শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

বইমেলার পঞ্চম দিন পেরোল। স্টলের তাকে রোজ আসছে নতুন বই। আর তার ঘ্রাণই যেন টেনে আনছে পাঠকদের। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কেউ কিনছেন; কেউ তালিকা করছেন আরও দেখে পরে কিনবেন বলে। অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রকাশকেরা তাঁদের বেশির ভাগ প্রকাশনা বাজারে আনেন বলে এই মেলা মূলত নতুন বইয়েরই মেলা।
সংস্কৃতি প্রকাশনী জানিয়েছে, তারা প্রাবন্ধিক, চিন্তক বদরুদ্দীন উমরের ‘বাঙলাদেশে জুলাই-এর গণঅভ্যুত্থান’ নামে বই এনেছে। জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থান শুরুর সময় থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তার পরবর্তী পরিস্থিতি, গণ-অভ্যুত্থানের কারণ ইত্যাদি নিয়ে সাক্ষাৎকার, তিনটি প্রবন্ধ এবং একটি সভার বক্তব্য এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বৈভব প্রকাশনী বের করেছে কাজল শাহনেওয়াজের আত্মকথনমূলক সিরিজের প্রথম বই ‘দিঘলী’। এতে শৈশব ও তারুণ্যের দিনগুলো তুলে এনেছেন তিনি।
‘হিন্দুত্ব—হিন্দু দক্ষিণপন্থার একটি পর্যালোচনা: আরএসএস ও ভিএইচপির ইতিহাস’ নামে বই নিয়ে এসেছে বাংগালা প্রকাশ। ভারতে হিন্দুত্বের শতবর্ষ, বিজেপির ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ গঠনের স্বপ্ন ও ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের সাম্প্রদায়িকতাবাদ’ বইটির বিষয়।
কথাসাহিত্যিক রশীদ করীমের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘রশীদ করীম অমনিবাস’ বের করেছে সাহিত্য প্রকাশ। সম্পাদনায় মফিদুল হক।
নানা প্রয়োজনে কিংবা নিছক কুশল বিনিময়ের জন্য জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ অনেক চিঠি লিখেছেন। কখনো স্বজন-পরিজন, কখনো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে। তাঁকেও লিখেছেন অন্যরা। ১৯২৬ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখা ও তাঁকে লেখা অগ্রন্থিত চিঠি নিয়ে এই বই। প্রাপক ও প্রেরকের তালিকায় রয়েছেন কায়কোবাদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দীনেশচন্দ্র সেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিতলাল মজুমদার, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ খ্যাতিমান মানুষেরা। বইটির নাম ‘ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্: অগ্রন্থিত চিঠিপত্র, তাঁর লেখা, তাঁকে লেখা’। এনেছে প্রথমা প্রকাশন।
এ ছাড়া কথাপ্রকাশ বের করেছে আলম খোরশেদের চলচ্চিত্রের বই ‘রূপের চলতপ্রবাহ: চলচ্চিত্র বিষয়ক রচনা সংকলন’, অন্যপ্রকাশ বের করেছে সাদাত হোসাইনের ভ্রমণের বই ‘যেতে যেতে তোমাকে কুড়াই’, নাগরী বের করেছে সাইয়েদ জামিলের কবিতার বই ‘খুনি রাষ্ট্রের বুকের উপর লেখা কবিতা’, শোভা প্রকাশ বের করেছে আব্দুল হাই শিকদারের ‘জানা অজানা মওলানা ভাসানী’।
বেসরকারি চাকরিজীবী সারা হোসেন অফিস ছুটি হতেই চলে এসেছেন মেলায়। জানালেন, প্রথম দিকে বই কেনার ইচ্ছা নেই তাঁর। দেখবেন, ঘুরবেন, তালিকা করবেন; তারপরে কিনবেন।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, মেলায় গতকাল বুধবার নতুন বই এসেছে ৯৮টি।
ঢিলেঢালা বিক্রি
মেলায় অনেক নতুন বই এসেছে ঠিক; সে তুলনায় বিক্রিবাট্টা কম বলে জানা গেল প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের কাছ থেকে। অবসর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আব্দুল মুমিন বলেন, মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। এখন নতুন বইয়ের থেকে পাঠক পুরোনো ধ্রুপদি বই কিনছেন বেশি। এখানে হুমায়ূন আহমেদ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই চলছে ভালো।
প্রথমা, আগামী, স্টুডেন্ট ওয়েজসহ বেশ কিছু স্টলের বিক্রয়কর্মী জানিয়েছেন বিক্রি ছিল ঢিমেতালে।
আয়োজন
গতকাল বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হোসেনউদ্দীন হোসেন: প্রান্তবাসী বিরল সাহিত্য-সাধক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমেদ মাওলা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবুল ফজল। সভাপতিত্ব করেন শহীদ ইকবাল।
আহমেদ মাওলা বলেন, গভীর জীবনবোধ, ইতিহাস-চেতনা এবং প্রাগ্রসর চিন্তাশক্তি হোসেনউদ্দীন হোসেনকে সৃষ্টিশীল ও বিরল সাহিত্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি নিজেকে কৃষক পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। হোসেনউদ্দীন হোসেনের কর্মজীবন যেমন বৈচিত্র্যময়, লেখালেখির ক্ষেত্রেও ছিলেন বহুমুখী। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনীমূলক রচনা ইত্যাদি বিষয়ে স্বতন্ত্র চিন্তার মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে তাঁর। গভীর জীবনবোধ ও বাস্তবতার বিনির্মাণ, রূপক তৈরির কুশলতা তাঁকে কালোত্তীর্ণ শিল্পীর মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। তিনি ইতিহাসের দায়বদ্ধতা থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বাংলার সংগ্রামী চেতনাকে দেখেছেন।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক শিবলী আজাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আতাহার খান ও আলমগীর হুছাইন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রানা আহমেদ এবং কাজী সামিউল আজিজ। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম, মো. আরিফুর রহমান, তাপসী রায়, পাপড়ি বডুয়া, ফারাহ হাসান মৌটুসী, মো. হারুনুর রশিদ, কামাল আহমেদ ও নুসরাত বিনতে নূর।

বইমেলার পঞ্চম দিন পেরোল। স্টলের তাকে রোজ আসছে নতুন বই। আর তার ঘ্রাণই যেন টেনে আনছে পাঠকদের। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কেউ কিনছেন; কেউ তালিকা করছেন আরও দেখে পরে কিনবেন বলে। অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রকাশকেরা তাঁদের বেশির ভাগ প্রকাশনা বাজারে আনেন বলে এই মেলা মূলত নতুন বইয়েরই মেলা।
সংস্কৃতি প্রকাশনী জানিয়েছে, তারা প্রাবন্ধিক, চিন্তক বদরুদ্দীন উমরের ‘বাঙলাদেশে জুলাই-এর গণঅভ্যুত্থান’ নামে বই এনেছে। জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থান শুরুর সময় থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তার পরবর্তী পরিস্থিতি, গণ-অভ্যুত্থানের কারণ ইত্যাদি নিয়ে সাক্ষাৎকার, তিনটি প্রবন্ধ এবং একটি সভার বক্তব্য এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বৈভব প্রকাশনী বের করেছে কাজল শাহনেওয়াজের আত্মকথনমূলক সিরিজের প্রথম বই ‘দিঘলী’। এতে শৈশব ও তারুণ্যের দিনগুলো তুলে এনেছেন তিনি।
‘হিন্দুত্ব—হিন্দু দক্ষিণপন্থার একটি পর্যালোচনা: আরএসএস ও ভিএইচপির ইতিহাস’ নামে বই নিয়ে এসেছে বাংগালা প্রকাশ। ভারতে হিন্দুত্বের শতবর্ষ, বিজেপির ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ গঠনের স্বপ্ন ও ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের সাম্প্রদায়িকতাবাদ’ বইটির বিষয়।
কথাসাহিত্যিক রশীদ করীমের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘রশীদ করীম অমনিবাস’ বের করেছে সাহিত্য প্রকাশ। সম্পাদনায় মফিদুল হক।
নানা প্রয়োজনে কিংবা নিছক কুশল বিনিময়ের জন্য জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ অনেক চিঠি লিখেছেন। কখনো স্বজন-পরিজন, কখনো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে। তাঁকেও লিখেছেন অন্যরা। ১৯২৬ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখা ও তাঁকে লেখা অগ্রন্থিত চিঠি নিয়ে এই বই। প্রাপক ও প্রেরকের তালিকায় রয়েছেন কায়কোবাদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দীনেশচন্দ্র সেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিতলাল মজুমদার, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ খ্যাতিমান মানুষেরা। বইটির নাম ‘ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্: অগ্রন্থিত চিঠিপত্র, তাঁর লেখা, তাঁকে লেখা’। এনেছে প্রথমা প্রকাশন।
এ ছাড়া কথাপ্রকাশ বের করেছে আলম খোরশেদের চলচ্চিত্রের বই ‘রূপের চলতপ্রবাহ: চলচ্চিত্র বিষয়ক রচনা সংকলন’, অন্যপ্রকাশ বের করেছে সাদাত হোসাইনের ভ্রমণের বই ‘যেতে যেতে তোমাকে কুড়াই’, নাগরী বের করেছে সাইয়েদ জামিলের কবিতার বই ‘খুনি রাষ্ট্রের বুকের উপর লেখা কবিতা’, শোভা প্রকাশ বের করেছে আব্দুল হাই শিকদারের ‘জানা অজানা মওলানা ভাসানী’।
বেসরকারি চাকরিজীবী সারা হোসেন অফিস ছুটি হতেই চলে এসেছেন মেলায়। জানালেন, প্রথম দিকে বই কেনার ইচ্ছা নেই তাঁর। দেখবেন, ঘুরবেন, তালিকা করবেন; তারপরে কিনবেন।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, মেলায় গতকাল বুধবার নতুন বই এসেছে ৯৮টি।
ঢিলেঢালা বিক্রি
মেলায় অনেক নতুন বই এসেছে ঠিক; সে তুলনায় বিক্রিবাট্টা কম বলে জানা গেল প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের কাছ থেকে। অবসর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আব্দুল মুমিন বলেন, মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। এখন নতুন বইয়ের থেকে পাঠক পুরোনো ধ্রুপদি বই কিনছেন বেশি। এখানে হুমায়ূন আহমেদ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই চলছে ভালো।
প্রথমা, আগামী, স্টুডেন্ট ওয়েজসহ বেশ কিছু স্টলের বিক্রয়কর্মী জানিয়েছেন বিক্রি ছিল ঢিমেতালে।
আয়োজন
গতকাল বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হোসেনউদ্দীন হোসেন: প্রান্তবাসী বিরল সাহিত্য-সাধক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমেদ মাওলা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবুল ফজল। সভাপতিত্ব করেন শহীদ ইকবাল।
আহমেদ মাওলা বলেন, গভীর জীবনবোধ, ইতিহাস-চেতনা এবং প্রাগ্রসর চিন্তাশক্তি হোসেনউদ্দীন হোসেনকে সৃষ্টিশীল ও বিরল সাহিত্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। কৃষক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি নিজেকে কৃষক পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। হোসেনউদ্দীন হোসেনের কর্মজীবন যেমন বৈচিত্র্যময়, লেখালেখির ক্ষেত্রেও ছিলেন বহুমুখী। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনীমূলক রচনা ইত্যাদি বিষয়ে স্বতন্ত্র চিন্তার মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে তাঁর। গভীর জীবনবোধ ও বাস্তবতার বিনির্মাণ, রূপক তৈরির কুশলতা তাঁকে কালোত্তীর্ণ শিল্পীর মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। তিনি ইতিহাসের দায়বদ্ধতা থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বাংলার সংগ্রামী চেতনাকে দেখেছেন।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক শিবলী আজাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আতাহার খান ও আলমগীর হুছাইন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রানা আহমেদ এবং কাজী সামিউল আজিজ। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম, মো. আরিফুর রহমান, তাপসী রায়, পাপড়ি বডুয়া, ফারাহ হাসান মৌটুসী, মো. হারুনুর রশিদ, কামাল আহমেদ ও নুসরাত বিনতে নূর।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

বইমেলার পঞ্চম দিন পেরোল। স্টলের তাকে রোজ আসছে নতুন বই। আর তার ঘ্রাণই যেন টেনে আনছে পাঠকদের। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কেউ কিনছেন; কেউ তালিকা করছেন আরও দেখে পরে কিনবেন বলে। অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রকাশকেরা তাঁদের বেশির ভাগ প্রকাশনা বাজারে আনেন বলে এই মেলা মূলত নতুন বইয়েরই মেলা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

বইমেলার পঞ্চম দিন পেরোল। স্টলের তাকে রোজ আসছে নতুন বই। আর তার ঘ্রাণই যেন টেনে আনছে পাঠকদের। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কেউ কিনছেন; কেউ তালিকা করছেন আরও দেখে পরে কিনবেন বলে। অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রকাশকেরা তাঁদের বেশির ভাগ প্রকাশনা বাজারে আনেন বলে এই মেলা মূলত নতুন বইয়েরই মেলা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
২৫ মিনিট আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

বইমেলার পঞ্চম দিন পেরোল। স্টলের তাকে রোজ আসছে নতুন বই। আর তার ঘ্রাণই যেন টেনে আনছে পাঠকদের। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কেউ কিনছেন; কেউ তালিকা করছেন আরও দেখে পরে কিনবেন বলে। অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রকাশকেরা তাঁদের বেশির ভাগ প্রকাশনা বাজারে আনেন বলে এই মেলা মূলত নতুন বইয়েরই মেলা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নিয়ে আসা হলে সেখানে লাশের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা গণমাধ্যমকে জানান, দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
তবে নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নারী ও তিনজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের সঙ্গে জাকির সম্রাট-৩-এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাবু লাল বৈদ্যের দেওয়া তথ্যমতে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে একজন যাত্রী নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে ‘এমভি কর্ণফুলী-৯’ নামক লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঢাকা যাওয়ার পথেই আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নিহতের মোট সংখ্যা সাতজনে পৌঁছায়।
নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চালকদের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নিয়ে আসা হলে সেখানে লাশের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা গণমাধ্যমকে জানান, দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
তবে নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নারী ও তিনজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের সঙ্গে জাকির সম্রাট-৩-এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাবু লাল বৈদ্যের দেওয়া তথ্যমতে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে একজন যাত্রী নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে ‘এমভি কর্ণফুলী-৯’ নামক লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঢাকা যাওয়ার পথেই আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নিহতের মোট সংখ্যা সাতজনে পৌঁছায়।
নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চালকদের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।

বইমেলার পঞ্চম দিন পেরোল। স্টলের তাকে রোজ আসছে নতুন বই। আর তার ঘ্রাণই যেন টেনে আনছে পাঠকদের। তাঁরা ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কেউ কিনছেন; কেউ তালিকা করছেন আরও দেখে পরে কিনবেন বলে। অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রকাশকেরা তাঁদের বেশির ভাগ প্রকাশনা বাজারে আনেন বলে এই মেলা মূলত নতুন বইয়েরই মেলা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে