Ajker Patrika

বিএনপির ঘাঁটি দখলে মরিয়া জামায়াত

  • কক্সবাজার-২ আসনটি ফাঁকা রেখেছে বিএনপি
  • বিএনপির ভরসা পুরোনোদের ওপর
  • তিন আসনে জামায়াতের নতুন মুখ
  • একটি আসনেই তৎপর এনসিপি
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
সালাহউদ্দিন আহমদ, লুৎফুর রহমান কাজল, শাহজাহান চৌধুরী, হামিদুর রহমান আযাদ, নূর আহমদ আনোয়ারী ও শহিদুল আলম বাহাদুর।
সালাহউদ্দিন আহমদ, লুৎফুর রহমান কাজল, শাহজাহান চৌধুরী, হামিদুর রহমান আযাদ, নূর আহমদ আনোয়ারী ও শহিদুল আলম বাহাদুর।

সাগরতীরের জেলা কক্সবাজারে ভোটের আমেজ ফিরে এসেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর জমে উঠেছে প্রচার। চারটি সংসদীয় আসনের তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপির ঘোষণার পর কক্সবাজার-৪ আসনের প্রার্থী বদল চেয়ে বিক্ষোভ করেছে দলের একাংশ। অন্য দুটি আসনে বিরোধ নেই। তবে সব আসন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া জামায়াত।

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জয়ী হয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও। এবারের নির্বাচনে দলটির প্রার্থী নেই। আর এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলগুলো।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী, কক্সবাজার-২ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগ এবং কক্সবাজার-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন ছাড়া বাকি তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেন। এরপর ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসনেই বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হন।

এ ছাড়া ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে বিএনপি, একটিতে জামায়াতে ইসলামী ও একটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন।

কক্সবাজার-১

জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হওয়ার সুবাদে তিনি এলাকায় বেশ উন্নয়ন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপি থেকে এ আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন। মামলাজনিত কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সালাহউদ্দিন অংশ নিতে না পারলেও তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।

বরাবরই সালাহউদ্দিন আহমদকে এ আসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে বিএনপি। চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, কক্সবাজারের উন্নয়নে সালাহউদ্দিন আহমদ পরীক্ষিত নেতা। মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। তিনি এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

অভিজ্ঞ ও প্রবীণ সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন জামায়াতে ইসলামীর তরুণ নেতা কক্সবাজার শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চকরিয়া-পেকুয়ায় মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করতে পেরেছে জামায়াতে ইসলামী। তা অবশ্যই নির্বাচনের রায়ে দেখা যাবে।

কক্সবাজার-২

জেলার দুই দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসন। এই আসন ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। এবারও তিনি জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী। এ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ। তবে এ পর্যন্ত এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। এ আসনে সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার রয়েছে।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ আসন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কেন্দ্র এটি। ফলে দল থেকে এ আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ। তিনি বলেন, এ আসন বরাবরই বিএনপির দুর্গ। এখানকার মানুষ বিএনপিকে ভোট দেয়। ফলে তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে মনে করেন তিনি।

এ দিকে আসনটিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও কক্সবাজারের সমন্বয়ক এস এম সুজা উদ্দিন।

কক্সবাজার-৩

কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও—এই তিন এলাকা নিয়ে কক্সবাজার-৩ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির লুৎফুর রহমান কাজল। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালেও বিএনপির দখলে ছিল আসনটি।

এবারও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসনে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেশ মজবুত। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর।

কক্সবাজার-৪

মিয়ানমার সীমান্ত এবং সাগর উপকূলের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসন। এ আসনে ইতিপূর্বে যে দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, সে দলই ক্ষমতায় গেছে। এখানে বিএনপির হয়ে ১৯৭৯ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। এবারও তিনি বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে তাঁর মনোনয়ন বদলের জন্য মাঠে সোচ্চার আছেন জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর অনুসারীরা।

এবার এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হচ্ছেন দলটির জেলা আমির নূর আহমদ আনোয়ারী। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এবার এ আসন কবজায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামায়াত।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে দলীয় প্রার্থী নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। আশা করি, অতীতের মতো ভোটাররা বিএনপিকে বেছে নেবে।

জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, চারটি আসনে ভোটারদের কাছে তাদের প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও আস্থা বেড়েছে। ভোটাররা বেশ সাড়া দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ডে ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন—শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা, মো. আমিনুর ওরফে দরজি আমিন, মো. শাফিয়ার রহমান ফকির, আছিয়া বেগম (পলাতক আসামি ও ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আল আমিনের স্ত্রী), ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা। তাঁদের মধ্যে পুরুষদের ৭ দিন করে এবং নারী আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

হাসনাবাদের চার কক্ষের একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় গত শুক্রবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। আহত হন চারজন। পুলিশ সেখান থেকে ককটেল, রাসায়নিক, বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

ওই মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িটির একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ শনিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসমানী খাতুন এর আগেও জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। শাহিনের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। স্বামী অপরাধ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁরা নির্দোষ। তাঁর (আছিয়ার) ভাইয়ের স্ত্রী আসমানী শুধু তাঁদের দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এ মামলায় আসমানী খাতুন ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসমানীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আগের মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই আসমানী খাতুন খালাস পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার মতো উপাদান নেই। এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইল-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আসনে অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলীকে পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালার শর্তের ব্যত্যয় ঘটায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মধুপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলীকে দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি উভয় উপজেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে জনসংযোগও করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণের সময় নির্বাচনী বিধিমালার শর্ত অনুসরণ করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে।

মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস। এই জটিলতার কারণে মনোনয়নঝুঁকি এড়াতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বসুন্ধরা থেকে চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৭৫৭ নম্বর বাসা থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘মৃত ওয়াং পিং লিউ একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার চীনে থাকে। গতকাল তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বিষয়টি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও মৃত ওয়াংয়ের ব্যবসায়িক পার্টনারকে জানান। এরপর বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’

এসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরাও জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এখনো জানা যায়নি। জানতে পেরেছি, তাঁর ডায়াবেটিসহ আরও কিছু রোগ ছিল। তাঁর শরীরে কোনো জখম পাওয়া যায়নি। আমরা বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’

মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আজ মৃত চীনা নাগরিকের স্বজনদের ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কেউ যোগাযোগ করেননি। দূতাবাসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্বজনেরা এলে তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, মৃত চীনা নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। পরিবার ময়নাতদন্ত করতে চাইলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুনাফিকি না করলে ৮ দলের ঐক্য অটুট থাকবে: ফয়জুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল-৫ আসনে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের মনোনয়নপত্র জমা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল-৫ আসনে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের মনোনয়নপত্র জমা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুনাফিকি না করলে ৮ দলের ঐক্য অটুট থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। আজ রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৮ দলের (বর্ধিত হয়ে ১০ দল) এক ব্যালট এক বাক্স নীতি অটল রয়েছে। কেউ যদি মুনাফিকি না করে কিংবা ক্ষমতার লোভে না পড়ে, তাহলে এই ঐক্য অটুট থাকবে।’

জোট ও আসন বণ্টন প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম বলেন, ‘অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে, জামায়াত কি আমাদের আসন ছেড়ে দেবে? এটি ভুল প্রশ্ন। এখানে কেউ কাউকে সিট দেবে না। আমরা অ্যালায়েন্স করব। যার যেখানে অবস্থান ভালো, সে সেখানেই নির্বাচন করবে।’

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন প্রার্থী মোট ৪৯টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন প্রার্থী তিনটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সুমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত