ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘অধিকাংশ বাসের কাগজপত্র নেই। মাত্র ২৫ শতাংশ গাড়ির কাগজপত্র আছে। কাগজপত্রহীন গাড়িগুলো ফরিদপুর দিয়ে চলবে না, সোজা কথা। জীবিকার জন্য আমরা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছুটা অমানবিক ও কঠোর হতে হবে, আইন প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চালক সুস্থ ছাড়া গাড়িতে ওঠা যাবে না উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালকের প্রেশার, ডায়াবেটিস ঠিক আছে কি না—তা পরীক্ষা করা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানেই মোবাইল কোর্ট নিয়ে যাব, সেখানে একজন চিকিৎসক থাকবেন। সঙ্গে ডোপ টেস্ট, ডায়াবেটিস মাপার কিট এবং পেশার মাপার যন্ত্র নিয়ে যাব। সুস্থ ছাড়া গাড়িতে ওঠা যাবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। প্রেশার নিয়ে চালককে গাড়ি চালাতে দেওয়া যাবে না।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পরপর দুই দিন ফরিদপুর ও ঝালকাঠি জেলায় দুটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন জেলায় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিরা মন্ত্রণালয়ের চাপে আছেন।’
ডিসি বলেন, চালক ও পরিবহনের কাগজপত্র, লাইসেন্স ও ফিটনেসহীন কোনো পরিবহন ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পারবে না। একই সঙ্গে জেলায় থ্রি-হুইলার বন্ধের ঘোষণা দেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা খুব চাপের মধ্যে আছি, সরকার খুব চাপ দিয়েছে। আমরা এই চেয়ারে বসে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না কেন। আজ সকালে সচিব স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, তোমাদের অংশে তোমাদেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কীভাবে করবা—এটা তোমরা বসে করো। এটা না পারার কিছু নেই। সবার আগে জীবন, জীবনের নিরাপত্তা আগে দিতে হবে। এটাই স্যারের শেষ কথা।’
মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘ঈদের আগে সড়কে যে স্বস্তিদায়ক অবস্থা ছিল, ঈদের পরে বড় দুটি সড়ক দুর্ঘটনা পুরো মন্ত্রণালয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছে। যে কারণে তাঁরা খুবই অস্বস্তিতে আছেন এবং আমাদের ওপরই চাপ এসে পড়েছে। প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার পেছনেই স্বল্পগতির গাড়ির একটা ভূমিকা থাকেই। আমরা দ্রুত এই গাড়িগুলো বন্ধ করব।’
কাগজপত্র ও ফিটনেসহীন কোনো গাড়ি ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে বার্তা দিতে চাই, ফরিদপুর পার হতে হলে গাড়ির ফিটনেস থাকতে হবে। অন্যথায় প্রবেশ করতে পারবে না। আর নয়, আমরা গাড়ি ডাম্পিং করে ফেলব।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ফরিদপুরে মহাসড়কে কোনো থ্রি-হুইলার চলবে না। এ জন্য লোকাল বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এগুলো বাস্তবায়নে শিগগিরই আমরা কঠোর অভিযানে নামব।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, মাদারীপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখসহ জেলা বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘অধিকাংশ বাসের কাগজপত্র নেই। মাত্র ২৫ শতাংশ গাড়ির কাগজপত্র আছে। কাগজপত্রহীন গাড়িগুলো ফরিদপুর দিয়ে চলবে না, সোজা কথা। জীবিকার জন্য আমরা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছুটা অমানবিক ও কঠোর হতে হবে, আইন প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চালক সুস্থ ছাড়া গাড়িতে ওঠা যাবে না উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালকের প্রেশার, ডায়াবেটিস ঠিক আছে কি না—তা পরীক্ষা করা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানেই মোবাইল কোর্ট নিয়ে যাব, সেখানে একজন চিকিৎসক থাকবেন। সঙ্গে ডোপ টেস্ট, ডায়াবেটিস মাপার কিট এবং পেশার মাপার যন্ত্র নিয়ে যাব। সুস্থ ছাড়া গাড়িতে ওঠা যাবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। প্রেশার নিয়ে চালককে গাড়ি চালাতে দেওয়া যাবে না।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পরপর দুই দিন ফরিদপুর ও ঝালকাঠি জেলায় দুটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন জেলায় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিরা মন্ত্রণালয়ের চাপে আছেন।’
ডিসি বলেন, চালক ও পরিবহনের কাগজপত্র, লাইসেন্স ও ফিটনেসহীন কোনো পরিবহন ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পারবে না। একই সঙ্গে জেলায় থ্রি-হুইলার বন্ধের ঘোষণা দেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা খুব চাপের মধ্যে আছি, সরকার খুব চাপ দিয়েছে। আমরা এই চেয়ারে বসে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না কেন। আজ সকালে সচিব স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, তোমাদের অংশে তোমাদেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কীভাবে করবা—এটা তোমরা বসে করো। এটা না পারার কিছু নেই। সবার আগে জীবন, জীবনের নিরাপত্তা আগে দিতে হবে। এটাই স্যারের শেষ কথা।’
মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘ঈদের আগে সড়কে যে স্বস্তিদায়ক অবস্থা ছিল, ঈদের পরে বড় দুটি সড়ক দুর্ঘটনা পুরো মন্ত্রণালয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছে। যে কারণে তাঁরা খুবই অস্বস্তিতে আছেন এবং আমাদের ওপরই চাপ এসে পড়েছে। প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার পেছনেই স্বল্পগতির গাড়ির একটা ভূমিকা থাকেই। আমরা দ্রুত এই গাড়িগুলো বন্ধ করব।’
কাগজপত্র ও ফিটনেসহীন কোনো গাড়ি ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে বার্তা দিতে চাই, ফরিদপুর পার হতে হলে গাড়ির ফিটনেস থাকতে হবে। অন্যথায় প্রবেশ করতে পারবে না। আর নয়, আমরা গাড়ি ডাম্পিং করে ফেলব।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ফরিদপুরে মহাসড়কে কোনো থ্রি-হুইলার চলবে না। এ জন্য লোকাল বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এগুলো বাস্তবায়নে শিগগিরই আমরা কঠোর অভিযানে নামব।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, মাদারীপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখসহ জেলা বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা।
গেল কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে পথচারী ও চালকদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। স্থানীয়রা সতর্কতার জন্য লাঠির মাথায় লাল কাপড় বেঁধে ভাঙা অংশ চিহ্নিত করছেন।
২৩ মিনিট আগেএই ঘটনার পর থেকেই ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা ফেসবুকে এনসিপি বিরোধী নানা পোস্ট দিচ্ছেন। এসব পোস্টে কেউ এনসিপিকে ’পাকিস্তানি দালাল’ আখ্যা দিচ্ছেন, কেউ বা ১৬ জুলাইকে ‘গোপালগঞ্জ গণহত্যা দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
২৯ মিনিট আগেকলমাকান্দা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের ১৭২টি পদের মধ্যে ১৩৩টি, দুর্গাপুর ১২৬টির মধ্যে ৩৬টি, আটপাড়া ১০৩টির মধ্যে ৫৯টি, কেন্দুয়া ১৮২টির মধ্যে ৫৮টি, সদরে ২০১টির মধ্যে ৫৭টি, বারহাট্টায় ১০৯টির মধ্যে ৫০টি, পূর্বধলায় ১৭৫টির মধ্যে ৯৮টি, মদনে ৯৩টির মধ্যে ৩৮, মোহনগঞ্জ ৮৯টির মধ্যে ৪১টি এবং খালিয়াজুরিতে ৬৩টির মধ্যে
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কালীগঞ্জে একসময়কার খরস্রোতা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাল এখন দখল ও দূষণে মৃতপ্রায়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে খনন হওয়া এই খালটি বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ ভাদার্ত্তি ও তুমলিয়া মিশনের পাশ ঘেঁষে বক্তারপুরের রাঙ্গামাটিয়া হয়ে বিল বেলাই পর্যন্ত বিস্তৃত খালটি
১ ঘণ্টা আগে