Ajker Patrika

চট্টগ্রামে ভোটের মাঠে নামসর্বস্ব ৬ দলের চেয়ারম্যান 

সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ৫৩
চট্টগ্রামে ভোটের মাঠে নামসর্বস্ব ৬ দলের চেয়ারম্যান 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হয়েছেন ছয় রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঁচটি নিবন্ধন থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নামসর্বস্ব। এলাকায় প্রচার–প্রচারণায় দেখা না গেলেও ভোটাররা তাদের বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস। 

প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরউত্তম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি। 

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় হলেও তিনি লড়ছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসন থেকে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে নির্বাচন করতে না পারলেও তিনি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের শক্ত অবস্থান আছে ওখানে। 

বিএনএফের চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৭ (গুলশান–বনানী) আসনের এমপি হন। এবার তিনি ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮ আসন ছাড়াও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন। 

দলীয় প্রধান হিসেবে এবার সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি গুলশান–বনানীর এমপি ছিলাম। সেখানে অনেক উন্নয়নের সাক্ষী আমি। চট্টগ্রাম-৮ আসনেও আমি গুলশান–বনানীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। এ ক্ষেত্রে ভোটাররা আমাকেই বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস রাখতে চাই।’ 

তবে এলাকায় তাঁর তেমন কোনো পোস্টার–ব্যানার দেখা যায়নি। ভোটারদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আলোচনাও নেই। অনেকে এই প্রার্থীকে চেনেনও না। 

এ বিষয়ে মোহাম্মদ ফয়সাল বাপ্পী নামে এক ভোটার বলেন, ‘উনি থাকেন ঢাকায়। এলাকায় তেমনটা আসেন না। ভোট উপলক্ষে এসেছেন। উনাকে নিয়ে আমাদের কোন উচ্ছ্বাস নেই।’ 

প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের (নিবন্ধনহীন) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশ ভিপি নাজিমের দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল না হওয়ায় তিনি তৃণমূল বিএনপির টিকিটে ভোটের মাঠে রয়েছেন। 

প্রচার–প্রচারণা ও গণসংযোগে তাঁর তৎপরতা তেমন চোখে পড়ে না। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ভোটের মাঠে থাকায় এলাকার মানুষের মধ্যে তাঁকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহানের মতো শক্ত প্রার্থীর সামনে ভিপি নাজিম আলোচনায় থাকার মতো তেমন কিছু করতে পারছেন না। 

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে। এখানে শক্ত প্রার্থী রয়েছেন নৌকার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। ফলে ভোটের মাঠে এম এ মতিন আলোচনায় আসছেন না বলে জানিয়েছেন পটিয়ার ভোটার প্রণব বড়ুয়া। 

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ভোটের মাঠে থাকা তরিকত ফেডারেশন ও সুপ্রিম পার্টির দুই চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি সম্পর্কে চাচা–ভাতিজা। নজিবুল বশর নৌকার টিকিটে বর্তমানে এমপি হিসেবে রয়েছেন। নতুন দল সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যানের ভোট বলয় গড়ে ওঠেনি এখনো। দুজনই নৌকা চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কাছে। চাচা ভাতিজার কামড়া–কামড়িতে শেষতক নৌকা প্রতীক পান আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এখানে আরেক শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। নির্বাচনী মাঠ মসৃণ থাকলে এখানে পাত্তা পাবেন না দুই ভান্ডারি। 

এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের মাঠে বেশ সাড়া পাচ্ছি। তৃণমূল থেকে আমরা উঠে এসেছি। ভোটারদের সুসময় দু: সময়ে সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মালবাহী জাহাজের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা, আহত ৫

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে বরিশালের মুলাদী যাওয়ার পথে নোঙর করা মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় দুর্ঘটনায় পড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। ঘন কুয়াশার কারণে এমভি মহারাজ-৭ নামের লঞ্চটির বাঁ পাশের দোতলার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জিহাদ হোসেন নামের এক শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়ন এলাকায় পদ্মা নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রী আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি পদ্মা নদী দিয়ে কোদালপুর লঞ্চঘাট এলাকা পার হচ্ছিল। নদীর তীরের কাছাকাছি একটি মালবাহী জাহাজ নোঙর করা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় লঞ্চচালক সেটি দেখতে না পাওয়ায় ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চের দোতলার পাশের প্রায় ৩০ ফুট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুর্ঘটনায় জিহাদ হোসেনের মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। এ ছাড়া আবুল কালাম, রহমতউল্লাহ, রাসেদ সরদারসহ পাঁচ যাত্রী আহত হয়। পরে দোতলায় থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচতলায় নিরাপদ স্থানে চলে যায়। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে লঞ্চটি মুলাদীর দিকে যাত্রা শুরু করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জীবননগরে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়নের (৩৬ এডি) নেতৃত্বে জীবননগর মডেল মসজিদের পাশে গাজী জাহিদ হাসানের মালিকানাধীন সাইকেলের শোরুমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা মালপত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি স্মার্টফোন, ১১টি সিমকার্ড এবং একটি ব্যাটন।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিবিঘা ঢালাই সড়কে রনি ও সজিবের ওপর ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রনির কপালের মাঝখানে এবং বাঁ হাত ও ডান হাতের বাহুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু সজিবকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

লবণচরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউসুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় এখনো আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরিষাখেতে ৮৫টি মৌ-বাক্স, এক সপ্তাহ পর শুরু হবে মধু সংগ্রহ

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
গাংনী উপজেলার তেরাইল মাঠ থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার তেরাইল মাঠ থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। সরিষাখেতের পাশে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে তেরাইল কলেজের সামনের সরিষাখেতে বসানো হয়েছে ৮৫টি মৌ-বাক্স।

সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।

মৌচাষিরা জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে মধু সংগ্রহ শুরু হবে। তাঁদের ধারণা, এই খেত থেকেই প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণত তাঁরা এই ধরনের মধু সংগ্রহের দৃশ্য খুব কমই দেখেন। সরাসরি বাক্সে মধু উৎপাদনের প্রক্রিয়া দেখে তাঁরা মুগ্ধ। তাঁদের মতে, সরিষা ফুল থেকে সংগৃহীত মধু স্বাভাবিকভাবেই বিশুদ্ধ হয় এবং ক্রেতারাও চোখের সামনে দেখে মধু কিনতে পারেন।

মধু সংগ্রহ দেখতে আসা সাজেদুর রহমান বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি সরিষাখেতের পাশে মৌ-বাক্স বসানো। এত বড় সরিষার মাঠ আশপাশে আর কোথাও নেই। মৌচাষিদের কাছে শুনেছি, এখান থেকে প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করবেন তাঁরা।’

মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘দোকান থেকে মধু কিনলে অনেক সময় খাঁটি কি না বোঝা যায় না। কিন্তু এখানে সরাসরি সংগ্রহ করা মধু নিঃসন্দেহে খাঁটি।’

মৌচাষি মো. সোহান আলী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে এসেছি। কারণ, এই এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। এবার ৮৫টি বাক্স বসানো হয়েছে। আশা করছি, প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারব। সাধারণত তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে মৌমাছিরা ভালোভাবে মধু সংগ্রহ করতে পারে।’

আরেক মৌচাষি মো. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাঠ দিয়ে তৈরি বিশেষ বাক্সে রানি মৌমাছি রাখা হয়। বিস্তীর্ণ সরিষাখেতের পাশে এসব বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়। এখান থেকে ৮৫টি বাক্সে প্রায় ২০ মণ মধু পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আমরা কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে মধু বিক্রি করি।’

গাংনী উপজেলার তেরাইল মাঠ থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার তেরাইল মাঠ থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘বিশেষ করে সরিষা ফুলের মধু অত্যন্ত বিশুদ্ধ। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মধু সংগ্রহের মৌসুম চলে। সরিষা ফুল শেষ হলে আমরা অন্য ফুলের এলাকায় চলে যাই। আগামী ৩০ তারিখের (৩০ ডিসেম্বর) পর থেকে এখানে পুরোপুরি মধু সংগ্রহ শুরু হবে।’

গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনের প্রধান মৌসুম। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। বাক্স পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষিরা।

ইমরান হোসেন আরও বলেন, মধু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পবিত্র কোরআনেও মধুর উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগও মধু ও কালিজিরা খাওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত