের হয়ে যায়।’ 

এদিকে রাত ৮টা পর্যন্ত থানা-পুলিশকে থানা এলাকা অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা চালিয়ে দেখা যায়। যদিও থানার চারপাশ থেকে ঘেরাও করে আন্দোলন করছে বিক্ষোভকারীরা। থানার চারপাশে থাকা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ‘থানার ভেতরে একটি মরদেহ পরে রয়েছে। আরেক যুবক থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে পা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে।’ 

বিকেলের আগুন সামান্য থাকলেও রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফের আগুন লাগানো হয় উত্তরা পূর্ব থানায়। পরে দূর থেকে দেখা যায়, থানা ভবনের নিচ তলা দাউ দাউ করে জ্বলছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আসার পথে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তাদেরকে আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। 

সর্বশেষ রাত ১০টা পর্যন্ত উত্তরার আজমপুর, বিএনএস সেন্টার, রাজলক্ষ্মী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। 

থানায় অগ্নিকান্ড ভাঙচুরের এবং হতাহতের বিষয়ে উত্তরা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি। 

অপরদিকে ঢাকা উত্তরা সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শরীফুল ইসলাম সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, ‘তার বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুর চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি মার্কেটের ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অন্তপুর চৌরাস্তা এলাকার টিভি সেন্টারের সামনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকানগুলোতে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালপত্র পুড়ে অন্তত ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হচ্ছে মা স্টোর, আল্লাহর দান স্টোর, বাবু ইলেকট্রনিকস, আরিয়ান হোটেল, আরমান মুদি, সুরক্ষা ফার্মেসি, শাকের হোটেল, সুবন ম্যাট্রেস, তায়েফা ইলেকট্রনিকসসহ ১০টি দোকান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সুবন ম্যাট্রেস নামের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

একলাশপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু বাহার বাবুল বলেন, ব্যবসায়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী কম্বলের দোকানের কয়েল বা অন্য কোনো উৎস থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সামছুল আলম বলেন, খবর পাওয়ার পর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের উৎস তদন্তের পর জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘শান্তি চুক্তি’ ভেঙে আবারও ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ‎‎

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রিন রোড ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের  শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রিন রোড ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘শান্তি চুক্তি’ ভেঙে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ‎রাজধানীর গ্রিন রোড ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় এই দুই কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হঠাৎ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

‎কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে কাজ করছি।’

‎জানা যায়, সকাল থেকে গ্রিন রোড অঞ্চলে অবস্থান নেয় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দুই পক্ষের মাঝখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে বারবার ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালালেও উত্তেজনা কমেনি। বরং এর মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনো আহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

‎সংঘর্ষের সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী পরিবহন ‘বিজয় ৭১’ ও ‘শঙ্খনীল’ নামের দুটি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমঝোতা করতে অভিনব উদ্যোগ নেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হক। আয়োজন করা হয় এক ‘শান্তি চুক্তি’ অনুষ্ঠানের। সেখানে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা একে অন্যকে ফুল দিয়ে এবং কোলাকুলি করে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেন। তবে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এই ‘শান্তি চুক্তি’ অনুষ্ঠানে সেদিন যোগ দেননি।

সেই অনুষ্ঠানে হাতে গোলাপ আর মুখে বন্ধুত্বের স্লোগানে ভবিষ্যতে আর ‘সংঘর্ষে না জড়ানোর’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে গত ২ ডিসেম্বর বাসে যাতায়াতের সময় কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেদিন একপর্যায়ে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে ঢাকা কলেজ সংলগ্ন উত্তরা ব্যাংকের সামনে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি  
কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ওয়াবদারহাট বাজারে এক রাতে দুটি এজেন্ট ব্যাংকসহ চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় ব্যাংকের চারটি স্বাক্ষরিত চেকসহ প্রায় ১৪ লাখ টাকা এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত ২৫ লাখ টাকার মালপত্র চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিটি ব্যাংক এজেন্ট, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট, নাদিরা ইলেকট্রনিকস এবং মেসার্স ফারিয়া এন্টারপ্রাইজে চুরি হয়। রাতে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট সঞ্জিত হালদারের প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মোবাইল কার্ড ও ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ফারিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে থাকা ১৪ লাখ টাকার স্বাক্ষরিত ব্যাংক চেকসহ নগদ অর্থ নিয়ে গেছে চোরেরা।’

ওয়াবদারহাট বাজারের নৈশপ্রহরী সমর আলী জানান, রাত গভীর হওয়ার পর একটি পিকআপ বাজার এলাকায় আসে। পিকআপে থাকা লোকজন চাকা মেরামত করছে ভেবে তিনি সন্দেহ করেননি। কিছুক্ষণ পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর কী ঘটেছে, তা তিনি বলতে পারেন না।

বাজার বণিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম মহিন বলেন, ‘বাজারে নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা উদ্বেগজনক। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

কোটালীপাড়া থানার এসআই মো. মামুন বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকরি বিধিমালা প্রণয়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে মেট্রোরেল কর্মীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল ভবনের ১ নম্বর গেটের সামনে মেট্রোরেল কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল ভবনের ১ নম্বর গেটের সামনে মেট্রোরেল কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেট্রোরেলের নিয়মিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ চাকরি-বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল ভবনের ১ নম্বর গেটের সামনে ৯ম থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মচারীরা জানান, ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার পর এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রায় ৯ শর বেশি নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এখনো কোনো স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি। ২০২২ সালের শেষ দিকে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে গেলেও বিধিমালা না থাকায় ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট অ্যালাউন্স, গ্রুপ ইনস্যুরেন্সসহ নানা আর্থিক সুবিধা এবং পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।

তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দাবির পর একটি খসড়া বিধিমালা তৈরি হলেও তাতে যুক্ত করা হয় ‘বিশেষ বিধান’, যা সরকারি বিধিবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। বিতর্কিত এই বিধান রাখার কারণেই ১৩ বছরের বেশি সময়েও বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি বলে তাঁরা দাবি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগেও আমরা আন্দোলন করেছি। তখন বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হলেও গত সাত–আট মাসেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতেই আমরা আবারও কর্মসূচি পালন করছি।’

তাঁরা আরও জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তবে মেট্রোরেলের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত